মিনা ফারাহ
মানবতাবিরোধীদের বিচার যে খালেদা জিয়া বাধাগ্রস্ত করছেন, তিনটি রায় দেয়ার পরেও বারবার একই প্রশ্ন তুললেই হবে না সাথে সাথে তথ্য-প্রমাণও হাজির করতে হবে। অন্যথায় একই অভিযোগ প্রায় প্রতিটি বক্তৃতায়ই করলে মনে হওয়াই স্বাভাবিক, আমাদের সন্দেহই ঠিক। বিচার প্রতিহিংসামূলক।
অপার সঙ্কটে হাসিনা
সরকার যদি মনে করে বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে না, তাহলে রাষ্ট্রবিরোধী বিপ্লব সমর্থন করেই ইমরান মঞ্চের দাবি মেনে নিচ্ছে। তাদেরই কথামতো কাদের মোল্লার রায়ের পরে আইন সংশোধন করেছে। আর যদি মনে করে, সরকার ন্যায় এবং সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমেই কাদের মোল্লার শাস্তি দিতে পেরেছে, তাহলে প্রথম সপ্তাহেই ইমরান সরকারকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে গ্রেফতার করা উচিত ছিল।
প্রসিকিউশন যেভাবে মামলা তৈরি করছে, শুনানি করছে, সাী-সাবুদ আনছে, বিতর্ক করছে… সন্দেহাতীত তো নয়ই বরং ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নে প্রশ্নে তা জর্জরিত। স্কাইপ কেলেঙ্কারি এবং বিচারকের পদত্যাগ আইনগত দিক থেকে প্রতিটি ট্রায়ালকে তখনই অবৈধ এবং মিসট্রায়াল করেছে। সুতরাং যে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল অথবা বেগম জিয়া কিংবা আমরা, ‘বিচার চাই কিন্তু অবশ্যই তা হতে হবে স্বচ্ছ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুক্ত’। আমাদের অভিযোগগুলো কি সব মিথ্যা? এই প্রশ্নের উত্তর সরকারকেই দিতে হবে। সরকারের মধ্যে ২৭ যুদ্ধাপরাধীর যে তালিকা বের হয়েছে তাদের বিচার হচ্ছে না কেন? আমার খুব অবাক লাগে যে, এই জাতিই ব্রিটিশ আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিল, আর তারাই এখন কিনা শাহবাগের মতো নমরুদদের লাথি-গুঁতা খাচ্ছে। সংবাদপত্রগুলো তাদের আরো মদদ জোগাচ্ছে।
এক দিকে বিচার স্বচ্ছ বলে দাবি অন্য দিকে সংসদে আইন সংশোধন করে রায়ের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন। আমাদের সন্দেহ, বিচারের প্রতি তাদের আস্থা মোটেও নেই। এক দিকে ডা. ইমরান সরকারকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় রাষ্ট্রদ্রোহ করতে দেয়া, অন্য দিকে জনসেবার অপরাধে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা। ইকোনমিস্ট পত্রিকার স্কাইপ ষড়যন্ত্র ছেপে দেয়ায় এই গ্রেফতার কতটুকু গণতান্ত্রিক? আমার কথা, তাহলে ঢাকার যারা উইকিলিকসের খবর ছাপায় সব ক’টা সম্পাদককে গ্রেফতার করা উচিত। একটা কথা বুঝতে হবে, উইকিলিকসের জনক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের জন্য হুলিয়া জারি করলে তিনি গত ছয় মাস লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের অ্যাসাইলামে আছেন। সেখানে বসে তিনি গ্রেফতার এড়াচ্ছেন, একই সাথে আরো লাখ লাখ ডকুমেন্টস প্রকাশ করছেন। ঠিক সেই রকমই ইকোনমিস্ট সম্পাদক স্কাইপ ফাঁস করার জন্য দায়ী। বুকের পাটা থাকলে তাকে গ্রেফতার করুক। জানি সরকারের কাছে যুক্তি, আইন, বিবেক কোনোটাই প্রযোজ্য নয়, তারপরও কিছু তল্পিবাহক সম্পাদকের উদ্দেশে যা বলতে হয়, ওয়াটারগেট ম্যাসাকার ছাড়া কখনোই নিক্সন দুর্নীতি প্রকাশ হতো না। আর এই খবরটি যদি ওয়াশিংটন পোস্ট প্রকাশ না করত, মানুষ জানত না। ইকোনমিস্ট পত্রিকা ক’জন পড়ে? সুতরাং লন্ডন থেকে স্কাইপ দুর্নীতি হ্যাক না হলে এই প্রহসনের বিচারও মানুষ জানত না। জিয়াউদ্দিন এবং বিচারকের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল সেটাও জানত না। নিক্সন কেলেঙ্কারির মতো এসব জানার অধিকার বাংলার মানুষের আছে এবং মাহমুদুর রহমানের কৃতিত্ব সেখানেই। তার পত্রিকা লুফে নিয়ে মানুষ প্রমাণ করেছে এই খবরের জনপ্রিয়তা। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি তখন ২৪ ঘণ্টা গণমাধ্যমের একমাত্র খোরাক। সারা বিশ্ব থমকে দাঁড়িয়েছিল। ওয়াশিংটনের ভেতরে চলছিল রাজনৈতিক সুনামি এবং এসবই গণমাধ্যমের কারণে সম্ভব হয়েছিল। নিক্সন যদি পদত্যাগ না করতেন, জেলের ভাত খেতে হতো। বরং এ জন্য মাহমুদুর রহমানকে পুরস্কার দেয়া উচিত ছিল। যারা দায়িত্ব পালন করেননি তারাই হলুদ সাংবাদিক; পাশ্চাত্যে এলেও এ দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে এরা যে কিছুই শেখে না সেই প্রমাণ তারা ইতোমধ্যেই দিয়েছে। এই মাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশের মতো বুকের পাটা আর মানবাধিকার যাদের নেই সেই দেশের জন্য গণতন্ত্র শব্দটি অবৈধ। নিক্সনের পথ ধরে বিচারপতিও পদত্যাগ করে শুধু ট্রাইব্যুনালকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেননি বরং গোটা প্রশাসনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রুই-কাতলাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে আরো বলতে হয়, উইকিলিকসের মূল হোতা ব্রাডলি মেনিংস সেনাবাহিনীতে থাকাকালে এত বড় অপরাধ করা সত্ত্বেও রিমান্ডে না নিয়ে বরং মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এসব উদাহরণ, সবাইকে আমলে নিতে হবে। কারণ খালেদা জিয়া মতায় গেলে যদি তাদের প্রেসেও তালা ঝুলিয়ে দেন, রিমান্ডে নিয়ে হাড়গোড় চুরমার করে দেন, তখন কী বলবেন? থাবা বাবারা কী লেখে, কী ছবি বানায়, যদি বেনগাজির মানুষ জানার অধিকার রাখে, আমাদের থাকবে না কেন? তখনই থাকবে না যখন তাদের দেশ উত্তর কোরিয়ার প্রচারনীতি গ্রহণ করবে। একমাত্র বিটিভির স্যাটেলাইটভুক্ত দর্শক হতে বাধ্য যারা তারাই একমাত্র বাংলাদেশী নাগরিক নন। কিন্তু এ জন্য তাকে কুখ্যাত আবুগারিব বন্দীদের মতো রিমান্ডে নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেক কি জেগে উঠবে না? ওয়াশিংটন কাঁপানো সমালোচনার ঝড়ে ইরাকের আবুগারিব নির্যাতন বন্ধ হলেও বর্তমানে সেই প্রেতাত্মা আরো পৈশাচিকভাবে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশে। আবুগারিব নিয়ে প্রথম বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠলেও ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষের আচরণ মধ্যযুগীয়। নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। সরকারের বুদ্ধিনিধন কার্যক্রম ১৪ ডিসেম্বরের মাত্রা অতিক্রম করেছে।
ফাঁসি বিতর্ক
স্ববিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচার কয় ভাগে বিতর্কিত? ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফাঁসি হলে ঠিক, কারাদণ্ড হলে বেঠিক? আবার সব ক’টার ফাঁসি ছাড়া বেঠিক? সুতরাং রায়ে ফাঁসি না দিলে, আইন সংশোধন করে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপ তো সব সময় বলছে ট্রাইব্যুনাল নিরপে আবার আইন সংশোধন করে বলছে, অনিরপে। সুতরাং সরকার কী চান পরিষ্কার করবেন কি?
এ দিকে আন্তর্জাতিক মহল বলছে বিচার রাজনৈতিক। বিরোধী দল সব সময় বলছে, বিচার প্রতিহিংসামূলক। ওয়াটারগেটও ছিল বিরোধী দলকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। স্কাইপ কেলেঙ্কারিতেও ছিল, ‘সরকার চায় একটা-দুইটা ফাঁসির রায়’। সুতরাং বিচারকের স্বীকারোক্তিমূলক পদত্যাগের পর ট্রাইব্যুনালের কোনো অস্তিত্ব থাকারই কথা নয়। যেমন করে পদত্যাগের মাধ্যমে সব অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিলেন ‘নিক্সন’। প্রতিহিংসার বিচার করতে গিয়ে বিশাল রোলার কোস্টারে সরকার পদে পদে বিধ্বস্ত। সংসদে বলছেন বিচার স্বচ্ছ কিন্তু ইমরানদের সাথেও একাত্মতা ঘোষণা করে কি স্বীকার করলেন না কাদের মোল্লার বিষয়ে জামায়াতের সাথে রাষ্ট্রের একটি গোপন সমঝোতা হয়েছিল?
সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রজন্ম চত্বরকে ’৭১-এর সাথেও তুলনা করেছেন! প্রধানমন্ত্রী কখন যে কী বলেন, বোঝা মুশকিল। ফলে বিচার বিভাগ পর্যন্ত বারবার বিতর্কিত হচ্ছে। মানবাধিকার ুণœ হচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমরা দণি আমেরিকার কোনো সোস্যালিস্ট দেশের নাগরিক। অথচ পাকিস্তানিরা পর্যন্ত তাদের বিচার বিভাগ সম্পর্কে জোর গলায় কথা বলতে পারে। মঞ্চ না ট্রাইব্যুনাল, সরকার নিজেই পরিষ্কার নয়। সুতরাং সব বিচারিক কাজ বন্ধ করে আগে উচিত উদ্দেশ্য ঠিক করা অন্যথায় সামনে লিবিয়ার মতো অশনি সঙ্কেত। অন্যান্য কারণ ছাড়াও শুধু ট্রাইব্যুনালের জন্যই রাষ্ট্র পরিচালনায় অযোগ্যতা প্রমাণ হয়েছে, ফলে দেশটি দ্রুত গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী রাষ্ট্রগুলো মধ্যপ্রাচ্যে এবং আফ্রিকায় কথায় কথায় নাক গলায় অথচ কী রহস্যজনক কারণে সহ্য করছে সরকারের ফ্যাসিবাদ। মাত্র দুই মাসে কয়েক শত নিরস্ত্র মানুষ খুন হয়েছে। সুতরাং সরকারকে চাপ দিতে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্কেত জারি করা উচিত।
নুরেমবার্গ ট্রায়ালে ৫০ শতাংশ অভিযুক্তের ফাঁসি হয়নি। পাঁচজন হয়েছে বেকসুর খালাস। পাঁচটি দেশের অংশগ্রহণে যে বিচার, রায়ের স্বচ্ছতা নিয়ে আজো প্রশ্ন মানবাধিকার কর্মীদের। কিন্তু সে জন্য কি মিত্রবাহিনীর সদস্য দেশগুলো বাইচান্স দেশপ্রেমিক ইমরান সরকারের মতো মঞ্চ তৈরি করে ‘হেগ’ কোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল? আসলে নিরপে মঞ্চের নামে রাষ্ট্র এক এক করে তার সরকারের চার বছরের ব্যর্থতাগুলোই ঢাকছে, ফলে মানুষ ভুলেই গেছেÑ সাগর-রুনি, দুই আবুল, তানভীর মাহমুদ…। সব সম্ভবের দেশে পুরোপুরি জিতেছে সরকার। এক শেয়ারবাজারেই যে অপরাধ ঘটিয়েছে সরকারের প্রভাবশালী বন্ধুরা (চোরেরা) ব্লগাররা যদি গুপ্তচরই না হবে, তাহলে ফাঁসির দাবি আদালতের জন্য রেখে কুইকরেন্টাল আর হলমার্কের মতো ঘটনার পরেও অবিলম্বে সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দিলো না কেন? এদের পেছনে সঙ্ঘবদ্ধ গডফাদার যার আরো প্রমাণ, ভারতীয় মিডিয়ার রিপোর্ট, নানা সংগঠন বেআইনিভাবে বাংলাদেশে ঢুকে মঞ্চের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। জনমনেও সন্দেহ, বিজিবির মধ্যে ভিনদেশী কেউ ঢুকে গেছে কি না। সরকার চাইছেন, যে কোনোভাবেই হোক, বিরোধী দলের মেরুদণ্ড ভেঙে চুরমার করে ফেলতে। কিন্তু বিচার নিয়ে যত বিতর্ক, চাইলেও সরকার কি সব অবৈধকে বৈধ করতে পারবে? পারবে না। আর সেই বিপদ বুঝেই আবারো হয়তো ব্যবস্থা হচ্ছে আরেকটি ১/১১-এর।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিচার করার মতো কারণ বা যুক্তি সরকারের নেই, যা হচ্ছে সবই আরেকবার মতায় যাওয়ার খেলা। তবে সরকার মাছের মতো কারেন্ট জালে জড়িয়ে গেছে। পশ্চিমারা না চাইলে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যাবে না, ফাঁসিও হবে না। শেষ চেষ্টা, যেকোনোভাবে বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা এবং এ জন্য জামায়াতের অর্থনৈতিক দুর্গ ভেঙে ফেলা। মাহমুদুর রহমানের পর টার্গেট খালেদা জিয়া এবং গ্রামীণ ব্যাংকের অনুকরণে জামায়াতের সব অর্থনৈতিক শক্তি। অতীতেও অর্পিত সম্পত্তি ঘোষণা করে একাই খেয়ে ফেলল হিন্দুদের প্রায় ৩০ লাখ বিঘা। বিএনপির জন্মের আগেই প্রায় ৫০ ভাগ সাবাড়। তখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও নিষিদ্ধ। আওয়ামী রাজনীতির ধারাবাহিকতায় এসবই কিছু দুষ্ট উপসর্গ মাত্র। নির্বাচন সামনে রেখে সাম্রাজ্যবাদী ভারতকে নিয়ে আরেকটি ১/১১ খেলার ষড়যন্ত্র মানুষ বুঝতে পেরেছে। কিন্তু প্রয়োজন আরো বড় মাপের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জোয়ার, যার পথিকৃৎ শেরেবাংলা এবং ভাসানীরা। জাতীয়তাবাদের শেষ বাতিঘর খালেদা জিয়াকে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের আরো গভীরে যেতে হবে। কারণ ওরা আবারো এই অংশে জমিদারি করতে চায় বলেই এসব দুষ্ট উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আরেকটা সেনা সমর্থিত সরকারকে পশ্চিমারাও সমর্থন করবে, কারণ এই অঞ্চলের দায়িত্ব নাকি এখন তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি ভারতের হাতে। ২০০১ সালে খালেদাকে যেমন বিদেশী তেল কোম্পানির স্বার্থ পূরণের শর্তে রাজি হতে হয়েছিল, ২০০৮-এ-ও একইভাবে মতায় এসেছিল বর্তমান সরকার। তলে তলে দূতেরা যে এই সুযোগ নিতে খনিজসম্পদের লোভে ঘাপটি মেরে থাকছেন না সেটাই বলি কী করে। খনিজসম্পদ ছাড়া এরা নড়েচড়ে না। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাকে এরা তছনছ করে দিচ্ছে। সুতরাং সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশে এদের ভূমিকা রহস্যজনক। বর্তমান পরিস্থিতি ’৭৫-এর চেয়েও খারাপ। এসব ষড়যন্ত্র ঠেকাতে বিপ্লবের সময় এখনই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন