সিলেটে ‘বেপরোয়া’ ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। ছাত্রাবাস, পেট্রলপাম্প, রেস্টুরেন্টের পর এবার রেলস্টেশনে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনটি। স্টেশন ম্যানেজারের কাছে অবৈধভাবে টিকিট চেয়ে না পেয়ে রেলস্টেশন কাউন্টারে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লুটপাটসহ সরকারি মালামালও নষ্ট হয়েছে। সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ আলী আশরাফ সুহেলের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে রেলস্টেশন সূত্র জানিয়েছে।
সুহেলকে প্রধান আসামি এবং আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ ঘটনার পর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, শেখ আলী আশরাফ সুহেল প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো আবদার দিয়ে তার কাছে লোকজন পাঠায়। কখনও নিজে গিয়ে দেখা করে। রাত সোয়া ৯টার দিকে দুই তরুণকে বৃহস্পতিবার উপবনের শিফটিং বার্থের টিকিটের জন্য পাঠায়। এ দুই যুবক তার সঙ্গে দেখা করে সুহেলের কথা জানিয়ে টিকিট চায়। আবুল কালাম আজাদ জানান, এরই মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া বর্তমানে যে সিট আছে, সেটা এমপি মহোদয়ের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তিনি না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তাদের টিকিট দেয়া হবে বলে ওই যুবকদের জানান স্টেশন ম্যানেজার। কিন্তু ওই দুই যুবক তাকে এখনি টিকিট দেয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন ম্যানেজার সম্ভব নয় জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসে। এরপর প্রায় দেড় শতাধিক লোক এসে হামলা চালায়। আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই ছেলেরা হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে সোহেলকে বিষয়টি জানান। সে বিষয়টি দেখছে বলে উল্টো সুহেলের নেতৃত্বে এসে হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটে অংশ নেয়। একটি গ্রুপ মেইন রোড দিয়ে আসে। অপর গ্রুপটি দেশীয় লাঠিসোটা ও রড নিয়ে এসে দুদিক থেকে হামলা চালায়। এ সময় রেলস্টেশনে আসা যাত্রীসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা ছোটাছুটি করতে থাকেন দিকবিদিক। স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আহত হন। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, সোহেলের সহযোগীরা হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর স্টেশন ম্যানেজার জিআরপি পুলিশ ও স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তখন উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পূর্ব মুহূর্তে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা সোহেলকে তার লোকজনকে ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানালেও সে কথা শোনেনি। উল্টো সোহেলের নেতৃত্বে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীদের বেশিরভাগ ছিল সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগ কর্মী। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় ভাংচুর গ্লাস নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সব কাউন্টারে হামলা হয়েছে। কম্পিউটার ছিটকে পড়েছে। লণ্ডভণ্ড রয়েছে রেলস্টেশনের সব টিকিট কাউন্টার। স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তিনি বলেন, তার সহকর্মীরা কোনো রকমে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি জানান, প্রায় প্রতি সপ্তাহে সোহেলের আবদার থাকে। আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, হামলার আগে সুহেলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাই। উল্টো তার লোকজন হামলা চালায়। মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী আশরাফ সোহেল স্টেশন ম্যানেজার তাকে ফোন দেয়ার কথা স্বীকার করেন। দাবি করেন ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। হামলাকারীদের তিনি চেনেন না। এরসঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সুহেলকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রাতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জিআরপি পুলিশের ওসি খন্দকার আবুল হাসান জানান, রাতে স্টেশন ম্যানেজার এজাহার দাখিল করেছেন। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। মামলার এজাহারে সুহেলকে যুবলীগ কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে সুহেল যুবলীগ নয়, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পোড়ানো, শিবগঞ্জে পেট্রলপাম্পে হামলা এবং সম্প্রতি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কফি হাউসে হামলার ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের ক্ষমতার শেষ সময়ে ছাত্রলীগের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন সিলেটের মানুষ।
সুহেলকে প্রধান আসামি এবং আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ ঘটনার পর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, শেখ আলী আশরাফ সুহেল প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো আবদার দিয়ে তার কাছে লোকজন পাঠায়। কখনও নিজে গিয়ে দেখা করে। রাত সোয়া ৯টার দিকে দুই তরুণকে বৃহস্পতিবার উপবনের শিফটিং বার্থের টিকিটের জন্য পাঠায়। এ দুই যুবক তার সঙ্গে দেখা করে সুহেলের কথা জানিয়ে টিকিট চায়। আবুল কালাম আজাদ জানান, এরই মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া বর্তমানে যে সিট আছে, সেটা এমপি মহোদয়ের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তিনি না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তাদের টিকিট দেয়া হবে বলে ওই যুবকদের জানান স্টেশন ম্যানেজার। কিন্তু ওই দুই যুবক তাকে এখনি টিকিট দেয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন ম্যানেজার সম্ভব নয় জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসে। এরপর প্রায় দেড় শতাধিক লোক এসে হামলা চালায়। আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই ছেলেরা হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে সোহেলকে বিষয়টি জানান। সে বিষয়টি দেখছে বলে উল্টো সুহেলের নেতৃত্বে এসে হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটে অংশ নেয়। একটি গ্রুপ মেইন রোড দিয়ে আসে। অপর গ্রুপটি দেশীয় লাঠিসোটা ও রড নিয়ে এসে দুদিক থেকে হামলা চালায়। এ সময় রেলস্টেশনে আসা যাত্রীসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা ছোটাছুটি করতে থাকেন দিকবিদিক। স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আহত হন। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, সোহেলের সহযোগীরা হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর স্টেশন ম্যানেজার জিআরপি পুলিশ ও স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তখন উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পূর্ব মুহূর্তে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা সোহেলকে তার লোকজনকে ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানালেও সে কথা শোনেনি। উল্টো সোহেলের নেতৃত্বে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীদের বেশিরভাগ ছিল সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগ কর্মী। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় ভাংচুর গ্লাস নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সব কাউন্টারে হামলা হয়েছে। কম্পিউটার ছিটকে পড়েছে। লণ্ডভণ্ড রয়েছে রেলস্টেশনের সব টিকিট কাউন্টার। স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তিনি বলেন, তার সহকর্মীরা কোনো রকমে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি জানান, প্রায় প্রতি সপ্তাহে সোহেলের আবদার থাকে। আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, হামলার আগে সুহেলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাই। উল্টো তার লোকজন হামলা চালায়। মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী আশরাফ সোহেল স্টেশন ম্যানেজার তাকে ফোন দেয়ার কথা স্বীকার করেন। দাবি করেন ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। হামলাকারীদের তিনি চেনেন না। এরসঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সুহেলকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রাতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জিআরপি পুলিশের ওসি খন্দকার আবুল হাসান জানান, রাতে স্টেশন ম্যানেজার এজাহার দাখিল করেছেন। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। মামলার এজাহারে সুহেলকে যুবলীগ কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে সুহেল যুবলীগ নয়, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পোড়ানো, শিবগঞ্জে পেট্রলপাম্পে হামলা এবং সম্প্রতি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কফি হাউসে হামলার ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের ক্ষমতার শেষ সময়ে ছাত্রলীগের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন সিলেটের মানুষ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন