বেশ কয়েক বছর আগে, সম্ভবত জেনারেল এরশাদের আমলে, গুলীতে ২ ব্যক্তি মারা যান। তখন এরশাদের জুলুম ও পুলিশের বর্বরতা জনগণকে বোঝাতে এবং তাদের মাঝে প্রচার করার জন্য বিভিন্ন গণসংগীত রচিত ও গীত হয়। সে রকম একটি গণসংগীতের প্রথম লাইন হলো, ‘‘চারিদিকে দেখি আজ লাশের মিছিল।’’ ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রচয়ারি পুলিশের গুলীতে ৪ জন (মতান্তরে) ৫ জন শহীদ হন। তখন একটি গণসংগীত রচিত হয়। এটির প্রথম কয়েকটি কলি হলো :
ঝরাও রক্ত ছড়াও রক্ত
যত খুশী তুমি পার
রাজপথে আজ জনতা জেগেছে
যত খুশী তুমি মার।
এরশাদের পুলিশের গুলীতে ঐ দুই জনের মৃত্যুর খবর অবশ্যই হৃদয় বিদারক, দুঃখজনক এবং ভয়াবহ। ২১ শে ফেব্রচয়ারি পুলিশের গুলীবর্ষণ ও ছাত্র জনতার শহীদ হওয়ার খবরের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও জাতীয় গুরচত্ব নতুন করে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নাই। সে দিনের সেই ২ জন বা ৫ জনের মৃত্যু যদি হয়ে থাকে লাশের মিছিল তাহলে ফেব্রচয়ারি ও মার্চ মাসে যা ঘটে গেল সেটিকে কি বলবেন? এতদিন পর্যন্ত আমরা সাহিত্যের ভাষায় কিছু কথা শুনেছি। সেগুলো হলো, ‘রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়া’, ‘রক্তের বন্যায়/ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি। যে সব পুলিশী জুলুমের কথা উলেখ করলাম সে গুলো যদি হয়ে থাকে রক্তগঙ্গা বা রক্তের বন্যা তাহলে এখন প্রায় প্রতিদিন যা ঘটছে সে সব রক্তপাতকে কি বলবো? গত বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরচল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে ফেব্রচয়ারি এবং মার্চ মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলীবর্ষণে ২০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। লাশের মিছিল খোঁজার জন্য আর কোথায় যেতে হবে? যেখানে দুই শতাধিক লাশ পড়ে যায় সেটিকে লাশের মিছিল বলাই কি যথেষ্ট হবে? যে দেশে বা যে জনপদে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে শত শত মানুষের লাশ পড়ে যায়, সেই জনপদকে কি বলবো? মৃত্যুর উপত্যকা বলে যে কথাটি প্রচলিত আছে সেটির প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো আওয়ামী সরকারের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ আজ যেন এক প্রেতপুরী। এমন কি যখন এই কলামটি লিখছি, সেদিন অর্থাৎ শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের গুলীতে মারা গেছেন ৩ জন এবং সিরাজগঞ্জে ২ জন। খুলনায় ২ জন। অর্থাৎ গত শুক্রবার দেশে কোনো আন্দোলন ছিল না, ছিল না কোনো উত্তেজনা। তারপরেও একজন দু’জন নয়, ৭ জন মানুষ মারা গেলেন।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে রাজনৈতিক কর্মী গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশ এবং গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ৩ জন গ্রামবাসী নিহত হন এবং পুলিশের গুলীতে আহত হন আরো ৩০ জন। যারা নিহত হয়েছেন, তারা হলেন ওমরপুর গ্রামের ১৪ বছরের কিশোর ওয়ালিউলvহ, ২৫ বছরের যুবক রবিউল এবং ৪৫ বছর বয়স্ক মতিউর রহমান মতি। গ্রামবাসীর অভিযোগ, কানসাট পলx বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েক ব্যক্তিকে আসামী করে এবং তাদেরকে হয়রানি করে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ শুক্রবার রাত ৩টায় কয়েক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ র্যাব ও বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) একটি যৌথ দল ঐ এলাকায় পৌঁছলে গ্রামবাসী প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। তখন পুলিশ বেপরোয়া লাঠি চার্জ শুরচ করে। গ্রামবাসীও পাল্টা ইটপটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এই পর্যায়ে পুলিশ কোনরূপ পূর্বাহ্নিক সতর্কতা ছাড়াই গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলী ছুঁড়তে থাকে। পুলিশের বেপরোয়া গুলীবর্ষণের ফলে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত, ২০ জন গুলীবিদ্ধ এবং ৫০ জন আহত হন। ঘটনার পর গ্রামবাসী শিবগঞ্জ থেকে সোনা মসজিদ স্থল বন্দর পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেন। এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আজ রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জে হরতাল আহবান করা হয়েছে। একইদিন সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সকাল ৮টায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ বাহিনীর সাথে জামায়াতে ইসলামী ও যুবদলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন ২০ জন। যারা নিহত হয়েছেন তারা হলেন যুবদলের ফরিদুল ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর ইউনুস।
বেলকুচিতেও ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই ঘটনা। এখানেও পুলিশ স্থানীয় এলাকা ভিত্তিক গণঅভ্যূত্থানের কর্মীদেরকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় তারা আসামী ধরতে গেলে গ্রামবাসী প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই প্রতিরোধ ভাঙ্গার জন্য পুলিশের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব আনা হয়। অন লাইন বার্তা প্রতিষ্ঠান ‘আরটিটি এনের’ খবরে প্রকাশ, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বেড়া ইউনিয়নের জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে মৌপর, কল্যাণপুর, কান্দাপাড়া, সর্বতুলী ও ধুলদিয়া গ্রামের কয়েক হাজার গ্রামবাসী এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রচন্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীর এই বিক্ষোভের মুখে পুলিশ ও র্যাব গুলীবর্ষণ করলে ফরিদুল ও ইউনুস নিহত হন। এরপর পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
দুই.
এই দুইটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলী করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি - এই দুটি এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের গুলীতে ৫ জন নিহত এবং অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন। স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে যে গ্রামবাসী জেগে উঠছেন। বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় এলাকা ভিত্তিক গণঅভ্যূত্থান ঘটছে। প্রগতির বকন্দাজরা এটাকে বলছেন জামায়াতের তান্ডব। সারা বাংলাদেশে মাত্র দেড় মাসে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি পাখী শিকার করার মত গুলী করে দুই শতাধিক লোককে হত্যা করার পরেও সেটি পুলিশী বর্বরতা বা পুলিশী হত্যাকান্ড হয়নি। অর ২০০ লোক পুলিশের গুলীতে প্রাণ দেয়া সত্ত্বেও তাদের কাজটি হয়ে গেল তান্ডব। পাকিস্তান আমলেও দেখেছি যে পুলিশ বিক্ষোভ সমাবেশ বা মিছিলের ওপর গুলী করাতো দূরের কথা, লাঠি চার্জ করলে বা টিয়ারসেল মারলেও আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী পন্থীদের চোখে সেটি বিবেচিত হয়েছে পুলিশী জুলুম বা পুলিশী বর্বরতা হিসেবে। আর এখন জামায়াত-শিবির বা বিএনপির ক্ষেত্রে শত শত লোককে হত্যাকরার পরেও সেটি বিবেচিত হচ্ছে পুলিশের ওপর হামলা হিসেবে। প্রিয় পাঠক, আপনারাই বলুন, যারা হামলা করে তারা কি মারা যায়? নাকি যারা হামলার শিকার হয় তারাই মারা যায়? মানুষের বিচার বুদ্ধি কতখানি বিদ্বিষ্ট হলে যারা খুন হচ্ছে তাদেরকেই নিন্দা করা হয় এবং খুনীকে নির্যাতিত হিসেবে চিত্রিত করা হয়। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক প্রমুখ ভুলে যাচ্ছেন যে ‘এক মাঘে জাড় যায় না।’ উত্তরবঙ্গের অনেক এলাকায় শীতকে বলা হয় ‘জাড়’। অর্থাৎ এক মাঘে শীত যায় না। এক বছর পর শীত আবার ঘুরে আসে। আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতির যে উপাদান চালু করেছে, ক্ষমতায় যাওয়ার পর সেই সবগুলো উপাদানেরই তারা নিন্দাবাদ করেছে। হরতাল বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। সেই পাকিস্তান আমল থেকেই আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন থেকে শুরচ করে বেগম জিয়ার আমলে ১৭৩ দিনের হরতাল দিয়ে বিএনপি সরকারকে কাবু করেছে। বর্তমানে তারা যখন ক্ষমতায় তখন সেই ৪ বছর ৩ মাস অর্থাৎ ৫১ মাসে জামায়াত এবং বিএনপি মাত্র ২৫/২৬ দিন হরতাল দেয়ায় আওয়ামী ঘরানার লোকজন হরতালের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে ছেড়েছে।
তিন.
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং আব্দুল কাদের মোলvর রায়ের বিরচদ্ধে সরকার এবং অভিযুক্ত উভয়পক্ষই উচ্চতর আদালতে আপীল করেছে, তখন আপীল বিভাগের বিচারকে প্রভাবিত করার জন্য সরকার আপীল বিভাগে ৪ জন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছে। আপীল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ৭ জন। বর্তমানে সেখানে কর্মরত রয়েছেন ৬ জন। এই সরকার কিছুদিন আগে ঐ সংখ্যা বাড়িয়ে করেছে ১১ জন। সেদিন ৪ জন নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ফলে আপীল বিভাগে বর্তমানে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ জন। বিচার বিভাগে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে বিচারপতি হিসেবে কাকে নিয়োগ দেয়া হলো আর কাকে নিয়োগ দেয়া হলো না সেটা নিয়ে মানুষ সাধারণত মাথা ঘামান না। কিছু দিন আগে পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিল যে উচ্চ আদালতে নিয়োগের ভিত্তি হলো জেষ্ঠ্যতা এবং মেধা। কিন্তু আওয়ামী সরকার ক্ষতমায় আসার পর থেকেই বিচারক নিয়োগে এই দুটো মাপ কাঠিকেই জলাঞ্জলি দিয়েছে। এবার যে চার জনকে নিয়োগ দেয়া হলো তার ভিত্তি হলো ‘জোর যার মুলyক তার’। তা নাহলে জেষ্ঠ্যতার তালিকায় যাদের অবস্থান ৪১ এবং ৪২ নাম্বারে তাদেরকে আগের ৪০ জনকে ডিঙ্গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে প্রমোশন দেয়া হয় কিভাবে? উলেখ করা যেতে পারে যে আওয়ামী সরকার হাইকোর্ট বিভাগের ৪ জন বিচারপতিকে আপীল বিভাগে প্রমোশন দিয়েছেন। এরা হলেন, বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারচল হক, বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। এই নবনিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে বিচারপতি আনোয়ারচল হকের জেষ্ঠ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা বিতর্ক নাই। বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়ার অবস্থান পঞ্চম স্থানে। তার মাথার ওপরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিচারপতি নজরচল ইসলাম চৌধুরী। নজরচল ইসলামকে তিন ধাপ এগিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান মিয়া। আর যে ২ জন আপীল বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। জেষ্ঠ্যতার বিচারে তার অবস্থান ৪১ নম্বরে। অপর জন হলেন শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। তার অবস্থান ৪২ নম্বরে। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও শামসুদ্দীন চৌধুরীকে জেষ্ঠ্যতার নিরিখে তাদের মাথার ওপর অবস্থানকারী ৪০ জনকে ডিঙ্গিয়ে আপীল বিভাগে প্রমোশন দেয়া হয়েছে। ছোটখাট জেষ্ঠ্যতা অতীতেও যে একেবারে লংঘিত হয়নি, এমন নয়। কিন্তু তাই বলে ৪০ জনকে ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন দেয়ার এই ভয়াবহ খারাপ কাজটি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকার।
এ রকম অশ্রচতপূর্ব এবং নজিরবিহীন জেষ্ঠ্যতা লংঘনে দেশের সাধারণ শিক্ষিত মানুষ বিস্মিত হলেও হাল আমলের রাজনীতির ওপরে যারা নজর রাখছেন তারা মোটেই বিস্মিত হন নাই। কারণ তারা দেখছেন যে জামায়াতের শীর্ষ নেতা মওলানা সাঈদী এবং কাদের মোল্লার দন্ডাদেশের বিরচদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এবং সরকার পক্ষ উভয় পক্ষই আপীল করেছে। আইন মোতাবেক আগামী ২/৩ মাসের মধ্যেই এই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় দেয়ার কথা। এ ব্যাপারে সরকারের মনোভাব অত্যন্ত পরিষ্কার। তারা জামায়াতে ইসলামীর সকল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফাঁসি দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। সে জন্যই যখন কাদের মোলvর আদেশ হয় তখন সরকারেরই ইঙ্গিতে শাহ্বাগ মঞ্চ বানানো হয় এবং সেখানে কতিপয় নাস্তিক বগারকে দিয়ে ফাঁসির দাবি উত্থাপন করানো হয়। এই ফাঁসির দাবি উত্থাপনের পেছনে সরকারের একটি জিঘাংসাবৃত্তি কাজ করেছে। তারা দেখেছে যে ট্রাইব্যুনালের বিদ্যমান আইনে যাবজ্জীবনের আদেশ দেয়া হলে সেটিকে ফাঁসির আদেশে রূপান্তরের কোনো বিধান নাই। সেটি করতে হলে আই সংশোধন করতে হবে। সে জন্যই শাহবাগের মঞ্চ থেকে যখন ফাঁসির দাবি তোলা হয় তখন সেই দাবি বাস্তাবায়নের জন্য সরকার তড়িঘড়ি করে আইন সংশোধন করে। সেই সংশোধিত আইন অনুযায়ী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি চেয়ে সরকার আপীল করেছে। আপীল শুনানির আগেই এমন ৪ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে যাদের বিরচদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বার সমিতির এবং আগের দুইটি বার সমিতির প্রেসিডেন্টগণ মারাত্মক পক্ষপাত দুষ্টতার অভিযোগ এনেছেন। এদের মধ্যে শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিকের বিরচদ্ধে দৈনিক ‘আমার দেশ’ এবং ‘নয়া দিগন্তে’ অনেক গুরচতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন যে সরকারের ইচ্ছা মাফিক উচ্চ আদালতের রায়কে প্রভাবিত করার জন্যই জেষ্ঠ্যতা লংঘন করে হাসিনা সরকার নিজেদের পছন্দ মাফিক ব্যক্তিবর্গকে উচ্চতর আদালতে নিয়োগ দিয়েছে। এর শেষ পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটি দেখার জন্য রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ গভীর আগ্রহ নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন