এবার অস্ট্রেলীয় হাই কমিশনার বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। বিদেশী কূটনীতিকরা যখন হাই প্রোফাইল পলিটিশিয়ানদের সাথে দেখা করেন তখন তারা কি কথা বলেন তা বিস্তারিত জানা যায় না। যে দুই পক্ষ দেখা করেন এবং কথা বলেন তারাও সেই বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেন না। এসব সাক্ষাৎকারের যে তথ্য বিবরণী প্রকাশ করা হয় সেটি গৎ বাঁধা। বলা হয় যে, তারা পরস্পরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তথাকথিত ইলেকশনের পর দেখছি, বিদেশী কূটনীতিকরা ঝাঁকে ঝাঁকে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করছেন। তার সাথে দেখা করে তারা কি কথা বলছেন? অবশ্যই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা। তারা কি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার কোনো জেনুইন সমাধান চান? আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ বা নাক গলানো মোটেই সমর্থন করি না। কিন্তু নব্বই দশক থেকে দেখছি যে, যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন বিদেশী কূটনীতিকরা, বিশেষ করে বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা, আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলিয়েই চলেছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ভূমিকা বড়ই চমকপ্রদ। বিদেশী কূটনীতিকদের দৌড়াদৌড়ি ছুটাছুটি যখন তাদের পক্ষে যায় তখন তারা চুপ করে থাকে, অথবা তাদের সেই তৎপরতাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জানায়। কিন্তু যখনই বিদেশীদের তৎপরতা তাদের অবস্থানের বিপক্ষে যায় তখনই তারা ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ’ বলে চিৎকার শুরু করে। রাজনীতির সর্বক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বিরাজমান। এখন বিদেশীরা বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সিরিয়াল ধরে দেখা করছেন। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে বিপুল গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
অনেকেই এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন যে, যদি কোনো সমস্যার সমাধান নিয়ে বিদেশীরা এই নির্বাচন পরবর্তী দৌড়ঝাঁপ করেন তাহলে তারা শুধু বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছে আসছেন কেন? বল এখন সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে। রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের চাবিকাঠিতো সরকারের হাতেই এবং সেই সুবাদে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। অথচ দেখা যাচ্ছে যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা, বৃটিশ রাষ্ট্রদূত গিবসন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানাসহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রদূতরা কেউই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করছেন না। (নাকি তারা প্রধানমন্ত্রীর ইন্টারভিউ পাচ্ছেন না?)। বাজারে এই রকম কথা চালু আছে যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা নাকি ইলেকশনের আগে ৮/৯ মাস ধরে চেষ্টা-চরিত্র করে প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাননি। ইলেকশনের পর প্রধানমন্ত্রী তাকে কিছুক্ষণের সময় দিয়েছিলেন। ইলেকশনের পর তিনি আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশরাফ, তোফায়েল আহমেদ বা এই পর্যায়ের আওয়ামী নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। আমরা বার বার এই প্রশ্ন করছি যে, ওরা বেগম জিয়ার সাথে একের পর এক দেখা করে কি বলতে চাইছেন অথবা কি করতে চাচ্ছেন? এতদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল যে, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে বিরাট তামাশা হয়ে গেল সেটি নাকি পশ্চিমারা কেউই পছন্দ করেননি। ‘ডেইলি স্টারতো’ এমন রিপোর্টও ছাপিয়েছে যে, মার্কিনীরা চাচ্ছে আগামী জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে পুনরায় নির্বাচন হোক। এছাড়াও অন্যরাও বলেছেন যে এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাই আলাপ-আলোচনা করে যেন সহসাই নতুন নির্বাচন দেয়া যায় সেই চেষ্টা তারা করছেন।
আমার তো মনে হয় এসব হলো ¯্রফে কথার কথা। কারণ একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া নবনিযুক্ত প্রায় সব মন্ত্রী একের পর এক বলে যাচ্ছেন যে, তারা ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন। এর মধ্যে আবার নতুন করে নির্বাচন দেয়ার প্রশ্ন ওঠে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, এই নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আর অন্যরা বলছেন যে, সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং পুনঃনির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। তাহলে এই বিদেশী বা পশ্চিমা কূটনীতিকরা কেন এ বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়ার কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন?
দুই
সদ্য সমাপ্ত তথাকথিত নির্বাচনের আগে থেকেই এবং নির্বাচনের পর জনাব তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের মধ্যে পুনরায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। সকলেই জানেন যে, গত সরকারের সময় তোফায়েল আহমেদসহ অনেক উল্লেখযোগ্য নেতাকে সংস্কারপন্থী বলে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা দূরে সরিয়ে দেন। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় যতই ধস নামে ততই আওয়ামী লীগের কোণঠাসা সংস্কারপন্থী নেতাদের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। এখন প্রধানমন্ত্রীও তোফায়েল আহমেদকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগের অনেক রাজনৈতিক বক্তব্য তোফায়েল আহমেদের মাধ্যমে বলানো হচ্ছে। সাম্প্রতিকালের আওয়ামী রাজনীতি পর্যালোচনা করলে মনে হবে যে, তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের অঘোষিত মুখপাত্র হয়েছেন। কয়েকদিন আগে তিনি দিল্লী গিয়েছিলেন। দিল্লী থেকে ফিরে আসার পর মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং সংলাপ নিয়ে যা বলেছেন তারপর বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তোফায়েল আহমেদ দিল্লী থেকে ফিরে সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের আগে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন বা সংলাপ নিয়ে বাইরের কোনো চাপও নেই। এমনকি নির্বাচন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপও হবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা তো কোনো সংলাপের কথা বলছি না। এটা কূটনীতিকরা বলছেন। তবে সংলাপ হতে পারে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে। আর কূটনীতিকরা সেই সংলাপের কথাই বলছেন। সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানার সঙ্গে এক বৈঠক শেষে পূর্ব নির্ধারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে আরও জোরদার করা যায় তা নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তারা আমাদের নির্বাচন গ্রহণ করেছেন, এছাড়াও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়। তিনি বৈঠকে বসেই বলেছেন, আমরা এই নির্বাচন গ্রহণ করেছি। আমরা সম্পর্ক অব্যাহত রাখবো।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেছেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার) বিরোধী দলকে বলেছিলেন, সহিংসতা বন্ধ করুন। জামায়াত ত্যাগ করুন। এখন তারা সহিংসতা বন্ধ করেছে। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় জামায়াত ওইভাবে দৃশ্যমান ছিল না। আপনাদের কথা তো তারা শুনছে। আপনারা চাইলে তো সংলাপ আরম্ভ করতে পারেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা তাদের বলেছি, সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি যে কোনো সময় হতে পারে। একই ধরনের কথা ইইউ রাষ্ট্রদূতও বলেছেন। আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সমর্থন পাচ্ছি। সরকার গঠিত হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। ফলে পাঁচ বছরের আগে নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপের কথা তো আমরা বলিনি। এটা বিদেশীরা বলছেন। কিন্তু নির্বাচন হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। তাই পাঁচ বছরের আগে নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা দেখি না। তবে সংলাপ যে কোনো সময় যে কারও সঙ্গেই হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া বিকল্প পথ খোলা ছিল না। এখন তো বিদেশীরাও আমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছে। ভারত, চীন, রাশিয়া, ইইউ, যুক্তরাজ্য সবাই সমর্থন করছে। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আগামী পাঁচ বছর ঘোষিত কার্যকলাপ চালিয়ে যাবো।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকারের ওপর কোনো বিদেশী চাপ নেই। বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা সমর্থন ও অভিন্দন জানাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশও অভিনন্দন জানিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে, আমরা চাপে নাই। আগামী পাঁচ বছরও কোনো চাপের মধ্যে থাকব না।’ এর আগে ইইউ রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা সরকারকে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করে দিইনি। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের জিএসপি সুবিধা অব্যাহত থাকবে।’
তিন
২০০১ সালের গোড়ার দিকে বেগম জিয়া ছিলেন বিরোধী দলে। আর ২০০৬ সালের অক্টোবরের আগে তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালের অক্টোবরের পর কেয়ারটেকার সরকারের হাতে সংবিধান মোতাবেক তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এই উভয় সময়েই দেখেছি, কূটনীতিকরা বেগম জিয়ার কাছেই ছুটাছুটি বেশি করেছেন এবং বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে বেগম জিয়ার সাথে অষ্টপ্রহর মিটিং করেছেন। তখন তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল ক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য বেগম জিয়ার ওপর প্রচ- চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। সমতল ক্ষেত্রের অর্থ হলো, নির্বাচনে সমস্ত দল যেন সমান সুযোগ-সুবিধা পায়। এছাড়াও নির্বাচনে সমস্ত দল যাতে করে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য বেগম জিয়াকে চাপের মধ্যে রাখা হয়েছিল।
তারা সেই সময় যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, সেদিন সেগুলো নিয়ে কিন্তু কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। সেদিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিস বিউটেনিস এবং বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর দৌড়াদৌড়ি ছিল দেখার মতো। আর ভারতীয় হাই কমিশনারের ভূমিকা ছিল নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ার। তারপরেও মানুষ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এগুলোর বিরোধিতা করেননি। কেউ সেদিন প্রশ্ন করেননি যে, বিদেশীদের এতো ছুটাছুটি করাটা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল হচ্ছে। অথচ আজ চিত্র মোটামুটি বিপরীত। বিদেশীরা যখন বলেছে যে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করতে হবে, যখন বলেছে সব দলকে নির্বাচনে আনতে হবে, তখন সেই চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীরাই বলছেন যে, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সাবেক সেনাপ্রধান এবং আওয়ামী লীগ নেতা জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ এই তো দু’তিন দিন আগে দাবি করেছেন যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাকে বাংলাদেশ থেকে বহিস্কার করা হোক। সরকারপন্থী মুখচেনা রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বুদ্ধিজীবীরা বলেছেন যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বৃটেন-আমেরিকা নাক গলাতে সাহস পায় না। তারা প্রশ্ন করেন যে, আমেরিকা বা ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কি বাংলাদেশী কূটনীতিক নাক গলাতে পারবেন? ব্যাপারটি এই দাঁড়াচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তত্ত্বাবধায়ক দাবি সম্পর্কে বিদেশীদের ভূমিকা হয় এক রকম, আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তাদের ভূমিকা হয় আরেক রকম।
এই সেদিন কানাডার রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে, বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নাকি বিরাট ভুল করেছেন। পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক তারা জামায়াতের সাথে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনের সম্পর্ক আবিষ্কারের কোশেশ করছেন। তারা নাকি গণতন্ত্রের পূজারী। তাই যদি হবে তাহলে যেদেশের ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৫ কোটি ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করা হলো, আওয়ামী লীগের তেমন গণতন্ত্র হন্তারকের ভূমিকাকে তারা নীরবে সমর্থন দিচ্ছে কিভাবে? আমরা বলিনা যে, তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। কিন্তু তারা যদি জামায়াত এবং বিএনপির মৈত্রীত্ব নিয়ে কথা বলেন তাহলে তাদের গণতান্ত্রিক ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। তারা আওয়ামী লীগকে বলতে পারেন যে, গণতন্ত্র চূড়ান্ত পর্যায়ে জনরায়ের বিষয়। জনরায় যদি বিএনপি জামায়াত মৈত্রীর বিপক্ষে যায় তাহলে তো তাদের খুশি হওয়ারই কথা। তারাই তো বলে যে, জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী দল। তেমন স্বাধীনতা বিরোধী দলকে নিয়ে বিএনপি ইলেকশন করলে বিএনপির ভরাডুবি হবে। অথচ আওয়ামী লীগ এর তীব্র বিরোধিতা করছে। তাহলে কি বলতে হবে যে, স্বাধীনতা বিরোধী বা পাকিস্তানপন্থী, এসব কোনো বিষয় নয়। আসলে বিএনপি ও জামায়াত তথা ১৮ দলের মৈত্রী ৯০ শতাংশ জনগণের সমর্থনপুষ্ট। সেই সমর্থন নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেছে এই চাণক্য নীতি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন