শনিবার, ১৮ মে, ২০১৩

আবারো বিপন্ন দেশের মিডিয়া



১৯৭২-৭৫ সালে মিডিয়া বলতে কেবল সংবাদপত্রই বোঝাত। ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলতে ছিল শুধুই বিটিভি আর বাংলাদেশ বেতার। যুগ, সময় ও প্রযুক্তি বদলেছে। শুধু বদলায়নি আওয়ামী অপশাসকদের মনোবৃত্তি। উল্লিখিত সময়ে মিডিয়া তথা সব সংবাদপত্র আওয়ামী কীর্তন গাইত। শুধু গণকণ্ঠ, হককথা, স্পোকসম্যান, মুখপত্র এমন কয়েকটি সংবাদপত্র ছিল, যারা সরকারের ত্রুটিবিচ্যুতিগুলো ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করত। সরকারের ত্রুটিবিচ্যুতি ধরিয়ে দেয়া সরকারের পতন ঘটানোর অপপ্রয়াস’Ñ এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। ত্রুটিবিচ্যুতি ধরিয়ে দেয়ার লক্ষ্য হচ্ছে সরকার যাতে নিজেকে সংশোধন করে জনকল্যাণের পথে অগ্রসর হতে পারে। কিন্তু ১৯৭২-৭৫ সালে শেখ মুজিব সরকার এবং ২০০৯ সালের পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের সেটি উপলব্ধি করার কোনো ক্ষমতা নেই। শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল না। শেখ হাসিনারও নেই।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর মুক্তিযোদ্ধাদের নবগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আবির্ভূত হলো। তার পটভূমি বিস্তৃত। এই দলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আবদুল জলিল ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আ স ম আবদুর রব-শাজাহান সিরাজরা ছিলেন। আর ছিলেন রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খান। এরা দলের মুখপত্র হিসেবে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন। কিন্তু এই পত্রিকা প্রকাশের পরপরই শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষোভের সাথে বলেছিলেন, চল্লিশ বছর রাজনীতি করলাম, একটা পত্রিকা বার করতে পারলাম না। টাকা কোথা হইতে আসে? ছাত্রলীগের যে সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল, তখন ছাত্রলীগের মুজিববাদী অংশের সম্মেলন হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। পাশেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাসদবাদী অংশের। মুজিব বলেছিলেন, সত্তর মণ গরুর গোশত, সত্তর মণ খাসির গোশত; টাকা কোথা হইতে আসে?
সে যা-ই হোক। সেই যে আওয়ামী লীগের মিডিয়াবিরোধী ভূমিকা শুরু হয়েছিল, তা এই সরকারের আমলেও অব্যাহত আছে। এই সরকার ছদ্মবেশী সামরিক সরকারের ধারাবাহিকতা মাত্র। সে সময় সামরিক সরকার এসে যখন বিএনপি নেতানেত্রীদের নির্বিচারে নির্যাতন শুরু করল, তখন শেখ হাসিনা তাদের শেখ মুজিব আমলের মতো ওপেন জেনারেল লাইসেন্স (ওজিএল) দিয়ে দিলেন। বললেন, চালিয়ে যাও। যত খুশি অন্যায় করো। আমরা তার বৈধতা দেবো। সংবিধান সংশোধন করে হলেও দেবো। সেই সরকার এই সমাজের শ্রদ্ধাভাজন রাজনৈতিক নেতাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তারা থাকার চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। মইন-ফখরের যে সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল, জনবিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই বিদায়ের মাধ্যমে তারা সেনাবাহিনীকেও ধ্বংস করে দিয়েছে।
ক্ষমতায় আসীন হয়ে শেখ হাসিনা ছদ্মবেশী ওই সামরিক সরকারের সবাইকেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এমনকি তার এক প্রধান হোতাকে এখনো অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রদূত পদে অধিষ্ঠিত রেখেছেন। কৃতজ্ঞতা ও তার ঋণ কাকে বলে, সেটা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। অতএব বর্তমান সরকার মইন-ফখর সরকারের ধারাবাহিকতারই অংশ। মিডিয়া এদের সবচেয়ে বড় শত্রু। মইন-ফখরের সরকার সংবাদপত্রের ওপর যত না খবরদারি করেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি খবরদারি করেছে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর ওপর। এই সরকার ক্ষমতায় এসে একই ধারাবাহিকতায় তা আরো দৃঢ় ও রূঢ় করেছে। চ্যানেল ওয়ান ও যমুনা টিভির সম্প্রচার এরা বন্ধ করে দিয়েছে। অজুহাত অতি ঠুনকো।
কিন্তু কে কার খবর রাখে। একটা টেলিভিশন চ্যানেল চালু করতে প্রায় শত কোটি টাকা খরচ হয়। এখানে শত শত সাংবাদিক, টেকনিশিয়ান ও কর্মী নিয়োগ পান। প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে তাদের দৈনিক কর্মঘণ্টা বেশি, বেতনও বেশি। কিন্তু কথা নেই, বার্তা নেই, সরকার মুহূর্তের মধ্যে যখন তখন বন্ধ করে দিতে পারছে, দিচ্ছে। এর জন্য কোনো যুক্তির তারা ধার ধারছে না। ইচ্ছা, অতএব বন্ধ করে দিলাম। ভালো লাগছে না, অতএব বন্ধ করে দিলাম। এমন তুঘলকি কাণ্ড পৃথিবীতে ঘটানো খুব সহজ কাজ নয়। অথচ বাংলাদেশে তা হামেশাই হচ্ছে। এখন মিডিয়া অবরুদ্ধ। বেশির ভাগ মিডিয়া সরকারের সেবাদাস। দু-একটা যা আছে, তারা আতঙ্কিত। কখন যে কী হয়!
এই পরিস্থিতি জোরদার হয়েছে গত ৫ মের পর থেকে। তার আগেও মিডিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু ৫ মে রাতে হেফাজতে ইসলামের অবরোধ কর্মসূচিতে যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়, তার বিবরণী প্রচার করছিল দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি। সত্য প্রকাশে ুব্ধ সরকার ওই রাতেই এ দুটি টেলিভিশন কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। টেলিভিশন কেন্দ্র দুটির হাজার হাজার কর্মী মুহূর্তেই বেকার হয়ে পড়েন। কিন্তু বিচার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই। প্রতিকারের কোনো পথ নেই। এমনই এক ভয়াবহ অবস্থায় আমরা এ দেশে বসবাস করছি।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে ট্র্যাজেডি তা হলো, মিডিয়ার এসব বিপদ-আপদে মতাদর্শ নির্বিশেষে আমরা কিছুতেই এক কাতারে দাঁড়াতে পারছি না। সরকার সমর্থক মিডিয়াগুলো মনে করছে, সরকারবিরোধী মিডিয়া যদি নিপীড়নের শিকার হয় হোক, আমরা তো আছি সহিসালামতে। সরকার আমাদের চিরদিন ভালোবেসে যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশে এ মনোভাব নতুন নয়। কিন্তু পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থায় যদি গত বিশ-বাইশ বছরকে দুই বছরের ব্যতিক্রম ছাড়া আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলে মেনে নিই, তাহলেও একই রকম চিত্র দেখতে পাই।
এর শুরু বলা যায় ১৯৯৭ সালে। ওই সময় আওয়ামী ঘরানার এক শ্রেণীর সাংবাদিক নেতার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বন্ধ করে দেয়া হয় দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, বিচিত্রা ও আনন্দ বিচিত্রা। একইভাবে বেকার হয়ে পড়েন হাজার হাজার সাংবাদিক-কর্মচারী। ওই পত্রিকাগুলো পুনঃপ্রকাশের জন্য সেখানকার সাংবাদিক কর্মচারীরা দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছেন। কিন্তু একা। সরকার সমর্থক সাংবাদিক-কর্মচারীরা তাদের পাশে দাঁড়াননি। সেভাবে এক সময় সেই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়। যারা পাশে দাঁড়াননি, তারা এখন নানা কারণে বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি।
সঙ্কট এখানেই। সমাজের ভেতরকার ঐক্য-সূত্রগুলো যেন ক্রমেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পর আমরা খানিকটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিলাম। মতাদর্শ নির্বিশেষে গোটা সাংবাদিক-সমাজ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অনেক দিন ধরে একসাথে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করেছে। তারপর কোথায় যে কী হলো! হঠাৎ করেই সরকার সমর্থক সাংবাদিক ইউনিয়ন সে আন্দোলন থেকে ক্রমেই দূরে সরে যেতে থাকল। এখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আন্দোলনও স্তিমিত হয়ে পড়েছে। এই দম্পতি যে দুটি মিডিয়ায় কাজ করতেন সে দুটি মিডিয়া ঘোর সরকার সমর্থক। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজতে গেলে সরকারবিরোধী কিছু পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।
এ ক্ষেত্রেও সত্য প্রকাশিত হয়নি। কিংবা সত্য প্রকাশ করতে দেয়া হয়নি। বরং এই দম্পতির ব্যক্তিগত আচার আচরণ নিয়ে কুৎসিত কটাক্ষ করতেও পিছপা হননি অনেকে। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, এই জোড়া খুনের কোনো কিনারা হয়নি। বরং সরকারবিরোধী বলে পরিচিত সাংবাদিক ইউনিয়ন আরো অনেক দিন পর্যন্ত একাই সে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। বলা হচ্ছে যে, সরকারের উচ্চমহলে দুর্নীতির সপ্রমাণ তথ্য এই দম্পতির কাছে সংরক্ষিত ছিল। সে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এদের খুন করা হয়। এই খুনের বিচার দাবি থেকে সরকার সমর্থকদের পিছিয়ে যাওয়ায় সে ধারণাই বদ্ধমূল হয়ে দাঁড়ায়। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। হবে, এমন আশা এখন আর কেউ করে না।
এরপর আশে আমার দেশ প্রসঙ্গ। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দীর্ঘকাল ধরে নাজেহাল করে আসছে সরকার। এর আগেও একবার তাকে আটক করে ১০ মাস জেলে রেখেছিল বর্তমান সরকার। এবার শুধু তাকে আটক করেই ক্ষান্ত হয়নি সরকার, আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনাও বন্ধ করে দিয়েছে। গায়ের জোরে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পত্রিকার প্রেসে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আর আমার দেশ প্রকাশিত হতে পারছে না। যদিও পত্রিকাটির প্রকাশনা অনুমতি (ডিকারেশন) বাতিল করা হয়নি। এবং আশ্চর্য ঘটনা এই যে, এত বড় ইস্যুকেও সাংবাদিক সমাজ মত প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে পারেনি। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়নি দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি বন্ধের বিরুদ্ধেও।
আমরা সংবাদপত্র সম্পাদকেরাও যে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রেখেছি এমন দাবি করতে পারি না। কার্যত মালিক সম্পাদকেরাও নীরব থেকেছেন। হ্যাঁ, এ কথাও সত্য যে, একজন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে আমি একাও কয়েকটি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রেস কাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করিনি। ব্যক্তিগতভাবে কাজটি কঠিন ছিল না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে পারিনি। কখনো কখনো রবীন্দ্রনাথের ভাষায় মনে হয়েছে যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে/তবে একলা চল রে। আমারও বোধ করি একলাই অন্তত একটি প্রতীকী প্রতিবাদ হলেও করা উচিত ছিল। বিবেকের দংশনে অবিরাম ক্ষতবিক্ষত হচ্ছি। নাই কিরে কেউ সত্য সাধক, বুক খুলে আজ দাঁড়ায়?
এসব চিন্তা মাথায় নিয়ে অবিরাম বিবেকের দংশনে যখন যন্ত্রণায় ছটফট করছি, তখন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে যেন যুদ্ধ ঘোষণা করে বসেছেন। প্রথম আলোর নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শন আছে। নিজস্ব আদর্শ উদ্দেশ্য আছে। তার সাথে আমার চিন্তাচেতনার কোনো মিল নেই। কিন্তু চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে যে, সব মতের অবাধ প্রকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আমার দেশ  ও প্রথম আলোকে তাদের স্ব স্ব মত প্রকাশ করার নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা দিতে হবে।
প্রথম আলোর দোষ কী? দোষ হলো, প্রথম আলো একটি জনমত জরিপ প্রকাশ করেছে। সে জরিপে উঠে এসেছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ৮৫ শতাংশ মানুষ মনে করে, দেশ ভালো চলছে না। আর যায় কোথায়? প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের একসময়কার রাজনৈতিক সহকর্মী তুখোড় মুজিববিরোধী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সাথে সাথে তাকে এক হাত নিয়ে ছেড়েছেন। বলেছেন, প্রথম আলোর  সম্পাদক তওবা সম্পাদক। তাদের এসব জরিপ ভুয়া। কিন্তু জরিপ পরিচালনার পদ্ধতি প্রথম আলো ব্যাখ্যা করেছে। এভাবেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জনমত জরিপ করা হয়ে থাকে। সে বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না। এখানে সরকার প্রথম আলোর  মতলব সন্ধান করেছে। বাস্তব পরিস্থিতির দিকে তাকাতে চায়নি। পত্রিকাটির উদ্দেশ্য সম্ভবত ছিল সরকারকে বাস্তব পরিস্থিতির দিকে ফিরিয়ে এনে তাদের কল্যাণই করা।
সেটি তাদের ব্যাপার। কিন্তু আমার বক্তব্য হলো পত্রিকাটিকে তাদের মত অবাধে প্রকাশ করতে দিতে হবে। এসব মতের ভেতর থেকে জনগণ বেছে নেবে কোনটি সঠিক কোনটি গ্রহণযোগ্য। তাতে বাধা দেয়ার জন্য বরাবরের মতোই দুঃখভারাক্রান্ত মনে লক্ষ করলাম, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে এই বিষোদগারের প্রতিবাদে সমাজে কুটোটিও নড়ল না। সরকার সমর্থক কিংবা সরকারবিরোধী কেউ এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিবাদ জানাল না। আমি দৃঢ়তার সাথে সরকারের এই মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। সেই সাথে বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত জার্মান লেখকের উদ্ধৃতি স্মরণ করছি। তিনি লিখেছেন, যখন নাৎসিরা ইহুদিদের ধরতে এলো, তখন আমি তার কোনো প্রতিবাদ করিনি। কারণ আমি ইহুদি ছিলাম না। যখন তারা কমিউনিস্টদের ধরতে এলো, তখনো আমি তার প্রতিবাদ করিনি। কারণ আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না। যখন তারা ট্রেড ইউনিয়নিস্টদের ধরতে এলো, তখনো আমি তার প্রতিবাদ করিনি। কারণ আমি ট্রেড ইউনিয়নিস্ট ছিলাম না। কিন্তু যখন তারা আমাকে ধরতে এলো তখন প্রতিবাদ করার মতো আর কেউ অবশিষ্ট ছিল না।
অতএব আসুন, অবাধে সব মত প্রকাশের পক্ষে আমরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে দাঁড়িয়ে একযোগে উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করি।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads