দেশের প্রতিটি যুক্তিশীল মানুষই মানবতাবিরোধী বর্তমান-অতীত সকল অপরাধের বিচার চায়। আমরা চাই প্রকৃত যুদ্ধাপরাধের বিচার হোক। বিচার হোক সাগর-রচনি হত্যার। বিচার হোক পদ্মা সেতু দুর্নীতির। বিচার হোক সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনের চাপা পড়া রেল দুর্নীতিসহ বাকি সকল অপরাধের। যে বিচার হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার সুপ্রিমকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি ওয়ারেন ই. বার্জারের একটি উক্তি মনে পড়ছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিচারকরা বিচার করেন আইনের ভিত্তিতে, কোনো জনমতের ভিত্তিতে নয়। তাদের সকল সময়ের সকল চাপ থেকে দূরে থাকা উচিত’’। কিন্তু সমস্যা হলো, বর্তমান সরকারের গঠিত এই ট্রাইব্যুনালের রায়ে সরকারপক্ষ বা বিরোধীপক্ষ কেউ যখন সন্তুষ্টু হতে পারে না, তখন পুরো বিচারব্যবস্থাই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক বা ইসলামী সকল রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি মৌলিক উপাদান আইনের শাসন। আর তা নিশ্চিত করে একটি দেশের আইন প্রয়োগ সংস্থা ও বিচারবিভাগ। এর ব্যত্যয় ঘটলেই তৈরি হয় মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা। দেশে শুরচ হয় অরাজকতা।
যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোলv ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় নিয়ে দেশে ৫ মার্চ পর্যন্ত ১৫৫ জন মানুষকে হত্যা করা হয়। সারাদেশে অপ্রতিহত গতিতে চলছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে রাজনৈতিক গণহত্যা। মনে হচ্ছে দেশ এক বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আটক রাজনৈতিক নেতাদের ফাঁসির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলন শুরচর পর ৫ ফেব্রচয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ১৫৫ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ র্যাব-পুলিশ-বিজিবি এবং সরকারি দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের গুলীতে নিহত হয়। এদের মধ্যে ১২৩ জন নিহত হয় ২৮ ফেব্রচয়ারি থেকে ৪ মার্চ, ২০১৩ পাঁচ দিনে পুলিশ ও সরকার সমর্থক পেটোয়া বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের হাতে।
পুলিশী হামলায় এত কান্না, এত রক্ত, এত মৃত্যু স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের মানুষ আর কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। মানুষ মরছে। তাই সে যে দলেরই হোক, আওয়ামী লীগের হোক বা জামায়াতের। মরছে আমাদের ভাই, বোন, আত্মীয় অথবা বন্ধু! দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম এ রাজনৈতিক গণহত্যা চলতে থাকলেও রহস্যজনকভাবে নীরব তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডাক্তার ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে বগার এন্ড অনলাইন একটিভিস্ট-এর ব্যানারে কাদের মোলvর রায়ের পর থেকে তারা সকল যুদ্ধাপরাধীর একমাত্র ফাঁসির দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু, মাওলানা সাঈদীর রায়ের সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে শুরচ হয় স্বাধীনতা পরবর্তী সবচেয়ে বড় পুলিশ-ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ বনাম জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ। ফেব্রচয়ারি মাসে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার (কমিশনার) ‘দেখা মাত্র গুলীর’ আদেশের বাস্তবায়ন বুঝি জাতি দেখল মার্চের ১ থেকে ৬ তারিখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য হলো, কোনো কিছু করেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা যাবে না। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো যাবে না।২ অন্যদিকে, পুলিশের সাধারণ মানুষের মিছিলের ওপর হামলা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, সরকার সারাদেশে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে। দেশে আবার চলছে ‘পৈশাচিক গণহত্যা’।৩ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম নিয়ে জাতিকে সংঘাতের পথে ঠেলে দিয়ে এবং নিজের দেশের নাগরিকদের ওপর বর্বর হত্যাকান্ড চালিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে চান।
এ পরিস্থিতি থেকে কোনো সুস্থ মানুষই স্বীকার করবে না যে, দেশে আইনের শাসন বলে কিছু আছে। মিছিল হলেই গুলী, চাই সে অরাজনৈতিক হোক, আর রাজনৈতিক হোক। বিরোধী ও ইসলামী দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে টইটম্বুর দেশের জেলখানাগুলো। সম্পূর্ণ বিনা বিচারে কোনো মামলা ছাড়াই মানুষকে পুরে রাখা হচ্ছে জেলে। কাউকে দমাতে না পারলে তাকে পুলিশ আগে আটক করছে। পরে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে অন্যায় না করলেও স্বীকারোক্তি নিয়ে কেস দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যেন পরিণত হয়েছে আরব বসন্তপূর্ব পুলিশীরাষ্ট্র তিউনিশিয়ায়। এমন মানবাধিকারের লঙ্ঘন পৃথিবীর খুব কম দেশেই আজ বিদ্যমান। বিচারের বাণী যেন নিভৃতে কাঁদে।
দেশের আইনের প্রতি, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বিরোধী দল বা সরকারি দলেরও নেই। সরকারের নিজের তৈরি ট্রাইব্যুনাল সরকারের মনোপুত রায় না দিলে, সে রায় আর সরকারও গ্রহণ করছে না। মানবতাবিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের রায়ে হতাশা প্রকাশ করেন সরকার ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। স্কাইপে কেলেঙ্কারিতে এমনিতেই এ ট্রাইব্যুনাল প্রশ্নবিদ্ধ, আর কাদের মোল্লার রায়ের পর বাদী-বিবাদী উভয়ের রায়কে অগ্রহণযোগ্য মনে করায় প্রশ্নটা আরো বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার রায়ে পুরো জাতির সাথে আমরাও সন্তুষ্ট হতে পারিনি।
বিচার বিভাগের ভূমিকা আর আওয়ামী লীগের ও প্রজন্ম চত্বরের ডা. ইমরান এইচ সরকারদের সকল যুদ্ধাপরাধীর শুধু ফাঁসির দাবি বাস্তবায়নের কাজ সরকার বিচার বিভাগের কাছে না দিয়ে র্যাব বা পুলিশের হাতে ছেড়ে দিলে বিচার বিভাগের গায়ে আর কলঙ্ক লাগতো না! পুলিশ-র্যাব এতো মানুষকে গুলী করে মারছে আর এ তিন-চার জনকে হত্যার দায়িত্ব কেন বিচার বিভাগের কাছে দেয়া হলো? না-কি বিচারের চেয়ে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ফায়দা লোটাই এ লোক দেখানো রাজনৈতিক বিচারের প্রধান উদ্দেশ্য।
১৫ ফেব্রচয়ারি বগার রাজীব হত্যার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার ও তার সহকর্মীদের ইসলামবিরোধী বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী ফুঁসে ওঠেন ইসলামপ্রিয় মানুষ। জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের সব ইসলামী দলই এসব বগারের ইসলামবিরোধী তৎপরতার বিরচদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ফেব্রচয়ারি ইসলামী ও সমমনা দলগুলো নাস্তিক বগারদের গ্রেফতার দাবিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিক্ষোভ করে। এ বিক্ষোভ মিছিল রাজপথে নামলে গুলী চালায় পুলিশ। ইসলামপ্রিয় মানুষের ক্ষোভ আরো বাড়তে থাকে। সরকার বগারদের ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডকে সমর্থন দিলে সরকারের বিভিন্ন বড় দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদী নীতির বিরুদ্ধে মানুষের জমে থাকা ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি ঢালা হয়। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নাস্তিক রাজীবকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ‘প্রথম শহীদ’ উপাধি দেয়াকে মুসলিমরা প্রধানমন্ত্রীর ইসলামের বিপক্ষ নেয়া হিসেবে ধরে নেয়। প্রধানমন্ত্রী ভুলে গিয়েছিলেন মুসলমানদের ধর্মের ওপর আঘাত আসলে, তাও সাম্প্রদায়িক আঘাত হয়। শুধু হিন্দু বা খ্রিস্টানদের ধর্মে আঘাত হলে সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন হয় না। সংখ্যালঘিষ্ঠদের অধিকার নিয়ে সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যতটা সচেতন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের অধিকার নিয়ে তারা যেন ততটাই উদাসীন। তা না হলে, রাজীবের মতো সাম্প্রদায়িক নাস্তিক কীভাবে ‘প্রথম শহীদ’ উপাধি পায় এ দেশে? এটা কি মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না? আর এর প্রতিবাদ করতে গেলে মসজিদের মুসল্লিদেরও বানিয়ে ফেলা হয় রাজাকার। আর আওয়ামী নীতিতে রাজাকার হত্যা করলে তো আইনের শাসন বা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না!
দেশে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ ও পুলিশের নির্বিচারে গুলীবর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’। সংস্থাটি বলে, নির্যাতনের ক্ষেত্রে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা সত্ত্বেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নির্যাতন এবং তাদের দায়মুক্তি বন্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বরং মানবাধিকার লঙ্ঘনে তাদের আরও উৎসাহিত করা হয়েছে। সংস্থাটি ফেব্রচয়ারি মাসের প্রতিবেদনে বলে, ফেব্রচয়ারি মাসে ৩৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডর শিকার হয়েছেন। শাহবাগের ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ নামে দলীয় সমাবেশ থেকে ভিন্নমতাবলম্বী পত্রিকা আমার দেশ, নয়া দিগন্ত এবং ভিন্নমত পোষণকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। সংস্থাটির রিপোর্টে বগে আলvহ ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি, ঐ ঘটনার জের ধরে সহিংসতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, সভা-সমাবেশে বাধা, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারিকেও মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উলেখ করা হয় (দৈনিক আমার দেশ : ০২/০৩/২০১৩)। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় সরকারকে দায়ী করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকেও আপত্তি তোলা হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গভীর উদ্বেগ জানান। ২ ফেব্রচয়ারি ২০১৩ জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি জাতীয় প্রক্রিয়া, তাই এ বিষয়ে আইনের শাসনের প্রতি সব পক্ষের সম্মান দেখানো উচিত। সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ মতামত দেয়া উচিত।
ইসলামবিদ্বেষী বগারদের বিরচদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন এবং শাহবাগ আন্দোলন যখন সমান্তরালভাবে চলছে, হামলা-মামলায় দেশবাসী সন্ত্রস্ত, তখন সবকিছুকে ছাপিয়ে ‘বোমা’ ফাটাল একটি ভারতীয় গণমাধ্যম ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’। ২৬ ফেব্রচয়ারি এ পত্রিকাটির শীর্ষ শিরোনাম ছিল- ‘প্রটেস্টারস অ্যাট শাহবাগ ইন বাংলাদেশ ব্যাকড বাই ইন্ডিয়া’। অর্থাৎ শাহবাগের আন্দোলনে ভারতের মদত রয়েছে। স্বভাতই এ খবরটি বাংলাদেশের বিভিন্নমুখী চলমান আন্দোলনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে ভারতীয় মদদের বিষয়টি। অন্যদিকে, নতুন প্রজন্মের সেক্যুলার নাস্তিকরা যখন অসাম্প্রদায়িকতার আড়ালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের ধর্ম ইসলাম নিয়ে বিষোদগার চালিয়ে যাচ্ছে, তখন সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় কথা বলতে এসে আমার দেশে’র সম্পাদক ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়ে গেলেন মৌলবাদী ও নব্যরাজাকার। সরকার তাকে শুধু গৃহবন্দী রেখেও সন্তুষ্ট নয়। তার বিরচদ্ধে দেয়া হলো পাঁচটি কেস ও দৈনিক আমার দেশ বন্ধের হুমকি। বিপরীতক্রমে, নাস্তিকদের দেয়া হলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। তাদের বিরচদ্ধে ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্রী মন্তব্য করার প্রমাণ পাওয়ার পরও এ সবের বিরচদ্ধে একটি তদন্ত কমিটিও করা হলো না। আর প্রতিবাদকারী মুসল্লিলদের ওপরে চালানো হলো হিংস্র পুলিশী নির্যাতন ও গুলী। কেড়ে নেয়া হলো ইসলামপ্রিয়দের প্রাণ। জামায়াত-শিবির-বিএনপি যে সকল জ্বালাও-পোড়াও কর্মকান্ড করেছে, তাও সমর্থনযোগ্য কিছু নয়। তবে বিরোধী দলগুলো যা করেছে গত দেড়-দু’মাসে তা ছিল বিতর্কিত ট্রাইব্যুনালের রায় ও প্রজন্ম চত্বরের নাস্তিকদের ইসলাম অবমাননার প্রতিক্রিয়ার ফল। অর্থাৎ সরকার ও সরকার সমর্থকরা কিছু বিতর্কিত ক্রিয়া করেছে আর বিরোধী দলগুলো তার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সে অর্থে ক্রিয়াকারীর দায়ই বেশি। আমাদের স্মরণ রাখা উচিত, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি বিরচদ্ধাচরণ করে কোনো ফিরআউন-নমরচদরাও টিকে ছিল না। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যদি মনে করে মুসলমানদের মানবাধিকার নেই, তাহলে ভুল করবে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন এখন দিলে, তাদের জনপ্রিয়তার বেহাল দৃশ্যটা আধুনিক ইতিহাসের ডিজিটাল ক্যানভাসে এক করচণ কাহিনী রচনা করবে বলে মনে হয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন