পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর একটি ভাষণের নাকি রেকর্ড করা ভাষণ পাকিস্তানের কাছে ছিল না।
তাই পাকিস্তান অনেক দেনদরবার করে আকাশবাণীর মহাফেজখানা (আর্কাইভ) থেকে ওই ভাষণ
সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিকে খোলা চোখ কলামে নিউ ইয়র্কের হাসান
ফেরদৌস একটি কলাম লিখেছেন, যা ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশ
হয়েছে। ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট জিন্নাহ পাকিস্তানের গণপরিষদে ভাষণটি দিয়েছিলেন।
স্বাধীন সার্বভৌম পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে ১৪ আগস্ট। একই
ঘোষণা স্বাধীন সার্বভৌম ভারতের জন্য ১৫ আগস্ট। ব্রিটিশ সরকারের ওই ঘোষণার মাধ্যমে
ভারতীয় উপমহাদেশের দু’টি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের
জন্ম হয়েছে। হাসান সাহেব সন্দেহ করেছেন পাকিস্তানিরা সম্ভবত ওই ভাষণ নষ্ট করে
ফেলেছেন। সন্দেহের কারণ হয়তো ফেরদৌস সাহেব মনে করেন পাকিস্তানিরা তার ধারণার
সেকুলারিজমে বিশ্বাস করে না। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে।
মানে ভারতে মুসলমানেরা একটি জাতি, সম্প্রদায় বা
গোষ্ঠী নয়। ভারতের হিন্দুরাও ধর্মীয়ভাবে আলাদা একটি জাতি। যদিও ভারতের বড় বড়
জ্ঞানীগুণী বলেছেন, হিন্দুত্ব কোনো ধর্ম নয়। এটা
ভারতের আচার অনুষ্ঠান বা সংস্কৃতি। ভারতবাসী মানে হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠানের মূল
উৎস হলো বেদ, উপনিষদ ও গীতা। এসব চলে আসছে
পাঁচ হাজার বছর ধরে। আর মুসলমানদের জীবনবোধ ও জীবনচর্চার মূল উৎস হলো আল কুরআন।
একই ভৌগোলিক এলাকায় বাস করেও দু’টি জীবনধারা
পাশাপাশি বয়ে গেছে বা চলছে হাজার বছর ধরে। হিন্দু জীবনধারায় বর্ণবাদ রয়েছে।
মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয়ভাবে কোনো ধরনের বর্ণবাদ নেই। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনী
যারা পাঠ করেছেন তারা জানতে পেরেছেন তিনি স্কুলজীবনে কী ধরনের বর্ণবাদ বা
অস্পৃশ্যতা দেখেছেন। হিন্দুবাড়িতে মুসলমানেরা প্রবেশ করতে পারত না। কিন্তু হিন্দুরা
অবলীলাক্রমে মুসলমান বাড়িতে থাকতে ও খেতে পারত। ভারতের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা
ড. অম্বেদকার শেষজীবনে হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন
বর্ণবাদব্যবস্থার কারণে। প্রাচীন ভারতের আইনপ্রণেতা মহাজ্ঞানী মনু তার রচিত
সংহিতায় বর্ণবাদের বিশেষ বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি শূদ্রদের (নিম্নবর্ণ) বলেছেন
অর্ধমানব। এখনো ভারতে প্রতি বছরই নানা অপরাধের কারণে সমাজপতিরা শূদ্রদের পুড়িয়ে
মারে। ভারতীয় সভ্যতায় মানে হিন্দুসভ্যতায় গরুকে ‘গো-মাতা’ বলা হয় এবং গরুকে পূজা করা হয়। মুসলমানেরা গরু কোরবানি করে এবং
খায়। ভারত কেন বিভক্ত হলো এ নিয়ে হাজার বই রচিত হয়েছে। একইভাবে জিন্নাহ এবং
পাকিস্তানকে নিয়েও বহু বই রচিত হয়েছে। বহু মানুষ জিন্নাহকে বা গান্ধীজীকে পছন্দ
করেন না। গান্ধীজীকে যারা হত্যা করেছেন তারা বলেছেন,
গান্ধী একজন ভণ্ড। গান্ধীজীর পরম ভক্ত কে কে বিড়লা বলেছেন, ÔBirlas used to spend millions to keep bapuji poor.Õ মানে বাপুজীকে
গরিব রাখার জন্য বিড়লারা লাখ লাখ টাকা ব্যয় করত। ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্টের ভাষণের
শুরুতে জিন্নাহ কেন পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে বা কেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করতে
হয়েছে তার প্রেতি বর্ণনা করেছেন। তখন তিনি বলেছেন,
এটা অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য ছিল। জিন্না তো রাজনীতির শুরুতে অখণ্ড
ভারতের প্রবক্তা ছিলেন। তাকে তো হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের দূত বলা হয়েছে। ১৮৮৫ সালে
যে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা কালক্রমে হিন্দুদের সংগঠনে পরিণত হয়েছিল। হিন্দু-মুসলমান
ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে কথার পরিবর্তে তা হয়ে ওঠে শুধু হিন্দুদের
প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ফলে বাধ্য হয়ে ভারতের মুসলমানেরা ১৯০৬ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায়
এক সম্মেলনের মাধ্যমে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে জিন্নাহ কিন্তু মুসলিম
লীগের সাথে জড়িত হননি। একপর্যায়ে তিনি কংগ্রেসের ওপর বিরক্ত হয়ে মুসলিম লীগে
যোগদান করেন। জিন্নাহ কখনোই গোঁড়া ছিলেন না। তিনি ভারতের স্বার্থে উদার রাজনীতিতে
বিশ্বাস করতেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা ছিলেন সাম্প্রদায়িক এবং নিজ সম্প্রদায়ের
বাইরে অন্য কারো স্বার্থ চিন্তা করার মতা ছিল না। একটা কথা আমাদের সবাইকেই মনে
রাখতে হবে, ইংরেজরা পুরো দখলে নিয়েছিল
হিন্দুদের হাত করে। দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছতে তাদের ১০০ বছর লেগেছিল। এই পুরো ১০০ বছরই
মুসলমানেরা ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করেছেন। ভারত বিভক্তির পেছনের ইতিহাস যারা জানেন
না তারা মনে করেন জিন্নাহ বা মুসলমান নেতাদের সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয়
চিন্তাধারার কারণে এমনটি হয়েছে। আসলে ভারত বিভক্তির প্রধান কারণ হচ্ছে কংগ্রেস
নেতাদের একগুঁয়েমি ও ভারতে মুসলমানদের উপস্থিতিকে অস্বীকার করা। যদি ভারতকে আদলে
একটি সত্যিকারের ফেডারেল রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টা কংগ্রেস মেনে নিত তাহলে হয়তো ভারত
ভাগ হতো না। এখন, মানে চলমান সময়ে ভারতের
নেতারা বুঝতে পেরেছেন ’৪৭ সালে কংগ্রেস ভুল করেছে।
জিন্নাহ কখনোই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাননি। তখনকার কংগ্রেস নেতাদের
মনোভাবের কারণে কংগ্রেস একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনে পরিণত হয়েছিল।
মুসলমানেরা ভারতে একটি আলাদা জাতিÑ এ কথা ভাবতে
হিন্দু নেতারাই মূলত দায়ী। কিন্তু এ বিষয়টি পরবর্তীপর্যায়ে মানে ’৪৭ সালের পরে তথাকথিত কিছু মুসলমান বুদ্ধিজীবী, যারা নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবি করে তারা পাকিস্তান সৃষ্টিকে
অবাস্তব ও সাম্প্রদায়িক বলে প্রচার করতে শুরু করে। এমনকি ভারত থেকে বিতাড়িত
হয়েছেন বা সুবিধা পাওয়ার আশায় পাকিস্তানে চলে এসেছেন, এমন কিছু শিতি লোকও পাকিস্তানের বিরোধিতা করতে শুরু করে। প্রসঙ্গত
সেকুলার (Secular) শব্দটির ব্যাখ্যা দেয়ার
প্রয়োজন বোধ করছি। বহুকাল ধরে আমাদের সমাজে এই ইংরেজি শব্দটির ভুল অনুবাদ বা ব্যাখ্যা দিয়ে আসা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সেকুলার মানে ধর্মনিরপে। মানে যারা ধর্মের ব্যাপারে কোনো প গ্রহণ
করেন না। কিন্তু এ অনুবাদ বা ব্যাখ্যা ভুল। কারণ,
সেকুলার মানে ধর্মহীন। যিনি বা যারা ধর্ম মানেন না, যারা শুধু ইহজগতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু জগতের সব ধর্মের লোকেরাই
পরকাল, পরলোকে বিশ্বাস করেন। শুধু অবিশ্বাসী ধর্মহীন
লোকেরাই জাগতিক বিষয় নিয়ে বেঁচে থাকতে চান। বাংলাদেশে বহু শিতি লোক নিজেদের
সেকুলার বলে প্রচার করেন এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য নিজেদের ধর্মবিশ্বাসী
বলে দাবি করেন। এদের অনেকেই মনে করেন সেকুলার হলেই প্রগতিশীল হওয়া যায়। এরাই
ধর্মবিশ্বাসীদের ফান্ডামেন্টালিস্ট (Fundamentalist)
বা মৌলবাদী বলে গাল দেন। শব্দটির জন্ম হয়েছে ব্রিটেনে যখন
খ্রিষ্টধর্মে বিভাজন দেখা দেয়। একদল আরেক দলকে মৌলবাদী বলে গালাগাল দিতে শুরু
করে। এখন খ্রিষ্টধর্মে দু’টি প্রধান বিভাজন রয়েছে; একটি ক্যাথলিক আর অপরটি প্রটেস্ট্যান্ট। ক্যাথলিক গির্জার সদর দফতর
হলো ইতালির ভ্যাটিকানে আর প্রটেস্ট্যান্টদের সদর দফতর ইংল্যান্ডে। ব্রিটেনের
রাজপরিবারই এর প্রধান। এখন মৌলবাদ শব্দটি মুসলমানদের েেত্র ব্যবহার করা হয়।
পশ্চিমারা তো করেই, কিছু প্রগতিশীল আরবি নামধারী
মানুষও মুসলমানদের মৌলবাদী বলে গাল দেয়। আরবি নামধারী তথাকথিত মুসলমানেরা নিজেদের
মানবধর্মী, প্রগতিশীল, নন-পারফর্মিং বা নন-প্র্যাক্টিসিং মুসলমান বলে দাবি করেন। এরা কেউই
মুসলমান নয়। এরা মুনাফেক বা বিশ্বাসঘাতক। এদের ব্যাপারে কুরআন শরিফে সুস্পষ্ট
বক্তব্য ও ঘোষণা রয়েছে। এরা রাসূল সা:-এর জমানায়ও ছিল, এখনো আছে। উল্লিখিত দৈনিকটি প্রগতিশীল, সেকুলার, মানবতাবাদীদের কাগজ। তাই
সুযোগ পেলেই আকার-ইঙ্গিতে ইসলাম, মুসলমান ও
মুসলিম রাষ্ট্রকে আঘাত করে। উপমহাদেশে পাকিস্তান সৃষ্টিকে সেকুলার (ধর্মহীন) চিন্তাধারার
লোকেরা মানতে পারেনি। তাই পাকিস্তানকে ধর্মীয় রাষ্ট্র বলে গালাগাল দেয়। এরা
মুসলিম লীগের সৃষ্টিকেই মানতে পারে না। জিন্নাহর ১১ আগস্টের ভাষণ সব মহাফেজখানা বা
আর্কাইভসে মূল্যবান দলিল হিসেবে আছে। কোনো পাঠাগার বা লাইব্রেরিতে যেতে হবে না।
ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই পাওয়া যায়। আগেই বলেছি,
ওই ভাষণে জিন্নাহ কেন পাকিস্তান বা মুসলমানদের জন্য আলাদা
রাষ্ট্রের প্রয়োজন হয়েছিল তার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। অখণ্ড হিন্দু ভারতে (যদিও
কাগজ-কলমে হিন্দু রাষ্ট্র বলা হয় না) মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলমানদের কী
অবস্থা হবে তার কথাও তিনি বলেছেন। এখনো ভারতে প্রতি বছর ছোটখাটো এক হাজার দাঙ্গা
হয়। ভারত কথায় কথায় মানবতা, আধুনিকতা, প্রগতিশীলতা, বিজ্ঞানমনস্কতা
বললেও কার্যত এটা একটা বর্ণবাদী হিন্দুরাষ্ট্র। হাসান ফেরদৌস নিশ্চয়ই এমন একটি
রাষ্ট্র চান যেখানে ধর্ম থাকবে না। এক সময় চীন-রাশিয়াসহ বহু দেশে ধর্মচর্চা
নিষিদ্ধ ছিল। ৭০-৮০ বছর পরে এখন আবার মসজিদ, গির্জা ও
সিনাগগের দুয়ার খুলে দেয়া হয়েছে। কারণ ধর্মচর্চা করা মানুষের মৌলিক অধিকার।
কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলো এই অধিকারকে অস্বীকার করেছিল। আমাদের বাংলাদেশেও রাষ্ট্রের
ওপর তথাকথিত সেকুলার প্রগতিশীলদের প্রভাব-প্রতিপত্তি খুবই বেশি। এরা গোপনে বা
প্রকাশ্যে রাষ্ট্রের সব জায়গা দখল করে রেখেছে। জিন্নাহ কিন্তু কখনো এ কথা বলেননি
যে পাকিস্তান একটি সেকুলার রাষ্ট্র হবে। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে সবাই পাকিস্তানি হবে। কেউ বাঙালি, সিন্ধি, বালুচ, পাঞ্জাবি বা হিন্দু মুসলমান থাকবে না। সবার রাষ্ট্রীয় পরিচয় হবে
পাকিস্তানি। ভারতে যেমন সবাই ভারতীয়। ভারতেও বহু ভাষা, বহু ধর্ম, বহু গোত্র বা জাতি রয়েছে।
কিন্তু সবার রাষ্ট্রীয় পরিচয় ভারতীয় বা ইন্ডিয়ান। বাংলাদেশেও বহু ধর্মের, বহু গোত্র বা উপজাতি রয়েছে। কিন্তু সবার পরিচয় বাংলাদেশী। সবার
পাসপোর্টে লেখা থাকে বাংলাদেশী। কিন্তু সেকুলার প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের
বাংলাদেশী বলতে নারাজ। তারা নাকি শুধুই বাঙালি। তারা বাংলাদেশী শব্দের ভেতর যেন
কিসের গন্ধ পান। একজন বুদ্ধিজীবী বলেই ফেলেছেন, বাংলাদেশী বললে
নাকি বাংলাদেশী গরু, ছাগল, গাছপালা, মাছ ইত্যাদি মনে হয়। এ
কারণেই নাকি বলতে হবে বাংলাদেশী মানুষ। শুধু বাংলাদেশী বললে নাকি গরু-ছাগল মনে হতে
পারে। জিন্নাহ সাহেব ’৪৮ সালের জুলাই মাসে স্টেট
ব্যাংক অব পাকিস্তানের উদ্বোধন করতে গিয়ে যে ভাষণ দেন তাতে ইসলামি অর্থনীতি ও
ব্যাংকিং-ব্যবস্থার ওপর গবেষণার গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, পশ্চিমা ধনবাদী অর্থনীতির পচন শুরু হয়ে গেছে। তাই ইসলামি অর্থনীতি
নিয়ে গবেষণার সময় এসেছে। এটাই ছিল তার জীবনের শেষ ভাষণ। সুতরাং জিন্নাহকে ১১ আগস্টের
ভাষণ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই। ভারত যেমন হিন্দুর দেশ, তেমনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুসলমানের দেশ। মুসলমানেরা বাংলাদেশে
মেজরিটি হলেও সাংবিধানিকভাবে এখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার। এ দেশে কোথাও
কোনো ধরনের পৃথক নির্বাচন হয় না। পাকিস্তান বা ভারতেও হয় না। এর মানে নাগরিক
হিসেবে সবার সমান অধিকার। মদিনা রাষ্ট্রেও সব সমান অধিকার স্বীকার করা হয়েছে।
কিন্তু কেউ দাবি করেননি যে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র করা হোক। বাংলাদেশে কোথাও
ইসলামি আইন নেই। এ দেশে কুরআন-সুন্নাহ না জানলেও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান
বিচারপতি, প্রধান সেনাপতি হওয়া যায়।
এমনকি ধর্ম না মানলেও সব কিছু হওয়া যায়। বাংলাদেশ না বাঙালির রাষ্ট্র, না মুসলমানের রাষ্ট্র। ধর্মমুক্ত আদি অকৃত্রিম বাঙালি রাষ্ট্র
বানানোর কোনো চেষ্টা কেউ করেননি। ইসলামি রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টাও কেউ করেনি।
পূর্ণাঙ্গ সেকুলার রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টাও করেনি। ’৫৪ সাল থেকেই
বলা হচ্ছে, কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো
আইন পাস করা হবে না। এ দেশে সংবিধানে লেখা থাকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। শুক্রবারে ছুটি
থাকে। আবার সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহর নাম তুলে দেয়া হয়। হাবভাব দেখে
মনে হচ্ছে এখন দেশে বাদশাহ আকবরের দ্বীনে ইলাহি চলছে। আকবর শব্দ ব্যবহার করাও
অনেকে পছন্দ করেন না। তারা বলেন ‘আল্লাহ
সর্বশক্তিমান’। এ দেশে সংবিধানে আল্লাহর
সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করা হয় না। বলা হয় জনগণই সার্বভৌম। জনগণকে সার্বভৌম না
মানলে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রে অবিশ্বাসী।
'আমার মনে হয় আবার ক্ষমতায় গেলে তিনি নতুন ভবন খুলে মানুষ হত্যা করবেন, মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে দেশকে নতুনভাবে ধ্বংস করবেন' বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার এই উক্তি কি আপনি শালীন মনে করেন ?
FIND US on FB
জনপ্রিয় লেখাসমুহ
-
আবার সেই লগি-বইঠার হুংকার !!! দেশবাসী সাবধান !!! জালিমরা আবার রক্ত পিয়াসের মরন নেশায় নেমেছ । বাচতে হলে হয় প্রতিরোধ করুন জীবনের তরে না...
-
দেশজুড়ে শিক্ষাঙ্গনে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাস কায়েম করেছে ছাত্রলীগ। নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীর শ্লীলতাহানিসহ পাবলিক ...
-
* যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না-নৌ-পরিবহন মন্ত্রী * এ ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্কে বোর্ড কিছু জানে না -বিনিয়োগ বোর্ড নির্বাহী * এই ঘটনা স...
-
ধূমকেতু : ’৯১-এ ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে ’৯৬ সালে বিএনপি তার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অন্য...
-
বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত নাম খালেদা খানম, ডাক নাম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই...
-
দু’টি চাঞ্চল্যকর খবর ক্ষণিকের জন্য গণমাধ্যম তোলপাড় করে দেশ ও জাতির স্মৃতি থেকে দ্রুত মুছে যাচ্ছে বলে মনে হয়। খবর দু’টি হচ্ছে বাংলাদেশ থ...
-
বগুড়া শহরের প্রসিদ্ধ হোটেলের একটি আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল কর্তৃপ ১০০ বছর ধরে রাতে ফ্রি খাবার দিয়ে মুসাফ...
-
আজ ১ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৮ সালের এই দিনে জাতির মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সুমহান ঘোষক , বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা , সংবাদপত্রের স্...
-
“...আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী - তা তো জানা ছিলো না!” [এবার থাকছে শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কে নিয়ে ধারাবাহ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম জাতিসঙ্ঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা জাতিসঙ্ঘে ট...
Ad
মোট পৃষ্ঠাদর্শন
প্রজন্মের ভবিষ্যত
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
আমার অনুপ্রেরনা
জাতীয়তাবাদী শক্তির কান্ডারী
আমার সম্পর্কে
পুরানো যত লেখা
-
►
2016
(170)
- ► সেপ্টেম্বর (8)
- ► ফেব্রুয়ারী (12)
-
►
2015
(299)
- ► সেপ্টেম্বর (21)
- ► ফেব্রুয়ারী (27)
-
►
2014
(654)
- ► সেপ্টেম্বর (37)
- ► ফেব্রুয়ারী (82)
-
▼
2013
(1305)
-
▼
সেপ্টেম্বর
(107)
- জাতীয় গ্রীডে ভারতীয় বিদ্যুৎ : একটি বিশ্লেষণ
- কাঙ্ক্ষিত অভিযাত্রার অপেক্ষায়
- সংসদ নির্বাচনের একটি বড় ফ্যাক্টর
- জিন্নাহর হারানো ভাষণে কী ছিল?
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের বন্যা বয়ে থাকলে ৩/৪ বার লোডশেডিং...
- জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই
- নির্বাচন সংস্কৃতি : বাংলাদেশ বনাম বহির্বিশ্ব
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অন্যদের কথাও শুনুন
- মনে হয় মাতৃগর্ভ থেকে তাদের জন্ম হয়নি
- বাঘ, সুন্দরবন আর রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অন্যদের কথাও শুনুন
- দেশ অচল হওয়ার কিছু বাকি আছে কি?
- উন্নয়ন : খন্দকার মোশতাক থেকে সজীব ওয়াজেদ- মিনা ...
- নিজের বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর হাস্যকর চেষ্টা
- জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর সফর
- তের নম্বর উপদেশ এবং দেশে দেশে ডুমুরের ফুল
- আঘাতটা স্পষ্ট এবং সরাসরি
- রাজনীতিকদের উপর পরিকল্পিত রিমান্ড
- এবার শাজাহান খান গার্মেন্টে হাত দিয়েছেন
- ঐশীদের মিছিল বন্ধ হোক
- জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন জয় পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ
- ‘মেহেদীর রং না শুকাতেই যৌতুকের বলি হলো মিরসরাইয়ের...
- কাদের মোল্লার রায় কি আসলে ন্যায়ভ্রষ্ট?
- ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ড্রেসকোড
- ফেসবুক চেনা সুখ অচেনা দুখ
- ভারতের নতুন প্রতিবেশী তত্ত্ব
- এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর
- তুষ্টির এমন প্যাকেজে জনগণ তুষ্ট নয়
- কাদের মোল্লারও ফাঁসি
- যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে ব্যারিস্ট...
- সংলাপ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন
- দেশ সঙ্ঘাতের দিকে যাচ্ছে
- থামছে না আওয়ামী লীগের কূটবুদ্ধির খেলা
- নির্বাচন আসলেই ভারতীয় নেতারা সাম্প্রদায়িকতার জিগ...
- সুর পাল্টাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রী, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা মেনে নিন
- সঙ্ঘাতের ফাঁদ ও বাংলাদেশ
- জনগণের অর্থে নৌকার পালে বাতাস!
- ন্যাড়া বেলতলায় দু’বার যায় না
- মজলুম দেশগুলোর একটি মানচিত্র আঁকা প্রয়োজন
- সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক সঙ্কট
- প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার আহ্বান
- নতুন কণ্ঠে সেই পুরনো কথাই
- নাস্তিকদের ছোবলে দেশের যুবসমাজ
- সরকারকে কোথায় পাওয়া যায়
- জনগণ যা পেয়েছে সরকার তা-ই দিয়েছে
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন
- জয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই প্রধানতঃ সর...
- খালেদা জিয়ার বলা জনগণের কথা শুনুন
- সঙ্ঘাত না সমঝোতা
- জঙ্গিবাদ, বিএনপি ও আগামী নির্বাচন
- সংঘাত কী অনিবার্য হয়ে উঠছে?
- দেশ গড়ার রাজনীতি কবে চালু হবে?
- সামনের দিনগুলো হতে পারে রক্তঝরা
- নির্বাচন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মানের জরিপঃ বিএনপি অ...
- কোথায়ও আলোর রেখা নেই
- ফেলানী আমাদের ক্ষমা কর!
- কিছুই না পাওয়ার পরও ভারতের বন্ধুত্বের জন্য দৌড়ঝাঁপ
- আমরা মহৎ কাজের স্বীকৃতি দিতে জানি না
- সেকালে রাজার নীতি-একালের রাজনীতি
- সরকারের বোধোদয়ের পথে হাঁটা উচিত
- নির্ভর করতে হবে জনগণের শক্তির ওপরই
- পয়েন্ট অব নো রিটার্নে রাজনীতি
- দেশটাকে লণ্ডভণ্ড করে দেবেন না, এবারে ক্ষান্ত দিন
- নিজের সাথে কথা বলাই এখন সময়ের দাবি
- এই খেলা জনগণ আর দেখতে চায় না
- আওয়ামী রাজনীতির গতিধারা
- সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন
- চুল নিয়ে মাতামাতি ও সংবিধানের আকুতি
- গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়নদের দ্বিমুখী নীতি বিশ্বে মান...
- কী হবে আগামীকাল
- নির্বাচন নিয়ে জনপ্রত্যাশ
- সরকারি দলের ক্ষমতাপ্রীতি রাজনৈতিক সংকট ও বিরোধীদলে...
- খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমঝোতার পথে আসুন
- সাংবিধানিক গোলকধাঁধ
- রাজনীতির ঝড় ও বিপন্ন জাতি
- জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে কি
- দ্বিতীয় বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় বিপ্লব?
- স্বাধীন বিচারব্যবস্থা গণতন্ত্র ও কারাগার
- জনগণের চাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া দরকার
- বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ও আগামী নির্বাচন
- একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পথে আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু
- হাঁটতে হবে সমঝোতার পথেই
- আজ জেগেছে সেই জনতা
- সংবিধানের ভেতরে-বাইরে সমাধান
- এটা তো সুরঞ্জিতদের দলীয় স্বার্থে পরিবর্তিত সংবিধান
- নষ্ট সংস্কৃতির অভিশাপ ঐশী
- সংসদ রেখে নির্বাচন: কিছু মৌলিক প্রশ্ন
- নৈতিক অবক্ষয় ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের করুণ চিত্র
- শেষ সময়ের রাজনৈতিক অচলাবস্থা
- রাজনৈতিক যুদ্ধের পরিণতি
- সাংবিধানিক সঙ্কটের আবর্তে জাতীয় নির্বাচন
- বর্তমান বিশ্ব এবং ভাদ্রের সাত কাহন
- বিশ্বাসের জায়গাগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে
- কীর্তিমান এম সাইফুর রহমান
- কঙ্কাল কথা বলতে শুরু করেছে
- নির্ভীক চিত্তের প্রতীক মাহমুদুর রহমান
- আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গ
- হস্ত-পদ-স্কন্ধ-মাথা নাইরে...
- ফরমালিনমুক্ত রাজনীতি চাই
- ► ফেব্রুয়ারী (95)
-
▼
সেপ্টেম্বর
(107)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন