পেশাদার জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ পরিচালিত
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ নির্দলীয় অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে
আগামী জাতীয় নির্বাচন চায়। দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করছেন যে, যুদ্ধাপরাধের
বিচারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় রায় ঘোষণার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে
পারেনি। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিপওে সংখ্যাগরিষ্ঠ মত পাওয়া
গেছে। দেশের প্রথম শ্রেণীর একটি দৈনিকের উদ্যোগে পরিচালিত এই জরিপে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ মানুষ
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। অর্ধেক মানুষ বলেছে, দেশ অত্যন্ত
খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাকি অর্ধেকের মধ্যেও ৩৫ শতাংশ মানুষের ধারণা, দেশ খারাপ অবস্থা
পার করছে। এতে করে দেখা যায়, মোট ৮৫ শতাংশ মানুষ দেশের অবস্থা খারাপ বলে মনে করছে। বিদ্যমান
পরিস্থিতিতে সরকার কোনো কার্যকর পদপে নিতে পারেনি, এ-ও তাদের হতাশার অন্যতম কারণ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে আবদুল কাদের মোল্লা ও মাওলানা দেলাওয়ার
হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর সারা দেশে যে তীব্র হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে, সরকার তা সামলাতে
পারেনি বলে মনে করে ৭৯ শতাংশ মানুষ। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের পে সমর্থন জানিয়েছে
এক-চতুর্থাংশের কাছাকাছি উত্তরদাতা। পান্তরে এর বিপে মত দিয়েছে অর্ধেকের কিছু
বেশি মানুষ। বাকিরা এ সম্পর্কে অবগত নয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনী
হস্তপে করতে পারে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে প-েবিপে জনগনের মতামত প্রায় কাছাকাছি।
দেশে বর্তমানে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালিত এই জরিপে অনেকগুলো
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ফুটে উঠেছে। সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল একটি পত্রিকায়
প্রকাশিত এই রিপোর্টকে অপেশাদার ও বিদ্বেষমূলক বলার সুযোগ নেই। জরিপের মূল বিষয়
বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো, বাংলাদেশের মানুষ চলমান
অবস্থার অবসান দেখতে চায়। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া
উচিত বলে মনে করে তারা। যুদ্ধাপরাধ বিচারের কার্যক্রম নিয়েও তারা অসন্তুষ্ট। কোনো
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধেরও বিপক্ষে তারা। মূলত দু’টি মৌলিক বিষয় সমাধানের মধ্যে নিহিত রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক
সঙ্কটের উত্তরণ। এ দু’টি বিষয় হলো নির্বাচনকালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা
ও যুদ্ধাপরাধের স্বচ্ছ বিচার। এই বিষয়ে জনমত শুধু বিবেচ্য জরিপে এসেছে এমন নয়।
দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক ও সংবাদমাধ্যম সাম্প্রতিক সময়ে যে নিয়মিত পাঠক
জরিপ প্রকাশ করেছে, তাতে প্রতিফলিত মতামতের সাথে এর মিল রয়েছে। এসব গণমাধ্যমের বেশির
ভাগই সরকারের পক্ষের হিসেবে পরিচিত বলে বিরোধী মতের প্রতিফলন তাতে ঘটেছে এমনটি মনে
করার সুযোগ নেই।
আমরা মনে করি, সরকার কঠোর দমননীতি চালিয়ে সব নিয়ন্ত্রণে আনার যে পন্থা নিয়েছে, তা দেশে শান্তি ও
স্বস্তি যে আনতে পারছে না তাতে কোনো সংশয় আর নেই। বরং এতে সঙ্কট আরো গভীর থেকে
গভীরতর হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো জনমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। যুদ্ধাপরাধের অস্বচ্ছ
বিচারকার্যক্রমকে স্বচ্ছ আইনানুগ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় আনা।
বিরোধী মত প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে কোনোভাবেই যে জাতীয়
সঙ্কট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়, এ বিষয়ে সন্দেহ থাকার সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। সরকারের এই
মৌলিক বিষয়গুলো উপলব্ধি করা প্রয়োজন। তা না হলে চলমান প্রবণতা অনুযায়ী
পরিস্থিতি অচিরেই আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে, যা কোনো বিবেকবোধ সম্পন্ন
মানুষের কাম্য হতে পারে না।
দেশে বর্তমানে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালিত এই জরিপে অনেকগুলো
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ফুটে উঠেছে। সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল একটি পত্রিকায়
প্রকাশিত এই রিপোর্টকে অপেশাদার ও বিদ্বেষমূলক বলার সুযোগ নেই। জরিপের মূল বিষয়
বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো, বাংলাদেশের মানুষ চলমান
অবস্থার অবসান দেখতে চায়। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া
উচিত বলে মনে করে তারা। যুদ্ধাপরাধ বিচারের কার্যক্রম নিয়েও তারা অসন্তুষ্ট। কোনো
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধেরও বিপক্ষে তারা। মূলত দু’টি মৌলিক বিষয় সমাধানের মধ্যে নিহিত রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক
সঙ্কটের উত্তরণ। এ দু’টি বিষয় হলো নির্বাচনকালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা
ও যুদ্ধাপরাধের স্বচ্ছ বিচার। এই বিষয়ে জনমত শুধু বিবেচ্য জরিপে এসেছে এমন নয়।
দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক ও সংবাদমাধ্যম সাম্প্রতিক সময়ে যে নিয়মিত পাঠক
জরিপ প্রকাশ করেছে, তাতে প্রতিফলিত মতামতের সাথে এর মিল রয়েছে। এসব গণমাধ্যমের বেশির
ভাগই সরকারের পক্ষের হিসেবে পরিচিত বলে বিরোধী মতের প্রতিফলন তাতে ঘটেছে এমনটি মনে
করার সুযোগ নেই।
আমরা মনে করি, সরকার কঠোর দমননীতি চালিয়ে সব নিয়ন্ত্রণে আনার যে পন্থা নিয়েছে, তা দেশে শান্তি ও
স্বস্তি যে আনতে পারছে না তাতে কোনো সংশয় আর নেই। বরং এতে সঙ্কট আরো গভীর থেকে
গভীরতর হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো জনমতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। যুদ্ধাপরাধের অস্বচ্ছ
বিচারকার্যক্রমকে স্বচ্ছ আইনানুগ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় আনা।
বিরোধী মত প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে কোনোভাবেই যে জাতীয়
সঙ্কট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়, এ বিষয়ে সন্দেহ থাকার সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। সরকারের এই
মৌলিক বিষয়গুলো উপলব্ধি করা প্রয়োজন। তা না হলে চলমান প্রবণতা অনুযায়ী
পরিস্থিতি অচিরেই আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে, যা কোনো বিবেকবোধ সম্পন্ন
মানুষের কাম্য হতে পারে না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন