উপজেলাসমূহের চেয়ারম্যান নির্বাচনের ২য় পর্বে আওয়ামী লীগের মতলব পরিষ্কার হয়ে গেলো। পরিষ্কার অবশ্য আগেই হয়েছিল। তবুও প্রমাণের জন্য বসে ছিলাম। একেতো বাংলাদেশ ছোট। তার ওপর তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতিতে এক জায়গার খবর মুহূর্তের মধ্যে আরেক জায়গায় পৌঁছে যায়। মোবাইল ফোনতো এখন গ্রামেগঞ্জে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপও এখন গ্রামে পৌঁছেছে। সুতরাং ইন্টারনেট লাইনের দাম বেশি হলেও লাখ লাখ ঘরে নেট কানেকশন রয়েছে। সুতরাং উপজেলা নির্বাচনে কোথায় কি হচ্ছে সেটি জানতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। ইচ্ছে করলেই খবর জানা গেছে। দুপুর বেলা অফিসে বসে শুনলাম যে, নির্বাচন উপলক্ষে মহোৎসব চলছে ঠিকই, তবে সেটি ভোট দানের মহোৎসব নয়। ঢাকার ট্যাবলয়েড দৈনিকটির অনলাইন এডিশনে তাই লিড আইটেমের হেডিং দেয়া হয়েছে, ‘ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব।’ টেলিভিশনে দেখেছেন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে সিল মারছেন। প্রথম পর্বের নির্বাচনের তুলনায় ২য় পর্বের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রূপ আরো উৎকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে। একের পর এক কেন্দ্রে তারা পুলিশের ছত্রছায়ায় প্রতিপক্ষের লোকজনদের বের করে দিয়েছে, কেন্দ্র দখল করেছে এবং ইচ্ছেমতো সিল মেরেছে। প্রথম পর্বে উপজেলা ইলেকশনে কোন প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায় নাই। কিন্তু এবারের ইলেকশনে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের হামলায় একটি কিশোরের তাজাপ্রাণ ঝরে গেছে। অসংখ্য লোক আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন। খোদ চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও আওয়ামী মাস্তানদের হামলায় আহত হয়েছেন এবং রক্তাক্ত হয়েছেন। সবচেয়ে অবাক হতে হয়েছে ইলেকশন কমিশনের ভূমিকায়। এতো ঘটনা ঘটলো, একজন কিশোর মারা গেলো, চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আহত হয়ে হাসপাতালে গেলেন, তারপরেও চিফ ইলেকশন কমিশনার (সিইসি) সাহেবের কোনো বিকার নাই। ফতোয়া দিলেন যে, এইসব নির্বাচনে এই ধরনের ছোট-খাটো ঘটনা ঘটেই থাকে। নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণ হয়েছে। শুক্রবারের পত্রপত্রিকা কিন্তু সিইসি সাহেবের কথার সাথে সায় দেয়নি। তাই প্রথম যে আট দশটি নির্বাচনের ফলাফল তারা ঘোষণা করে সেগুলোতে এক চেটিয়াভাবে আওয়ামী লীগ পাস করতে থাকে। ইতোমধ্যে এই খবরে অন্যান্য কেন্দ্রে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকেই বুঝে ফেলেন যে, নির্বাচনের ফলাফল পাল্টিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। তাই জনগণ তাৎক্ষণিক সজাগ এবং সতর্ক হয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রেই কারচুপির বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়। যদি আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাথে একজোট হয়ে সন্ত্রাস না করতো তাহলে নির্বাচনের ফলাফল এই মুহূর্তে যা দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে অনেক ভিন্ন হতো।
এই মুহূর্তে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছে আওয়ামী লীগ ৪৫টি, বিএনপি ৫২টি , জামায়াতে ইসলামী পেয়েছে ৮টি এবং জাতীয় পার্টি ১টি। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ৪৬টি আসন। আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট পেয়েছে ৬০টি। এখন দেখা যাচ্ছে যে, চেয়ারম্যান পদে বিএনপিতো এগিয়ে আছেই, জামায়াতও অনেক পদে বিজয়ী হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ এক সাথে যে রাষ্ট্রীয় এবং শ্বেত সন্ত্রাস চালিয়ে ছিল সেখানে যদি জনপ্রতিরোধ না থাকতো তাহলে তারা ভোটের সমগ্র ফলাফল পাল্টে দিতো। শুক্রবার একটি ইংরেজি দৈনিক, যেটি বিএনপি এবং জামায়াতের প্রতি বন্ধুসুলভ নয়, সেই পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ফলাও করে প্রকাশিত খবরে যা বলা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত সার নিম্নরূপ :
ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা পুলিশ এবং বিরোধী দলের লোকদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, ভোটকেন্দ্র দখল করে, ব্যালটবাক্স ছিনতাই করে এবং চুরি করা ব্যালট পেপারে বেপরোয়া সিল মেরে ব্যালটবাক্স বোঝাই করে। এই ঘটনা ঘটেছে ২য় পর্বের নির্বাচনে। এই পর্বে যে ১১৫টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে তার ২৪টিরও বেশি উপজেলায় এই ভোট ডাকাতি ঘটেছে। এই প্রকাশ্য ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে ১১টি উপজেলায় বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছেন এবং অন্তত ৪টি উপজেলায় উপনির্বাচন দাবি করেছেন। এছাড়া বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপি, অন্তত ১০টি উপজেলায় হরতাল আহ্বান করেছে। সবচেয়ে গোলযোগপূর্ণ এলাকা ছিল নোয়াখালী জেলা। এখানে সরকারি দলের সাথে বিরোধী দলের যখন মারামারি শুরু হয়, তখন পুলিশ বিরোধী দলকে লক্ষ্য করে গুলী ছুঁড়ে। পুলিশের গুলীবর্ষণে একজন শিবিরকর্মী নিহত হয়। সোনাইমুড়ি উপজেলার একটি কেন্দ্র যখন আওয়ামী মাস্তানরা দখল করতে আসে তখন এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির এতো মারাত্মক অবনতি ঘটে যে, এই জেলার সব ভোটকেন্দ্র অর্থাৎ ১১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এছাড়া ১৪টি উপজেলার ৩৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়। এ কেন্দ্রগুলো হলো- সোনাইমুড়ি উপজেলার ৩টি, বরিশাল সদরের ১১টি, ফেনী সদরের ৮টি এবং ফরিদগঞ্জের ৬টি। নোয়াখালীতে দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এ এফ এম বাবুল গুলীবর্ষণ করতে করতে এবং বোমা ফাটাতে ফাটাতে নন্দীপাড়া ডিগ্রি কলেজে অবস্থিত ভোটকেন্দ্র দখল করতে আসেন। পুলিশের গুলীবর্ষণে ঘটনাস্থলে যে ব্যক্তি নিহত হয় সে হলো ২২ বছরের যুবক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী সাদ্দাম হোসেন।
দুই.
যশোর জেলায় আওয়ামী লীগের মাস্তানবাহিনী বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে ৩টি উপজেলার ২৭৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ৬টি ভোটকেন্দ্র দখল করে। আরো অবাক ব্যাপার হলো এই যে, যখন সরকারের মাস্তানবাহিনী ব্যালট পেপারসমূহ ছিনতাই করে তখন সমগ্র ঘটনার সময় পুলিশ ছিল নির্বাক। এই ছাড়াও বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা এবং বাগেরহাট সদর উপজেলায় বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বা বিজিবি এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। গোপালগঞ্জের দক্ষিণপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ওইসব ব্যালট পেপারে সরকারদলীয় পা-ারা ইচ্ছেমতো সিল মারে। এছাড়া মেহেরপুরের, গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রাম এবং জামালপুর ও রাজশাহী ছাড়াও আরো ২১টি উপজেলায় বিএনপির সাথে শাসক দল আওয়ামী লীগের ঝটিকা বাহিনীর মারাত্মক সংঘর্ষ ঘটে।
কিন্তু এত কিছু করেও সরকার শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ২য় পর্বের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের ফলাফল আমরা কিছুক্ষণ আগেই দেখিয়েছি। দেখা যাচ্ছে যে, দুই পর্বের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করেছে ৯৪টি চেয়ারম্যান পদে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করেছে ৭৯টি পদে। জামায়াত জয়লাভ করেছে ২১টি পদে। জাতীয় পার্টি মাত্র ২টি পদে। জোটগতভাবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি পেয়েছে ৮১টি চেয়ারম্যানের পদ। পক্ষান্তরে বিএনপি ও জামায়াত পেয়েছে ১১৫টি চেয়ারম্যানের পদ। দুই পর্বের নির্বাচনে বিএনপি জোট আওয়ামী লীগ জোটের চেয়ে ২৪টি পদে এগিয়ে আছে।
তিন.
আরো দুইটি পর্বে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ পর্বটি হবে ৩১ মার্চ। ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে ইতোমধ্যেই ২১২টি উপজেলা নির্বাচন হয়ে গেলো। অবশ্য এর মধ্যে দুইটি উপজেলার ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়েছে। যাই হোক, অবশিষ্ট থাকলো ২৭৫টি উপজেলার নির্বাচন। ইংরেজিতে একটি কথা আছে, “গড়ৎহরহম ংযড়ংি ঃযব ফধু.” অর্থাৎ সকাল দেখে বোঝা যায় যে, সারাটি দিন কেমন যাবে। বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় প্রবাদ হলো ‘একটি ভাত টিপলে বোঝা যায়, হাঁড়ির অবশিষ্ট ভাত কেমন সিদ্ধ হয়েছে।’ ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ২১২টি উপজেলার নির্বাচন হয়ে গেছে। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়ে গেলো। তারও আগে চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা পৌরসভা নির্বাচন হয়ে গেলো। এতগুলো সিটি কর্পোরেশন এবং দুই শতাধিক উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল জনমতের কাঁটা কম্পাস নির্ধারণ করে। জনমত কোন দিকে চলে গেছে সেটি বুঝতে আর প-িত বা বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এইসব নির্বাচন পরিষ্কার বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, জনমত পরিষ্কারভাবে সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। সরকারের রথি মহারথিদের একটি কথার সাথে আমরা একমত যে, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটে না। কিন্তু এই কথাতো ঠিক যে, এইসব নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে আমরা উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের দলওয়ারী একটি পরিসংখ্যান দিচ্ছি। এই পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, প্রথম পর্বের নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের ৩২টি পদ, আওয়ামী লীগ ২৩টি, জামায়াতে ইসলামী ২৪টি এবং জাতীয় পার্টি ৩টি। দ্বিতীয় পর্বে বিএনপি পেয়েছে ৩২টি, আওয়ামী লীগ ৩৭টি, জামায়াতে ইসলামী ৩৪টি এবং জাতীয় পার্টি ১টি। দুই পর্বের নির্বাচনে মহাজোট সরকার সম্মিলিতভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদ লাভ করেছে ৬৪ (আওয়ামী লীগ+জাতীয় পার্টি)। পক্ষান্তরে দুই পর্বের নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট সম্মিলিতভাবে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ লাভ করেছে ১২২টি (বিএনপি+জামায়াতে ইসলামী)। দেখা যাচ্ছে যে, দুই পর্বের নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট আওয়ামী জোটের চেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮টি পদে এগিয়ে আছে।
আমরা আগেই বলেছি যে, সকালের চেহারা দেখে বলে দেয়া যায় যে, সারাদিনটি কেমন যাবে। আমরা এইও বলেছি যে, পাতিলের একটি ভাত টিপলে অবশিষ্ট সব ভাতের অবস্থা বুঝা যায়। দুই পর্বের নির্বাচনে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ও জামায়াত তথা ১৯ দলীয় জোট আওয়ামী জোটের চেয়ে সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায় যে, অবশিষ্ট যে কয়টি উপজেলা আছে অর্থাৎ ২৭৫টি উপজেলা নির্বাচনেও ফলাফলের মোটামুটি একই ধারা অব্যাহত থাকবে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে দেশের মানুষের মতামত এবং চিন্তাধারা সুনিশ্চিতভাবে বিএনপি-জামায়াত তথা ১৯ দলের পক্ষে থাকছে। দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর সমর্থন যদি ১৯ দলীয় জোটের পেছনে থাকে সেখানে তারা অর্থাৎ মহাজোট কিভাবে ক্ষমতায় থাকে? গণতন্ত্রের ক খ গ মানলেতো আর ক্ষমতায় থাকা যায় না। সেক্ষেত্রে অবধারিতভাবে অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দিতে হবে। এমন একটি নির্বাচন, যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে এবং যেখানে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দলের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এতদিন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র এবং জনসমর্থনের সোল এজেন্ট হিসেবে নিজেকে জাহির করেছে। এখন তারা গণতান্ত্রিক হোক বা না হোক, গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত এবং নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।
ইনসেট
এইসব নির্বাচন পরিষ্কার বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, জনমত পরিষ্কারভাবে সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। সরকারের রথি মহারথিদের একটি কথার সাথে আমরা একমত যে, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটে না। কিন্তু এই কথাতো ঠিক যে, এইসব নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে আমরা উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের দলওয়ারী একটি পরিসংখ্যান দিচ্ছি। এই পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, প্রথম পর্বের নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের ৩২টি পদ, আওয়ামী লীগ ২৩টি, জামায়াতে ইসলামী ২৪টি এবং জাতীয় পার্টি ৩টি। দ্বিতীয় পর্বে বিএনপি পেয়েছে ৩২টি, আওয়ামী লীগ ৩৭টি, জামায়াতে ইসলামী ৩৪টি এবং জাতীয় পার্টি ১টি। দুই পর্বের নির্বাচনে মহাজোট সরকার সম্মিলিতভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদ লাভ করেছে ৬৪ (আওয়ামী লীগ+জাতীয় পার্টি)। পক্ষান্তরে দুই পর্বের নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট সম্মিলিতভাবে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ লাভ করেছে ১২২টি (বিএনপি+জামায়াতে ইসলামী)। দেখা যাচ্ছে যে দুই পর্বের নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট আওয়ামী জোটের চেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮টি পদে এগিয়ে আছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন