শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
নির্বাচনে জয়-পরাজয়
Posted on ১২:২৬ PM by Abul Bashar Manik
বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের
নির্বাচনে কে হেরেছে কে জিতেছে? তা দেশের মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
তেমনি বিদেশীদের কাছেও। পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিদিন তা নিয়ে বুদ্ধিমানেরা
তর্ক-বিতর্ক করছেন। তাদের তর্কবিতর্ক থেকেই আমরা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারি আমাদের বুদ্ধিমানেরা বিভিন্ন দলে গ্রুপে বিভক্ত। আওয়ামী লীগসহ
বামঘরের যেসব বুদ্ধিমান আওয়ামী লীগের ছায়াতলে অবস্থান নিয়েছেন, এরা স্পষ্ট করেই বলছেন বিএনপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছে।
আর বিএনপি ও তাদের সমর্থক ডান-বাম-ইসলামিক বুদ্ধিমানেরা বলছেন বিএনপি এই প্রহসনের নির্বাচনে না গিয়ে একটা কাজের কাজ করেছে। আবার আওয়ামী লীগে
কাউকে এমনও দেখা যায় যারা মনে করেন বিএনপি সঠিক পথে, আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক বিষয়টিকে বাদ দিয়ে শুধু শুধু একটা সঙ্ঘাতের
সূচনা করেছে। অথচ আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর যৌথ আন্দোলনের ফলে মূলত এই তত্ত্বাবধায়ক
বিলটি বিএনপি জাতীয় সংসদে পাস করে। অন্য দিকে বিএনপিতে এমন কিছু লোককেও দেখা যায় যারা
বলছেন বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। এ দল নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছে।
সব দলেই এমন কিছু লোক আছেন যারা রাজনীতি করেন সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য।
বিগত পাঁচ বছর থেকে বিএনপিপন্থী
সুযোগ-সুবিধাভোগীরা এ েেত্র বঞ্চিত হয়ে আছেন। তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে বিএনপি এবারের
নির্বাচনে না যাওয়ায়। অনেকে হতাশ হয়ে প্রকাশ্যই বলছেন আর কত দিন বঞ্চিতদের তালিকায় থাকব? তবে দীর্ঘ দিনের মতা ভাগাভাগির
রাজনীতিতে সুযোগ-সুবিধাভোগীদের এমনও কিছু গ্রুপ তৈরি হয়ে গেছে যাদের মধ্যে বিভিন্ন
দলের নেতারা সংযুক্ত আছেন, ফলে যে সরকারই মতায় আসুক, তাদের সুযোগ-সুবিধা পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। এই শ্রেণীরও কিছু মধ্যপন্থী মন্তব্য
প্রচলিত আছে। আজকের এ আলোচনা আমরা এগিয়ে নিতে চাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি
বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মইনুল ইসলামের ৩০ জানুয়ারি
২০১৪ প্রথম আলো প্রিন্ট সংস্করণে লেখা একটি নিরীাকে সামনে রেখে। তিনি লিখেছেন ‘একতরফা নির্বাচনী প্রহসন বলুন আর ভোটারবিহীন তামাশা বলুন, চাতুর্যের খেলায় হেরে গেলেন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে
একতরফা করার জন্য আওয়ামী লীগ ফাঁদ পেতেছিল, এটি তো অজানা ছিল না। এতদসত্ত্বেও
বেগম জিয়ার একগুঁয়েমির রহস্য কী? এটি অবশ্য ঠিক যে বেগম জিয়ার বাঘা বাঘা উপদেষ্টাকে
পরিকল্পিতভাবে একের পর এক জেলে ঢুকিয়ে মহাজোটের চাণক্যপ্রবরেরা কূটচালে নিজেদের জয়ের
ত্রেটা নির্বিঘœ করে নিয়েছিলেন কয়েক মাসের সাধনায়! শেষের দিকে এসে বেগম জিয়ার পদপেগুলো
দেখে বোঝা যাচ্ছিল, যেসব উপদেষ্টা তাকে পরিচালিত করছিলেন, তাদের মধ্যে মেকিয়াভ্যালিয়ান কূটবুদ্ধির ঘাটতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও জনসমর্থনের
জোয়ার ১৮-দলীয় জোটের পে থাকার ব্যাপারকে বেগম জিয়া বিবেচনায় নিলেন না কেন, সেটি বোঝা মুশকিল।’ ড. মইনুল ইসলামের সম্পূর্ণ বক্তব্য পাঠে আমার মতো
মাখাল পাঠকদের ধারণা হতেই পারে শ্রদ্ধেয় এই অধ্যাপক আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ সমর্থিত
কোনো দলের ছায়াতলে আছেন। আর বাংলাদেশের প্রোপটে বলা যায় তিনি তা না থাকলে চাই বাংলাদেশ
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারতেন না। বাংলাদেশে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব
লাভের েেত্র আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত ইত্যাদি কাউকেই পৃথক করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের
আলোচ্য বিষয় তা নয়, আমরা মাখালেরা বসেছি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কে জিতল
তা বুদ্ধিমানদের হিসাব নিরীায়। ড. মইনুল ইসলামের বক্তব্য পেয়েছি সামনে, তাই তা দিয়ে আলোচনা শুরু করতে চেষ্টা করছি। তিনি তার আলোচনার একপর্যায়ে প্রশ্ন
রেখেছেন ‘জনসমর্থনের জোয়ার ১৮-দলীয় জোটের পে থাকার ব্যাপারকে
বেগম জিয়া বিবেচনায় নিলেন না কেন, সেটি বোঝা মুশকিল।’ এখানে যে বিষয় বোঝাকে তিনি ‘মুশকিল’ বলছেন, তাতে কোনো মুশকিল নেই বলে আমরা মাখাল সাধারণ মানুষেরা মনে করছি।
বিষয়টাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে মূলত এখানেই বেগম জিয়া রাজনৈতিক বিজয় অর্জন
করেছেন। তিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছেন ইচ্ছায় না অনিচ্ছায়, তা আমার জানা নেই। সরকার সমর্থক ডান-বামেরা বলছেন বেগম জিয়াকে নির্বাচনে যেতে দেয়নি জামায়াতে ইসলামী। আমি বিষয়টিকে গ্রহণ কিংবা
বর্জনে এ মুহূর্তে যাবো না। আমি সহজ-সরল মাখালি-ভাষায় বলব, বেগম জিয়া নির্বাচনে যাননি বলে তাদের জোটের অন্য কোনো দল যায়নি। এখানে লাভতি
বিএনপিরই বেশি। আর যদি জামায়াত তা সত্যিই করিয়ে থাকে তবে তা তাদের জোটেরই তো ব্যাপার।
বোঝা গেল বেগম জিয়া জোটকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
বেগম জিয়াকে বিভ্রান্ত করার জন্য
কেউ কেউ যেমন জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
বিভ্রান্ত করার জন্য অনেকে জাসদের হাসানুল হক ইনুসহ অনেকই দায়ী করছেন। আমরা মাখালেরা
মনে করি এখানে অন্যকে দায়ী করার কোনো সুযোগ নেইÑ সবাই নিজের পাঁচ আঙুলে ভাত খেয়ে
থাকেন। যেখনে ড. মইনুল ইসলাম বলছেনÑ ‘একতরফা নির্বাচনী প্রহসন বলুন
আর ভোটারবিহীন তামাশা বলুন, চাতুর্যের খেলায় হেরে গেলেন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান।’ যে নির্বাচনকে লেখক নিজেইÑ একতরফা নির্বাচনী প্রহসন আর ভোটারবিহীন
তামাশা বলছেন সেখানে বেগম জিয়ার জন্য নির্বাচনে যাওয়া কতটুকু যুক্তিসম্মত ছিল? লেখক যখন বুকে হাত দিয়ে বলছেনÑ ‘চাতুর্যের খেলায় হেরে গেলেন বেগম
জিয়া ও তারেক রহমান।’ তখন আমার মাখাল মন আমাকে বলে দেয় খালেদা জিয়া কিংবা তারেক জিয়া হারেননি, বরং যদি পরাজিত বলতেই হয় তবে
বলতে হবে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় ঘটেছে। অবশ্য আমাদের দেশের নোট দিয়ে পরীায়
পাস করা শিতিদের এই হিসাব মেলাতে বেশ কষ্টই হওয়ার কথা। তারা বিষয়টি দেখার জন্য তাদের
মুখস্থ সূত্রকে ব্যবহার করছেন। বিষয়টি তাদের জ্ঞাত সূত্রের বাইরে বলেই হিসাব মিলছে
না। যারা পরিবর্তিত সূত্রে বিষয়টির বিচার-বিশ্লেষণ করার মতা রাখেন তাদের কাছে ভিন্ন
ফল। যদি তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপে সরকার ছাড়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি যেত তা হলে
ভোটযুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় ছাড়াও দলীয়ভাবে তাদের আরো কিছু তির মুখোমুখি হতে হতো। মনে
মনে সবাই জানেন, আওয়ামী লীগ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে
যেকোনোভাবে বিজয়ী হওয়ার। বিএনপি ভোটে গেলে এরশাদের জাতীয় পার্টির মতো কিছু আসন পেলেও
নিশ্চিত পরাজিত হতো। আর এ পরাজয় তাদের আজকের দিন থেকে বেশি তির মুখোমুখি করে দিত। আজ
যে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি সবাই বলছেন এ নির্বাচন নির্বাচন নয়, বরং প্রহসন; তখন তা আর বলার প্রয়োজন বা সুযোগ হয়তো হতো না। বিএনপি
বললেও সরকার দৃঢ়তার সাথে প্রতিবাদ করতে পারত। সরকারের দৃঢ় প্রতিবাদের
কারণে সাধারণ মানুষের অনেকই সত্য-মিথ্যায় সন্দিহান হয়ে যেত। বিএনপি নির্বাচনে না আসায়
এখন আওয়ামী লীগের লোকেরা পর্যন্ত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রকৃত নির্বাচন বলতে লজ্জাবোধ
করে বলছেন ‘এ নির্বাচন একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা’।
তারা আরো অনেক কথাই বলছেন। আর
যারা নিরপে তারা তো এ নির্বাচনকে মানছেনই না। যদিও নিয়ম বলে বিদেশীরা দেশীয় রাজনীতির
েেত্র কোনো বিষয় নয়, কিন্তু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে দাতা দেশগুলোর
মতামত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন পর্যবেক কোনো বিষয় নয় বলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতা ও নির্বাচন কমিশন বলছেন; তবু তা সত্য বিদেশী নির্বাচন
পর্যবেকদের আনতে তারা কম চেষ্টা করেননি। কিন্তু ভারত ছাড়া তারা কেউ আসেননি। বিদেশী
পর্যবেকদের এই বর্জন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বৈধ ও অবৈধতার প্রশ্নের মুখোমুখি করে রেখেছে, তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। ফলে নৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বের সামনে
দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে পারছে না। গরিবের অপরাধ মাথায় রেখেও ধনীরা অনেক সময় সাহায্য-সহযোগিতা
করে তাদের মহান মনের পরিচয় দেন আর প্রয়োজনমতো তারা সুদে-আসলে উসুল করে নেন। জাতীয় পার্টি
আর আওয়ামী লীগ এক অবশ্যই নয়। আমরা যদি এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবদানকেই শুধু সামনে
রাখি, তবে সাধারণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ততার দিকে মনে হয় জাতীয় পার্টি
কেন বিএনপিও আওয়ামী লীগের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারবে না। এ দেশের স্বাধীনতাকামী যেকোনো
মানুষের মনে আওয়ামী লীগ, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি
একটা দুর্বলতা থেকেই যায়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যা করল, তা দেখে মনে হয়নি এ সংগঠন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগঠন। মনে হয়েছে
আইয়ুব-ইয়াহিয়া-এরশাদ প্রমুখ স্বৈরাচারদের আদর্শে গঠিত কোনো দল। স্বৈরাচারী এরশাদের
যুগে গৃহপালিত বিরোধী দল ছিল আ স ম রবের জাসদ, আর আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহপালিত
বিরোধী দলে এরশাদের জাতীয় পার্টি আর হাসানুল হক ইনুর জাসদ; ব্যবধান এতটুকুই। তা আবশ্যই আওয়ামী লীগের জন্য বিরাট আদর্শিক পরাজয়। আমরা যারা
ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন-যুগের নির্বাচনীয় প্রহসন দেখিনি, দেখেছি স্বৈরাচারী এরশাদের সময়ে বিভিন্ন নির্বাচন, তাদের জন্য এরশাদের শাসন আর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরবর্তী সরকারের মধ্যে
ভিন্নতা খুঁজে বের করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে আমরা এরশাদ যুগের নির্বাচন
থেকে কোনোভাবেই পৃথক করতে যে পারছি না, তা আওয়ামী লীগের মতো একটি সংগঠনের
জন্য ইতিহাসে ছোট পরাজয় অবশ্যই নয়। বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে পারলে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী
এরশাদের দল জাতীয় পার্টির সাথে এত নির্লজ্জ আপস করতে হতো না।
আওয়ামী লীগ যখন এরশাদ আর তার
স্ত্রীকে জামাই আদর করছিল তখন শহিদ নূর হোসেন, রউফুন বসুনিয়া, ডা: মিলনদের আত্মা এবং পরিবার আওয়ামী লীগকে ধিক্কার না আশীর্বাদ করছিল, তা একটা ভিন্ন প্রশ্ন। এ েেত্রও আদর্শিকভাবে আওয়ামী লীগের বিরাট পরাজয় ঘটেছে
বলে আমরা মনে করি। বিএনপিও আগে এ রকমের একটি নির্বাচন করে বেশ সমালোচিত হয়েছিল। সেই
নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের লোকেরা খালেদা জিয়া ও বিএনপির সমালোচনা করতেন।
আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারিতে ভোটারবিহীন নির্বাচনের ফলে বিএনপির সমালোচনা করার নৈতিক অধিকার
হারিয়েছে বলে আমরা মনে করি। এখন ইতিহাসে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলই একই গন্ধযুক্ত।
আওয়ামী লীগের আদর্শিক এই পরাজয়কেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া
নির্বাচনে যাবে না বিএনপি যে ঘোষণা দিয়েছিল যদি তা ভঙ্গ করে তারা নির্বাচনে
যেত তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির আদর্শিক পতন ঘটত। প্রথমত, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যেকোনোভাবে বিজয়ী হতো। বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ফলে আওয়ামী
লীগ ভোটারবিহীন নির্বাচনের অপবাদ থেকে বেঁচে গিয়ে মনের শান্তিতে সরকার গঠন করত। ফলে
বিএনপির আর কিছু বলার থাকত না। তা ছাড়া ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির সবচেয়ে পরীতি সাথী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনের পথ থেকে
বের করে দিয়েছে। ফলে বিএনপি এ নির্বাচনে বন্ধুশূন্য হয়ে পরাজিত হতো। অনেকে বলছেন, জামায়াতে ইসলামী চায়নি বলে বিএনপি নির্বাচনে যায়নি। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী
নির্বাচনে যেতে পারছে না, তাই তারা এমনটি চাইতেই পারে। মিত্রের এ চাওয়াকে
ডিঙিয়ে যদি বিএনপি নির্বাচনে যেত তবে নিশ্চয়ই জামায়াতের কর্মী-সমর্থকেরা বিএনপিকে ভোট
দিত না। এতে বিএনপি আরো তিগ্রস্ত হতো।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন