আগুনে মানুষ মরে, গুলিতেও মানুষ মরে। এ কারণে অগ্নিদাহ ও গুলীবর্ষণ আমাদের অপ্রিয় বিষয়। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো ২০১৩ সালের পুরোটা সময় জুড়েই ওই অপ্রিয় বিষয়গুলো আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে। তবুও নতুন বছরের শুরুতে আমরা বলেছি ‘শুভ নববর্ষ’ কিন্তু প্রশ্ন জাগে, শুধু আমাদের আকাঙ্খার কারণেই কি ২০১৪ সালটা আমাদের জন্য সুখময় হয়ে উঠবে, নাকি এর জন্য সঙ্গত কর্মকা-েরও প্রয়োজন হবে? আমরা যে সমাজবদ্ধ হয়েছি, রাষ্ট্র গঠন করেছি, তা কিসের জন্য? পরস্পরের মেধা, শ্রম ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনই তো আমাদের লক্ষ্য ছিল। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য যে আদর্শ ও নীতিবোধ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সে কথাটি বোধ হয় আমরা ভুলেই গেছি। ফলে আমাদের রাষ্ট্রে দালান-কোঠা বেড়েছে, অফিস-আদালতের শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে, অর্থনৈতিক কর্মকা- প্রসারিত হয়েছে, গণতন্ত্রের ঢাকঢোলও বেজেছে, তারপরও আমরা কাঙ্খিত সমাজ পাইনি। গণতন্ত্রের প্রোপাগা-া হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র পাইনি। আদর্শ ও নীতিহীন রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান চাতুর্য ও প্রহসনের কারণে আমাদের সমাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে কী করে হিংসা-বিদ্বেষ এতটা প্রশ্রয় পায়? কী করে প্রতিদিন আগুন জ্বলে, গুলী চলে? মানুষের সমাজে মানুষের জীবনের কি কোনই মূল্য নেই? মানুষ কি সমাজবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র গঠন করেছে পরস্পরকে আক্রমণ ও হতাহত করার জন্য? এখানেই চলে আসে দেশের সংবিধান, আইন-কানুন, প্রশাসন ও সরকারের সঙ্গত দায়িত্ব পালনের প্রসঙ্গ। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এ সবই রাষ্ট্রের নাগরিকদের কল্যাণের জন্য। এ কারণেই আমরা বলে থাকি মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। অথচ বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি অনেক ক্ষেত্রে সংবিধান ও আইন-কানুনের দোহাই দিয়ে মানুষের দুঃখের মাত্রা বৃদ্ধির প্রয়াস। ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির এটা একটা মন্দ উদাহরণ। ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের চাতুর্য ও প্রতাপের রাজনীতির কারণে প্রতিক্রিয়াটা দেশের জন্য ভাল হয়নি। বিষয়টা আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিটি বাতিল করা আমাদের জন্য মোটেও ভাল হয়নি। বিরোধী দলতো সমঝোতার দৃষ্টিভঙ্গিতে তত্ত্বাবধায়ক শব্দ বাদ দিয়ে একটি নির্দলীয় কিংবা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু সরকারি দল তাদের প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে অনড় অবস্থান গ্রহণ করে। এরপরের দৃশ্য আমাদের সবারই জানা। বিরোধী দলহীন একদলীয় নির্বাচনে ভোট ছাড়াই ১৫৪ আসনে সরকারি ঘরানার প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত হয়ে গেল। বাকি আসনগুলোতেও সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পথে। গণআকাঙ্খার বিপরীতে এমন একটি অগণতান্ত্রিক নির্বাচন দেশের ভেতর কিংবা বাইরে কারো কাছেই গ্রহণীয় হতে পারে না। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া এই নির্বাচনে তাদের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজও ৫ জানুয়ারির একদলীয় নির্বাচন বাতিল করে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে সরকারের প্রতি। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এতো কিছুর পরও সরকারের মধ্যে কোন বোধোদয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে বিরোধী দলকেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে রাজপথের আন্দোলনে। সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনৈতিক বাতাবরণ লক্ষ্য করা গেল ২০১৪ সালের প্রথম দিনেই। জানি না দমন-অবদমন ও সংঘাত-সংঘর্ষের অনাকাঙ্খিত পরিবেশ থেকে দেশের মানুষ কখন মুক্তি পাবে।
বর্তমান সরকার যে কোনভাবে আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে জনগণের অভিপ্রায়কে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের যে পর্বতপ্রমাণ ব্যর্থতা তারপরও আবার তারা জনমতকে সঙ্গে না নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দুঃসাহস করছেন কেমন করে? জনমনে তাদের অবস্থা কি, সে সম্পর্কে তাদের কাছে তো তথ্য থাকার কথা। এরপরও কেন এই একরোখা মনোভাব ও অযৌক্তিক আস্ফালন। জনগণের সমর্থন ছাড়া এবং শাসনের নৈতিক ভিত্তি ছাড়া দেশ পরিচালনা যে কতটা দুরূহ ব্যাপার তা কি শাসকগোষ্ঠী উপলব্ধি করে না? নাকি আবারও ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে তাদের অন্য কোন কারণ রয়েছে? বিশেষ করে এবারের নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের ভূমিকা জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। সেইসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক বিশ্বে আমরা অনেকগুলো মর্মান্তিক ঘটনা লক্ষ্য করেছি। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার ট্র্যজেডি তো এতো সহজে কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, কাশ্মীরসহ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মানুষের আর্তনাদ যেন বর্তমান সভ্যতার নায়কদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করতে পারছে না। সেদিন টকশোতে সাবেক এক কূটনীতিক বলছিলেন, অন্যসব ক্ষেত্রে সংকটের সুরাহা লক্ষ্য করা গেলেও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সংকটের সমাধান তেমন দেখা যায় না। বরং নানা ছলনায় সংকট জিইয়ে রাখার প্রবণতাই লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কি অপরাধে এমন হচ্ছে? ওদের অপরাধ হয়তো একটাই, আর তাহলো মুসলিম পরিচিতি। আমরা তো এ কথা জানি যে, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৯০ ভাগই মুসলিম। এখানে মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। উগ্রবাদ তাদের পছন্দরে বিষয় নয়। এ কারণেই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মডারেট মুসলিম কান্ট্রি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তারপরও বিশেষ মহল বাংলাদেশের ব্যাপারে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও উগ্রতার প্রোপাগা-া চালিয়ে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচন উপলক্ষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকেও এমন বিষয়ের অবতারণা করতে দেখা গেছে। তিনি তো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের সঙ্গে আলোচনার সময় বলেই ফেললেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যরা ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশে মৌলবাদ তথা জঙ্গীবাদের উত্থান হবে। নানা চাপে-তাপে পড়ে এরশাদ এখন অবস্থান করছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। আর বিরোধী জোটের নেত্রী এখন আপন বাসভবনে অবরুদ্ধ। গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় ভারতের সহযোগিতার আশ্বাসে বর্তমান সরকার ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
ভারত এবং বর্তমান সরকারের শীর্ষ নেতারা বাংলাদেশের জনগণ সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করেন তা আমাদের কাছে তেমন স্পষ্ট নয়। কিন্তু এ দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে নাগরিকরা জানেন যে, তাদের এই জাতি রাষ্ট্রের একটি ইতিহাস আছে। আর বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের কথা তো তাদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। তারা জানে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের পরে তারা কেন অখ- ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলো না। তারা এ কথাও জানে যে, পি-ির শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে তারা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে দিল্লীর দাসত্ব বরণের জন্য নয়। স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্যই এই খামার বাংলার মানুষ স্বাধীন হয়েছে। ভারতের টাওয়ার বাংলার সাথে আমাদের খামার বাংলার স্বাতন্ত্র্যের কথা আবুল মনসুর আহমেদ বহু আগেই বিশ্লেষণ করে গেছেন। বর্তমানে এপার বাংলা ওপার বাংলা বলে যারা গদগদ করছেন, তারা ইতিহাসের সত্য এত সহজে ভুলে যান কেমন করে? আমরা মোটেও ভারত বিদ্বেষী নই। বরং আমরা কলকাতাসহ সমগ্র ভারতে জনগণের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আগ্রহী। আমরা একথাও বিশ্বাস করি যে, দু’দেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় হলে উভয় দেশের অগ্রগতি ও প্রগতি ত্বরান্বিত হতে পারে। কিন্তু এ কথার অর্থ আবার এই নয় যে, আমরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অহঙ্কার ও স্বাতন্ত্র্যের কথা ভুলে যাবো। বাংলাদেশ যে কখনো সিকিম হবে না একথা এ দেশের জনগণ নানাভাবে উচ্চারণ করেছে। কিন্তু ভারতের শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতিসত্তার অহঙ্কারকে তেমন সম্মান করতে চায় না। এর জ্বলন্ত উদাহরণ হলো বিএসএফ কর্তৃক প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা, যার নির্মম উদাহরণ হয়ে রয়েছে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলানো ফেলানির লাশ। এমন উদাহরণ কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের জন্য কতটা শোভন তা ভারতের শাসকগোষ্ঠী বিবেচনা করে দেখলে ভালো হয়। কিন্তু সে পথে তারা এগুবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।
আমাদের এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে অনেক লুকোচুরি আছে, প্রহসন আছে, আছে প্রোপাগা-ার মাতামাতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও উগ্রতার দোষে চিহ্নিত করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও উগ্রতার নানা ঘটনার পরেও প্রোপাগা-ার জোরে ভারত নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছে। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা কি তাই? ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও উগ্রবাদী তৎপরতার খবর যারা রাখেন, তারা ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাজনীতিবিদদের প্রোপাগা-ার সাথে অনেক ক্ষেত্রেই একমত পোষণ করবেন না। প্রসঙ্গত এখানে গত আগস্টে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার কথা উল্লেখ করা যায়। এই দাঙ্গায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয় এবং প্রায় ৭০ হাজার মুসলমান প্রাণ রক্ষার্থে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দাঙ্গা বিপর্যস্ত মুসলমানদের জন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, সেই ত্রাণ শিবিরগুলো রাজ্য সরকার এখন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ওলামা কাউন্সিলের সভাপতি মাওলানা আমীর রাশাদী মাদানী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, রাজ্য সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সব ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করেছে। তবে বুলডোজার দিয়ে ত্রাণ শিবির গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনা অন্যায়-অবিচারের চরম বহিঃপ্রকাশ। তিনি আরো বলেন, বুলডোজার চালানো বন্ধ করুন, মাদরাসা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা বন্ধ করুন, ত্রাণ শিবিরে কর্মরত এনজিওগুলোকে কাজ করতে দিন এবং আশ্রিতদের উচ্ছেদ বন্ধ করুন। নইলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা এবং মসজিদ ভাঙ্গার সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কোনো নতুন বিষয় নয়। পাঠকরা নিশ্চয় ১৯৯২ সালে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ষোড়শ শতাব্দীতে স্থাপিত বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ভুলে যাননি। ঐ ঘটনার পর সংঘটিত দাঙ্গায় দুই হাজারেরও বেশি মুসলমান নিহত হন। আর গুজরাটে মানব ইতিহাসের ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর দাঙ্গার কথা পৃথিবীবাসী কখনো ভুলবে না। মুসলিম বিরোধী ওই দাঙ্গার নায়ক তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছেন। নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রদায়িক ও উগ্রবাদী দল বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনে জয়লাভ করছে। কই আমরা তো সে ব্যাপারে আমাদের কোনো আশঙ্কা বা বিরূপ মনোভাবের কথা ভারতের মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বা পররাষ্ট্র সচিবকে জানাচ্ছি না? কারণ আমরা মনে করি, নির্বাচনে ভারতের কারা জিতবে বা হারবে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে নাক গলালে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অসম্মান করা হয়। ভারতের জন্যও এমন আচরণ কি সঙ্গত নয়? কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ভারত অসঙ্গত আচরণ করছে, যাকে এক কথায় বলা যায় দাদাগিরি। এমন দাদাগিরির আশঙ্কায় আমরা অখ- ভারতের অন্তর্ভুক্ত হইনি। স্বাধীনতার আকাক্সক্ষায় আমরা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম, পরবর্তীতে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের পর আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন বাংলাদেশ। আজ এই ইতিহাস চেতনার ক্ষেত্রে যে শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা পূরণের লক্ষ্যে আমরা পাঠ করতে পারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। এবারের নির্বাচনের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হলে আমাদের ইতিহাসের পাতাগুলো আবার নেড়েচেড়ে দেখা প্রয়োজন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাই উপলব্ধি করলেই মঙ্গল।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন