সরকারের শেষ সময়ে উপনীত হয়ে, জনগণ আগামী দিনের পরিকল্পনা, উন্নয়ন আর
শান্তি সমৃদ্ধির কথা শুনতে চায়। বিরোধী দলের কিসসা-কাহিনী আর গিবত শুনতে একেবারেই
ভালো লাগে না। অথচ গণমাধ্যম নির্যাতনের মতো প্রতিনিয়ত অনিচ্ছায় বাধ্য হয়েই এ
ধরনের নেতিবাচক শ্রুতিকটু বাক্যগুলো শুনতে হয়। ছয় মাস আগে থেকেই সরকারপ্রধান
সাধারণের অর্থ ব্যয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া শুরু
করেছেন। তিনি যদি নীতি-আদর্শের অনুসারী হতেন তবে কোনো অবস্থায়ই অপরের অর্থ ব্যয়
করে নিজের প্রচারণা চালাতেন না। রংপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকার আশুলিয়া এমনকি
হজযাত্রীদের সামনেও তিনি পরচর্চা-পরনিন্দা করে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন। আবার
অনেক স্থানে ভাড়া করে আনা বসানো দর্শকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক আশ্বাস আদায় করে
নেন। দেশের বিবেকবান মানুষ বিষয়টিকে কিছুতেই সুনজরে দেখছেন না। গত ১ সেপ্টেম্বর
আশুলিয়া কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিলে এ দেশের মানুষ কিছু পায়, অন্যরা দেয় না।’ যেন দয়ার দান।
রাষ্ট্রপ্রধানরাই জনগণের কাছে ঋণী। তাদের সমর্থন ও অর্থ অপাত্রে দান করার জন্য।
জনগণের প্রত্যাশা, তিনি যেন আর রাষ্ট্রীয়
কোষাগারের অর্থ তার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় না করেন। বাংলাদেশের মানুষ এই
ডিজিটাল যুগেও শতকরা ৮০ জন দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। অসহায় বৃদ্ধরা
বয়স্কভাতা পায় না। রাস্তাঘাটের চরম বেহাল দশা,
অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বিষহ যানজট, দুর্নীতির যাঁতাকলে বিপর্যস্ত প্রশাসন ও চিকিৎসাব্যবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশচুম্বী মূল্য, সাধারণ মানুষের প্রোটিনের চাহিদা থেকে বঞ্চিত করেছে।
ঘুষের ঘুণপোকায় খাওয়া জরাজীর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তার ওপর সরকারি সন্ত্রাস জনজীবনকে অসহ্য করে তুলেছে। এত কিছুর পরও তার ভোট চাওয়া দেখলে জনগণ বলে, ‘ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না’। জমিখেকো ভূমিদস্যুদের দৌড়াত্ম্যে দিন দিন ফসলি জমি কমছে। এসব মৌলিক সমস্যা সমাধানের কোনো চেষ্টা নেই। পদ্মা সেতুর টাকা আত্মসাৎ করে আবুল হোসেন তার দলনেত্রীর কাছ থেকে দেশপ্রেমিক খেতাব পেয়েছেন। ৭০ লাখ টাকা চুরি করে হাতেনাতে ধরা খেয়ে সুরঞ্জিত বাবু আজো বহাল তবিয়তে চিবিয়ে চিবিয়ে বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে যাচ্ছেন। কারো কি বিচার হয়েছে? শেয়ারবাজার লুটেপুটে খাওয়ার জন্য দায়ী সালমান এফ রহমান নিরাপদে আছেন। হলমার্ক চার হাজার কোটি টাকা হজম করে ফেলল। কী অপরাধে মাহমুদুর রহমান আজো জেলে। আদিলুর রহমান তোপের মুখে। ড. ইউনূসের মতো নোবেল বিজয়ী ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সরকার টানাটানি। বিনা অপরাধে বিরোধী দলের চার হাজার নেতাকর্মী বাংলাদেশের ৬৬টি কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। যে সাজা পাওয়ার যোগ্য সে পায় জামাই আদর, আর যার সম্মান বা পুরস্কার পাওয়ার কথা তিনি জেলের ঘানি টানেন। কেন আজ বিরোধী দলের নেত্রীর ৪২ বছরের আবাসন থেকে উচ্ছেদ করা হলো। এমন অসংখ্য প্রশ্নের সদুত্তর সরকারের কাছে নেই। কেন ফেলানীর বিচার নিয়ে প্রহসন করা হলো? ছিটমহলবাসীর দুর্দশা ৪২ বছরেও ঘুচল না। ৫ মে হেফাজত হুজুরদের লাশ ময়লার স্তূপে কেন পচেগলে কঙ্কালে পরিণত হলো। যত কথাই বলুক না কেন আর যত কৌশলই আয়ত্ত করুক না কেন, শেষ রক্ষা হবে না। কী প্রয়োজন ছিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা। এ সরকারের কর্মকাণ্ডে তো তাদের ঘরের লোকেরাই সন্তুষ্ট নয়। সাধারণ মানুষ কিভাবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে স্বাগত জানাতে পারে।
অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘মানুষ যদি বিশুদ্ধ চরিত্র হয়, সে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু যদি আইন ও ন্যায়বিচার বিবর্জিত হয়, সে নিকৃষ্টতম প্রাণী।’ যেহেতু বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ভাবাপন্ন নয়, তাই বিরোধী দল ছাড়াই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি তারা আরেকটি মানুষকেও রাজনৈতিক সহিংসতায় লাশে রূপান্তর করতে না চাইতেন, তবে বেশির ভাগের দাবি অনুযায়ী নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন। শান্তি ও সুরক্ষার পথে না গিয়ে তারা অনিবার্য সঙ্ঘাতের দিকে এগোচ্ছে। প্রতিদিন জাতির সামনে মনগড়া বক্তব্য-বিবৃতি দিতে দিতে সংশ্লিষ্টরা কান্ত হন না, কিন্তু শ্রোতা-দর্শকেরা বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকারের দৈন্যদশা পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক মহলে লজ্জিত হতে হয়। দু’টি বিষয় থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। সরকারপ্রধান থাকাকালে নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন না আর আলেম-হাফেজরা কুরআন শরিফ পুড়িয়েছেন এ কথা আর বলবেন না।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি। আর নির্বাচন হতে হবে সংসদ মেয়াদের শেষ তিন মাসের মধ্যে, অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়কাল। প্রধানমন্ত্রী ২ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সচিবদের সাথে বিদায়ী বৈঠককালে বলেছেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন এবং জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচার যেন মাঠপর্যায়ে প্রশাসনসহ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। সেই সাথে আসন্ন নির্বাচনে প্রস্তুত থাকতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন। ক্ষমতা ত্যাগ করতে আর আগাম ক্ষমতা পাওয়ার বাসনা তাকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে তুলেছে। সে কারণেই সর্বদা তিনি বিতর্কিত বক্তব্য রেখে থাকেন। সাধারণ মানুষ মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তারা সারা দিনের কর্মকান্তির পর প্রশান্তি নিয়ে ঘুমাতে চান। নিরাপদ-নির্বিঘেœ পথ চলতে চান। সুস্থ, স্বাভাবিক, উৎকণ্ঠাহীন জীবনযাপন চান। একটু ভালো করে ভেবে দেখুন, নির্বাচনের যে ফর্মুলা আপনি দিয়েছেন, নিজে হলে কি এ প্রক্রিয়া মেনে অংশ নিতেন। রক্তে রঞ্জিত যে প্রধানমন্ত্রীর হাত, অদক্ষ প্রচারণায় দুষ্ট যে মন্ত্রিসভা, জনবিচ্ছিন্ন সংসদ সদস্যদের নিয়ে যে সংসদÑ এসব বহাল অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো পাগলেও মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করবেন না যাতে পরাক্রমশালী রক্তচু আগ্রাসনের সুযোগ পায়। দেশে জঙ্গি আর মৌলবাদীর কথা বলে লোলুপদৃষ্টিকে প্রসারিত করবেন না।
৯০ শতাংশ মানুষের ঐকান্তিক ইচ্ছা নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা হোক। এ মতামতকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখে স্ব-ইচ্ছাকে বহাল রেখে গোঁয়ার্তুমির স্থান রাজনীতিতে নেই। কারণ একজনের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য পুরো জাতিকেই ভুগতে হয়। কথায় বলেÑ ‘দেশের বিপদ থেকে পীরেও রেহাই পান না।’ শেষ সময় হলেও যেন অবিলম্বে মহাজোট সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় মসনদের মায়া ত্যাগ করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিন। ভয় কী, শাসনকালের পাঁচটি বছর মঙ্গল ও কল্যাণকর কাজ করে থাকলে অবশ্যই জনগণ মূল্যায়ন করবে। জনগণের ওপর আস্থা রেখে আত্মসমর্পণ করে নির্বাক হয়ে ফলাফলের অপেক্ষা করুন।
ঘুষের ঘুণপোকায় খাওয়া জরাজীর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তার ওপর সরকারি সন্ত্রাস জনজীবনকে অসহ্য করে তুলেছে। এত কিছুর পরও তার ভোট চাওয়া দেখলে জনগণ বলে, ‘ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না’। জমিখেকো ভূমিদস্যুদের দৌড়াত্ম্যে দিন দিন ফসলি জমি কমছে। এসব মৌলিক সমস্যা সমাধানের কোনো চেষ্টা নেই। পদ্মা সেতুর টাকা আত্মসাৎ করে আবুল হোসেন তার দলনেত্রীর কাছ থেকে দেশপ্রেমিক খেতাব পেয়েছেন। ৭০ লাখ টাকা চুরি করে হাতেনাতে ধরা খেয়ে সুরঞ্জিত বাবু আজো বহাল তবিয়তে চিবিয়ে চিবিয়ে বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে যাচ্ছেন। কারো কি বিচার হয়েছে? শেয়ারবাজার লুটেপুটে খাওয়ার জন্য দায়ী সালমান এফ রহমান নিরাপদে আছেন। হলমার্ক চার হাজার কোটি টাকা হজম করে ফেলল। কী অপরাধে মাহমুদুর রহমান আজো জেলে। আদিলুর রহমান তোপের মুখে। ড. ইউনূসের মতো নোবেল বিজয়ী ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে সরকার টানাটানি। বিনা অপরাধে বিরোধী দলের চার হাজার নেতাকর্মী বাংলাদেশের ৬৬টি কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। যে সাজা পাওয়ার যোগ্য সে পায় জামাই আদর, আর যার সম্মান বা পুরস্কার পাওয়ার কথা তিনি জেলের ঘানি টানেন। কেন আজ বিরোধী দলের নেত্রীর ৪২ বছরের আবাসন থেকে উচ্ছেদ করা হলো। এমন অসংখ্য প্রশ্নের সদুত্তর সরকারের কাছে নেই। কেন ফেলানীর বিচার নিয়ে প্রহসন করা হলো? ছিটমহলবাসীর দুর্দশা ৪২ বছরেও ঘুচল না। ৫ মে হেফাজত হুজুরদের লাশ ময়লার স্তূপে কেন পচেগলে কঙ্কালে পরিণত হলো। যত কথাই বলুক না কেন আর যত কৌশলই আয়ত্ত করুক না কেন, শেষ রক্ষা হবে না। কী প্রয়োজন ছিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা। এ সরকারের কর্মকাণ্ডে তো তাদের ঘরের লোকেরাই সন্তুষ্ট নয়। সাধারণ মানুষ কিভাবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে স্বাগত জানাতে পারে।
অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘মানুষ যদি বিশুদ্ধ চরিত্র হয়, সে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। কিন্তু যদি আইন ও ন্যায়বিচার বিবর্জিত হয়, সে নিকৃষ্টতম প্রাণী।’ যেহেতু বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ভাবাপন্ন নয়, তাই বিরোধী দল ছাড়াই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি তারা আরেকটি মানুষকেও রাজনৈতিক সহিংসতায় লাশে রূপান্তর করতে না চাইতেন, তবে বেশির ভাগের দাবি অনুযায়ী নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন। শান্তি ও সুরক্ষার পথে না গিয়ে তারা অনিবার্য সঙ্ঘাতের দিকে এগোচ্ছে। প্রতিদিন জাতির সামনে মনগড়া বক্তব্য-বিবৃতি দিতে দিতে সংশ্লিষ্টরা কান্ত হন না, কিন্তু শ্রোতা-দর্শকেরা বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকারের দৈন্যদশা পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক মহলে লজ্জিত হতে হয়। দু’টি বিষয় থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। সরকারপ্রধান থাকাকালে নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন না আর আলেম-হাফেজরা কুরআন শরিফ পুড়িয়েছেন এ কথা আর বলবেন না।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি। আর নির্বাচন হতে হবে সংসদ মেয়াদের শেষ তিন মাসের মধ্যে, অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়কাল। প্রধানমন্ত্রী ২ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সচিবদের সাথে বিদায়ী বৈঠককালে বলেছেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন এবং জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচার যেন মাঠপর্যায়ে প্রশাসনসহ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। সেই সাথে আসন্ন নির্বাচনে প্রস্তুত থাকতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন। ক্ষমতা ত্যাগ করতে আর আগাম ক্ষমতা পাওয়ার বাসনা তাকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে তুলেছে। সে কারণেই সর্বদা তিনি বিতর্কিত বক্তব্য রেখে থাকেন। সাধারণ মানুষ মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তারা সারা দিনের কর্মকান্তির পর প্রশান্তি নিয়ে ঘুমাতে চান। নিরাপদ-নির্বিঘেœ পথ চলতে চান। সুস্থ, স্বাভাবিক, উৎকণ্ঠাহীন জীবনযাপন চান। একটু ভালো করে ভেবে দেখুন, নির্বাচনের যে ফর্মুলা আপনি দিয়েছেন, নিজে হলে কি এ প্রক্রিয়া মেনে অংশ নিতেন। রক্তে রঞ্জিত যে প্রধানমন্ত্রীর হাত, অদক্ষ প্রচারণায় দুষ্ট যে মন্ত্রিসভা, জনবিচ্ছিন্ন সংসদ সদস্যদের নিয়ে যে সংসদÑ এসব বহাল অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো পাগলেও মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করবেন না যাতে পরাক্রমশালী রক্তচু আগ্রাসনের সুযোগ পায়। দেশে জঙ্গি আর মৌলবাদীর কথা বলে লোলুপদৃষ্টিকে প্রসারিত করবেন না।
৯০ শতাংশ মানুষের ঐকান্তিক ইচ্ছা নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা হোক। এ মতামতকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখে স্ব-ইচ্ছাকে বহাল রেখে গোঁয়ার্তুমির স্থান রাজনীতিতে নেই। কারণ একজনের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য পুরো জাতিকেই ভুগতে হয়। কথায় বলেÑ ‘দেশের বিপদ থেকে পীরেও রেহাই পান না।’ শেষ সময় হলেও যেন অবিলম্বে মহাজোট সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় মসনদের মায়া ত্যাগ করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিন। ভয় কী, শাসনকালের পাঁচটি বছর মঙ্গল ও কল্যাণকর কাজ করে থাকলে অবশ্যই জনগণ মূল্যায়ন করবে। জনগণের ওপর আস্থা রেখে আত্মসমর্পণ করে নির্বাক হয়ে ফলাফলের অপেক্ষা করুন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন