প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আদরে লালিত-পালিত ‘বঙ্গবন্ধুর তরুণ সৈনিক’ দাবিদার ছাত্রলীগ এখন সবদিক থেকেই এক মহামারাত্মক সংহারক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। দেশের আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, নিষেধ-বারণ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে তারা অপ্রতিহত গতিতে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তাদের হাতে নিহত হয়েছে সাধারণ ছাত্ররা। শিক্ষকরা হয়েছেন লাঞ্ছিত। অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দিয়েছে দেশের নানা ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ভাংচুর, জ্বালাও, পোড়াও, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাণিজ্য, ভর্তিবাণিজ্য ইত্যাদি মাধ্যমে তারা নিজেরা যেমন কলঙ্কিত হয়েছে, তেমনি কলঙ্কিত করেছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এদের লোভ-লালসা ও জুলুম-নির্যাতনে সারাদেশের মানুষ এবং ছাত্রদের জীবন অতিষ্ঠ হলেও যাদের হাতে এদের মুখে লাগাম পরানোর দায়িত্ব, তারাই আছে রহস্যজনকভাবে নীরব, নির্বিকার। দেখে শুনে মনে হচ্ছে সরকার যেন ‘এনজয়’ করছে ছাত্রলীগের এই ভয়ানক মাস্তানি ও খাণ্ডবদাহন। অথবা সরকারের আশকারা দেয়ায় এ সংগঠনটি চালাচ্ছে তাদের তাণ্ডব। এদের কল্যাণে শিক্ষাঙ্গনগুলো কুরুক্ষেত্রে পরিণত হলেও সরকারের মতোই তাদেরই মদতপুষ্ট একশ্রেণীর শিক্ষক এ সংগঠনটিকে ব্যবহার করছেন নিজেদের নোংরা স্বার্থ হাসিলের অস্ত্র হিসেবে। ছাত্রলীগের এ বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের দাহ থেকে সারাদেশ জ্বলছে। বিশেষ করে সিলেটে এদের নিয়ন্ত্রণ করার যেন সত্যি সত্যি কেউ নেই।
সিলেটে ‘বেপরোয়া’ ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই দমানো যাচ্ছে না। ছাত্রাবাস, পেট্রলপাম্প, রেস্টুরেন্টের পর এবার রেলস্টেশনে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনটি। স্টেশন ম্যানেজারের কাছে অবৈধভাবে টিকিট চেয়ে না পেয়ে রেলস্টেশন কাউন্টারে মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। লুটপাটসহ সরকারি মালামালও নষ্ট হয়। ছাত্রলীগ নেতা সুহেলসহ আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, শেখ আলী আশরাফ সুহেল প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো আবদার দিয়ে তার কাছে লোকজন পাঠায়। কখনও নিজে গিয়ে দেখা করে। রাত সোয়া নয়টার দিকে সে দুই তরুণকে বৃহস্পতিবার উপবনের শিফটিং বার্থের টিকিটের জন্য পাঠায়। এ দুই যুবক তার সঙ্গে দেখা করে সুহেলের কথা জানিয়ে টিকিট চায়। সংশ্লিষ্ট ম্যানাজার জানান, এরই মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া বর্তমানে যে সিট আছে, সেটা এমপি মহোদয়ের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তিনি না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তাদের টিকিট দেয়া হবে বলে ওই যুবকদের জানান স্টেশন ম্যানেজার। কিন্তু ওই দুই যুবক তাকে এখনই টিকিট দেয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন ম্যানেজার সম্ভব নয় জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসে। এরপর দেড় শতাধিক লোক এসে হামলা চালায়। আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই ছেলেরা হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে সুহেলকে বিষয়টি জানান। সে বিষয়টি দেখছে বলে উল্টো সুহেলের নেতৃত্বে এসে হামলা চালায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পোড়ানো, শিবগঞ্জে পেট্রলপাম্পে হামলা এবং সম্প্রতি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কফি হাউসে হামলার ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের ক্ষমতার শেষ সময়ে ছাত্রলীগের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন সিলেটের মানুষ।
ছাত্রলীগের বিগত কয়েকটি বছরের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে যে কেউ বলবে, এ সংগঠনটি আর যা-ই হোক ছাত্র সংগঠন নয়, এটি একটি হিংস্র মাস্তানপুষ্ট ঠেঙ্গারে বাহিনী। এই ঠেঙ্গারে বাহিনী সরকারের স্নেহ-ভালোবাসায় এখন পরিণত হয়েছে দানবে। ক্ষমতার মসনদে বসে যারা এই দানবকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে অন্যায় কর্মে লেলিয়ে দিচ্ছেন, তারা জানেন না আখেরে এ দানবীয় শক্তি তাদের জন্যই ভয়ানক বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দেবে। এরই মধ্যে দিয়েছেও—যা হয়তো সরকারের পতনকে ত্বরান্বিতও করবে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করব, আরও বিপজ্জনক কিছু ঘটনার আগে এ ফ্রাংকেনস্টাইনের দানবকে শৃঙ্খলিত করুন। দোষীদের দণ্ড দিন। ফিরিয়ে আনুন শাস্তি-শৃঙ্খলা। তাতে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো যেমন রক্ষা পাবে, তেমনই স্বস্তি ফিরে আসবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
সিলেটে ‘বেপরোয়া’ ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই দমানো যাচ্ছে না। ছাত্রাবাস, পেট্রলপাম্প, রেস্টুরেন্টের পর এবার রেলস্টেশনে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনটি। স্টেশন ম্যানেজারের কাছে অবৈধভাবে টিকিট চেয়ে না পেয়ে রেলস্টেশন কাউন্টারে মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাংচুর চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। লুটপাটসহ সরকারি মালামালও নষ্ট হয়। ছাত্রলীগ নেতা সুহেলসহ আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, শেখ আলী আশরাফ সুহেল প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো আবদার দিয়ে তার কাছে লোকজন পাঠায়। কখনও নিজে গিয়ে দেখা করে। রাত সোয়া নয়টার দিকে সে দুই তরুণকে বৃহস্পতিবার উপবনের শিফটিং বার্থের টিকিটের জন্য পাঠায়। এ দুই যুবক তার সঙ্গে দেখা করে সুহেলের কথা জানিয়ে টিকিট চায়। সংশ্লিষ্ট ম্যানাজার জানান, এরই মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া বর্তমানে যে সিট আছে, সেটা এমপি মহোদয়ের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তিনি না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তাদের টিকিট দেয়া হবে বলে ওই যুবকদের জানান স্টেশন ম্যানেজার। কিন্তু ওই দুই যুবক তাকে এখনই টিকিট দেয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন ম্যানেজার সম্ভব নয় জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসে। এরপর দেড় শতাধিক লোক এসে হামলা চালায়। আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই ছেলেরা হুমকি দিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে সুহেলকে বিষয়টি জানান। সে বিষয়টি দেখছে বলে উল্টো সুহেলের নেতৃত্বে এসে হামলা চালায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পোড়ানো, শিবগঞ্জে পেট্রলপাম্পে হামলা এবং সম্প্রতি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কফি হাউসে হামলার ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারের ক্ষমতার শেষ সময়ে ছাত্রলীগের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন সিলেটের মানুষ।
ছাত্রলীগের বিগত কয়েকটি বছরের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে যে কেউ বলবে, এ সংগঠনটি আর যা-ই হোক ছাত্র সংগঠন নয়, এটি একটি হিংস্র মাস্তানপুষ্ট ঠেঙ্গারে বাহিনী। এই ঠেঙ্গারে বাহিনী সরকারের স্নেহ-ভালোবাসায় এখন পরিণত হয়েছে দানবে। ক্ষমতার মসনদে বসে যারা এই দানবকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে অন্যায় কর্মে লেলিয়ে দিচ্ছেন, তারা জানেন না আখেরে এ দানবীয় শক্তি তাদের জন্যই ভয়ানক বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দেবে। এরই মধ্যে দিয়েছেও—যা হয়তো সরকারের পতনকে ত্বরান্বিতও করবে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করব, আরও বিপজ্জনক কিছু ঘটনার আগে এ ফ্রাংকেনস্টাইনের দানবকে শৃঙ্খলিত করুন। দোষীদের দণ্ড দিন। ফিরিয়ে আনুন শাস্তি-শৃঙ্খলা। তাতে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো যেমন রক্ষা পাবে, তেমনই স্বস্তি ফিরে আসবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন