বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ফসল। জিয়াউর রহমান এর মহান ঘোষক। ব্যক্তি
জিয়াউর রহমান ছিলেন অসাধারণ। সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা
হিসেবে তিনি অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বীয়
জীবনকে বাজি রেখে স্ত্রী-পুত্র, আত্মীয়-স্বজনকে অসহায় রেখে ১৯৭১ সালে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, সম্প্রসারণবাদ, আধিপত্যবাদের
অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সরল, সহজ, সৎ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য
নেতৃত্ব গঠন করার মানসে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও রাজনীতি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ১৯৭৮ সালের
১ সেপ্টেম্বর গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে
ছিল সততা ও সত্যবাদিতা। তার রাজনীতি ছিল সহনশীলতা, সমঝোতা, উৎপাদন ও
উন্নয়নের।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, খণ্ডিত চেতনা নিয়ে জাতিকে
ঐক্যবদ্ধ করা যাবে না। দেশ বা জাতির সঠিক ভিত্তি হবে তার জাতীয়তাবাদ। এ
জাতীয়তাবাদের মধ্যে রয়েছে জাতিগত চেতনা, ধর্মীয় অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি, ভাষার অধিকার, আঞ্চলিক চেতনার
প্রচেষ্টা। এ দেশের মানুষ দীর্ঘ দিন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন লালন করে আসছেÑ যার লক্ষ্য শোষণমুক্ত দেশ গঠন, জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে
পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়া ও একটি বাস্তব, কল্যাণমুখী এবং প্রগতিশীল দেশ
প্রতিষ্ঠাÑ যাতে থাকবে সমতা, সামাজিক
ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতা, থাকবে নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অবিচল বিশ্বাস। জনগণের ভ গোন্নয়নের জন্য
প্রণীত হলো ১৯ দফা কর্মসূচি, যা অভূতপূর্ব সাড়া জাগায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হ্রাস, জিয়ার
ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের ইমেজ, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে তার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং পর্যবেক্ষণ দেশে ও
বিদেশে সমাদৃত হয়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে গঠিত দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগতিা পরিষদ (সার্ক)
জিয়াকে বিদেশেও সমধিক পরিচিতি দেয়। ১৯৮৫ সালের ৭ ও ৮ ডিসেম্বর দু’দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার
সাতটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐতিহাসিক সার্ক শীর্ষসম্মেলন ঢাকায়
অনুষ্ঠিত হয়।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়াই জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক, ধর্মীয়, বিচারব্যবস্থা ও
প্রশাসনে অস্থিরতা কাটিয়ে তিনি দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে মানুষের
মণিকোঠায় স্থান করে নেন। বহুদলীয় রাজনীতির সাথে সাথে সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতা
দিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল
সবাইকে নিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো। তাই তিনি টেকনাফ থেকে
তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া তথা দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও
পেশাজীবীর মধ্যে ঘুরে বেড়ান এবং দেশ গড়ার প্রেরণা জোগান। তার রাজনীতির উদ্দেশ্য
ছিল শোষণযুক্ত দেশ গড়া। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। স্বাধীন
পররাষ্ট্রনীতি প্রতিষ্ঠা ছিল তার অন্যতম লক্ষ্য। ব্যক্তি জিয়া, সৈনিক জিয়া, রাষ্ট্রপতি জিয়া
এবং রাজনৈতিক জিয়াÑ সবক্ষেত্রেই তিনি সফল। তাই তো
তিনি চিরঞ্জীব জিয়া।
অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে জননেতা তাকেই বলা যায়Ñ যিনি জনগণের
স্বার্থের সঙ্গে আপনার স্বার্থকে সম্পূর্ণভাবে একই বিষয়বস্তুতে পরিণত করে, জনগণের পার্শ্বে
দাঁড়িয়ে তাদের সুখ-দুঃখ-উত্থান-পতনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে জীবনের সকল ক্ষেত্রে
জনগণের মঙ্গলের জন্যই কাজ করে যান। যে মহামানব এভাবে রাষ্ট্রগতপ্রাণ হয়ে অহর্নিশি
রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেনÑ তিনি হচ্ছেন
বাংলাদেশের সর্বজনপ্রিয় জননেতা জিয়াউর রহমান।’ তিনি এ দেশের
মাটি ও মানুষের নেতা। তাই তারই কণ্ঠে শুনেছি ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার, শেষ বাংলাদেশ।’ কৃতজ্ঞ জাতির কণ্ঠে তাই শুনি জিয়া মোদের চেতনা, জিয়া মোদের
প্রেরণা।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, খণ্ডিত চেতনা নিয়ে জাতিকে
ঐক্যবদ্ধ করা যাবে না। দেশ বা জাতির সঠিক ভিত্তি হবে তার জাতীয়তাবাদ। এ
জাতীয়তাবাদের মধ্যে রয়েছে জাতিগত চেতনা, ধর্মীয় অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি, ভাষার অধিকার, আঞ্চলিক চেতনার
প্রচেষ্টা। এ দেশের মানুষ দীর্ঘ দিন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন লালন করে আসছেÑ যার লক্ষ্য শোষণমুক্ত দেশ গঠন, জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে
পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়া ও একটি বাস্তব, কল্যাণমুখী এবং প্রগতিশীল দেশ
প্রতিষ্ঠাÑ যাতে থাকবে সমতা, সামাজিক
ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতা, থাকবে নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অবিচল বিশ্বাস। জনগণের ভ গোন্নয়নের জন্য
প্রণীত হলো ১৯ দফা কর্মসূচি, যা অভূতপূর্ব সাড়া জাগায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হ্রাস, জিয়ার
ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের ইমেজ, রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে তার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং পর্যবেক্ষণ দেশে ও
বিদেশে সমাদৃত হয়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে গঠিত দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগতিা পরিষদ (সার্ক)
জিয়াকে বিদেশেও সমধিক পরিচিতি দেয়। ১৯৮৫ সালের ৭ ও ৮ ডিসেম্বর দু’দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার
সাতটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐতিহাসিক সার্ক শীর্ষসম্মেলন ঢাকায়
অনুষ্ঠিত হয়।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়াই জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক, ধর্মীয়, বিচারব্যবস্থা ও
প্রশাসনে অস্থিরতা কাটিয়ে তিনি দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে মানুষের
মণিকোঠায় স্থান করে নেন। বহুদলীয় রাজনীতির সাথে সাথে সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতা
দিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল
সবাইকে নিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো। তাই তিনি টেকনাফ থেকে
তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া তথা দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও
পেশাজীবীর মধ্যে ঘুরে বেড়ান এবং দেশ গড়ার প্রেরণা জোগান। তার রাজনীতির উদ্দেশ্য
ছিল শোষণযুক্ত দেশ গড়া। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। স্বাধীন
পররাষ্ট্রনীতি প্রতিষ্ঠা ছিল তার অন্যতম লক্ষ্য। ব্যক্তি জিয়া, সৈনিক জিয়া, রাষ্ট্রপতি জিয়া
এবং রাজনৈতিক জিয়াÑ সবক্ষেত্রেই তিনি সফল। তাই তো
তিনি চিরঞ্জীব জিয়া।
অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে জননেতা তাকেই বলা যায়Ñ যিনি জনগণের
স্বার্থের সঙ্গে আপনার স্বার্থকে সম্পূর্ণভাবে একই বিষয়বস্তুতে পরিণত করে, জনগণের পার্শ্বে
দাঁড়িয়ে তাদের সুখ-দুঃখ-উত্থান-পতনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে জীবনের সকল ক্ষেত্রে
জনগণের মঙ্গলের জন্যই কাজ করে যান। যে মহামানব এভাবে রাষ্ট্রগতপ্রাণ হয়ে অহর্নিশি
রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেনÑ তিনি হচ্ছেন
বাংলাদেশের সর্বজনপ্রিয় জননেতা জিয়াউর রহমান।’ তিনি এ দেশের
মাটি ও মানুষের নেতা। তাই তারই কণ্ঠে শুনেছি ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার, শেষ বাংলাদেশ।’ কৃতজ্ঞ জাতির কণ্ঠে তাই শুনি জিয়া মোদের চেতনা, জিয়া মোদের
প্রেরণা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন