আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আমি বহুবার বহু জায়গায় লিখেছি এবং ভবিষ্যতেও লিখেই যাবো যে মিথ্যার চাদর দিয়ে সত্যকে সাময়িক ভাবে হয়তো ঢেকে রাখা যাবে, কিন্তু চিরদিনের জন্য যাবে না। অমোঘ সত্যটি আরেকবার প্রতিষ্ঠিত হলো ইসলামী ছাত্রশিবির এবং জামায়াতে ইসলামীর বেলায়। সাম্প্রতিক কালে যেখানে যত অপকর্ম হচ্ছে, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগ হচ্ছে তার সব কিছুতেই জামায়াত ও শিবিরকে জড়িত করা হচ্ছে। অনেকটা রবীন্দ্রনাথের সেই কবিতার মত, ‘‘যা কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, কেষ্ট বেটাই চোর।’’ জামায়াত-শিবিরের বিরচদ্ধে কেষ্ট বেটার মত এই ধরনের ঢালাও অপবাদ দিয়ে আওয়ামী ওয়ালারা পার পেয়ে যাচ্ছে। কারণ ওদের হাতে রয়েছে পাওয়ারফুল প্রেস। একজন যা বলে ওঠে অন্যেরা ‘হুক্কা হুয়া’ বলে তার প্রতিধ্বনি তোলে। হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গেছে, তো সেই অপকর্মটি করেছে জামায়াত-শিবির। নারায়নগঞ্জের ১৫ বছরের মেধাবী কিশোর ত্বকিকে কেবা কারা খুন করেছে, সাথে সাথে দায়ী করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরকে। সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ৫৫ বছর বয়সী ছোট ভাই মিরাজকে খুন করে কে বা কারা রেল লাইনের পাশে ফেলে রেখে গেছে। সাথে সাথে দোষারোপ করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরকে। নাস্তিক বগার রাজীব হায়দারকে কে বা কারা তার বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সাথে সাথে খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরচ করে আওয়ামী মিডিয়া দল পাকিয়ে আওয়াজ করেছে যে এই অপকর্মটি জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির করেছে। আর কত উদাহরণ দেবো? আওয়ামী ঘরানার কথাবার্তা শুনে মনে হয় যে, দেশের সকলেই ভালো মানুষ হয়ে গেছে, শুধু মাত্র জামায়াত-শিবির ছাড়া। ১৬ কোটি মানুষের দেশে সব অপরাধ দূর হয়েছে। অপরাধ যেটুকু আছে, সেগুলো করছে ঐ জামায়াত-শিবির।
ছোটকালে শুনেছি যে কোনো ব্যক্তি জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে সে নাকি সব কিছু হলুদ দেখে। কথাটা ঠিক নয়। জন্ডিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সারা শরীর এমন কি চোখ পর্যন্ত হলুদ বর্ণ ধারণ করে। তাই বলে সে সবকিছুই হলুদ দেখে না। যাইহোক, সর্বত্র জামায়াতী জু জু দেখতে দেখতে ঘাদানিকের পালের গোদা শাহ্রিয়ার কবির এখন হেফাজতে ইসলামের মাঝেও জামায়াতের ভূত দেখতে পাচ্ছেন। তার বেয়াদবি এমন পর্যায়ে গেছে যে এই আওয়ামী দালালটি এখন সারা বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন আলvমা শফীকেও জামায়াতের ক্রীড়নক বলার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন। তবে আগেই যেমন বলেছি, নিরেট সত্যের আলোকবর্তিকা তেমনি অন্ধকারের বুক চিরে বেরিয়ে আসছে।
\ দুই \
গত শুক্রবার একটি মিছিল পূর্ব গণজমায়েতে নারায়ণগঞ্জে নিহত মেধাবী ছাত্র ত্বকির পিতা রফিউর রাবিব বলেছেন যে তার ছেলেকে জামায়াত-শিবির হত্যা করেনি। তার ছেলেকে হত্যা করেছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। তিনি বলেন, বাসা ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদ করা এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে কাজ করার জন্যই শামীম ওসমান তার ছেলেকে হত্যা করেছে। শামীম ওসমানের প্রভাবে এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই হত্যাকান্ড এখন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে এই হত্যাকান্ডের দায়ে গত শুক্রবারের সমাবেশে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ঐ গণজামায়েতে ত্বকির পিতা বলেন, ‘‘শুনেছি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনকে ডেকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে।’’ শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে ত্বকির পিতা বলেন, ‘‘আপনি নারায়ণগঞ্জবাসীকে জামায়াত-শিবিরের ভয় দেখান। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের আগে মন্দিরের মূর্তি ভেঙ্গে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে শামীম ওসমানকে ভোট না দিলে মন্দির রক্ষা হবে না। অথচ আপনার শ্বশুর জামায়াতে ইসলামীর রচকন। আপনি সাংবাদিকদের নাম ধরে বলেন তারা নিরাপদ নয়। তারা নাকি জামায়াতিদের হিট লিষ্টে রয়েছে। আপনার লোকেরা কি তাদের হত্যা করে জামায়াত-শিবিরের ওপর দোষ চাপাবে?’’ নিহত ত্বকির পিতা রফিউর রাবিব শামীম ওসমানের বিরচদ্ধে আরেকটি গুরচতর অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মহল্লায় গড়ে ওঠা টর্চার সেলে রাতে গুলী আর মানুষের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। সেদিন বেশী দূরে নয় যে দিন জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই সব টর্চার সেল গুঁড়িয়ে দেবো।’’
মেয়র আইভী বলেন, ‘‘ত্বকিকে হত্যা করে আপনি কাপুরচষতার পরিচয় দিয়েছেন। আপনি কেনো এই নিষ্পাপ শিশুটিকে হত্যা করলেন? আমার পক্ষে তার বাবা নির্বাচনে কাজ করেছে বলে? সাহস থাকলে সামনে এসে আমাকে হত্যা করেন। আপনার ছেলে ফেসবুকে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আজেবাজে কথা লেখে। আপনারা কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে এসে নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবেন, তা হবে না। তিনি বলেন, আর যদি কেউ সন্ত্রাসের শিকার হয় তাহলে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে আমি সন্ত্রাসীদের হাত কেটে দেবো। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মেয়র আইভী বলেন, আপনি পাবনায় আপনার নিজের এলাকায় গিয়ে কাজ করচন। আর প্রকৃত চিত্র যদি দেখতে চান তাহলে নারায়ণগঞ্জে এসে টর্চার সেলগুলো দেখে যান। জেনে যান কারা সেগুলোকে পরিচালনা করছে।
\ তিন \
প্রিয় পাঠক, নারায়ণগঞ্জের এই খবর আমরা বিস্তারিত ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। দেশবাসী দেখুন, আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার কতদূর সীমা ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের মৃত্যু এবং রক্ত নিয়েও দলীয় রাজনীতি করতে এদের বিবেকে বাধে না। যে ভাবে ত্বকির হত্যাকান্ড নিয়ে মেয়র আইভী এবং ত্বকির পিতা শামীম ওসমানকে সরাসরি দায়ী করছেন তারপর বিচার আচারের প্রশ্ন নেহায়েৎ আনুষ্ঠানিকতা হয়ে দাঁড়ায়। অথচ এতবড় একটি বীভৎস ব্যাপারের দায় দায়িত্ব কি ভয়ংকর ভাবে জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।
জাতীয় পর্যায়েও আওয়ামী ঘরানা ডাহা মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর সারাদেশে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটে সেই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টিকারীরা অনুপ্রবেশ করে। তারা সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের সহায় সম্পত্তি এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা করে এবং সেগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। অথচ এসব ভয়াবহ কাজের অপবাদ তারা জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। তারা নিজেদেরকে গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আইনের শাসনের সোল এজেন্ট বলে জাহির করে। অথচ সংখ্যালঘুদের জান এবং মালের ওপর যে হামলা হয় তার জন্য আসলে কারা দায়ী সে বিষয়ে কোনরূপ তদন্ত করার প্রয়োজনও তারা অনুভব করেন নি। কোনরূপ তদন্ত ছাড়া তারা এসব অপকর্মের সমস্ত দায় দায়িত্ব জামায়াত এবং শিবিরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। আগেই বলেছি যে এ ব্যাপারে তাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া। তারাও বশংবদ মিডিয়ার মত আওয়ামী তোতাপাখীর মত জামায়াত শিবির বিরোধী কোরাস গাইতে থাকে।
কিন্তু তাদের উন্মাদ প্রচারণার বেলুন ফুটো করে দিয়েছেন স্বয়ং ১৮ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া। গত শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি ঘর এবং মন্দির পরিদর্শন করেন বেগম জিয়া। সেখানে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসমাবেশে বেগম জিয়া আওয়ামী লীগের মিথ্যাচারের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেন। তিনি বলেন, সরকারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই ওরা শাহ্বাগ ইস্যু সৃষ্টি করেছে। কিন্তু জনগণ শাহবাগীদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য এবং নতুন ইস্যু পয়দা করার জন্য ওরা লৌহজংয়ের কালীমন্দিরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের সহায় সম্পত্তি এবং উপাসনালয়সমূহে হামলা করছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে রামু এবং উখিয়ার বৌদ্ধ মন্দিরে যারা হামলা করেছিল সেই হামলার পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী তার বিদেশ সফরের সময় সফর সঙ্গী করেছিলেন। তিনি বলেন, শাহবাগে আন্দোলনকারী যুবকরা নিরপেক্ষ নয়। তারা আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মী। তারা নাস্তিক। তারা হিন্দু, বৌদ্ধ, ইসলাম কোনো ধর্ম মানে না। আল্লাহ-রাসূল (সাঃ) কিছুই মানে না। তারা বিচার নিয়ে খেলা শুরচ করেছে। তারা রায় মানে না, আদালত মানে না। রাস্তা অবরোধ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের বিরচদ্ধে কুৎসা সৃষ্টি করছে। এরকমভাবে দেশে বিদেশে বিচার হয় না। যে অপরাধী, দলমত নির্বিশেষে তাকে শাস্তি পেতে হবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, মানুষ যখন এদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তখন তারা মন্দির ভাঙ্গা শুরচ করেছে। এর আগে তারা রামুতে মন্দিরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এসব আওয়ামী লীগ করেছে। অপরাধীর বিচার না করে পুরস্কৃত করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আর যদি একটি মন্দির ভাঙ্গা হয়, এর কঠোর বিচার হবে। জনগণ প্রতিরোধ করবে।
শাহবাগে তরচণদের কী দাবি? সারাক্ষণ গান নাচ করছে। তাদের মুখে দেশের কথা নেই, দুর্নীতির বিরচদ্ধে কথা নেই, সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ নেই, শিক্ষা ব্যবস্থার কথা নেই। তারা আছে শুধু ফাঁসি ফাঁসি নিয়ে। তাদের টাকা দেয়া হচ্ছে, পাহারা দেয়া হচ্ছে। নাস্তিকদের পুলিশ দিয়ে পাহারা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মসজিদে তালা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ দাঁড় করিয়ে মুসলিদের ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
\ চার \
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং সেই সাথে শুধু মাত্র ১৮ দলীয় জোটই যে এই সরকারের বিরোধিতা করছে তাই নয়, দেশের প্রায় সবশ্রণীর আলেম-ওলামা সরকার বিরোধিতায় মাঠে নেমে গেছেন। দেশের ওলামা-মাশায়েখরা সাধারণত প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন না। কিন্তু হাসিনা সরকার শুধু যে নাস্তিক বগার এবং ইসলামবিদ্বেষী বাম বুদ্ধিজীবীদেরকেও মাঠে নামিয়েছে তাই নয়, ওলামা মাশায়েখদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য কয়েকজন চিহ্নিত আওয়ামী ওলামা ছাড়াও একজন ছদ্মবেশী মওলানাকে মাঠে নামিয়েছে। তিনি হলেন শোলাকিয়ার ঈদগাহ্র সরকার নিযুক্ত ঈমাম মওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ। এই মওলানাকে সামনে রেখে আগামী ২৩ মার্চ সরকার শাপলা চত্বরে শাহবাগীদের সমর্থনে এক মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে। সেই মহাসমাবেশে নাস্তিক বগারদের পক্ষে দালালী করবেন ফরিদ মাসউদ। এই খবরে ওলামা মাশায়েখরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ্র পরিচালনা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে অতঃপর তারা আর ফরিদ মাসউদের পেছনে নামাজ পড়বেন না। এই ব্যক্তিকে শোলাকিয়ার ঈমামের পদ থেকে বহিষ্কার করার জন্য তারা সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়া ঢাকার ওলামা মাশায়েখরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আগামী ২৩ মার্চ ১০ হাজার আলেম কাফনের কাপড় পরে শাপলা চত্বরে দালাল মওলানা মাসউদকে প্রতিহত করবেন। ঐ দিকে হেফাজতে ইসলাম শাহবাগীদেরকে সারা বাংলাদেশেই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আলvমা শফীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক কামরাঙ্গির চরের আলেম-ওলামারা ২৩ মার্চ শাপলার প্রস্তাবিত নাস্তিকপন্থী সমাবেশকে প্রতিহত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এতোদিন পর্যন্ত জামায়াত শিবিরকেই সব অনিষ্টের ‘নন্দ ঘোষ’ ঠাওরানো হয়েছিল। কিন্তু সত্যের আলো যতই ফুটে বের হচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এখন আর রবীন্দ্রনাথ বর্ণিত ‘কেষ্ট বেটা’ নয়। খোদ আওয়ামী লীগ এবং তাদের চেলা চামুন্ডারাই হলো কেষ্ট বেটা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন