রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৩

গণতন্ত্র মানবতা ও মানবাধিকার খাঁচায় বন্দী অচীন পাখি



॥১॥ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে একটি ছবি ছাপা হয়েছে একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তির দাড়ি ধরে পুলিশের সামনেই মারধর করছে সরকারি দলের এক ক্যাডার, পুলিশ এ অন্যায় কাজে কোন বাধা তো দেয়ইনি বরং উল্টো ঐ বৃদ্ধকে আহত অবস্থায় ধরে থানায় নিয়ে গিয়ে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাংচুরের মামলা দিয়েছে। এমনকি শোনা গেছে যে, পুলিশ নাকি ঐ বৃদ্ধের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। ঐ দিন আরো একটি দৃশ্য পত্রিকায় ছাপা হয়েছে দুহাত একত্র করে পিছনে হাতকড়া পরিয়ে ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য এক যুবককে পেটাচ্ছে। ঐ দৃশ্যটি টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছে। যা দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব নয়। পত্রিকান্তরে প্রকাশ ২৪ ফেব্রুয়ারি শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে পল্টন মোড়ে সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সমাবেশ তো করতে দেয়া হয়ইনি বরং সকাল থেকে র‌্যাব, পুলিশ এবং সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী রণসাজে সজ্জিত হয়ে রাজপথে অবস্থান নেয় এবং সকাল থেকে ফাঁকা গুলী ছুঁড়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। জনমনে দেখা দেয় চরম আতঙ্ক। ঐদিন মতিঝিল, পল্টন এলাকায় সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় লোক চলাচল ছিল খুবই কম। সকাল দশটার দিকে আলেম ওলামারা একটি মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ মুহুর্মুহু গুলী, টিয়ারশেল ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং ব্যাপক লাঠিচার্জ করে আলেম-জনতার উপর চরম নির্যাতন চালায়। এখানে পুলিশের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখে সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী। এ ঘটনার পর পুলিশ যাকে যেখানে পেয়েছে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী ঐদিন পাঁচশত লোক গ্রেফতার হয়েছে। দাড়ি-টুপিধারী যাকে যেখানে পেয়েছে তাকেই সেখান থেকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রায় একশতজন দাঁড়ি-টুপিধারী লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই অবস্থা হয়েছে কমলাপুর রেল স্টেশনে। আজ জনমনে একটি বড় প্রশ্ন তবে কি শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে দাড়ি-টুপি নিয়ে রাস্তায় হাঁটা যাবে না?
॥২॥
কক্সবাজারে সাঈদী মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় বিশ হাজার লোকের মিছিলটি যখন সামনে অগ্রসর হতে শুরু করে পুলিশ মিছিলকারীদের উপর বৃষ্টির মতো গুলীবর্ষণ করে। পুলিশের গুলীতে ঘটনাস্থলেই একজন শিশু, একজন মহিলা ও চারজন জামায়াত কর্মীসহ মোট ৬ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় গুলীবিদ্ধ হয় শতাধিক লোক, আহত হয়েছে দুইশত জন, গ্রেফতার করা হয়েছে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে। যারা আহত হলো, যারা নিহত হলো তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশ আবার চার হাজার লোককে আসামী করে চারটি মামলা দিয়েছে। সবচেয়ে বেদনার বিষয় সরকার সমর্থক বাম আওয়ামীঘেঁষা মিডিয়াগুলো প্রচার করলো ঠিক উল্টো ঘটনা। যেখানে পুলিশ মিছিলে গুলী চালিয়েছে এবং হামলা করেছে আর তারা প্রত্যেকেই প্রচার করলো জামায়াত শিবির পুলিশের উপর হামলা করেছে এবং গুলী করেছে। জামায়াত শিবিরই যদি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে থাকে তবে তাদের কারো অস্ত্রধারী ছবি প্রকাশ করা উচিত ছিল কিন্তু তারা তা পারেনি। কারণ এখানে পুলিশ ছিল আক্রমণকারীর ভূমিকায় আর জামায়াত-শিবিরের লোকেরা ছিল প্রতিরোধকারীর ভূমিকায়। আর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর নির্যাতিত জনতার উপর দ্বিতীয় দফা হামলা করলো সরকার সমর্থক মিডিয়াগুলো। এমনকি ছয়জন মানুষের প্রাণহানির এতবড় ঘটনা খুবই কম গুরুত্ব দিয়ে ছেপে এক ধরনের হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে ২০০৪ সালে কাওরান বাজারে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা মনে পড়লো। তখন ক্ষমতায় ছিল চারদলীয় জোট সরকার। জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে এমন কোন সহিংস এবং বিধ্বংসী কাজ নেই যা তারা করেনি। ঐ সময়ে কাওরান বাজারে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মী পুলিশের গাড়িতে আগুন দিতে গেলে গাড়ির ড্রাইভার দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে স্থান ত্যাগ করার প্রাক্কালে এক আওয়ামী লীগ কর্মী গাড়ির নিচে পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী ভাংচুর এবং জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করে আর প্রথম আলো এবং জনকণ্ঠ ঐ কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সপ্তাহব্যাপী নিউজ করতে থাকে। ঐ সময় পুলিশ কখনোই বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে গুলী ব্যবহার করেনি, তারপরও বাম ঘরানার মিডিয়াগুলো তখন সরকার এবং পুলিশের বিরুদ্ধে এমন কোনো ভাষা নেই যা প্রয়োগ করেনি। বিপরীতপক্ষে এখন নির্দেশ দেয়া হচ্ছে দেখামাত্র গুলীর আর পুলিশও মিছিল দেখামাত্র গুলী করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমরা যেন ফিলিস্তিন এবং লেবাননে বসবাস করছি। তারপরও বামপন্থী মিডিয়াগুলো একপেশেভাবে নির্যাতিত জনগণের বিরুদ্ধে এবং জালেম সরকারের পক্ষে সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে এবং জনসমর্থনের দিক দিয়ে কমিউনিস্ট-বামপন্থীরা ০.৫% এর বেশি হবে না, কিন্তু মিডিয়ায় সর্বত্র তারা বসে আছে। এ যেন আমেরিকার ইহুদিদের মতো অবস্থা। আমেরিকায় মোট জনসংখ্যার ০.১% হচ্ছে ইহুদি, কিন্তু তারাই বড় বড় সব মিডিয়ার মালিক।
॥৩॥
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দৃষ্কৃতকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্লগার রাজীব খুন হয়েছে। খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে কয়েকটি বিষয় বলতে চাই। রাজীব খুন হওয়ার সাথে সাথে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বাম ঘরানার সকল মিডিয়া একযোগে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে হত্যার দায়ভার চাপিয়ে সংবাদ প্রচার করতে শুরু করলো। একই ভাষায় কথা বলতে লাগলেন সরকারদলীয় নেতা এবং মন্ত্রীরা।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই জামায়াতকে এর জন্য দায়ী করে বক্তব্য দিলেন এবং বললেন, জামায়াতের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। একটি দেশের  প্রধানমন্ত্রী যদি এই ভাষায় কথা বলেন, তবে জনগণ যাবে কোথায়? একজন ব্যক্তি খুন হওয়ার পর সরকারের কর্তাব্যক্তিরাসহ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই যদি কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আসামী চিহ্নিত করে দেন তবে তদন্ত কোন পথে যাবে অথবা তদন্ত কর্মকর্তা কি ধরনের তদন্ত রিপোর্ট দিবেন তা প্রশ্ন সাপেক্ষ-ই বটে। সরকার এবং বামদের প্রযোজনায় চলমান শাহবাগের নাটকের  দাবি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বললেন, জামায়াতের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। কারণ তারা রাজীবকে খুন করেছে  (কোন তথ্য-প্রমাণ ব্যতীত)। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই জামায়াতের কোনো লোক রাজীবকে খুন করেছে, এ কারণে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার নাই। তবে শুধুমাত্র এই চার বছরে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নোমানী, পুরাতন ঢাকায় বিশ্বজিৎ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরপরাধ শিশু, অতি সম্প্রতি বগুড়াতে দু’জন শিবির নেতাকে কুপিয়ে হত্যাসহ শুধুমাত্র বিগত চার বছরে একটি মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ছাব্বিশ হাজার লোক খুন হয়েছে। এ প্রশ্নে তাদের কথা মতো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
॥৪॥
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বাকপটু চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান সাহেব আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের শাহবাগে ঘুরে আসতে পরামর্শ দিয়েছেন। এ দ্বারা তিনি বুঝাতে চেয়েছেন শাহবাগীরা যেমন বিচার নয় ফাঁসি চায়, তিনিও তেমনি বিচার নয় ফাঁসি চান। জনাব মিজানুর রহমান সাহেবের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখতে চাই। প্রথমত. শাহবাগের সমাবেশ থেকে কয়েকটি জনপ্রিয় পত্রিকা বন্ধ  করে দেয়ার হুমকি দেয়া হলো, পত্রিকায় অগ্নিসংযোগ করা হলো, পত্রিকা অফিসে হামলা ও আগুন লাগানো হলো, তাদের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এবং ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হলো এর নাম কি মানবাধিকার? আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যা এবং অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক পিয়াস করিমকে চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হলো এর নাম কি মানবাধিকার? পুলিশ প্রকাশ্যে গুলী করার ঘোষণা দেয় আর সে অনুযায়ী মিছিলে গুলী করা হচ্ছে এর নাম কি মানবাধিকার? বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তির দাড়ি ধরে পুলিশের সামনে মারপিট করা হয়, গ্রেফতার করার পর দু’হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ৪/৫ জন পুলিশ এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্য রাজপথে পেটাচ্ছে  এ দৃশ্য কি আপনার চোখে পড়ে না? এর নাম কি মানবাধিকার? মূলত আপনার মানবাধিকার শুধু বাম, রাম আর ফ্যাসিবাদীদের জন্য। আপনাকে আর ঐ পদে মানায় না, আপনি বরং পদত্যাগ করে সরাসরি ফ্যাসিবাদী কোনো দলের নেতা হয়ে যান সেটাই আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। দ্বিতীয়ত. আব্দুল কাদের মোল্লাকে যে আইনের অধীনে বিচার করা হচ্ছে সে আইনটি কি আপনি পড়ে দেখেছেন? এ আইন সম্পর্কে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞগণ যে মন্তব্য করেছেন তা কি আপনার কর্ণকুহরে প্রবেশ করেছে? বিশ্ব আইনজীবীদের সবচেয়ে বড় সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন (আইবিএ), হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ট্রানজিশনাল জাস্টিস, লন্ডনের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ স্টিভেন কে কিউসি, লর্ডএ্যাভেবুরি, জন কামেহ, টবি ক্যাডম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ  স্টিফেন  জে র‌্যাপসহ আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞগণ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক নয় বলে মতামত দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার পর সরকারের তরফ থেকে বলা হলো এটি দেশীয় ট্রাইব্যুনাল। এটি যদি দেশীয় ট্রাইব্যনাল হয় তবে সেখানেও প্রশ্ন থেকে যায়। আইন  বিশেষজ্ঞদের মতে এই আইন সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী। সংবিধান সংশোধন করে ৪৭(ক) ও ৪৭(৩) নামে দুটি) ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুটি ধারা স্বয়ং সংবিধানের ৩৫,৩১,৩৩ ও ৪৪  ধারা এবং সংবিধানের  মূল চেতনার পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। এরপরও  যারা সাক্ষী দিয়েছে তারা সবাই শোনা সাক্ষী, প্রত্যক্ষ কোন সাক্ষী নেই। এরই ভিত্তিতে যাবজ্জীবন?  কিন্তু না তাতেও তাদের হবে না, বিনা বিচারে ফাঁসি চাই। এরই পক্ষে সাফাই গাইলেন তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান। এরই নাম কি  মানবাধিকার? ধিক এই ধরনের মানবাধিকারকে।  মূলত সর্বত্র আজ ফ্যাসিবাদের প্রবল হামলা চলছে। এ হামলা মোকাবিলায় দেশপ্রেমিক জনতার মাঝে কোন ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না, দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের অভাবে জনসমর্থনহীন বামপন্থীরা আজ ফ্যাসিবাদী উন্মাদনা ছড়াচ্ছে। গণতন্ত্র, মানবতা, মানবাধিকার আজ খাঁচায় বন্দী। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আধিপত্যবাদীদের চরণে বিসর্জিত, ফেলানিরা কাঁটাতারে ঝুলছে, সীমান্তবাসীরা বিএসএফ-এর লক্ষ্যবস্তু। ভীনদেশের চরিত্র বিধ্বংসী সংস্কৃতি আমদানির মাধ্যমে তরুণদের চরিত্র ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে, তাদের সূক্ষ্ম ধর্মীয় অনুভূতিগুলো শেষ করে দেয়া হচ্ছে, জাগরণের নামে তাদের অপরের পদলেহী দালাল বানানো হচ্ছে, এতে অর্থ বিনিয়োগ করছে কালো টাকার মালিক, স্বার্থ উদ্ধারকারী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এবং ফ্রি টকটাইম, ফ্রি এস এম এস-এর মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টিকারী মোবাইল কোম্পানিগুলো। আজ এ কঠিন মুহূর্তে দেশ, জাতি, মানবতা, স্বাধিকার স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ  রাখতে দেশপ্রেমিক জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্য দরকার। দেশপ্রেমিক জনতা জেগে উঠুক, জাতি এই ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি পাক, এই প্রত্যাশা করছি।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads