শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৩

সরকারের আচরণ সংঘাতের মূল কারণ


সরকারের আচরণ সংঘাতের মূল কারণ
 দুনিয়ার রঙ্গমঞ্চে মানুষ দু'দিনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন অথবা দু'দিন পরে ক্ষমতাচ্যুত হন। কেউ ক্ষমতা গ্রহণ করে ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করে কেউবা অপব্যবহার করে। তবে বিধি বাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীনরা স্বৈরাচারী ও ক্ষমতা পদলেহী হয়ে থাকে। ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত তাদের ভিতর মানবতা ও মানুষের অধিকারের কথা শোনা যায় জোর গলায়। ক্ষমতা গ্রহণের পর ক্ষমতা হারানোর ভয়ে নিষ্ঠুর আচরণ করে অহরহ। জুলুম-নির্যাতনের জগদ্দল পাথর সরিয়ে এক সময় জালিমশাহীর  তখত তছনছ করে জনগণ মুক্তির প্রত্যাশায় নেতৃত্ব বাছাই করতে চেষ্টা করে। ঠিক তখনই ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। তখন বিরোধী শিবিরের আন্দোলন চলে চরম তুঙ্গে। ক্ষমতাসীনরা একবারের জন্যও চিন্তা করে না যে তারা কখনো বিরোধী শিবিরে ছিলেন বা বিরোধী শিবিরে যাবেন। এ কারণে দেশে উন্নতি-অগ্রগতির প্রতিযোগিতার পরিবর্তে পরস্পর প্রতিশোধ গ্রহণ করতে সিদ্ধহস্ত। এতে দেশের বয়স বাড়তে থাকে কিন্তু যে কারণে রক্তসাগর পেরিয়ে দেশ স্বাধীন হয় সেটি অর্জিত হয়না। উল্লেখিত কথাগুলো কারো কাছে অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা মনে করেন যে, তিনি বা তারা যা করেন তাই সঠিক। জনগণের মতামতের তোয়াক্কা করেন না, কারণ রাঘব-বোয়ালরা তাদের আশপাশে থাকে। আমতা-আমতা আর নম নম করে, কেউই জনগণের চাহিদা বা মতামত তুলে ধরে কর্তার বিরাগভাজন হতে চায় না। তাই অবশেষে যা হবার তাই হয়।
এ দেশের স্বাধীনতালগ্ন হতে কম বেশি সরকার বাহাদুররা এ ধরনের নীচু আর হীনকর্মকান্ডের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন যার পরিপ্রেক্ষিতে কোন সরকারই গণতান্ত্রিকভাবে একাধারে এক সংসদকালের বেশি ক্ষমতার আয়ুষ্কাল দীর্ঘ করতে পারেনি, এমনকি পরবর্তী বার ক্ষমতায় সমাসীন হয়েও  পূর্বের শিক্ষা গ্রহণ হতে বিরত থাকতেও দ্বিধা করেনি। যদিও বক্তব্য-বিবৃতিতে সদা সুখ্যশ্লোক  উপস্থাপন করতে ব্যত্যয় ঘটান না- ‘‘ব্যক্তির চাইতে দল বড়, দলের চাইতে দেশ বড়’’। কর্তাব্যক্তিরা যা বলেন ঠিক তার উল্টোটা করেন- ‘‘দেশের চাইতে দল বড় আর দলের চাইতে ব্যক্তি বড়’’। এদেশে দেশ গড়ার কাজে এখনো প্রতিটি নাগরিককে মনোনিবেশ করতে পারেনি আমাদের নেতৃবৃন্দ। এখানে কে বড় আর কে ছোট, কার দোষ কত বেশি এসব নিয়ে সমালোচনা করা হয়। এ সব দূর করতে নেয়া হয় না কোন পদক্ষেপ। এখানে জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত করতে চলছে সরব কর্মসূচি অথচ যা কোনভাবে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য কাম্য নয়। মালয়েশিয়ার একজন সাধারণ শ্রমিকও চিন্তা করে আমি আমার দেশের প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি। আমেরিকায় নির্বাচন পরবর্তী নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অনির্বাচিত প্রার্থীরা সাহস করে গর্বে বলতে পারে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আমার প্রেসিডেন্ট এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। নির্বাচিত ব্যক্তিরাও সেভাবে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করেন এবং সহযোগিতা কামনা করেন। হায়! মন্দ কপাল!! আমাদের দেশে ঠিক এর বিপরীত চিত্র! যে সকল এলাকায় ক্ষমতাসীনরা নির্বাচিত হন সেসব এলাকায় প্রতিশোধপরায়ণ হন ক্ষমতাসীনরা। চলে জোর যার মুল্লুক তার স্টাইলে।
গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় বিরোধী জোট সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করতেই পারে। এটি গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সমস্যা তখন শুরু হয় যখন সরকারের তরফ হতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে বাধা দেয়া হয়। সরকারী দলের কর্মী বাহিনী এবং রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রকে যখন বিরোধী দল ও মতকে দমনের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন গত ২৩ জানুয়ারি জাতীয় পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা পুলিশ বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে চাই না অথচ ২০১১ সালে বিরোধী দলীয় হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুককে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে যে পুলিশ কর্মকর্তা বেদম প্রহার করেছেন তাকেই রাষ্ট্রপতি পদক দেয়া হলো। অবশ্য একথা অকপটে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‘জয়নুল আবদীন ফারুককে দমনের বিষয়টিও ডিসি হারুনের পদক পাওয়ার মূল্যায়নের মধ্যে ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য  জাতির জন্য যত সুখকর ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর জাতি তার চেয়ে অনেক বেশি বিব্রতবোধ ও হতাশাগ্রস্ত হয়েছে।
সম্প্রতি দেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি ও কর্মকান্ড নিয়ে সাধারণ জনগণ চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন। কেউ বলছেন তাদের কর্মসূচি পালন করতে সরকার সহযোগিতা করলে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কেউ কেউ বলছেন জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা দরকার। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে যদি মূল্যায়ন করা হয় তাহলে স্পষ্ট যে, স্বাধীনতার ৪১ বছর পর সরকারের পক্ষ হতে এই দলটির নেতৃবৃন্দের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে  বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অথচ ইতিহাস বলে স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রজ মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান যারা কলাবরেটর ছিলেন তিনি তাদের মাফ করে দিয়েছিলেন। যাদের ব্যাপারে স্বাধীনতার পর  থেকে ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত কোন থানায় ১টি জিডি পর্যন্ত হলনা হঠাৎ করে এই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালত গঠন গ্রহণযোগ্য কি?  আবার সরকারি তোষামদে পরিচালিত গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে ফাঁসির দাবি অব্যহত রাখা এসব নাটক বৈ কি বলা চলে? আর কারারুদ্ধ জামায়াত  নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আগত সাক্ষীরা পেইডেড সাক্ষী হিসেবে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে আসামী পক্ষের সাক্ষীদের যথাযথভাবে সাক্ষ্য দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ তুলেছেন। যেমন-আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী সুখ রঞ্জন বালিকে তুলে নেয়া হয়েছে। যার সন্ধান এখনও মিলেনি।
 আইনজীবীর স্কাইপি সংলাপের সত্যতা মিলেছে। একদিকে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিচারকার্যক্রম চলছে আবার সেই দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে ও ঘরোয়া সমাবেশে তাদের প্রতিবাদ করতে দেয়া হচ্ছে না। কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গেলেই পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারসেল, ছররা গুলী, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করছে আর তখনই পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষ হচ্ছে এবং রাস্তার সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিওবা টকশোতে বুদ্ধিজীবীরা বলার চেষ্টা করছেন যে, বিক্ষোভকারীরা আগাম প্রশাসনের অনুমতি নিচ্ছেন না এবং পুলিশের উপর হামলা ও জনগণের সম্পদের ক্ষতি সাধন করছে। এসব বক্তব্য সুনির্দিষ্ট দলমতের ব্যক্তিবর্গের নিকট যথার্থ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু অনুমতি চাওয়ার পর প্রশাসন কি তাদের অনুমতি দিয়েছেন? অনুমতির বদলে বরাদ্দ হয়েছে ১৪৪ ধারা জারি, গ্রেফতার ইত্যাদি ইত্যাদি। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে চলমান বিচারের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের জন্য কর্মসূচি পালন করতেই পারে। গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে এটিই স্বাভাবিক। আর পুলিশের উপর আক্রমণ এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির যে প্রশ্নটি বারবার উঠে আসছে, আসলে পুলিশ বিনা কারণে কেন তাদেরকে বাধা দিচ্ছে? আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ করেই তাদের গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।যদি পুলিশের উপর আক্রমণ হতো নিঃসন্দেহে পুলিশের জীবনও ক্ষয় হত। কিন্তু এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক  জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীই পুলিশের গুলীতে জীবন সাঙ্গ হয়েছে, শত শত নেতাকর্মী গুলীবিদ্ধ হয়েছে। আর আন্দোলনকারীরা  কি জনগণের ক্ষয়ক্ষতি করে তাদের পক্ষে আনতে পারবে?  মোদ্দাকথা সরকারের পক্ষ হতে বড় ধরনের ভুল করা হচ্ছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। কারণ, আন্দোলন দমাতে গিয়ে আন্দোলন বিস্তৃতি করার ক্ষেত্রে সরকারই দায়ী। সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অসচেতন বক্তব্যও মাঝে মাঝে বিরোধীদের আন্দোলনকে আরো জোরালো করে তুলছে। সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহম্মদ বললেন পুলিশকে লক্ষ্য করে  শিবিরকর্মী দেখামাত্র গুলী করার নির্দেশ দিলেন; যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার বক্তব্য অস্বীকার করেছেন। তবে তার বক্তব্য অস্বীকার করলেও জামায়াত-শিবির দমনে সম্প্রতি পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলীবর্ষণের ঘটনায় আগের বক্তব্যেও সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদেরকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে। আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বললেন যে, পাড়ায়-মহল্লায় শিবির প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে।
শাহবাগে পুলিশি প্রহরায় সরকারি আদর আপ্যায়নে গণজাগরণ! অপরদিকে ওলামা-মাসায়েখদের ১৩ ফেব্রুয়ারি '১৩ সকাল ১০টায় পল্টনে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশকে নাশকতা বলে সকাল ৭টা থেকে ৫শতাধিক আগত মুসল্লিদের গ্রেফতার করা হয় এবং রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ টহল দিয়ে ব্লাঙ্ক ফায়ার করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। সাধারণ জনগণের প্রশ্ন এ যুদ্ধ কেন? কার বিরুদ্ধে? সম্প্রতি বগুড়া, চট্রগ্রাম, দিনাজপুর ও কক্সবাজারে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশের নির্বিচারে গুলীতে নিহত হয় অর্ধশতাধিক। ২০১৩ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার প্রাণকেন্দ্র কাকরাইল থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত বগুড়ায় ৩ নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করে। এতে পুলিশ বাধা না দেয়ায় শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রমাণিত হয় যে, সরকারের তরফ থেকে বাধা না দিলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ হতে কোন ধরনের সংঘর্ষ হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। মূল সমস্যা হলো সেখানে যেখানে পুলিশ প্রশাসন দলীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। গত ৩০ জানুয়ারি '১৩ খুলনায় প্রশাসন জামায়াতকে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে। সেখানেও কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। রাজশাহীসহ যে সকল এলাকায় জামায়াতকে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে  প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা না দেয়ায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের কোন সংঘর্ষ ঘটেনি। ২০১২ সাল থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে যেভাবে বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর গ্রেফতার, রিমান্ড ও হয়রানি করা হচ্ছে এতে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারবর্গসহ সরকার পতন আন্দোলনকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করছে। প্রশাসনের তরফ হতে জামায়াত-শিবির নিধনের নামে সন্দেহভাজন জনসাধারণকে থানায় ধরে নিয়ে গ্রেফতার বাণিজ্য চালাচ্ছে অহরহ। প্রতিদিন থানার সামনে স্বজনরা তাদের স্বামী, ভাই, সন্তানের অপেক্ষায় থাকে, কখন তাদের নির্দোষ এই প্রিয় স্বজনকে তারা ফিরে পাবে। ১ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে তাদের স্বজনদেরকে ছাড়িয়ে নিতে হয়। নচেৎ হত্যা মামলাসহ যে কোন সাংঘাতিক মামলায় চালান দিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য এসব গ্রেফতার বাণিজ্যের সাথে সকল আইন-শৃক্মখলারক্ষাকারী বাহিনী জড়িত নয়। এসব অপকর্ম রোধ করেই এর সত্যতা প্রমাণ ও তাদের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গা তাদেরকেই অটুট করতে হবে।
নিশ্চয়ই বাংলাদেশের কোন সচেতন নাগরিক দেশে সংঘাত চান না। চান উন্নতি-অগ্রগতি, শান্তি ও নিরাপত্তা। চান না বিভ্রান্তি ও অনৈক্যের হীন রাজনীতি। এ দেশে জন্মগ্রহণকারী  প্রতিটি নাগরিক এদেশের আলো-বাতাসে বেড়ে উঠেছে। তাই সবাই যার যার সুখে সুখি হবে আর যার যার দুঃখে দুঃখী হবে। দেশের সুখ নিজের সুখ দেশের দুঃখ নিজের দুঃখ। এমন সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার ঐতিহাসিক দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিক দেশপ্রেম থেকে নিশ্চিত করবে এটাই হোক সকলের কাম্য। নচেৎ সংঘাত-সংঘর্ষের থাবায় দেশ অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হতেই থাকবে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads