গত কিছু দিন হলো ক্রসফায়ার নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক, না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। এর মধ্যে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট বেরিয়েছে। ওইসব রিপোর্টে গুম এবং খুনের কিছু পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। ওইসব পরিসংখ্যান দেখলে শুধু উদ্বেগ নয়, রীতিমত আতংকিত হতে হয়। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোট ৪৬ ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ জন, পুলিশের সঙ্গে ২২ জন, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন এবং যৌথবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
আইন সালিশ কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে, অতীতে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যখন র্যাব গঠিত হয় এবং কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং কিলারকে নির্মূল করা হয় তখন বিরোধী দলে ছিল আওয়ামী লীগ। তখন শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নয়, আওয়ামী লীগ এবং বামঘরানাসহ জোট সরকারের বিরুদ্ধে যতগুলো রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী সংগঠন ছিল সকলেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের জন্য চারদলীয় জোটের প্রচ- সমালোচনায় মেতে ওঠে। সে সময় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ধরনের হত্যাকা- তথা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বন্ধ করে দেবে। কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারাও ঠিক একই পদ্ধতিতে অন্তত ২২৯ জন মানুষকে হত্যা করেছে। ২০১২ সাল থেকে এই হত্যাকা- বেপরোয়াভাবে শুরু হয়। এ বছর তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে ৯১ ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার হন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায় ২০০৭ সালে ১৮০ জন, ২০০৮ সালে ১৭৫ জন, ২০১০ সালে ১৩৩ জন এবং ২০১১ সালে ১০০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন। তবে গত বছর থেকে চিত্রটি ভিন্ন হয়ে গেছে। ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে ২০১৩ সালেই মারা গেছেন ২০৮ ব্যক্তি। এছাড়া, গত ১০ বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অপহৃত ব্যক্তিদের সংখ্যাটিও বেশ বড়। প্রসঙ্গত এই অপহৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী সময়ে আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান জানান, এই ধরনের হত্যাকা- সব সময়েই আইন ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে বলে এগুলো কখোনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তিনি বলেন, “এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই মৃত্যুদ- দেয়া উচিত। তাহলেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের এই প্রবণতা বন্ধ করা যাবে।” অনলাইন নিউজ পোর্টাল নতুন বার্তার খবরে প্রকাশ, নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বলেছিল, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটা বন্ধ হয়নি। ক্ষমতার প্রথম বছরে বিচারবর্হিভূত হত্যাকা- ঘটে ২২৮টি। তাদের প্রথম দফার শাসনামলে সব মিলিয়ে বিচারবর্হিভূত হত্যার সংখ্যা ৬২৪ জন। আর ২০১৪ সালের প্রথম মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ঘটেছে ৪২টি। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার ১৯৭৩ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, এসব ঘটনার বিপরীতে, নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাখ্যা সব সময় গৎবাঁধা। তাই বরাবরি সন্দেহ উঁকি দিয়েছে।
দুই
এই ক্রসফায়ারকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ক্রসফায়ার, কখনো এনকাউন্টার। কিন্তু হাল আমলে আরেকটি নতুন শব্দ আমদানি করা হয়েছে। সেটি হলো বন্দুকযুদ্ধ। বন্দুকযুদ্ধ সেটিই হয়, যেখানে দুইটি পার্টি গোলাগুলী করে। কিন্তু বন্দুকযুদ্ধের যেসব গল্প এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রেস রিলিজে দেয়া হচ্ছে সেগুলো সবই মোটামুটি একই ধরনের এবং গৎবাঁধা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক বন্দীকে নিয়ে অন্যান্য আসামী ধরতে যাচ্ছিলো। মাঝপথে তাদের ওপর আসামীর লোকজন হামলা করে। তখন বাধ্য হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও গুলী করতে হয়। সেই গোলাগুলির ফলে আটককৃত ব্যক্তি নিহত হয়। সবগুলি ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার বা বন্দুকযুদ্ধের প্রেস রিলিজ একই রকম। এই গুলী বিনিময়ের ফলে পুলিশ বা র্যাবের কেউ নিহত হয় না। এমনকি তারা আহত হয়েছে এমন কথাও শোনা যায় না। সেই গুলী বিনিময়ে এক তরফা ভাবে আটক বন্দী বা আসামী পক্ষের লোক মারা যায়। এইসব কারণেই ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের প্রেস রিলিজকে অনেকে এখন কল্পকাহিনী বলে মনে করেন। আমরা এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করছি না। তবে বাংলাদেশের ইংরেজী দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ গত ৬ই মার্চ এই ব্যাপারে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ছেপেছে।
রিপোর্টের শুরুতে বলা হয়েছে যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই প্রথমবারের মত ‘ক্রসফায়ারে’এক ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করেছে। তদন্ত করার পর তারা উপসংহার টেনেছে যে আসলে কোন বন্দুক যুদ্ধই হয়নি। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি যশোরে ৪১ বছর বয়স্ক রজব আলী ওরফে কালা রজব বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। ১৬ই ফেব্রুয়ারি শেষ রাত্রে পুলিশ এবং রজব আলীর সাথীদের মধ্যে এই বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মানবাধিকার কমিশনের একজন পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
চারদিন ব্যাপি অনুসন্ধান করার পর কমিটির তরফ থেকে বলা হয় যে, এই কমিটি বন্দুকযুদ্ধের কোন প্রমাণ পায়নি। কিন্তু কেশবপুর থানায় পুলিশ যে মামলাটি দায়ের করেছে, সেই মামলায় বলা হয় যে, থানার ওসি আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঝিকরগাছা থানার অধীন ঝাকরা পুলিশ ক্যাম্পের সহায়তায় ঝাকরায় রজব আলীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের তিন ঘন্টা পর পুলিশ রজবকে মির্জানগর গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের নিকট নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিলো রজবের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার। এইসব অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নাকি রজব ডাকাতি করতো। পুলিশ বলে যে রজব ২২টি মামলার আসামী ছিলো। পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, ওই বাঁশ ঝাড়ের নিকট গেলে রজবের সহযোগীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গুলী বর্ষন শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলী চালায়। পুলিশের গুলীতে রজব আহত হয় এবং তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার সহযোগীরা একটি পিস্তল, দুইটি বুলেট এবং একটি ২৬ ইঞ্চি ছুরি ফেলে রেখে যায়। তখন রজবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে ডাক্তাররা রাত ২টা ১০ মিনিটে রজবকে মৃত ঘোষণা করে।
তিন
মানবাধিকার তদন্ত কমিশন জানতে পারে যে, পুলিশ মাঝ রাতে কতিপয় গ্রামবাসীকে জাগিয়ে তোলে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে যে, তারা রজবকে চেনে কিনা? পুলিশ তাদেরকে দিয়ে কয়েকটি কাগজে সই করিয়ে নেয়। গ্রামবাসীদের একজন হলেন আব্দুল করিম। তাকে এই মামলার সাক্ষী বানানো হয়েছে। তিনি জানান যে, রাত দুইটার সময় পুলিশ তার বাড়িতে আসার আগে তিনি বন্দুকের আওয়াজ শোনেন। আওয়াজ শুনে তিনি বাড়ির বাহিরে আসেন। তখন পুলিশ তাকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। পুলিশের লোকজন টর্চ জ্বালায়। টর্চের আলোতে আব্দুল করিম দেখতে পায় যে, একটি মানুষের মৃতদেহ শায়িত। পরনে একটি শার্ট ও লুঙ্গি। মুখ নিচু করা। ‘আমি দেখলাম শুকনো জমাট বাঁধা রক্ত। তার মাথার কাছে একটি ছুরি এবং পায়ের কাছে পিস্তল’। আব্দুল করিম বলে যে, এই লোকটাকে সে চেনে না। কিন্তু পুলিশ তার কথায় কর্ণপাত না করে তাকে একটি কাগজে সই করতে বাধ্য করে। আরেকজন সাক্ষীর নাম শামসুর রহমান খান। তাকেও ঘুম থেকে জাগানো হয় এবং যেখানে মৃত দেহ ছিলো, সেখানে তাকে নেয়া হয়। সে বলে যে, মৃত ব্যক্তিকে সে চেনে না। সে কোন আহত পুলিশকেও দেখে নাই। পুলিশ তাকে একটি কাগজে টিপ সই দিতে বাধ্য করে। এমনকি টিপসই দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্প প্যাডও পুলিশ সাথে করে নিয়ে এসেছিলো।
কমিশন অনেকের সাথেই কথা বলে। তাদের মধ্যে ছিলো রজবের আত্মীয় স্বজন, কেশবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গ সহযোগী, যে ব্যক্তি রজবকে গোসল করিয়েছিলো সেই ব্যক্তি, স্থানীয় জনগণ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ। কমিশন কিছু দলিলপত্র পরীক্ষা করে। এগুলোর মধ্যে ছিলো এফ আই আর এবং পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট। পুলিশ যা বলেছে তার সাথে এইসব কাগজপত্রের অনেক গরমিল রয়েছে। পুলিশ তদন্ত কমিটির কাজে অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তারা বলে যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে তদন্ত করার মত আইনগত কর্তৃত্ব তাদের নাই। রিপোর্টে বলা হয় যে, যদিও ঝিকরগাছা পুলিশ ক্যাম্পের সহায়তায় রজবকে গ্রেপ্তার করা হয় কিন্তু জিডিতে সেই কথা উল্লেখ করা হয় নি। জিডিতে বলা হয় যে, রজবকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ১৫ মিনিটে। ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সংঘটিত হয় ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। এই কথা উল্লেখ করা হয়নি যে, এই তিন ঘন্টা রজবকে কোথায় রাখা হয়েছিলো।
এফ আই আর পরীক্ষা করে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। পুলিশ প্রথমে বলে যে একজন ‘অজ্ঞাত ব্যক্তি’ নিহত হয়েছে। কিন্তু তারপর ওই ‘অজ্ঞাত ব্যক্তি’ শব্দটি কেটে দিয়ে সেখানে রজবের নাম বসিয়ে দেয়া হয়। এই রিপোর্টটি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের নিকট দাখিল করেন। ডেইলি স্টারকে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, “রজব আলীর এই সুনির্দিষ্ট মামলায় আমাদের উপসংহার হলো এই যে, রজব হত্যার ক্ষেত্রে কোন বন্দুক যুদ্ধ সংঘটিত হয় নাই। পুলিশ কর্তৃক গুলী বর্ষণ ও আত্মরক্ষার্থে করা হয়নি। তিনি আরো বলেন যে, ক্রসফায়ারে প্রতিটি হত্যার পর কমিশন তাদের উদ্বেগের কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে এবং তদন্ত দাবি করে আসছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয়ে তারা এই ধরনের অন্তত ২০০টি চিঠি লিখেছেন। কিন্তু তাদের চিঠির ওপরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন যে, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ডেইলি স্টারে একটি সম্পাদকীয় নিবন্ধ লেখা হয়। ওই সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয় যে, মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠানোর বাইরেও কমিশনের কিছু করা উচিত। এরপর তারা রজব আলীর মামলাটি নিয়ে তদন্ত করে।”
চার
সকলে জানেন যে, সরকারি অধ্যাদেশে মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান এবং অন্য সদস্যরা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত। অন্য কথায় মানবাধিকার কমিশন একটি আধা সরকারি সংস্থা। তারা বলছে যে, কেশবপুরে রজব আলী হত্যাকান্ডে কোন বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। এর অর্থ হলো এই, রজবকে পুলিশ কাস্টডিতেই হত্যা করা হয়েছে। তারপর বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে বন্দুক যুদ্ধের কাহিনী সাজানো হয়েছে। অর্থাৎ সরকার ঠান্ডা মাথায় ক্রসফায়ারের নাম করে একের পর এক প্রতিপক্ষকে হত্যা করে যাচ্ছে। সবচেয়ে অবাক হলো এই যে, প্রায় সমস্ত মহল থেকেই এই ধরনের ঠান্ডা মাথায় খুনের জন্য তদন্ত দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের কোন বিকার নাই। হাসিনা সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে বিনা বিচারে খুন করা হয়েছে ৬২৪ ব্যক্তিকে। ২য় মেয়াদের প্রথম দুই মাসে হত্যা করা হয়েছে ৪২ ব্যক্তিকে। সবমিলিয়ে এই সরকারের আমলে হত্যা করা হয়েছে ৬৬৬ ব্যক্তিকে। অর্থাৎ প্রতি বছরে ১১১ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। এই ধরনের বেপরোয়া হত্যাকান্ড আর কত দিন চলবে? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমস্ত নেতা, উপনেতাকে কি তারা এভাবেই হত্যা করবেন?
শুধুমাত্র মানবাধিকার কমিশন প্রতিবাদ করলেই চলবে না। সাধারণ মানুষকেও প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে। নাহলে শুধুমাত্র গণতন্ত্রই বিপন্ন হবে না, দেশটি হিটলারের নাৎসী রাজত্বে চলে যাবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন