বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রমেই একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দল দমনে সরকার পুলিশ বাহিনীকে যেভাবে ব্যবহার করছে তাতে এটি খুব স্পষ্ট যে, সরকার রাষ্ট্র থেকে গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ, মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকারÑ এর সব কিছুকেই বিসর্জন দিতে চাইছে। সংসদ, আইন, বিচারÑ সব কিছুই দলীয় বৃত্তের ভেতর টেনে নেয়া হয়েছে। যা কিছু দলীয় বৃত্তের বাইরে তার বিনাশ সাধনের জন্য সরকার যেন একেবারে মরিয়া। এখানে অনেক বিপরীত চিত্রও আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক দিকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে যেমন লাশ বানানো হচ্ছে, অপর দিকে সরকার সমর্থকদের রক্ষায় তারা করছে না হেন কোনো নির্লজ্জ কাজ নেই। হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঠেকাবার মতো দুষ্কর্ম নির্লজ্জতার আরো একটি উপমা। এই সরকারের আমলে পুলিশ বাহিনী যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ-বর্বর আচরণ করে যাচ্ছে, সরকার তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা তো করছেই না, বরং এই বর্বরতার জন্য তাদের নানাভাবে পুরস্কৃত করে উসকানিমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
আমরা দেখেছি সরকার পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগকেও অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সর্বশেষ সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ঘাদানিকদের শিখণ্ডি হিসেবে খাড়া করেছে। লক্ষ্য একটাই। বিরোধী দলকে বিরোধী দল হিসেবে তো বটেই, সাধারণ নাগরিক হিসেবেও সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হবে। পুলিশের সহায়ক বাহিনী হিসেবে আওয়ামী ক্যাডারদের নামানোর ফলে তারাও যে আশকারা পেয়েছে সে আশকারার পরিণতিতে ইতোমধ্যেই বহু প্রাণ ঝরে গেছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আত্মরক্ষার জন্য দিগি¦দিক ছোটাছুটি করেছে। এবং এখনো করছে। বিরোধী দল হরতাল ডাকলে কিংবা সভা সমাবেশ ডাকলে তাদের রাজপথে বেরোতেই দিচ্ছে না পুলিশ বাহিনী। ব্যারিকেড, গুলি, টিয়ার শেল ব্যবহার করে প্রতিদিন তারা বিভিন্ন স্থানে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করছে। প্রথম প্রথম জনগণ বিশ্বাস করেছে যে, এটা বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষই। এখন দেখছে পুলিশ বুক বরাবর গুলি করে নরহত্যার অভিযান পরিচালনা করছে।
সরকার নির্লজ্জভাবে পুলিশের পক্ষ অবলম্বন করায় তারা আশকারা পেয়েছে আরো বেশি। নানাভাবে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শুরু করেছে গ্রেফতার-বাণিজ্য। এ বাণিজ্য প্রথমে শহরে সীমাবদ্ধ ছিল। পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট দেখেছি, সন্ধ্যায় থানাহাজতে গাদাগাদি আসামি, সকালে ফাঁকা। সংবাদপত্র কর্মীরা সারা রাত থানায় বসে থেকে এই সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। শহর কিংবা গ্রামে এখন পুলিশের মামলার ধরন এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গোলযোগ সৃষ্টি বা বোমা হামলা বা গাড়িতে আগুন এ রকম ঘটনার জন্য তারা কয়েকটি নাম উল্লেখ করে লিখছে, ‘এবং আরো দুই হাজার জন’। কখনো কখনো তা পাঁচ হাজার, ১০ হাজার, ২০ হাজারও হতে পারে। আর ফ্যাসিবাদী কারবার এই যে, যাদের নাম উল্লেখ করছে, তাদের অনেকেই বিরোধীদলীয় শীর্ষস্থানীয় নেতা, যাদের দ্বারা বোমা হামলা, গাড়ি ভাঙ্চুর, অগ্নিসংযোগের কথা কল্পনাও করা যায় না।
সরকার নিজের ফায়দা হাসিলের জন্য পুলিশকে দিয়ে সম্ভবত এসব শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নাম ওই ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত করছে। ভবিষ্যতে এর পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে সরকারের বিন্দুমাত্র ধারণা আছে বলে মনে হয় না। এবং এসব উদ্যোগ যে বিরোধী দলকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য পরিচালিত হচ্ছে, তা শুধু বিরোধী দল নয়, গোটা বিশ্বই উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে। এসব ফ্যাসিবাদী কায়কারবার থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে গোটা পৃথিবীর মানুষ ও মানবাধিকার সংগঠন। সরকার তার দিকে সামান্যই ভ্রƒক্ষেপ করেছে।
গ্রেফতার-বাণিজ্য সমাজের সর্বস্তরের প্রতিটি মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে হয়তো কোনো স্কুলগামী ছাত্র কিংবা রেস্টুরেন্টে বসে খাচ্ছে কোনো সাধারণ তরুণ। পুলিশ এসে বেধড়ক পিটিয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়। ওই যে নাম না জানা এক হাজার, দু’হাজার, ২০ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছিল, তখন বলা হয় এই ছেলেটি তাদের একজন। সকালে চালান দেয়া হবে কিংবা ক্রসফায়ারে দিয়ে দেয়া হবে। অভিভাবককে খবর দাও। সব অভিভাবকের টাকা দিয়ে সন্তানকে মুক্ত করার সাধ্য নেই। তখন যে যা পারে তাই দিয়ে রফা করে। গাদাগাদি হাজতখানা সকালেই ফাঁকা হয়ে যায়। সরকার যেহেতু পুলিশকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে, সেই কারণে এত বড় অন্যায় ও জুলুম থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখে। জনগণও সরকার থেকে দৃষ্টি ফেরায়।
শহরাঞ্চলের থানাগুলোতে যখন দিনের পর দিন এসব অনাচার রীতিসিদ্ধ হয়ে যায়, তখন তা ক্যান্সারের মতো মফস্বল অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের চণ্ডনীতির ফলে দেশব্যাপী এখন সরকারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখরাও রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছেন। হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও কর্মসূচি চলছে। তাতে কেউ টায়ার জ্বালায়। কেউ রাস্তার ওপর গাছ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। কেউ বা মিছিলে স্লোগান ধরে উত্তোলিত হাতে সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ে। গুলি চালায়। লাঠি চার্জ করে। তারপর বলে, ওই সব নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল বলেই তারা জনতার ওপর গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। আর পুলিশের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে তারা কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে কয়েক শ’ বা কয়েক হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের যুক্তি নাকি ‘নাম জানি না, তবে দেখিলে চিনিব’। এরপর শুরু হয় ‘দেখিলে চিনিব’অলাদের গ্রেফতার অভিযান।
এদের গ্রেফতার করতে পুলিশ গ্রাম-গ্রামান্তরে মধ্য রাতে হানা দেয়। কখনো তারা যায় পুলিশের গাড়িতে পুলিশের পোশাক পরে। কখনো তারা যায় মাইক্রোবাসে অস্ত্র হাতে। গিয়ে দাবি করে যে, তারা পুলিশ। আসামি গ্রেফতার করতে এসেছে। এরপর যাদের হাতের কাছে পায় তাদেরকেই ধরে থানায় নিয়ে আসে। বাণিজ্য চলতে থাকে। এর ফলে সারা বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ পুলিশ ও তার সরকারকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছে। এখন এক আতঙ্কের নাম হয়েছে সরকার ও তার পুলিশ বাহিনী। মানুষ এটা থেকে এখন নিস্তার চায়। গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে পুলিশ, র্যাব বাহিনীর এই অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তারা কোথায় যাবে, কার কাছে প্রতিকার চাইবে, জানে না। বিচার বিভাগও ক্রমেই যেন সাধারণ মানুষের আস্থা হারাতে বসেছে।
তাহলে প্রতিকার কী? আত্মরক্ষার উপায় কী? জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী? ব্যবস্থা একটাই। নিজেরাই প্রতিরোধ গড়ে তোল। সরকার যদি ভেবে থাকেই যে সাধারণ মানুষের এই প্রতিরোধের অধিকার নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যারা বিঘিœত করছে, যারা তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করছে, সরকার যদি তাদের লালন করতে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ প্রতিকার পাবে কোথায়? ফলে গ্রাম-গ্রামান্তরে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। এ প্রতিরোধ এখনো লাঠি, বর্শা, টেঁটাতেই সীমাবদ্ধ আছে। কিন্তু সরকার যদি সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না করে, তাহলে এই প্রতিরোধ সশস্ত্র হয়ে ওঠে কি না বলা মুশকিল। হাসানুল হক ইনু সাহেবদের নেতৃত্বে তেমনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল ১৯৭৩-৭৫ সালে গণবাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে। তখন মানুষের কাছে বিভীষিকার নাম পুলিশ বাহিনী ছিল না, ছিল রক্ষীবাহিনী।
কিন্তু এই জন্মান্ধ সরকার এক দিকে যেমন ইতিহাস অচেতন, অপর দিকে তেমনি চরম রক্তপিপাসু। আর সে কারণেই তারা সপ্তাহখানেকের মধ্যে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় দুই শ’ লোককে হত্যা করতে পেরেছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড তাদের হৃদয়কে নাড়া দিতে দেয়নি। সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-এমপিসহ কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি গিয়ে এসব পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। যেন এ হত্যাকাণ্ড যৌক্তিকই ছিল। যৌক্তিক যে ছিল, সেটা আর বলে দেয়ার অপেক্ষা রাখে না। কারণ বর্তমান নৃশংস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একেবারে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন যে, জামায়াত-শিবির দেখা মাত্র গুলি করো। কেন, জামায়াত-শিবিরের কী দোষ? তারাও এ দেশের নাগরিক। তারাও নির্দিষ্ট বিশ্বাস নিয়ে তাদের রাজনীতি করে। যদি আমরা বলি জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা হোক। তারপর কেউ এ রাজনীতি করলে দোষী হতে পারে। কিন্তু মানুষের অন্তর থেকে বিশ্বাসের ভিত্তি মুছে দেয়া যায় না। তার নজির আমরা পৃথিবীর দেশে দেশে দেখেছি। জাপানে যখন শিল্প বিপ্লব হয়ে গেল, তখনো ৩০ হাজার সামুরাই শিল্পবিস্তারবিরোধী অবস্থান নিয়ে জাপান সরকারের বিরুদ্ধে নিশ্চিহ্ন না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করেছে। সুতরাং বিশ্বাস দূর করতে হলে তার জন্য দরকার কাউন্সেলিং। কিন্তু আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস, যত দিন এই পৃথিবী থাকবে তত দিন দূর করা সম্ভব হবে না। এই সত্যটিই শাপলা চত্বরের লাখো জনতা জানান দিলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন পুলিশকে নির্দেশ দিলেন যে, জামায়াত-শিবির দেখা মাত্র গুলি করো, তখন পুলিশ জানালো, কে জামায়াত কে শিবির সেটা কোনো তরুণ-যুবক ও বৃদ্ধকে দেখে শনাক্ত করা যায় না। ফলে পাইকারি হারে জামায়াত-শিবির বলে গ্রেফতার শুরু হলো। এমনকি পত্রিকার খবরে পড়লাম, শিবির ধরতে পুলিশের দল এক গ্রামের একটি স্কুলে হানা দিয়েছে। উন্মাদনা কাকে বলে। জামায়াত-শিবির দেখা মাত্র গুলির নির্দেশের বিষময় পরিণাম আমরা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই দেখলাম। পুলিশ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বলে দিলো সেই বীর পুঙ্গবেরা ১০-২০টি জামায়াত-শিবিরের লাশ ফেলে দিয়েছে। যার বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, টুপি-দাড়ি থাকলেই সে জামায়াত কিংবা শিবির। কিন্তু এই যে আমরা হাটহাজারীর মাওলানা শাহ আহমদ শফীর সমাবেশে লাখ লাখ টুপি-দাড়িধারী দেখলাম, এই যে আমরা ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ঢাকা সমাবেশে লাখ লাখ টুপি-দাড়িঅলা দেখলাম, তারা সবাই কি জামায়াত-শিবির? সরকারের কেউ কেউ দাবি করল যে, এদের ওপর জামায়াত ভর করেছে। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। এখন স্লেøাগান উঠেছে, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোমার রক্ষা নাই।’
সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটল সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও রাজশাহীর কানসাটে, তাতে পুলিশের হাতে নিহত হলো পাঁচজন নিরীহ মানুষ। তা-ও ছিল জামায়াত-শিবির ধরার নামে ওই গ্রেফতার-বাণিজ্য ও নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধ। পুলিশ বলছে, তারা আসামি জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধরতে গিয়েছিল। তাই জামায়াত-শিবির তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সে জন্যই তারা ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আমরা সব মিডিয়ায় দেখলাম, গোটা গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং মৃত্যুকে তারা পরোয়া করেনি। এ ক্ষেত্রেও জামায়াত-শিবির আক্রমণ করেছেÑ এই যুক্তিটি ধোপে টেকে না। কারণ একটি পুরো গ্রামের সবাই জামায়াত-শিবির করতে পারে না। সেখানে আওয়ামী লীগ আছে। বিএনপি আছে। বাম আছে। তারা সবাই মিলে কেন প্রতিরোধ গড়ে তুললÑ এ সত্য উপলব্ধি না করে চমৎকার বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে যদি সাধারণ জনগণকে হত্যা করা হয়, তা হলে পুলিশ কি আঙুল চুষবে? পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসব অপকর্ম বন্ধ করার জন্য। সেখানে পুলিশ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না।
এ কথা সত্য যে, সাধারণ মানুষ খুন হতে থাকলে পুলিশ বসে বসে আঙুল চুষবে না। কিন্তু প্রকৃত চিত্র হলো, পুলিশই সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। আটক করেছে। গ্রেফতার-বাণিজ্য করেছে। আর তার বিরুদ্ধে জনতার প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। এই প্রতিরোধের আগুন কাউকেই রেহাই দেবে বলে মনে হয় না।
সর্বশেষ শাপলা চত্বরে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি জানিয়ে গেল প্রতিরোধ শুধু রাজনৈতিক অবয়বে শুরু হযনি, ধর্মীয় ও সামাজিকভাবেও শুরু হয়েছে। এ প্রতিরোধ অপ্রতিরুদ্ধ, একে ঠেকাবার সাধ্য সরকারের নেই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন