পুলিশ পারে না বা পুলিশকে দিয়ে করানো যায় না এমন কাজ নেই। কথাটা আবারও প্রমাণিত হলো আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদকসহ সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জামিন বাতিল করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের ঘটনায়। রাজধানীর তেজগাঁ থানার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনপ্রাপ্ত ৪০০ জনের স্থায়ী ঠিকানা জানার জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ আবেদন জানিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। উচ্চ আদালত থেকেও জামিনে থাকা গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এমন ন্যক্কারজনক পদক্ষেপে সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকের সব সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাদের জামিন বাতিল করে রিমান্ডের আবেদন থেকে সরকারের আসল চরিত্র আবারও সকলের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ল। এটা পরিষ্কার যে, সাংবাদিক দলন, নির্যাতন এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে সরকারের স্বৈরাচারী ভূমিকার অংশ হিসেবেই আমার দেশ-এর বিরুদ্ধে পুলিশ এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর পেছনে উচ্চ পর্যায়ের ইন্ধন থাকাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২ জুন একটি মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা পুলিশের মামলায় আমার দেশ সম্পাদকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়। সম্পাদককে গ্রেফতার করে নির্যাতন ও পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করা হলেও শেষ পর্যন্ত কিছুই ফল হয়নি। পত্রিকা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর উচ্চ আদালতের রায়ে আবারও নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, সম্পাদক-সাংবাদিকসহ সবাই জামিনে মুক্ত হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে হাজিরা দেয়ার হয়রানি চালিয়েও মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। এখন তুচ্ছ অজুহাত তুলে জামিন বাতিল ও রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে। এ সবই যে আমার দেশ-এর কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা, সেটা সবাই বোঝে। বলার অপেক্ষা রাখে না এভাবে হয়রানি, নির্যাতন, মামলা-হামলা চালিয়ে গণমাধ্যমের সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা নস্যাত্ করা সম্ভব নয়।
নিজেদের অব্যাহত ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, স্বেচ্ছাচার ঢাকা দেয়ার জন্যই ক্ষমতাসীনদের মুখে টিভি টকশো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শোনা যায়। সাগর-রুনি দম্পতিসহ সাংবাদিক হত্যার একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে খবর সংগ্রহে বাধা-নিষেধ পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। এভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টির পরও আমার দেশ-এর সাংবাদিকদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি ছাড়া আর কী? জরুরি অবস্থার অসাংবিধানিক সরকারের চাইতেও নির্বাচিত সরকারের আমলে এভাবে রিমান্ডের ছড়াছড়ি গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের চাক্ষুস প্রমাণ।
সত্তরের দশকে ক্ষমতার জোরে এদেশে সংবাদপত্র বন্ধের ঘটনা থেকে যদি কেউ উত্সাহিত হয়ে তার পুনরাবৃত্তি করতে চান, তবে তাকে পরিণতির কথাটা চিন্তায় রাখা দরকার। বিগত তিন যুগে পৃথিবী অনেক এগিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও এদেশের গণমাধ্যম আরও শক্তিশালী হয়েছে। এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কেউই মেনে নেবে না। সত্য জানার অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত রাখার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই। স্বাভাবিকভাবেই ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজ সরকারের এহেন ফ্যাসিবাদী ভূমিকার বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে। অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র কাজ করে না। অতএব, যারা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়, তারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র চায় না। আর গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি এ দেশের মানুষ কখনও মেনে নেয়নি, নেবে না—এটা স্মরণে রাখা দরকার।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২ জুন একটি মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা পুলিশের মামলায় আমার দেশ সম্পাদকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়। সম্পাদককে গ্রেফতার করে নির্যাতন ও পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করা হলেও শেষ পর্যন্ত কিছুই ফল হয়নি। পত্রিকা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর উচ্চ আদালতের রায়ে আবারও নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, সম্পাদক-সাংবাদিকসহ সবাই জামিনে মুক্ত হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে হাজিরা দেয়ার হয়রানি চালিয়েও মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। এখন তুচ্ছ অজুহাত তুলে জামিন বাতিল ও রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে। এ সবই যে আমার দেশ-এর কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা, সেটা সবাই বোঝে। বলার অপেক্ষা রাখে না এভাবে হয়রানি, নির্যাতন, মামলা-হামলা চালিয়ে গণমাধ্যমের সত্য প্রকাশের স্বাধীনতা নস্যাত্ করা সম্ভব নয়।
নিজেদের অব্যাহত ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, স্বেচ্ছাচার ঢাকা দেয়ার জন্যই ক্ষমতাসীনদের মুখে টিভি টকশো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শোনা যায়। সাগর-রুনি দম্পতিসহ সাংবাদিক হত্যার একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে খবর সংগ্রহে বাধা-নিষেধ পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। এভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টির পরও আমার দেশ-এর সাংবাদিকদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নতুন করে হুমকি ছাড়া আর কী? জরুরি অবস্থার অসাংবিধানিক সরকারের চাইতেও নির্বাচিত সরকারের আমলে এভাবে রিমান্ডের ছড়াছড়ি গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের চাক্ষুস প্রমাণ।
সত্তরের দশকে ক্ষমতার জোরে এদেশে সংবাদপত্র বন্ধের ঘটনা থেকে যদি কেউ উত্সাহিত হয়ে তার পুনরাবৃত্তি করতে চান, তবে তাকে পরিণতির কথাটা চিন্তায় রাখা দরকার। বিগত তিন যুগে পৃথিবী অনেক এগিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও এদেশের গণমাধ্যম আরও শক্তিশালী হয়েছে। এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কেউই মেনে নেবে না। সত্য জানার অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত রাখার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই। স্বাভাবিকভাবেই ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজ সরকারের এহেন ফ্যাসিবাদী ভূমিকার বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে। অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র কাজ করে না। অতএব, যারা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়, তারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র চায় না। আর গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি এ দেশের মানুষ কখনও মেনে নেয়নি, নেবে না—এটা স্মরণে রাখা দরকার।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন