শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৩

স্বপ্ন পূরণের প্রশ্ন


লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় গড়া বাংলাদেশ। জানি না আগামী কয়েক মাস এ দেশের ভাগ্যাকাশে কী লেখা আছে, একমাত্র মহান আল্লাহতায়ালাই বোধ হয় জানেন। তবে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে। এ দেশ ছোট হতে পারে, তবে এখানে সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে উঠেছে যাদের সুনাম বিশ্বজোড়া। ছোট দেশের তুলনায় মানুষ বেশি, এদেশের মানুষ সহজ সরল, একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে ধর্মীয়ভাবে। কারণ এদের বাঁচার জন্য সামান্য চাহিদা থেকে যখন তারা বঞ্চিত হয়। সরকার যখন তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে অপারগ হয়, তখনই তারা পিঠ ঠেকে গিয়ে বিভিন্ন মত, পথের দিকে ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হয়। ‘সহজ সরল পুণ্য পন্থা মোদের দাওগো বলি, চালাও সেপথে যে পথে তোমার প্রিয়জন গেছে চলি।’ ছোটবেলায় এসব শেখানো হতো যা বর্তমানে শিখানো হয় না। দেশপ্রেম ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে এখন শিক্ষকেরা ছাত্রদের বিদ্যাপাঠ দেন না। ৪২ বছর পরে স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ নতুন করে বিতর্ক তৈরি করার কি খুব প্রয়োজন ছিল? বিরোধী দলের প্রতি সরকারের উদ্যোগী হয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কিভাবে নির্বাচন হবে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা দরকার ছিল। অথচ আমরা কী দেখেছি, দুর্নীতির মাধ্যমে যারা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে পত্রিকায় উঠেছে তাদের সলাপরামর্শে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ বহির্বিশ্ব সম্পর্কে একপেশে অথচ আকাশ অনেক বড়। শুধু দলের জন্য নয়, দেশের জন্য দেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা, বৈদেশিক শ্রমবাজার, মেধা এগুলো যাতে বাংলাদেশের খাপ খাওয়ানো ব্যাপারগুলোতে সফল কূটনীতিকদের কাজে লাগাতে হবে। তাহলে তারা দেশের জন্য কাজ করলে সরকার বদল হলেও তাদের কাজের ইতি না টেনে নতুন করে আবার ওই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যদি দেশের জন্য তাদের কাজ করা থাকে। তারা নিজেরাও বেঁচে যায়। গোয়েন্দা সংস্থার পেশাদারিত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে পারেনি। প্রতিরক্ষা বাহিনী বহির্বিশ্বে শান্তিরক্ষা মিশনে বিজয়ী। বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সর্বোচ্চ সম্মানিত পুরস্কারে ভূষিত করল আমেরিকা। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাও বাংলাদেশের তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহের প্রথমসারির অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পার্বত্য জেলায় বিজিবির সদস্যদের দেখলাম কত কষ্ট করে আত্মীয় পরিজনবিহীন অবস্থায় তারা দুঃসাহসিকভাবে পাহাড়ে জঙ্গলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর উঁচু স্থানে দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকার রাজধানীতে হাতিরঝিল প্রকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রেখেছেন। আজ বলতে ‘হয় আর নয় ক্ষয় হবে হবে জয়’। এই জয় তখনই সম্ভব হবে যখন রাজনৈতিক সমঝোতার বক্তব্য ফানুস না হয়ে অর্থবহ হবে। টোপ ফেলে রাজনীতি শিকার না হয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ করা হবে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads