আলমগীর মহিউদ্দিন
বাংলাদেশের মানুষ এখন শঙ্কা, অসন্তোষ ও যন্ত্রণায় ডুবে আছে। তারা শঙ্কায় এ জন্য যে, প্রতিটি দিন তাদের কাছে অজানা হয়ে পড়ছে। জীবনধারণ থেকে স্বস্তিতে, নির্ভয়ে ও নির্বিঘেœ রাস্তা চলাও বিপদসঙ্কুল হওয়ার জন্য এ শঙ্কা। কেবলই অপরাধী ও অপরাধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যে আইন মানছে, আইনের সপক্ষে বলতে চাইছে অথবা তাকে সহায়তা দিতে চাইছে, সে বিপদে পড়ছে। শঙ্কা এখানেই। যে সত্য বলছে, নৈতিকতার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, সে আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে পড়ছে। সে আক্রমণ শারীরিকভাবেও হচ্ছে। শঙ্কা এখানেই। প্রতিটি মুহূর্তই যেন ভীতিকর।
মানুষের অসন্তোষ যদিও বহু প্রাচীন, এখনকার অসন্তোষ একেবারেই কাছের জিনিস নিয়ে। অসন্তোষ এ জন্য যে, জীবনের নিরাপত্তা একেবারেই ভঙ্গুর হয়েছে পড়েছে। খবরের কাগজ বলছে, প্রতিদিন গড়ে ১৪ জনকে হত্যা করা হচ্ছে। এগুলো কখনো রাজনৈতিক হিংসার ফল, কখনো বা নিছক অপরাধবৃত্তি থেকে। সমাজের যে সাধারণ ঐতিহ্যবোধ ও নৈতিকতা সব অপরাধকে বাধা দিত এবং প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে জীবনের নিরাপত্তা দিত, তা যেন বিলীন হয়েছে। এমনকি যারা এসব বিষয় নিশ্চিত করার দায়িত্বে, তারাই এই অপরাধের হোতা হয়ে পড়েছে। জীবনধারণের নিরাপত্তার অভাব ছাড়াও জীবনধারণের উপকরণের অভাব তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এখানেও যাদের এসব নিশ্চিত করার দায়িত্ব, তারাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই অনাচারে লিপ্ত। অসন্তোষ এখানেই। সমস্যা সমাধানের নামে নতুন সমস্যা সৃষ্টির উৎসাহ জনগণকে অসন্তোষে রেখেছে। নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে অন্যায় পন্থার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাবানেরা ক্রমান্বয়ে ধনী হচ্ছে, আর এর ফলে সামাজিক অশান্তি ও অনগ্রসরতাও নিশ্চিত হচ্ছে। অন্যায়ের বিচারপ্রার্থীরা অথবা সমালোচনাকারীরা হচ্ছে নিগৃহীত। সব কিছুই রাজনীতির লাভ-লোকসানের আয়নায় দেখা হচ্ছে। জনগণের অসন্তোষ এখানেই। তারা ভীত এবং শঙ্কিত এ জন্য যে, অন্যায়ের প্রতিকার এবং তার বিচারের অভাব সংখ্যাগরিষ্ঠ শান্তিপ্রিয় মানুষের জীবনে কোনো আলোকবর্তিতা জ্বালাচ্ছে না। এমনকি ন্যায়বিচারের কোনো স্থান তারা খুঁজে পাচ্ছে না। স্বার্থলোভী সংখ্যালঘিষ্ঠ ক্ষমতাবানরা সাময়িক লাভবান হলেও পরিণতিতে যে রাষ্ট্রীয়-জাতীয়ভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। অথচ নেতৃত্বের দাবিদার ও ক্ষমতাবানেরা কেউই এই পরিণতির কথা ভাবতে পারছে না, ভাবছে না। শঙ্কা ও অসন্তোষ এখানেই।
মানুষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ এবং তাদের শুভানুধ্যায়ীরা এখন যন্ত্রণায়। সমস্যার পাহাড় ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। প্রতিটি পল যন্ত্রণায় আবিষ্ট। এমন যন্ত্রণার রাজ্যে তারা কখনো বাস করেছে কি না কেউই মনে করতে পারে না। রাষ্ট্রকে ক্ষমতাবানেরা ব্যবহার করছে জনগণকে যন্ত্রণায় ডুবিয়ে রাখতে। বেশির ভাগ মানুষ এ বিষয়ে একমত যে, এসবের মূলে অনৈতিকতা, যা সৃষ্টি করেছে অভাবনীয় দুর্নীতির সাম্রাজ্য। এটা সার্বজনীন যে, দুর্নীতি দেশের সুস্থ ও সুন্দর উন্নয়নে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্মাণে ও পরিচালনায় প্রধান বাধা। একে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড বলা হয় এ জন্য। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাতিসঙ্ঘ দুর্নীতির একটি সংজ্ঞায় একমত। ‘অর্পিত ক্ষমতা ব্যক্তিগত লাভের জন্য অপব্যবহার’ করাকেই দুর্নীতি বলে। এটা বিশ্লেষণ করলে সহজেই এর ব্যাপকতা স্পষ্ট হতে বাধ্য। এ তিন সংস্থা বলেছে, শুধু দু’টি শ্রেণী দুর্নীতিতে জড়িত। তারা হলোÑ আমলা ও রাজনীতিবিদ। সাধারণ মানুষ কখনোই দুর্নীতিতে জড়িত নয়। এ দুই শ্রেণীর জনগণের এক ুদ্রাংশকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে দুর্নীতির দায় থেকে মুক্তি পেতে চায়।
গত চার দশকে দুর্নীতি কেবলই তার আকার প্রসারিত করেছে। দুর্নীতি নির্মূলের নামে যে কর্মকাণ্ডগুলো হয়েছে, তা সেই দুর্নীতির পথকে কুসুমাস্তীর্ণ করেছে। দুর্নীতিবাজরা প্রধানত ক্ষমতাবান। কেননা তারা আমলা ও রাজনীতিবিদ। তারা দেশ চালায়, সমাজকে তাদের অঙ্গুলি নির্দেশে নতুন নতুন নিয়মকানুন নির্মাণ অথবা তাদের নির্মিত নিয়মকানুন মানতে বাধ্য করে। উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিবাজেরা প্রায়ই নীতির ও আইনের আবরণে দুর্নীতি করে। এ জন্য তারা ক্ষমতায় গেলে প্রথমেই নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী আইন তৈরি করে। তাদের প্রতিপক্ষকে কোনো কথিত অপরাধে শাস্তি দিতে চাইলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় আইন নির্মাণ করে। যেমন, তারা আইন তৈরি করল, অভিযোগই যথেষ্ট, কোনো সাক্ষীর প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে চাুস সাক্ষী। বহু শতাব্দীর প্রচলিত রীতিনীতিও বিশেষ ক্ষেত্রে পদদলিত হতে দেখা যায়। পুরাকাল থেকে সাক্ষীর নৈতিকতার ওপর যে প্রাধান্য দেয়া হতো, তাকে গৌণ করে ফেলা হয়েছে। নৈতিকতাকে প্রাধান্য দেয়ার কারণ, এটা মিথ্যাকে সহজভাবে প্রতিহত করতে পারে। অথচ মিথ্যা দুর্নীতি ও অনাচারের প্রধান বাহন। তবে এখন বাংলাদেশে এই অনৈতিকতা ও মিথ্যাচার ক্ষমতাবানদের প্রধান শক্তি।
বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে দুর্নীতির শীর্ষ দেশগুলোর লিস্টে স্থান পায়। এটা সহজেই অনুমেয়, তখন রাজনীতিবিদ-আমলারা কোনো মহোৎসবে লিপ্ত ছিলেন। জাতিসঙ্ঘ-বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুসারে এ দুই শ্রেণী সৎ, শুদ্ধ ও নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ পরিচালনা করলে দুর্নীতি কখনোই সত্য নয়। এবং তেমনটি হলে, গুম-খুন-চুরি-দখলের রাজ্য কায়েম হওয়ার পথ থাকে না। আসলে বাংলাদেশের জন্মের ঊষালগ্নেই ক্ষমতাবানেরা দুর্নীতিতে এমনভাবে জড়িয়ে পড়ে যে, তাদের জীবন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড একে অন্যের সম্পূরক হয়ে পড়ে। এ জাল থেকে গত চার দশক পরেও তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি। বরং তা যেন তাদের আরো আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। স্বাধীনতার ঊষালগ্নের সরকারপ্রধান নিজেই এই মহোৎসবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তার বিখ্যাত ‘চাটার দলে চেটে খায়’ উক্তিটি স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয় দুর্নীতি কোন পর্যায়ে। তিনি অসহায়ভাবে এ উক্তিটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর ফলে বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে দুর্নীতি, অনাচার, অবিচারের প্রতি খানিকটা উদাসীনতার সৃষ্টি শুরু হয়।
দুই বাসযাত্রীর মধ্যে সম্প্রতি কথাবার্তা হচ্ছিল। যুবক যাত্রীটি একপর্যায়ে মন্তব্য করল, ‘আমিও তাদের মতো বিক্রি হতে প্রস্তুত।’ এর আগে এ দেশের আমলা, রাজনীতিবিদ আর অপরাধীরা কেমনভাবে কেনাবেচা হচ্ছে, তার ফিরিস্তি যুবকটি দিয়েছিল। বয়স্ক যাত্রীটি এর প্রতিবাদ না করে বলল, ‘কেন এই অন্যায়কে অনুসরণ করবে?’ যুবকটি বলল, ‘কারণ সেও এসব আমলা-রাজনীতিবিদের মতো রাতারাতি ধনীÑ ক্ষমতাবান হতে চায়।’ অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশটি নৈতিকতা, ন্যায়-অন্যায় নিয়ে ভাবছে না। তারা ধনে ও ক্ষমতার অনুসারী হয়ে পড়েছে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি একটি সমাজই শুধু নয়, জাতির জন্যও অত্যন্ত ভয়াবহ। অথচ বাংলাদেশের যুবসমাজের একাংশের মধ্যে এটা এখন প্রধান চালিকাশক্তি। এর অনেক কারণের মাঝে প্রধান কারণটি হলো সমাজপতি ও নেতৃত্বের নৈতিকতার অধঃপতন। আজকের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনে যে অস্থিরতা ও অনাচার তা যে এ জন্যই হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধের ধারাটিকে এমন অবস্থার সৃষ্টির মাঝ দিয়ে শুরু করা হয়েছে। এখন মানুষ ন্যায়ের পক্ষে এগিয়ে আসতে ভয় পায়।
সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। এ তথ্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে। তারা সংসদে আইন প্রণয়ন করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ নেন। এক আন্তর্জাতিক সংস্থা এদের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখতে পায়, এদের ৯৩ শতাংশ নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট আর অর্ধেকের বেশি খুন-গুম-দখলে। সরকারের জবাবটি বেশ রহস্যজনক এবং বহুমাত্রিক। জরিপের পরিপ্রেক্ষিতে যে তথ্য দেয়া হয়, তাকে সরকার বলেছে তৃতীয় অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে এ প্রচেষ্টা। তবে এ কথা বলা হয়নি, যে তথ্যগুলো দেয়া হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা। উল্লেখ্য, যে সংস্থাটি এই জরিপ এবং তথ্য প্রকাশ করেছে, তার অনেক কর্মকর্তা সরকারপন্থী বলে পরিচিত। এ কথা বিবেচনা করে কেউ যদি এ উপসংহার টানে যে, অনাচার, অবিচার, অনৈতিকতা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এসব কর্মকাণ্ডের হোতাদের শুভানুধ্যায়ীরাও কিছু সত্য বলতে বাধ্য হচ্ছেন। আসলে এত দুর্নীতি, সামাজিক অনাচার, সরকারের নেতৃবৃন্দের লাজহীন অশ্লীল বাচনভঙ্গি অতীতে কখনোই দেখা যায়নি। অতীতের সব দুর্নীতির রেকর্ড ভেঙেও কেমনভাবে লজ্জাহীন হয়ে জনগণের সামনে কথা বলতে পারা যায়, তার নতুন দিকনির্দেশনা বর্তমানের ক্ষমতাবানেরা প্রদর্শন করছে। একটি উদাহরণই যথেষ্ট। একজন মন্ত্রীর বাড়িতে বস্তাভর্তি টাকা যাচ্ছিল এবং তা সরকারি বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেয়ার চার ঘণ্টা পরেই তা কেমন করে গায়েব হয়ে যায়, তার সম্ভবত নজির এ দেশে নেই বললেই চলে। দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, মন্ত্রীসহ অনেকেই এই দুর্নীতিতে জড়িত এবং কয়েকটা নাটকীয় অঙ্গভঙ্গির পরে যথা পূর্বং তথা পরং। সরকারের শক্তিশালী অংশ বিষয়টিকে আমলেই নিলো না। জনগণ তাই সন্দেহ করে, দুর্নীতি দমনের নামে যে কর্মকাণ্ড হচ্ছে তা কি শুধু ‘আইওয়াশ’?
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং তাদের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে যেন একটি পুরনো খেলায় ক্ষমতাবানেরা আবার মেতে উঠেছে। তা হলো সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির প্রয়াস বৌদ্ধমন্দির পোড়ানো, হামলা এবং তা নিয়ে ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো কর্মকাণ্ড স্পষ্ট করে দেয়, এটা ক্ষমতাবানদের কর্মকাণ্ড। ছবি এবং সাক্ষাৎ সাক্ষীদের বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে প্রতিপক্ষকে এ বিষয়ে জড়ানোর অপচেষ্টা যে জনগণের কাছে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে, এটা বুঝতে পেরে ক্ষমতাবানেরা যেন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে।
তবে জনপ্রতিনিধিদের চরিত্র বর্ণনা করে জরিপের যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তাকে কোনো শাক দিয়েই লুকানো সম্ভব নয়। বলা হয়, নারী যদি একবার সম্ভ্রম হারিয়ে ফেলে, তার দ্বারা সব কিছুই সম্ভব। তেমনি যদি একজন একবার অনৈতিক কাজ করে পার পেয়ে যায়, তখন তার বিশ্ববেহায়া হতে আটকায় না। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা যদি এই শ্রেণীতে যোগ দেন, অবশ্যই সে দেশ ও জাতির জন্য থাকবে শুধুই যন্ত্রণা। এখানে হজরত আলী রা:-এর একটি অমর বাণী উল্লেখ করা যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘যে দেশের নেতা ও সমাজপতিরা মিথ্যা বলে, অনৈতিকতায় ডুবে যায়, আর জনগণ তার প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে পিছিয়ে থাকে, সে জাতি ও দেশের জন্য রয়েছে অফুরন্ত যন্ত্রণা এবং শাস্তি।’ বাংলাদেশের মানুষ আজকের অনাচার-অবিচারের রাজ্যে ঠিক এই যাতনায় ভুগছে। যেহেতু অনৈতিকতা সমাজজীবনে দৃঢ়ভাবে শিকড় গেড়েছে এবং তা উৎপাটনের কোনো চেষ্টাও নেই, তাই এ কথা হয়তো মিথ্যা হবে না যে, এ জাতির নিজস্ব সত্তা, স্বাধীনতা এবং বিকাশÑ সবই বিপন্ন হবে। কোনো নকিব এসে সবাইকে জাগিয়ে এ ডুবন্ত জাতিকে আবার বাঁচিয়ে তুলবে কি না, হয়তো তা শুধুই পরম করুণাময় সর্বজ্ঞ সৃষ্টিকর্তাই জানেন। আমরা জানি না এ ভয়াবহ চিত্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারব কি না। কারণ এ দেশের রাজনৈতিক ধারা অনুসারে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন ক্ষমতাবানেরা তাদের প্রতিপক্ষকে যে বিশেষণে অপবাদ দিয়ে থাকে, তারা সে কর্মেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাহলে কি তারা নিজেরাই তৃতীয় শক্তিকে আহ্বান করছে? তৃতীয় শক্তিকে জনগণের কথা ভাবতে হয় না। জনগণের নামে শক্তি দিয়ে তাদের নিজেদের এজেন্ডা সহজেই কায়েম করতে পারে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন