সম্প্রতি বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও চলছে নানামাত্রিক সমালোচনা। তবে একটি কথা ঠিক যে বিরোধী দল দমনের কৌশল হিসেবে সরকারের এই অদূরদর্শি সিদ্ধান্তকে কোনো মহল থেকেই ভালভাবে গ্রহণ করা হয়নি। বিশেষত গত কয়েক মাস আগে থেকেই সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ওপর মহলের নির্দেশের বাহানা দিয়ে যেভাবে পুলিশ বাধা দিচ্ছে তা কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনাই করা যায় না। দীর্ঘ চার বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও মহানগরী অফিসগুলো কার্যত অচল। কোনো প্রকার যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এসব অফিসে পুলিশ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঢাকার বাইরের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। জামায়াতের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির অনেক নেতাই এখন জেলখানায় বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে পুলিশ ঢুকে তছনছ করেছে। গ্রেফতার করেছে অনেক নেতা-কর্মীকে। সর্বশেষ এখন সভা-সমাবেশ করতে না দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত এই দল দুটির ওপর নতুন মাত্রার খড়গ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকায় রাজনৈতিক দলের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করবে এমন নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে কোনো দলকেই সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যুক্তিটা হলো এই আমাদের সংবিধানে আছে যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সকলকে সমাবেশের এবং সংগঠনের অধিকার দেয়া আছে। এখন এই যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ আরোপ করা অর্থ হলো যারা সমাবেশ করবেন তারা জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করবেন না। পরিবহনে আগুন দেবেন না। বাস পোড়াবেন না। রেলে আগুন দেবেন না। কুরআন শরীফ পোড়াবেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা নিশ্চিন্ত হচ্ছি যে, দুর্বৃত্তরা সমাবেশের নাম করে এ ধরনের কাজগুলো করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ওই যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধের আওতায় আমরা এগুলো করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সরকারের এই ঘোষণা থেকে আপাতত এটাই মনে হচ্ছে যে, বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবি-দাওয়াকে উপেক্ষা করে অঘোষিত জরুরি অবস্থার দিকেই এগুচ্ছে তারা। তবে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সরকারের এই ঘোষণা বা কৌশলটাকে সরকারের শেষ অস্ত্র বলেই ধরে নিয়েছে। সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে সরকারের এই অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে। রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধে সরকারের সমালোচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরের দিনই বলেছেন, “মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা অসাংবিধানিক। এই ঘোষণার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয়েছে যে, সীমাহীন ব্যর্থতার কারণেই প্রকৃত অর্থে এখন সরকারের মধ্যে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার এই ঘোষণার মাধ্যমে সরকারের অসহায়ত্বেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। গত সাড়ে চার বছরে প্রত্যেকটি সেক্টরের দুর্নীতি, অনিয়ম, বিরোধী দল দমন আর অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকার নিজেকেই জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বেশকিছু অসঙ্গতিও শ্রোতাদের কাছে ধরা পড়েছে। বিবিসি তার কাছে জানতে চায়, বাংলাদেশে পলিটিক্যাল ডেমোনেস্ট্রেশন নতুন কিছু না। এ ধরনের বহু ঘটনা আমরা আগেও দেখেছি। জবাবে স্বরাষ্ট্্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা- হয়েছে। কিন্তু কেউ রাজপথে এরকম জনসম্পত্তি নষ্ট করে নাই। কেউ বিষ্ঠা ত্যাগ করে রাজপথ অব্যবহার্য করে নাই। কেউ ছোটখাটো দোকানপাট পুড়িয়ে দেয় নাই। বইপুস্তক পুড়িয়ে দেয় নাই। বাসে আগুন দেয় নাই। রেলপথে আগুন দেয় নাই। কেউ কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয় নাই। কাজেই এটা নতুন। বিবিসি তার কাছে ফের জানতে চায়, কিন্তু তাহলে শুধু ঢাকা শহর কেন, মানে ঢাকার বাইরে তারা সমাবেশ করতে পারবে? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনাটা ঢাকায় ঘটেছে বলে ঢাকায় আমরা বলেছি। অন্য জায়গায়ও ঘটেছে। তবে ঢাকায় যে স্কেলে ঘটেছে সে স্কেলে ঘটেনি। বিবিসি তার কাছে জানতে চায়, মানে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে চাচ্ছেন আপনারা? জবাবে তিনি বলেন, আমরা সব জায়গাকে নিরাপদ রাখতে চাচ্ছি। আমি বলেছি, ঢাকায় যে স্কেলে ঘটেছে সেটা অন্য জায়গায় ঘটেনি বলে ঢাকায় আমরা আপাতত করছি। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। বিবিসি ফের প্রশ্ন করে, নিশ্চিতভাবেই বিরোধী দল এ জিনিসটাকে ভালভাবে নেবে না এবং তারা হরতাল হয়তো ডাকতে পারে। সরকারের সিদ্ধান্ত না মানতে পারে। তাহলে তো আরও বেশি বিশৃঙ্খলা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিবিসিকে বলেন, শোনেন, বিরোধী পক্ষ আমাদের এই সিদ্ধান্ত কিভাবে নেবে, না নেবে সেই বিবেচনায় কিন্তু আমরা জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট হতে দিতে পারি না। জননিরাপত্তা ব্যাহত হতে দিতে চাই না। বিরোধী দল জননিরাপত্তা ব্যাহত করেছে। কুরআন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়েছে। ঢাকায় ৪৮ ঘণ্টায় নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক আবেদন পর্যন্ত জানিয়েছে। কাজেই যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা (বিরোধী দল) গণতান্ত্রিক বিশ্বাসে ফিরে না আসে, যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশের আইন মান্য করতে শেখে বা তার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের তো সে পর্যায়েই রাখতে হবে।
বিবিসির পাল্টা প্রশ্ন- ঢাকার বাইরের মানুষ তো মনে করতে পারে ঢাকা কেন বিশেষ একটা জায়গা হলো? অন্য জায়গায় করতে পারবে, ঢাকায় পারবে না কেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে এর ব্যাখ্যা দিয়েছি যে, ঢাকায় এরা সব থেকে বড় স্কেলে কাজটা করেছিল। অন্য জায়গায় করেনি। কাজেই ঢাকার ওপর আমরা (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছি। অন্য স্থানেও যদি এ স্কেলে করতে চায় বা করার স্পর্ধা দেখায় তবে নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিরোধীদলকে আর কখনো রাজপথে দাঁড়াতেই দেবে না সরকার। এমন ইঙ্গিতই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশবাসীকে জানিয়েছেন। তবে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, সরকার দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ ও মিছিল করা সরকার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত জরুরি অবস্থার শামিল বলে মনে করেন প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক। তিনি বলেছেন, আমি মনে করি, সরকার জরুরি অবস্থা জারি করার মতো কোনো বোকামি করবে না।
সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দুই রকম ব্যাখ্যা এসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে এক মাস সভা-সমাবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সরকারের যুক্তিকেই খারিজ করে দিয়ে প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক বলেন, কেউ নাশকতা চালাচ্ছে বা কোথাও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও এই অজুহাতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। কেউ জ্বালাও-পোড়াও বা নাশকতামূলক কর্মকা- চালালে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। আর অতীতে এর চেয়েও বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। কখনো সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি। আমাদের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘জনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’
সভা-সমাবেশে বিধিনিষেধ আরোপে সরকারের ঘোষিত এক মাসের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একটি তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। কারণ বিএনপি’র কর্মসূচি বন্ধ করার কৌশল হিসেবে সরকার সব দলের সভা-সমাবেশের ওপর এক মাসের এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যাটি হলো, এক মাস পার হলে, এর কিছুদিন পর শুরু হবে রমজান মাস। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পক্ষে মাঠপর্যায়ে কর্মসূচি দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়া আগামী ৯ আগস্ট ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ। আর ২৮ অক্টোবর থেকে আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য মধ্য আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার পরে সংসদীয় কমিটিও দেশের সকল বাণিজ্যিক এলাকায় সভা-সমাবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ তৈরি করছে। সরকারের উপর মহলের নির্দেশেই মূলত এই সুপারিশমালা তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলসহ দেশের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে তৎপর হয়ে উঠেছে সংসদীয় কমিটি। গত মঙ্গলবার (২০/০৫/১৩) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক থেকে এ ধরনের সুপারিশ আসছে। কমিটির পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক এলাকায় রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সব ধরনের সভা-সমাবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ জানানো হবে। উল্লেখ্য, বাস্তবায়ন অথরিটি হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে খুব শিগগিরই এই সুপারিশ জানানো হবে।
কমিটির সভাপতি এবিএম আবুল কাসেম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘দেশের বাণিজ্যিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটির বৈঠকে ‘বাণিজ্যিক এলাকার নিরাপত্তা’ এ সংক্রান্ত একটি এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত আছে। সেখানে সংসদীয় কমিটি ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে সবাই একমত হলে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তা বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ জানানো হবে। মূলত রাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ক্ষতি কমাতে এ পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ জানাবে কমিটি।’ এর আগে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মতিঝিল এলাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে ৭ মে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলেছে, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক অধিকারকে সরাসরি লঙ্ঘন করে। জরুরি অবস্থা জারি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই এই সাংবিধানিক অধিকার স্থগিত বা কেড়ে নেয়ার সুযোগ নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/পুলিশ কমিশনাররা আগে ঘোষণা দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারেন। কিন্তু সরকারের একেকজন মুখপাত্র একেক ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, যা জনমনে বিভ্রান্তি ও অনিরাপত্তা বোধের জন্ম দিচ্ছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের এ ধরনের ঘোষণা সরকারের ভেতরে অস্থিরতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব বলেই মনে হয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন