বাংলাদেশের একাধিক মফস্বল জেলা এবং গ্রাম বা পল্লী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনীর সাথে বিরোধী দলীয় কর্মীবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হচ্ছে। সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী, থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র লিডাররা এটিকে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক সরকারি বাহিনী বা সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা বলে চিহ্নিত করছেন। এসব সংঘর্ষে মানুষ নিহত হচ্ছেন এবং আহত হচ্ছেন। অথচ মানুষ মারা যাওয়ার পরেও সরকারের তরফ থেকে কোথাও কোনো প্রেসনোট জারি করা হচ্ছে না। এছাড়া যেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে সেখানেই প্রতিরোধকারীগণকে সেই পাকিস্তানী স্টাইলে দুষ্কৃতিকারী বলে ধিকৃত করা হচ্ছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারের হাল আমলের প্রিয় ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রিয় ভাষা বা শব্দগুলো হচ্ছে জামায়াত শিবিরের ‘দুষ্কৃতকারী’ বা জামায়াত শিবিরের ‘সন্ত্রাসী’ বাহিনী। এই মুহূর্তে দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অধিকাংশই সরকারের কুক্ষিগত ফলে প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসছে না। একটি অতীব জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকাকে সরকার ইতোমধ্যেই সুকৌশলে বন্ধ করে দিয়েছে। সেই পত্রিকার সত্যবাদী, সাহসী এবং ঈমানদার সম্পাদককে পুলিশী হেফাজতে নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেখানে রিমান্ডের নামে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হচ্ছে। প্রতিবাদে তিনি এই কলাম লেখার দিন পর্যন্ত অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ দিন অনশন করেছেন। এ পাঁচ দিনে তিনি কোনো দানাপানিও স্পর্শ করেননি। ইতোমধ্যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে বারডেম হাসপাতালে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তার অবস্থা এতই খারাপ যে তার স্ত্রী হাসপাতালে তার সাথে দেখা করতে গেলে তাকেও দেখা করতে দেয়া হয়নি। আমরা মাহমুদুর রহমানের আশু রোগমুক্তি কমনা করছি। তিনি সুস্থ শরীরে মুক্ত মানব হিসেবে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসুন, সেটি কামনা করছি।
যাই হোক, যে কথা বলছিলাম। অধিকাংশ মিডিয়াই এখন একপেশে। তারা সব কর্তাভজা। এর মধ্যেও যে দু’ একটি মিডিয়া সত্যিকথা বলে তাদেরকে তৎক্ষণাৎ আওয়ামী লীগের সেই মহাজনী নীতি অনুযায়ী জামায়াত শিবির মিডিয়া বলে সিল মেরে দেয়া হয়। পরিস্থিতিটা রবীন্দ্রনাথের ভাষায় অনেকটা এরকম
দ্বারটারে বন্ধ করে ভ্রমটারে রুখি
সত্যবলে আমি তবে
কোথা দিয়ে ঢুকি ।
এর মাঝেও দু’ একটি পত্রিকা আছে যাদের পিঠে অত সহজে জামায়াত-শিবিরের মোহর মারা সম্ভব নয়। তেমনি একটি পত্রিকা হল ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘হলিডে’। পাকিস্তান আমল থেকে এ পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধেও কলম ধরা তাদের নীতির মধ্যে পড়ে। এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্য কোনো বক্তব্য নাই। সব পত্রিকার পলিসি এবং আদর্শ এক হতেই হবে, এমন কোনো কথা নাই। তবে স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে তাদের বলিষ্ঠ বক্তব্য থাকা উচিত। হলিডে পত্রিকা স্বৈরাচার এবং আধিপত্যবাদ বিরোধী ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। সেই হলিডে পত্রিকাতে গত শুক্রবার ১৯ এপ্রিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনাম হলো এড়াঃ. ষড়ংরহম যড়ষফ রহ ৎঁৎধষ ধৎবধং অর্থাৎ সরকার পল্লী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। এই খবরটিতে কোনো রকম রং চং না চড়িয়ে, কোনো রকম মন্তব্য না করে, আমরা খবরটি বাংলায় পরিবেশন করছি। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল এই যে জনগণ সঠিক পরিস্থিতি অবহিত হোক। জনগণ জানুক, সারা দেশের কোথায় কি ঘটছে। একপেশে সংবাদ দ্বারা তারা যেনো প্রভাবিত না হয়।
॥ দুই ॥
খবরে বলা হয়েছে, সরকার দৃশ্যত পল্লী এলাকার উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। বিষয়টি ক্রমাগত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের সামষ্টিক প্রতিরোধ থেকে। গ্রামবাসী প্রতিরোধ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। বানোয়াট অভিযোগে পুলিশ যখন গভীর রাতে গ্রামে গঞ্জে আসামী ধরতে হানা দিচ্ছে তখন এই সম্মিলিত প্রতিরোধের ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে তখন যখন শাসক দলের ক্যাডাররা পুলিশকে পথ দেখিয়ে গ্রামের ভিতর নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ দলীয় ক্যাডারসহ বানোয়াট অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। এই পুলিশী অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল গ্রামবাসীদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করা। এসব গ্রামবাসী এ মাসে বা গতমাসে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল। সেই বিক্ষোভের পর পাইকারী হারে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ যখন গ্রামে হানা দেয় তখন জনগণ পুলিশ এবং শাসক দলের ক্যাডারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এই ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকাতে বলা হয়, স্থানীয় জনগণকে ক্রমাগত ভয় দেখানোর জন্য পুলিশ এবং বিজিবিকে (ভূতপূর্ব বিডিআর)কে ব্যবহার করছে সরকারি দল। কিন্তু সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয়গুলো জনগণের ক্রোধকে বাড়িয়ে তুলছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে ক্রুদ্ধ জনগণ ক্রোধের বশবর্তী হয়ে পুলিশ এবং শাসক দলের ক্যাডারদের ওপর চড়াও হচ্ছে। এর ফলে দুটি পক্ষই এখন প্রতিদিন একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সংঘটিত ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে যে পুলিশের এই ধরনের হামলা জনগণের মাঝে কেমন পাল্টা সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। এই ঘটনায় ৫ ব্যক্তি নিহত হয় এবং কয়েক শত মানুষ গুরুতর আহত হয়। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। এই ঘটনায় ৩০০ মোটরসাইকেল এবং ২৮টি মোটরগাড়ি ক্রুদ্ধ জনতা পুড়িয়ে দেয়। জনতা ভুজপুর এবং পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পিয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে আসা সরকারি ক্যাডারদের জিম্মি করে ফেলে। অথচ আওয়ামী লীগ নেতা পিয়ারুল ইসলাম একটি বিশাল বহিনী নিয়ে ঐ গ্রামে পুলিশের সাথে মিলে অভিযান চালিয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে ভয় দেখানো। কারণ এলাকার প্রায় সব মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়।
দৈনিক ইত্তেফাকের খবরের বরাত দিয়ে হলিডের ঐ রিপোর্টে বলা হয় যে গ্রামগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মানুষ লাঠি এবং বল্লম নিয়ে বের হয়। পুলিশ এবং আওয়ামী ক্যাডারদের সম্মিলিত বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য গ্রামে মহিলারাও ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। ইত্তেফাকের সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয় যে এই ঘটনার মাধ্যমে জনগণের প্রতিরোধ এবং শাসক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে জনগণের ঘৃণার মাত্রাই প্রকাশিত হয়েছে।
জনগণের এই দুঃসাহসিক প্রতিরোধ দেখে হানাদাররা দ্রুত পালিয়ে যায়। তাদের অনেকেই নিরাপত্তার জন্য নিকটবর্তী পুকুর অথবা কাদামাটির মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে । অনেকে প্রাণে বাঁচার জন্য অপরিচিত বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু সেখানেও বিধি বাম। যারা অপরিচিত বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে। তাদেরকে গৃহবাসীরা বেদম প্রহার করে। এই সংঘর্ষ প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে। এর মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিজিবিকে তলব করা হয়।
সংঘর্ষের একটি পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পিয়ারুল ইসলামের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে ইনিই সেই পিয়ারুল ইসলাম যিনি বিগত নির্বাচনে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দি¦তা করেছিলেন। ঐ নির্বাচনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিজয়ী হন এবং এটিএম পিয়ারুল ইসলাম পরাস্ত হন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এখন কারাগারে এবং বিচারের সম্মুখীন। যাই হোক, পিয়ারুল ইসলাম যখন বিপন্ন হন তখন বিজিবি’র সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন এবং একটি জিপ গাড়ি করে ঐ স্থান ত্যাগ করেন। ঐ জিপ গাড়িতে যুবলীগের একজন নেতাও ছিলেন। হুড়াহুড়ির মধ্যে তিনি জিপ থেকে পড়ে যান এবং হলিডের ঐ রিপোর্ট মোতাবেক উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে তিনি নিহত হন।
॥ তিন ॥
দৈনিক ‘কালের কণ্ঠের’ বরাত দিয়ে হলিডের ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মোটরসাইকেলের একটি বহর পুলিশের সাথে এই অভিযানে অংশ নেয়। মোটরসাইকেলের এই বহরে ছিল আবু তৈয়ব, আব্দুল কাইয়ুম, মহিউদ্দিন চুন্নু প্রমুখ ভয়ঙ্কর অপরাধী। আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে ২৮টি ক্রিমিনাল মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো হত্যাকা-ের মামলা। আবু তৈয়বকে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকার জামিনে মুক্তি দিয়েছে। আব্দুল কাইয়ূমের বিরুদ্ধেও হত্যাকা-সহ ডজন খানিক মামলা রয়েছে। তাকেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ক্ষমা করে দেয়া হয়। এসব অপরাধী যেসব ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্র সাথে নিয়ে অভিযানে যায়। তার মধ্যে রয়েছে একে-৪৭, এম-১৬, জি-৩ রাইফেল। কিন্তু জনতার প্রতিরোধ ছিল এতই তীব্র যে তারা এসব ভয়ঙ্কর অস্ত্রশস্ত্র থেকে গুলীবর্ষণের সাহস পায়নি। আরেকটি কারণ ছিল এই যে তাদেরকে চারদিক থেকে ঘেরাও করা হয়। তাদের বের হবার কোনো পথ ছিল না।
হলিডের এই রিপোর্টের মতে বাংলাদেশের অধিকাংশ জাতীয় দৈনিকসমূহ সরকারপন্থী। তারা এই ঘটনার জন্য জামায়াতে ইসলামী এবং হেফাজতে ইসলামের ওপর দোষারোপ করেছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে এই ফটিকছড়ি হলো সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকা। এখান থেকে তিনি বিগত নির্বাচনসহ বিগত পাঁচটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা ভয়ঙ্কর ক্ষীপ্ত। ঐ রিপোর্টে বলা হয় যে আওয়ামী লীগের প্রাইভেট বাহিনীর পেছনে সরকারি বাহিনীর পূর্ণ সমর্থন ছিল। তৎসত্ত্বেও তারা জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। কারণ জনগণ সরকারি বাহিনীকে ভয় পাওয়ার পরিবর্তে তাদেরকে রুখে দাঁড়ায় এবং পাল্টা আঘাত করে।
॥ চার ॥
ইদানীং পত্রপত্রিকায় এই ধরনের ঘটনার খবর প্রায়শই প্রকাশিত হচ্ছে। এসব খবর থেকে দেখা যাচ্ছে যে পল্লী এলাকায় সরকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, সাতকানিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং আরো অনেক স্থানে। এসব জায়গায় পুলিশ অভিযান চালালে ৫/৬ জন পুলিশ প্রাণ হারিয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে প্রকাশ, নওগাঁর মারমা গ্রামে কয়েকজন আসামী ধরার জন্য গভীর রাতে পুলিশ হানা দেয়। তখন গৃহবাসী চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা দলে দলে এগিয়ে আসে এবং পুলিশদের জিম্মি করে। পরদিন সকালে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ওসি ঘটনাস্থলে যান এবং জিম্মি পুলিশদের উদ্ধার করেন। গত ১৬ তারিখের একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে প্রকাশ, মৌলভীবাজার জেলার খারপাড়া গ্রামে আসামী ধরার জন্য পুলিশ হানা দেয়। আসামীদের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা এবং শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগ ছিল। কিন্তু পুলিশের সেই অভিযান প্রত্যক্ষ প্রতিরোধের মাধ্যমে গ্রামবাসীরা নস্যাৎ করে দেয়। সিলেটে একজন ওসিকে গ্রামবাসী আটক করে। তাকে প্রহার করা হয় এবং আহত অবস্থায় তাকে ছেড়ে দিলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়।
খবরে আরও প্রকাশ, যশোরে অন্তত ষোলটি গ্রামে গ্রামবাসীরা নৈশ পাহারা কমিটি গঠন করেছে। রাত বিরাতে রাজনৈতিক কারণে আসামী ধরার জন্য পুলিশ গ্রামে হানা দেয়। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের প্রাইভেট বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্যই এসব ভিজিল্যান্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেহেতু গভীর রাতে পুলিশ হানা দেয় তাই মসজিদের মাইক থেকে পুলিশের আগমন সম্পর্কে গ্রামবাসীকে সতর্ক করে দেয়া হয়। গ্রামে এখন যেসব ঘটনা ঘটছে তার ফলে পুলিশকে মনে করা হচ্ছে উপনিবেশবাদী পুলিশ। তাদের ভয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য গ্রামবাসীরা সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
জনগণকে সতর্ক করার জন্য যেহেতু মাঝে মাঝে মসজিদের মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে তাই সরকারি দল থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে যে এগুলো জামায়াতে ইসলামী এবং হেফাজতে ইসলামের কাজ। এগুলো মৌলবাদী এবং ইসলামী সন্ত্রাসীদের কাজ। অতীতেও দেখা গেছে যে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, জনগণের আস্থা হারিয়ে, জনপ্রতিরোধকে দুষ্কৃতিকারীদের কাজ বলে সরকার অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু এতে কোনো ফায়দা হয়নি। জনগণ ঠিকই বুঝেছে যে সরকারের দিন ফুরিয়ে গেছে। তাই মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন