মোঃ রাশেদুল হাসান আমিন : বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ১৮ মার্চ সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি আরো ৫ দফা দাবিতে ঐ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তারা। এ ব্যাপারে বিজেপির ত্রিপুরা রাজ্যের প্রেসিডেন্ট সুনীল দাসগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর অবিরাম সহিংসতা দেখে আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। তিনি দাবি করেন বাংলাদেশে নাকি হিন্দুদের কোন নিরাপত্তা নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৪২ বছর পেরিয়ে গেলেও এ দেশে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ছোট বা বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ইতিহাস তাই বলে। অথচ সুনীল দাবি করলেন এখানে নাকি হিন্দুদের ওপর অবিরাম সহিংসতা চালানো হচ্ছে। আর যেই বিজেপি সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের রাজধানী অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেয় সেই দলটি নিজেই যে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিশ্বে সমালোচিত তা বেমালুম ভুলে গিয়েছে। তাছাড়া এ ধরনের ঘোষণা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত। অথচ তাদের এই ঘোষণার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়াই জানানো হলো না। অনেক বিজ্ঞজনই মনে করেন, এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা বক্তব্য থাকা উচিত ছিল।
বিজেপির কর্মকাণ্ড : ৯০’র দশকের শেষের দিকে উগ্র হিন্দু মৌলবাদী দল বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির ব্যাপারে চরমপন্থী উগ্র হিন্দুদের অবস্থান জোরদার হয়। দলটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসসহ সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ডগুলোর জন্য দায়ী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিদের বির”দ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। অথচ সেই দলই বলছে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে।
ভারতে সাম্প্রদায়িকতা : বিগত বছর উগ্র হিন্দুদের হাতে ভারতে একটি মুসলিম পরিবারের ৬ সদস্য নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। উগ্র হিন্দুরা অন্ধ্র প্রদেশের ঐ মুসলিম পরিবারের ৬ সদস্যকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। এ সব হামলার পর ভারতের প্রশাসনকেও নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমান ও খৃস্টানরা বহু বছর ধরে উগ্র হিন্দুদের হামলার শিকার হয়ে আসছে। সম্প্রতি উগ্র হিন্দুর উড়িষ্যা ও কর্ণাটকসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে খৃস্টানদের গীর্জায় আগুন দেয় এবং প্রায় ৪০ জন খৃস্টানকে হত্যা করে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর ওপর মৌলবাদী হিন্দুদের হামলা ভারতের সরকারগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।
এছাড়াও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের সাথে ঐ সব বিষয়গুলো বেমানান হলেও নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা ও ধ্বংসের মত তাণ্ডবের ঘটনা সেখানে প্রতিনিয়তই ঘটছে। আর সরকার এগুলো নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ।
সম্প্রতি বোড়ো উপজাতির অমুসলিম জঙ্গিরা সংখ্যালঘু মুসলিম গ্রামগুলোতে হামলা চালিয়ে তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সমস্ত বর্বরতায় প্রাণ হারাচ্ছে মুসলমানরা। কোকরাঝর এলাকয় ৪ বোড়ো যুবক নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ সব সহিংসতা চালায় জঙ্গিরা। হিন্দু জঙ্গিরা মুসলমানদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ ও হত্যা করে। এছাড়াও খৃস্টান জনগোষ্ঠীও মাঝেমধ্যেই হামলার শিকার হয় উগ্র হিন্দুদের দ্বারা। ভারতের অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে মুসলমানরা ধর্ম পালনে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে না।
এছাড়াও আসামে সাম্প্রদায়ক দাঙ্গায় প্রায় শ’খানেক লোক নিহত ও দেড় লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়।
১৯৪৭ সাল থেকে বিংশ শতাব্দীর শুর” পর্যন্ত ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার একটি আংশিক চিত্রে দেখা যায় উপরোক্ত সময়ে শুধু বড় বড় দাঙ্গায়ই ২৬ হাজার লোক নিহত হয়েছে। ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ৪৭-এর আগেও হয়েছে এখনও হচ্ছে। অর্থাৎ ভারতের দাঙ্গা কখনোও বন্ধ হয়নি।
গণতন্ত্রপন্থী হওয়ার দাবিদার কংগ্রেসের সময়ই অধিকাংশ দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে।
ভারতে ঘটে যাওয়া সমস্ত বড় বড় দাঙ্গায় উগ্র হিন্দুবাদী রাজনীতির ধারক বিজেপি ও তার সমর্থিত সংঘ পরিবার জড়িত ছিলো। বিজেপির বড় নেতা নরেন্দ্রমোদি গুজরাটে যে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিলো তার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। প্রধান আসামী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নির্দোষ প্রমাণিতও হয়েছেন। অথচ গুজরাট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই নরেন্দ্রমোদি।
আজ সেই উগ্র হিন্দু মৌলবাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে ভারত এতসব ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক ঘটনায় নির্বিচারে মুসলমানদের ওপর নিধনকর্ম চালানোর পরও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমনকি সরকারিভাবে কোনো নিন্দামূলক বিবৃতিও ভারত সরকারের কাছে পাঠানো হয়নি। বরং কিছু ইসলামী সংগঠন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছিলো ঐ সব ভারতীয় সাম্প্রদায়িক হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে। আর বিজেপির মত উগ্র মৌলবাদী একটি রাজনৈতিক দল আজ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বর্তমান সরকারের অতি ভারত ভক্তিই এর অন্যতম কারণ।
মিডিয়া সমাচার:
অতি সম্প্রতি অর্থাৎ সপ্তাহ তিনেক আগে কলকাতার আশেপাশে ছোটখাটো এক দাঙ্গা হয়। সে সময় উগ্র হিন্দুরা এক ইমামকে হত্যা করে, শুধু বিবিসি এ খবর প্রচার করেছিলো। অথচ কলকাতা বা অন্যান্য অঞ্চলের কোন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সে খবর খুঁজে পাওয়া যায়নি, এর একটিই উদ্দেশ্য ছিলো দাঙ্গা দমিয়ে রাখা। অথচ আল্লামা সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সহিংসতা সংঘটিত হলো সে ব্যাপারে অধিকাংশ মিডিয়া যে খবর প্রচার করেছে তা সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দেয়ার জন্য করা হয়েছে বলেই মনে হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর দেশব্যাপী মানুষ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করতে গেলে তা পুলিশের আক্রমণে সহিংসতায় রূপ নেয়, এসব ঘটনায় দেড় শতাধিক লোক পুলিশের গুলীতে নিহত হয়। এছাড়াও সংঘর্ষে ৬ পুলিশ ও বেশ কয়েকজন আ’লীগ নেতাকর্মীও নিহত হয়। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে বেশ কিছু জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন, তাদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয় এর দ্বারা আক্রান্ত হয়। এসব ঘটনাকে খোদ ভারতীয় বিশেষজ্ঞরাই রাজনৈতিক হিসেবে অভিহিত করলেও বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো ছিলো ঠিক তার বিপরীত। এসব ঘটনার এক অংশ তারা দেখেছে। আর অন্য অংশটি বেমালুম চেপে গেছে। উস্কে দিয়েছে সবকিছু। কিছু কিছু মিডিয়া সরাসরি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টাতেও রসদ সরবরাহ করেছে। রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে তারা একপেশে খবর ছেপেছে। এতে করে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিন্ন বার্তা গেছে বিশ্বে। ফলশ্র”তিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অথচ বাংলাদেশের জনগণ অসাম্প্রদায়িক। এটি প্রমাণিত। রাজনৈতিক কারণে প্রতিহিংসার রাজনীতি তারা গ্রহণ করলেও সাম্প্রদায়িকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দেয়নি। হিন্দুদের ওপর হামলার পর জামায়াতকে দায়ী করা হলেও এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয় মিডিয়াগুলো। জামায়াতের পক্ষ থেকেও হামলায় জড়িত না থাকার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। তারা ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এসব ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। জামায়াত জড়িত থাকলে পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করছে না প্রশ্ন সেখানেই। অনেকেই বলছেন, কোন ঘটনা ঘটলেই জামায়াতের ওপর চাপিয়ে দেয়া সরকার ও মিডিয়াগুলোর একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে।
আউটলুক ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে ভারতের খ্যাতিমান সম্পাদক, লেখক, কলামিস্ট ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এসএনএম আবদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশে কোন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে এমন তথ্য ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কোন কূটনীতিকের কাছে নেই। রাজনৈতিক কারণেই মূলত তারা বিরোধীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সবচেয়ে ভালো দিকটি হল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে দলটি কোন হিন্দুকে টার্গেট করে না। যেখানে ভারতে হিন্দুবাদী কিছু সংগঠন মুসলমানদের নিয়মিত টার্গেটে পরিণত করছে। জামায়াতের এসব দিক যে মিডিয়াগুলো চেপে যাচ্ছে তাও উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশে সংঘটিত এসব রাজনৈতিক সহিংসতাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ১৯৭১ সালের সাথে তুলনা করেছেন। বাস্তব অবস্থা কি তাই? রাজনৈতিক মতপার্থক্য ও বিরোধিতা মানেই কি স্বাধীনতার বিরোধিতা।
নিরপেক্ষ বিশ্লেষকদের মতে, সমস্যাটি রাজনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে। সুতরাং মিডিয়াগুলোর খবর প্রচারের ক্ষেত্রে আরো সাবধানী হওয়া উচিত। মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে বাধ্য। মিডিয়াগুলো জামায়াতকে দায়ী করে একপেশে খবর প্রচার করলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, হামলার ঘটনায় সরকার তাদের পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনাস্থলগুলোতে প্রশাসন ছিলো নির্বিকার।
ওইসব হামলার ঘটনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে অপরকে দোষারোপ করার প্রেক্ষাপটে হিন্দুসম্প্রদায়ের মানুষরা সামনের দিনগুলোতে তাদের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি শঙ্কিত। তাছাড়া আসল অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ অভিযোগ করে বলেন, সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা, তাদের জমি জোরপূর্বক দখল ও হামলার ঘটনায় সরকারদলীয় লোকজন জড়িত থাকার অভিযোগ পাচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা সরাসরি কাউকে দোষারোপ না করলেও ঢাকায় অবস্থিত সরকারপন্থী সংখ্যালঘু নেতারা এসব ঘটনার জন্য অভিযোগ তুলছেন জামায়াত ও বিএনপির সমর্থকদের বির”দ্ধে।
স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা প্রকাশ্যে বলতে চাইছেন না কারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত। মূলত এসব ঘটনায় সরকার সমর্থিত লোকজন জড়িত বিধায় তারা তাদের বির”দ্ধে অভিযোগ তোলার সাহস পাচ্ছেন না।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুব্রত চৌধুরী বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা প্রশ্ন করতে চাই এ ধরনের হামলার ক্ষেত্রে কি সরকারের মদদ আছে? যদি না থাকে তাহলে তাদেরই প্রমাণ করতে হবে এসব হামলায় কারা জড়িত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের দাবি এই পর্যন্ত ২০টি জেলায় ১৫০০ বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা হয়েছে।
এসব ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সহিংসতা, “যাতে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে এবং এদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী”, এমতাবস্থায় মিডিয়াগুলোর উস্কানি ও একপেশে সংবাদ পরিবেশনা আর ভারতের উগ্র মৌলবাদী দল বিজেপির ঢাকামুখী লংমার্চ একই সূত্রে গাঁথা নয়কি? কেননা ভারতের বহুসংখ্যক হিংসাত্মক সাম্প্রদায়িক ঘটনার জন্য যেমন দায়ী বিজেপি তেমনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দাঙ্গা উস্কে দেয়ার কাজে দেশীয় মিডিয়াগুলো রেখেছে নেতিবাচক ভূমিকা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন