বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক
রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামের দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত উদ্ধৃতি থেকে একটি
বক্তব্য দিয়ে লেখাটি শুরু করছি। ‘দি গুড ওয়ানস্ রিভোলটেড’ প্রবন্ধে তিনি বলেছেন ‘মন্দের জয়ের জন্য শুধু যা প্রয়োজন তা হলো ভালো মানুষের
নীরব ভূমিকা’। বাংলাদেশে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন
ও পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছেন যেটি গত
১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে উল্লিখিত জার্নালে। দৈনিক মানবজমিনসহ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে
সাবেক এই মার্কিন দূতের প্রবন্ধটি বাংলা অনুবাদ ছেপেছে। প্রবন্ধে তিনি বলেছেন উল্লিখিত
কথাটি এডমন্ড বার্কের মুখ থেকে নিঃসৃত। আমি এডমন্ড বার্ককে চিনি না। তবে ভদ্রলোকের
উক্তিটি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার সাথে তুলনা করলে সামান্য কয়েকটি শব্দে
এত চমৎকার সারসংক্ষেপ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
এটি ঠিক, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এতে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি।
সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যায়নি। বলা যেতে পারে দেশের মোট ভোটারের
সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে যায়নি ভোট দিতে। শতাধিক কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।
এক, দুই, দশ, বিশ, ত্রিশ ভোট পড়েছে এমন কেন্দ্রের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত
এই সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। অর্থাৎ দেশের বেশির ভাগ ভোটার বিরোধী দলের ভোটবর্জনের ডাকের
কারণে হোক, বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কারণে হোক বা একপেশে, একচেটিয়া তামাশার নির্বাচনব্যবস্থার জন্যই হোক তারা কেউ ভোট কেন্দ্রে যায়নি
এবং ভোট দিতে উৎসাহবোধ করেনি। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যদিও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দুই দিন পর ১৪৭টি আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দেয়ার
হার ৪০ শতাংশ বলে নিশ্চিত করলেও দেশে-বিদেশে তাদের এ বক্তব্য ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা
পায়নি। ৩০০ আসনের দশম জাতীয় সংসদের এই নির্বাচনের আগেই ১৫৩ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়
নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫০ শতাংশের বেশি আসনে নির্বাচিত
হওয়ার ঘটনা দেশে তো নয়ই, বিশ্বের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এই হলো
৫ জানুয়ারিতে জনগণের ভোট বর্জন ও সরকারের তামাশার নির্বাচনের প্রকৃত চিত্র। অন্য দিকে
নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের ‘হোমিওপ্যাথিক’ ডোজের দীর্ঘ আন্দোলনটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য
দিয়ে যবনিকাপাত ঘটে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সার্থকতার বিপরীত পীঠে নির্বাচন
প্রতিরোধ করতে বিরোধী দল ব্যর্থ। শুধু ব্যর্থ বললে ভুল হবে চরমভাবেই ব্যর্থ হয়েছে।
এ ব্যর্থতার দায়ভার সারা দেশের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোটা অন্যায় হবে, ভুলও হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট
ব্যক্তিবর্গের অভিমত হলো জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখিয়েছে।
মহাজোটের একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে আন্দোলন পুরোপুরি সফলতার মুখ দেখেনি মূলত ঢাকার নেতৃবৃন্দ
ও নেতাকর্মীর কারণে। কেন ঢাকার আন্দোলন ব্যর্থ হলো, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
প্রয়োজন। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের
দাবিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় হরতাল আর লাগাতার
অবরোধের মধ্য দিয়ে। বিরোধীদলীয় নেতা ডিসেম্বরের শেষ দিকে ২৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত কর্মসূচি
ঘোষণা করেন। জনাকীর্ণ একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষায় ২৯ ডিসেম্বর সমাবেশের
ডাক দেন। তিনি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে তামাশার নির্বাচন বন্ধে সরকারকে বাধ্য করতে ২৯ ডিসেম্বর
সারা দেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়কে সকাল ১০টায় পল্টনের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে সমবেত হওয়ায় আহ্বান জানান জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে। এ কর্মসূচিকে তিনি
‘মার্চ ফর ডেমোক্র্যাসি’ নামে অভিহিত করেন।
নির্বাচনের
ছয় দিন আগে নেত্রীর নির্দেশকে ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। তাদের
বিশ্বাস ছিল জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলেও ২৯ তারিখে ঢাকায় গণজোয়ার দেখে সরকার
একতরফা নির্বাচন বন্ধ করে সমঝোতা করতে বাধ্য হবে। অবসান ঘটবে সব অনিশ্চয়তার, দূর হবে সব শঙ্কা আর আতঙ্কের। বন্ধ হবে ক্রসফায়ার, পেট্রলবোমা আর সন্ত্রাস। আতঙ্কিত কর্মী ও মানুষের মধ্যে ফিরে আসবে স্বস্তি, শান্তি। দেশের পরিবেশ স্বাভিাবিক হয়ে যাবে। সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য
নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের
মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে। এরকমই আশা নিয়ে নেতাকর্মীরা চূড়ান্ত আন্দোলনের সব ধরনের
প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ পরিবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন এরা। ভয়ভীতি, বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে নানা কৌশলে গ্রাম, মফস্বল ও শহর থেকে ঢাকা পৌঁছে
যায় লাখ লাখ মানুষ। এর পরের ঘটনা ছিল অপ্রত্যাশিত, অনাকাক্সিক্ষত। নেতাকর্মীরা ঢাকায়
ঢুকে রাজধানীর কোনো নেতার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
অন্য দিকে
এ প্রস্তুতি ঠেকাতে সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ দিয়ে বলে, একটি পিঁপড়াও যেন ঢাকায় ঢুকতে না পারে। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও যৌথবাহিনীসহ প্রশাসনের সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয় ২৯ ডিসেম্বরের
সমাবেশ ব্যর্থ করতে। সারা দেশ থেকে আওয়ামী সমর্থক চৌকস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫০ হাজারের
বেশি সদস্যকে ঢাকায় আনা হয়। এরা স্থলপথ, জলপথ ও রেলপথের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে
বন্ধ করে ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা ব্যর্থ করতে গ্রেফতার, ক্রসফায়ারসহ সাঁড়াশি অভিযানে নেমে পড়ে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে সরকার নিজেই অবরোধকারীর
ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ঢাকার বিভিন্ন থানার গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে, হাজতখানা পরিপূর্ণ হয়ে উপচে পড়ে সন্দেহভাজন রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদের আটকে।
বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে পুলিশি অ্যাকশনে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করে
থানা ওয়ার্ডসহ রাজধানীর সর্বত্র। ভীতসন্ত্রস্ত ঢাকা মহানগর থানা ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ
মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখে। গ্রেফতার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ অবস্থান খুঁজে নেয়। চরম
অস্বস্তিকর ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে ঢাকার বিরোধী রাজনৈতিক অঙ্গনে। অন্য দিকে বিরোধীদলীয়
নেতার বাসভবন ঘিরে তৈরি করা হয় আরেক নাটকীয়তার। শত শত পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় তার
বাড়িটি। পাঁচটি বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে নিñিদ্র বেষ্টনী তৈরি করা হয়। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগও করেন বাড়ির কেয়ারটেকার। নেত্রীর
বাসায় নেতাকর্মীদের প্রবেশে বাধা দেয়া হলেও সীমিত আকারে সিনিয়র ও পেশাজীবীরা সাক্ষাৎ
করতে পারেন তার সাথে। বিরোধীদলীয় নেতাকে অবরুদ্ধ করে গণহারে কর্মীদের গ্রেফতার, রাস্তায় জড়ো হলে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়ার রটনা ঢাকার জনপথ মানবশূন্য
হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সরকারকে ন্যূনতম
বিচলিত বা বিব্রত করেনি। বরং বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে তৈরি হয় চরম আতঙ্ক। সরকারের
হয়তো ধারণাই ছিল না বিরোধী দল দমনে তাদের এ প্রেসক্রিপসনের অ্যাকশন এত দ্রুত ১৮ দলের
নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।
ঢাকা আন্দোলন
ও নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতা খতিয়ে দেখা দরকার। আমার কাছে যেগুলো অতি গুরুত্ব পেয়েছে শুধু
সেগুলো উল্লেখ করছি। এক. দীর্ঘ দিন ধরে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক থানা, ওয়ার্ড কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে অবস্থান। ২৫-৩০ বছর ধরে একজন ব্যক্তি
থানা ও ওয়ার্ড সভাপতি, সেক্রেটারিসহ অন্যান্য পদ দখল করে আছে, ফলে নতুন নেতৃত্ব তৈরির কোনো সুযোগ নেই সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ডগুলোতে। দুই. গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন প্রায় সব নেতাই প্রচুর অর্থবিত্তের
মালিক হয়েছেন। পুলিশি নির্যাতন, হয়রানি, গ্রেফতার এড়িয়ে চলেন তারা বিলাসী
জীবনযাপনের কারণে। তিন. চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে কেন্দ্র ও মহানগরের সিনিয়র
নেতৃবৃন্দ তাদের একান্ত আস্থাভাজন লোকদের বাইরে মেধাবী, সৎ, যোগ্য, সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য, পরিশ্রমী ব্যক্তিদের স্থান দেয়নি থানা, ওয়ার্ড কমিটিতে। চার. মহানগরের
সব থানায় মূল দলের আঙ্গিকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সাজিয়েছেন কেন্দ্র ও মহানগরের শীর্ষ
নেতৃবৃন্দ। পাঁচ. মূল দলের নেতাদের সাথে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মাঝে যোগাযোগ
সমন্বয় নেই বললেই চলে। ছয়. বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চরম ভরাডুবিতে
এবং শেষ মুহূর্তে হলেও সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে বিএনপির
সিনিয়র নেতৃবৃন্দ চরম আত্মতুষ্টিতে ছিল। সাত. বিদেশী কূটনীতিবিদদের ওপর অধিকমাত্রায়
নির্ভরশীলতা। আট. সরকারদলীয় সমর্থক গণমাধ্যমে বিএনপি-বিরোধী অসত্য, মনগড়া প্রচারণা। নয়. সরকারের মূল লক্ষ্য বিরোধী দলের আন্দোলন ব্যর্থ করে দেয়া।
সে জন্য তারা ১৮ দলের দ্বিতীয় শক্তিশালী দল জামায়াতকে টার্গেট করে। সরকারের কৌশল ছিল
আন্দোলন থেকে জামায়াতকে বের করে আনা। এ কাজ তারা বিএনপির ঘাড়ের ওপর বন্দুক রেখে করতে
চাচ্ছে। দশ. নীতি, নৈতিকতা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, শহীদ জিয়ার দর্শন, সিনিয়র নেতাদের সান্নিধ্যের অভাব মাঝারি ও জুনিয়র
নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রকট। এগারো. দলের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই
নেতাকর্মীদের অজ্ঞতা। বারো. ঢাকার আন্দোলনকে সংগঠিত করতে সাহসী নেতৃত্বের অভাব। দেশের
মানুষ, দলের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা
আগের মতোই আকাশচুম্বী। প্রয়োজন, দলের সব পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করে
জাতীয়তাবাদী আদর্শ-উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া।
উল্লিখিত
কারণ ছাড়াও নেত্রীর কাছে আন্দোলনের ব্যর্থতার আরো অনেক তথ্য আছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে
দ্রুত লিকেজগুলো রিপেয়ার করে আন্দোলনে নামতে না পারলে সরকারের কাছে সংলাপ বা তত্ত্বাবধায়ক
সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি আদায় করা সম্ভব হবে না। সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে নব্বইয়ের
গণ-অভ্যুথানের মতো এ সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনাই হবে আপসহীন নেত্রী
বেগম জিয়ার জন্য আন্দোলনের একটিমাত্র পথ। বিদেশী কূটনৈতিকদের সাথে আলোচনার পাশাপাশি
কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এ আন্দোলনের সাথে সরকার বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও মতের
নেতৃবৃন্দ এবং কর্মী-সমর্থকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। রাস্তায় নামাতে হবে ঢাকার সব থানা, ওয়ার্ড বিএনপিসহ ১৯ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের। এ অসম্ভব কাজটি করা সম্ভব বিরোধীদলীয়
নেতা, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুথানের সফল আপসহীন নেত্রী বেগম জিয়ার পক্ষেই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন