নামে স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)-ও সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাই পালন করছে। দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র আট মাসের মধ্যেই সিইসি ও তার অন্য সহকর্মীরা বুঝিয়ে ছেড়েছেন, সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের বাইরে এদিক-সেদিক করার ইচ্ছা ও চিন্তাও তাদের নেই। মনে হচ্ছে যেন কমিশনের স্বাধীন মর্যাদা সংহত করার পাশাপাশি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে নয়, ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা পূরণের প্রধান উদ্দেশ্যেই তারা দৌড়ঝাঁপ করছেন। এগোচ্ছেনও আবার সরকারের ছক অনুসারে। দৈনিক আমার দেশ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিরোধী দলগুলোর দাবি ও প্রস্তাবের প্রতি সামান্য গুরুত্ব পর্যন্ত দিচ্ছেন না তারা। সংবিধানের দোহাই দিয়ে তারা বরং এমনভাবেই এগিয়ে চলেছেন, যাতে বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় যে পরিবর্তনও ঘটতে পারে সে সম্ভাবনাকে বিবেচনায় রাখার প্রয়োজন বোধ করছেন না সিইসি ও তার সহকর্মীরা। একের পর এক উপ-নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে প্রধান বিরোধী দল যখন নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছে, তখনও তারা ঘাড় বাঁকিয়েই রেখেছেন। বিরোধী দলগুলো কমিশন সম্পর্কে অনাস্থা ও নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করার পরও তাদের তত্পর হতে দেখা যাচ্ছে না। ওদিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার নামে বিতর্কিত কার্যক্রম চালানো ছাড়া কমিশনের অন্য কোনো কাজেও গতি সঞ্চারিত হয়নি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ইসির দূরত্ব বেড়ে চলেছে। কিন্তু মাথাব্যথা নেই সিইসি ও তার সহকর্মীদের। তারা এগোচ্ছেন শুধু ক্ষমতাসীনদের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে।
আমরা মনে করি, স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিকল্পিত নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন নীতি-কৌশল ও কার্যক্রম আশা করা যায় না। এখানে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এর কর্মকর্তাদের দায়িত্বই যে প্রধান সে কথাও নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান সিইসি ও ইসিরা সম্ভবত লক্ষ্যই করেননি, মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে শুধু নয়, তাদের নিযুক্তি দেয়ার পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করাও। কারণ, এর আগের সিইসি ও দুই ইসি কেবল ঝামেলার পর ঝামেলাই বাধিয়ে গেছেন। সিইসি শামসুল হুদা তো ‘বেহুদা’ নামেও কুখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলোতে ভাঙন ঘটানোর চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি নিত্যনতুন আদেশ জারি করার মাধ্যমে তারাই আসলে আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি করেছিলেন। প্রমাণিতও হয়েছে, ওই ইসি কোনো বিচারেই নিরপেক্ষ ছিল না। অন্যদিকে পেছনে জেনারেল মইন উ’র মতো বন্দুকধারী কোনো হুকুমদাতার দৃশ্যত উপস্থিতি নেই বলেই ধারণা করা হয়েছিল, বর্তমান ইসি হয়তো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। আস্থা না থাকা সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলোও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন অবস্থানকে সংহত করার এবং সব মিলিয়ে কমিশনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে এগিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু বর্তমান সিইসি ও তার সহকর্মীরা বিরোধী দলের প্রতি সামান্য সম্মান পর্যন্ত দেখাননি। মত বিনিময়ের নামে তারা কেবল ক্ষমতাসীন জোটের রাজনৈতিক দলগুলোকেই ডেকেছেন। এমনকি সরকার সমর্থক নয় বলে দৈনিক আমার দেশসহ জাতীয় পর্যায়ের অনেক সংবাদপত্র ও টিভির প্রতিনিধিরাও কমিশনে গিয়ে এক কাপ চা খেয়ে আসার সুযোগ পাননি। সে সুযোগও ক্ষমতাসীনদের সেবাদাসরাই পেয়েছেন। সিইসি ও তার সহকর্মীদের এ ধরনের কার্যক্রমের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চয়ই কথা বাড়ানোর দরকার পড়ে না। তারাও আসলে ‘বেহুদা’ সাহেবদের পদাঙ্কই অনুসরণ করে চলেছেন। জনমনে উদ্বেগও বেড়ে চলেছে একই কারণে। এই উদ্বেগ শুধু আগামী জাতীয় নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে নয়, নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যত্ নিয়েও। কারণ, ক্ষমতাসীনদের ভূত যদি ঘাড় থেকে নামানো না যায় তাহলে সে কমিশনকে দিয়ে সরকারের ইচ্ছা পূরণের বাইরে আর কিছুই আশা করা যায় না।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন অবস্থানে রাখার পাশাপাশি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করাটা কারও দয়া বা অনুগ্রহের বিষয় হতে পারে না। এসবের প্রতিটিই সিইসি ও তার সহকর্মীদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। সে শর্তেই তাদের নিযুক্তি দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেবলই সরকারের ধামা ধরার পরিবর্তে সিইসিদের উচিত বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা এবং তাদের দাবি ও প্রস্তাব অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া। আমরা আশা করতে চাই, ঈদের পর প্রথম সুযোগেই তারা বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং তাদের দাবি ও প্রস্তাবের আলোকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন। বলা দরকার, নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ছেলেখেলার পরিণতি শুভ হওয়ার কথা নয়। আমরা চাই না, বর্তমান সিইসি ও তার সহকর্মীদেরও ‘বেহুদা’ ধরনের দুর্নাম নিয়ে বিদায় নিতে হোক।
আমরা মনে করি, স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিকল্পিত নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন নীতি-কৌশল ও কার্যক্রম আশা করা যায় না। এখানে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এর কর্মকর্তাদের দায়িত্বই যে প্রধান সে কথাও নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান সিইসি ও ইসিরা সম্ভবত লক্ষ্যই করেননি, মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে শুধু নয়, তাদের নিযুক্তি দেয়ার পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করাও। কারণ, এর আগের সিইসি ও দুই ইসি কেবল ঝামেলার পর ঝামেলাই বাধিয়ে গেছেন। সিইসি শামসুল হুদা তো ‘বেহুদা’ নামেও কুখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলোতে ভাঙন ঘটানোর চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি নিত্যনতুন আদেশ জারি করার মাধ্যমে তারাই আসলে আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি করেছিলেন। প্রমাণিতও হয়েছে, ওই ইসি কোনো বিচারেই নিরপেক্ষ ছিল না। অন্যদিকে পেছনে জেনারেল মইন উ’র মতো বন্দুকধারী কোনো হুকুমদাতার দৃশ্যত উপস্থিতি নেই বলেই ধারণা করা হয়েছিল, বর্তমান ইসি হয়তো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। আস্থা না থাকা সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলোও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন অবস্থানকে সংহত করার এবং সব মিলিয়ে কমিশনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে এগিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু বর্তমান সিইসি ও তার সহকর্মীরা বিরোধী দলের প্রতি সামান্য সম্মান পর্যন্ত দেখাননি। মত বিনিময়ের নামে তারা কেবল ক্ষমতাসীন জোটের রাজনৈতিক দলগুলোকেই ডেকেছেন। এমনকি সরকার সমর্থক নয় বলে দৈনিক আমার দেশসহ জাতীয় পর্যায়ের অনেক সংবাদপত্র ও টিভির প্রতিনিধিরাও কমিশনে গিয়ে এক কাপ চা খেয়ে আসার সুযোগ পাননি। সে সুযোগও ক্ষমতাসীনদের সেবাদাসরাই পেয়েছেন। সিইসি ও তার সহকর্মীদের এ ধরনের কার্যক্রমের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চয়ই কথা বাড়ানোর দরকার পড়ে না। তারাও আসলে ‘বেহুদা’ সাহেবদের পদাঙ্কই অনুসরণ করে চলেছেন। জনমনে উদ্বেগও বেড়ে চলেছে একই কারণে। এই উদ্বেগ শুধু আগামী জাতীয় নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে নয়, নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যত্ নিয়েও। কারণ, ক্ষমতাসীনদের ভূত যদি ঘাড় থেকে নামানো না যায় তাহলে সে কমিশনকে দিয়ে সরকারের ইচ্ছা পূরণের বাইরে আর কিছুই আশা করা যায় না।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন অবস্থানে রাখার পাশাপাশি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করাটা কারও দয়া বা অনুগ্রহের বিষয় হতে পারে না। এসবের প্রতিটিই সিইসি ও তার সহকর্মীদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। সে শর্তেই তাদের নিযুক্তি দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেবলই সরকারের ধামা ধরার পরিবর্তে সিইসিদের উচিত বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা এবং তাদের দাবি ও প্রস্তাব অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া। আমরা আশা করতে চাই, ঈদের পর প্রথম সুযোগেই তারা বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং তাদের দাবি ও প্রস্তাবের আলোকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন। বলা দরকার, নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ছেলেখেলার পরিণতি শুভ হওয়ার কথা নয়। আমরা চাই না, বর্তমান সিইসি ও তার সহকর্মীদেরও ‘বেহুদা’ ধরনের দুর্নাম নিয়ে বিদায় নিতে হোক।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন