প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার হঠাত্ হার্ডলাইনে এগোতে শুরু করেছে। ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা এবং দলীয় গুণ্ডা-সন্ত্রাসীদের হামলার পাশাপাশি পুলিশকে দিয়ে লাঠিপেটা ও গ্রেফতার করালেও এতদিন বিএনপি তবু মাঝে-মধ্যে মিছিল-সমাবেশ করতে পারত। এখন আর সে সুযোগটুকুও দিতে চাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে ২ অক্টোবর। সেদিন পুলিশ শুধু বিএনপির প্রতিবাদ মিছিলকেই ছত্রভঙ্গ করেনি, নেতাকর্মীদের ওপরও যথেচ্ছ নির্যাতন চালিয়েছে। টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে মুড়ি-মুড়কির মতো। পুলিশ একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধও করে রেখেছে। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাউকেই বের হতে বা ভেতরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ফলে অফিসের ভেতরে না খেয়ে কাটাতে হয়েছে প্রায় দুইশ’ নেতাকর্মীকে। সুনির্দিষ্ট ৪৯ জনের সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আড়াই হাজারজনকে আসামি করে মামলাও ঠুকেছে পুলিশ। দ্বিতীয় দিন অবরুদ্ধ অফিস থেকে বেরিয়ে আসার পর গ্রেফতার হয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ডিবির লোকজন তাকে যেভাবে জাপটে ধরে নিয়ে গেছে তা দেখে মনে হয়েছে যেন তিনি খুনি-সন্ত্রাসী ধরনের কোনো ভয়ঙ্কর অপরাধী! অথচ জনাব আলাল শুধু যুবদলের সভাপতি নন, সাবেক সংসদ সদস্যও। অমন একজন জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও পুলিশ চরম অসভ্য আচরণ করেছে।
আমরা অবশ্য অবাক হইনি। কারণ, জনাব আলালেরও আগে আরও অনেকের সঙ্গেই পুলিশ এমনকি এর চাইতেও মারাত্মক আচরণ করেছে। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে তো জানেই মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল দু’জন আওয়ামী পুলিশ অফিসার। ডজনের ওপর টিভি ক্যামেরা এবং হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে জনাব ফারুককে যারা হত্যার চেষ্টা করেছিল সে দু’জনকে কোনো শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে সরকার বরং পদোন্নতি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছে। বলা বাহুল্য, সরকারের এই নীতির কারণে বিরোধী দলের ওপর দমন-নির্যাতন চালানোর ব্যাপারে পুলিশও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ২ অক্টোবরের সর্বশেষ ঘটনায় মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মারমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ আইনের পর্যন্ত তোয়াক্কা করেনি। দেশের অন্য সব স্থানেও বিএনপির বিরুদ্ধে হার্ডলাইনেই হাঁটছেন ক্ষমতাসীনরা। নিজেরা উপলক্ষ তৈরি করে হলেও বিএনপিকে দমন করার ও ধাওয়ার মুখে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যেমন রামুর সহিংসতার পেছনে আওয়ামী লীগের হাত থাকার কথাটা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আসামি করেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। প্রচারণাও এমনভাবেই চালানো হচ্ছে যেন বিএনপি শুধু সাম্প্রদায়িক দল নয়, জঙ্গি সংগঠনও! একই নীতি নেয়া হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধেও। ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল ছাত্রলীগের ক্যাডার ও সন্ত্রাসীরা। কিন্তু পুলিশ মামলা করেছে ছাত্রদলের ২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য বিরোধী দলগুলোও দমন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাইলেই মামলা করা হয়েছে ছাত্রশিবিরের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শিবিরের ২৮ জনকে এরই মধ্যে জেলের ভাত খাওয়ানোও শুরু হয়েছে! অথচ রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামলাটা ছাত্রলীগই করেছিল। টিভিতে সেসব দৃশ্য দেখেছেন মানুষ, সংবাদপত্রেও অনেক ছবি প্রকাশিত হয়েছে।
আমরা পুলিশকে দিয়ে দমন-নির্যাতন এবং গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বলা দরকার, জনগণের ট্যাক্সের অর্থে লালিত বলেই কোনো রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রসম্মত কর্মসূচি ভণ্ডুল করা এবং নেতাকর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো পুলিশের কাজ হতে পারে না। তাছাড়া মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিং, মানববন্ধন, হরতাল প্রভৃতি মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু পুলিশকে দিয়ে এসব কর্মসূচিকেই পণ্ড করানো হচ্ছে। এমনকি আগে থেকে ঘোষিত শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশও করতে দিচ্ছে না পুলিশ। ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয় ও ইঙ্গিতে পুলিশ জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও অবমাননাকর আচরণ করছে। ২ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীদের যেভাবে লাঠিপেটা করানো হয়েছে, তা দেখে মনে হবে পুলিশ সরকারের ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমরা মনে করি, বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান বন্ধ করে সরকারের উচিত অবিলম্বে গণতন্ত্রসম্মত অবস্থানে ফিরে আসা। এভাবে দমন-নির্যাতনের পথে পা বাড়াতে থাকলে সরকারের বিপদই বাড়বে। ইসলামী ও সমমনা ১২টি সংগঠনের আহ্বানে মাত্র একদিনের নোটিশে ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হরতাল থেকেও ক্ষমতাসীনদের শিক্ষা নেয়া দরকার। কারণ, এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার জনসর্থন হারিয়ে ফেলেছে সম্পূর্ণরূপে। নাহলে এত কম সময়ের ঘোষণায় এত সফলভাবে হরতাল পালিত হতো না। ১২টি অরাজনৈতিক সংগঠনের আহ্বানেই যেখানে এই অবস্থা, সেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যদি আন্দোলনের ডাক দেয় তাহলে ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন কিনা তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার। তাছাড়া কথায় বলে, আগুন নিয়ে বেশি খেললে নাকি হাত পুড়ে যায়!
আমরা অবশ্য অবাক হইনি। কারণ, জনাব আলালেরও আগে আরও অনেকের সঙ্গেই পুলিশ এমনকি এর চাইতেও মারাত্মক আচরণ করেছে। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে তো জানেই মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল দু’জন আওয়ামী পুলিশ অফিসার। ডজনের ওপর টিভি ক্যামেরা এবং হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে জনাব ফারুককে যারা হত্যার চেষ্টা করেছিল সে দু’জনকে কোনো শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে সরকার বরং পদোন্নতি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছে। বলা বাহুল্য, সরকারের এই নীতির কারণে বিরোধী দলের ওপর দমন-নির্যাতন চালানোর ব্যাপারে পুলিশও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ২ অক্টোবরের সর্বশেষ ঘটনায় মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মারমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ আইনের পর্যন্ত তোয়াক্কা করেনি। দেশের অন্য সব স্থানেও বিএনপির বিরুদ্ধে হার্ডলাইনেই হাঁটছেন ক্ষমতাসীনরা। নিজেরা উপলক্ষ তৈরি করে হলেও বিএনপিকে দমন করার ও ধাওয়ার মুখে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যেমন রামুর সহিংসতার পেছনে আওয়ামী লীগের হাত থাকার কথাটা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আসামি করেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। প্রচারণাও এমনভাবেই চালানো হচ্ছে যেন বিএনপি শুধু সাম্প্রদায়িক দল নয়, জঙ্গি সংগঠনও! একই নীতি নেয়া হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধেও। ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল ছাত্রলীগের ক্যাডার ও সন্ত্রাসীরা। কিন্তু পুলিশ মামলা করেছে ছাত্রদলের ২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য বিরোধী দলগুলোও দমন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাইলেই মামলা করা হয়েছে ছাত্রশিবিরের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শিবিরের ২৮ জনকে এরই মধ্যে জেলের ভাত খাওয়ানোও শুরু হয়েছে! অথচ রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামলাটা ছাত্রলীগই করেছিল। টিভিতে সেসব দৃশ্য দেখেছেন মানুষ, সংবাদপত্রেও অনেক ছবি প্রকাশিত হয়েছে।
আমরা পুলিশকে দিয়ে দমন-নির্যাতন এবং গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বলা দরকার, জনগণের ট্যাক্সের অর্থে লালিত বলেই কোনো রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রসম্মত কর্মসূচি ভণ্ডুল করা এবং নেতাকর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো পুলিশের কাজ হতে পারে না। তাছাড়া মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিং, মানববন্ধন, হরতাল প্রভৃতি মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু পুলিশকে দিয়ে এসব কর্মসূচিকেই পণ্ড করানো হচ্ছে। এমনকি আগে থেকে ঘোষিত শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশও করতে দিচ্ছে না পুলিশ। ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয় ও ইঙ্গিতে পুলিশ জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও অবমাননাকর আচরণ করছে। ২ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীদের যেভাবে লাঠিপেটা করানো হয়েছে, তা দেখে মনে হবে পুলিশ সরকারের ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমরা মনে করি, বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান বন্ধ করে সরকারের উচিত অবিলম্বে গণতন্ত্রসম্মত অবস্থানে ফিরে আসা। এভাবে দমন-নির্যাতনের পথে পা বাড়াতে থাকলে সরকারের বিপদই বাড়বে। ইসলামী ও সমমনা ১২টি সংগঠনের আহ্বানে মাত্র একদিনের নোটিশে ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হরতাল থেকেও ক্ষমতাসীনদের শিক্ষা নেয়া দরকার। কারণ, এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার জনসর্থন হারিয়ে ফেলেছে সম্পূর্ণরূপে। নাহলে এত কম সময়ের ঘোষণায় এত সফলভাবে হরতাল পালিত হতো না। ১২টি অরাজনৈতিক সংগঠনের আহ্বানেই যেখানে এই অবস্থা, সেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যদি আন্দোলনের ডাক দেয় তাহলে ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন কিনা তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার। তাছাড়া কথায় বলে, আগুন নিয়ে বেশি খেললে নাকি হাত পুড়ে যায়!
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন