স্টাফ রিপোর্টার
ডেসটিনির নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে তা আত্মসাত্ ও পাচারের অভিযোগে কারাগারে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান, সাবেক সেনাপ্রধান, সামাজিক মর্যাদা ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় গতকাল তাকে দুই মাসের জামিন দেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। জামিনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্তজুড়ে দেয়া হয়েছে। এসব শর্ত ভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে তার জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও হাইকোর্ট তার আদেশে উল্লেখ করেছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করে জেনারেল হারুন অর রশীদকে জামিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তিনি আমাদের ‘ওয়ার হিরো’। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন হারুন তাদের অন্যতম। আমরা মনে করি, তাকে জামিন দেয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় আনা হয়েছে। ‘উই এসপেক্ট উই আর রাইট’। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর রোববার জেনারেল হারুনের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে হাইকোর্ট বিভাগের একই বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে আবেদনটি খারিজ করে নতুন করে আপিল করার পরামর্শ দেয়। ওই দিনই আসামিপক্ষ আপিল করলে দুইপক্ষের শুনানি শেষে গতকাল আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদেশে বলা হয়, ‘অ্যাপলিকেশন ইজ অ্যাডমিটেড, বেইল অ্যাপলিকেশন ইজ অলসো অ্যাডমিটেড।’
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে মামলাটি যে কোর্টে বিচারাধীন সেই সংশ্লিষ্ট কোর্টের আদেশ ছাড়া তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। কোনোভাবেই তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারবেন না। ডেসটিনির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারবেন না। তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। টেলিফোনেও ডেসটিনির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। ডেসটিনির কারও জন্য কোনো চেষ্টা বা তদবির করতে পারবেন না। দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের কোনো চেষ্টা করতে পারবেন না। জনসম্মুখে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দিতে পারবেন না। ডেসটিনির অফিসগুলোর ধারে-কাছে যেতে পারবেন না। তিনি তার মর্যাদার সঙ্গে কোনো আপস বা সমঝোতা করবেন না। তিনি একজন সৈনিকের মতো চলবেন।
জামিন আদেশে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ সিদ্ধান্ত তার (হারুন অর রশীদ) কোম্পানির অন্য কারও ক্ষেত্রে কোনোভাবেই বিবেচ্য হবে না। আমরা শুধু হারুন অর রশীদের ব্যক্তিগত দিক বিবেচনা করেছি। আমরা মামলার মেরিটেও যাব না। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আমরা এমন কোনো বক্তব্যও দেব না, যাতে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হয়। শর্তগুলো উল্লেখ করে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, উনি পালাবেন না। তদন্তে প্রভাব পড়বে এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না। কোনো অবস্থাতেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবেন না। এসব বিষয়ে বিন্দুমাত্র অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে তার জামিন বাতিল হয়ে যাবে। এ আদেশ ডেসটিনি কোম্পানি বা অন্য কারও ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কেউ বলতে পারবে না যে লে. জেনারেল (অব.) হারুনকে জামিন দেয়া হয়েছে, আমাদের কেন নয়? এ বক্তব্যটি তিনবার উল্লেখ করে ওই বিচারপতি বলেন, তার জামিন অন্য কারও ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে নেয়া যাবে না। আমরা শুধু তার কথা বিবেচনা করে জামিন আবেদন মঞ্জুর করছি।
আদেশের পরে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, একজন সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। আদালত বলেছে, এই অবস্থানের একজন ব্যক্তি জামিন পেলে এর অপব্যবহার করবেন না বলে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীন, গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাবেক নেতা হারুন অর রশীদসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা অন্যত্র স্থানান্তরের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। গত ৬ আগস্ট ডেসটিনি গ্রুপের রফিকুল আমিন, হারুন অর রশীদকে জামিন দেন মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ। এরপর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জামিনের ওই আদেশ বাতিল করেন। গত ১১ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে হারুন অর রশিদ, ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিন ও গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হোসাইন জামিনের আবেদন করলে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠান। ওই দিনই হারুন অর রশীদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আদালত রোববার উত্থাপিত হয়নি মর্মে জামিন আবেদন খারিজ করে নতুন করে আপিল করার পরামর্শ দেন।
হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে—দুদক : ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে অনেক তথ্য পাওয়া যেত বলে জানিয়েছেন ডেসটিনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গতকাল রিমান্ডের প্রথম দিনে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত ৩১ জুলাই মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় আদালত রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসনের প্রত্যেককে ৯ দিন করে ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বুধবার তাদের কমিশনের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। তাদের আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আমরা অর্থ স্থানাস্তরের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কী পরিমাণ অর্থ তারা সরিয়েছে, সেই টাকা কোথায় আছে না আছে, সেগুলো জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
আমরা ডেসিটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও বেশি তথ্য পেতাম। তিনি আরও বলেন, ডেসটিনির এমডির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ডেসটিনি গ্রুপের অপারেটিভ ও ইনঅপারেটিভ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৭ লাখ টাকা জমা হতো। কোনো কোম্পানি ৩ লাখ, কোনো কোম্পানি ৫ লাখ, কোনো কোম্পানি ৭ লাখ—এভাবে মাসে মোট ৬৭ লাখ টাকা করে জমা হতো ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমিনের অ্যাকাউন্টে। এ টাকাগুলো যেত সম্মানী, বেতনভাতা ইত্যাদি হিসেবে। আমরা আরও তদন্তকালে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করব।
গতকাল বিকাল ৪টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ফের কলাবাগান থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করে জেনারেল হারুন অর রশীদকে জামিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তিনি আমাদের ‘ওয়ার হিরো’। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন হারুন তাদের অন্যতম। আমরা মনে করি, তাকে জামিন দেয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় আনা হয়েছে। ‘উই এসপেক্ট উই আর রাইট’। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর রোববার জেনারেল হারুনের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে হাইকোর্ট বিভাগের একই বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে আবেদনটি খারিজ করে নতুন করে আপিল করার পরামর্শ দেয়। ওই দিনই আসামিপক্ষ আপিল করলে দুইপক্ষের শুনানি শেষে গতকাল আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদেশে বলা হয়, ‘অ্যাপলিকেশন ইজ অ্যাডমিটেড, বেইল অ্যাপলিকেশন ইজ অলসো অ্যাডমিটেড।’
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে মামলাটি যে কোর্টে বিচারাধীন সেই সংশ্লিষ্ট কোর্টের আদেশ ছাড়া তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। কোনোভাবেই তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারবেন না। ডেসটিনির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারবেন না। তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। টেলিফোনেও ডেসটিনির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। ডেসটিনির কারও জন্য কোনো চেষ্টা বা তদবির করতে পারবেন না। দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের কোনো চেষ্টা করতে পারবেন না। জনসম্মুখে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দিতে পারবেন না। ডেসটিনির অফিসগুলোর ধারে-কাছে যেতে পারবেন না। তিনি তার মর্যাদার সঙ্গে কোনো আপস বা সমঝোতা করবেন না। তিনি একজন সৈনিকের মতো চলবেন।
জামিন আদেশে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ সিদ্ধান্ত তার (হারুন অর রশীদ) কোম্পানির অন্য কারও ক্ষেত্রে কোনোভাবেই বিবেচ্য হবে না। আমরা শুধু হারুন অর রশীদের ব্যক্তিগত দিক বিবেচনা করেছি। আমরা মামলার মেরিটেও যাব না। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আমরা এমন কোনো বক্তব্যও দেব না, যাতে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হয়। শর্তগুলো উল্লেখ করে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, উনি পালাবেন না। তদন্তে প্রভাব পড়বে এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না। কোনো অবস্থাতেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবেন না। এসব বিষয়ে বিন্দুমাত্র অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে তার জামিন বাতিল হয়ে যাবে। এ আদেশ ডেসটিনি কোম্পানি বা অন্য কারও ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কেউ বলতে পারবে না যে লে. জেনারেল (অব.) হারুনকে জামিন দেয়া হয়েছে, আমাদের কেন নয়? এ বক্তব্যটি তিনবার উল্লেখ করে ওই বিচারপতি বলেন, তার জামিন অন্য কারও ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে নেয়া যাবে না। আমরা শুধু তার কথা বিবেচনা করে জামিন আবেদন মঞ্জুর করছি।
আদেশের পরে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, একজন সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। আদালত বলেছে, এই অবস্থানের একজন ব্যক্তি জামিন পেলে এর অপব্যবহার করবেন না বলে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীন, গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাবেক নেতা হারুন অর রশীদসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা অন্যত্র স্থানান্তরের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। গত ৬ আগস্ট ডেসটিনি গ্রুপের রফিকুল আমিন, হারুন অর রশীদকে জামিন দেন মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ। এরপর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জামিনের ওই আদেশ বাতিল করেন। গত ১১ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে হারুন অর রশিদ, ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিন ও গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হোসাইন জামিনের আবেদন করলে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠান। ওই দিনই হারুন অর রশীদ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আদালত রোববার উত্থাপিত হয়নি মর্মে জামিন আবেদন খারিজ করে নতুন করে আপিল করার পরামর্শ দেন।
হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে—দুদক : ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে অনেক তথ্য পাওয়া যেত বলে জানিয়েছেন ডেসটিনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গতকাল রিমান্ডের প্রথম দিনে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত ৩১ জুলাই মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় আদালত রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসনের প্রত্যেককে ৯ দিন করে ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বুধবার তাদের কমিশনের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাবাদে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। তাদের আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আমরা অর্থ স্থানাস্তরের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কী পরিমাণ অর্থ তারা সরিয়েছে, সেই টাকা কোথায় আছে না আছে, সেগুলো জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
আমরা ডেসিটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও বেশি তথ্য পেতাম। তিনি আরও বলেন, ডেসটিনির এমডির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ডেসটিনি গ্রুপের অপারেটিভ ও ইনঅপারেটিভ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৭ লাখ টাকা জমা হতো। কোনো কোম্পানি ৩ লাখ, কোনো কোম্পানি ৫ লাখ, কোনো কোম্পানি ৭ লাখ—এভাবে মাসে মোট ৬৭ লাখ টাকা করে জমা হতো ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমিনের অ্যাকাউন্টে। এ টাকাগুলো যেত সম্মানী, বেতনভাতা ইত্যাদি হিসেবে। আমরা আরও তদন্তকালে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করব।
গতকাল বিকাল ৪টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ফের কলাবাগান থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন