বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

জোট নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন : কিছু ভাবনা


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যে দুটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন তার ওপরই আমার আজকের এই ক্ষুদ্র লেখাটি। এর সাথে আছে দলের করণীয় সম্পর্কিত কিছু চিন্তাভাবনার বিষয়ও। লেখাটি আরো কদিন আগে ছাপাতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু সময়ের অভাবে পারিনি; এ জন্য দুঃখিত। 

প্রথমেই বলতে হয়, যে দুটি সংবাদ সম্মেলনই তিনি করেছেন তাতে তার নৈতিক মনোবলের বেশ দৃঢ়তার পরিচয় পাওয়া যায়। নির্বাচনে তিনি বা তার দল যে হারেননি বরং নৈতিকভাবে তিনিই যে বিজয়ী হয়েছেন সেটাই জনগণকে তিনি বেশি বোঝাতে চেয়েছেন। এতে যে তার অবস্থান শক্ত ও জোরালো ছিল তাও জনসমে প্রকাশ করতে চেয়েছেন তার পরপর দুটি সংবাদ সম্মেলনে। দুটি সম্মেলনেই তার শক্ত মনোবলের অবস্থা আমরা দেখতে পেয়েছি। এটিতে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় ফুটে উঠেছে এবং দলীয় নেতাকর্মীদেরকে উজ্জীবিতও করেছেন। এটি একটি ভালো ইতিবাচক দিক বলে মনে করি। তবে আমাদের কাছে সাফল্য ও ব্যর্থতার দুটি বিষয়ও প্রতীয়মান হয়েছে।

দুটি সংবাদ সম্মেলনেই তিনি তার বক্তব্যে নির্বাচনের বহু পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত সরকারের নানা ধরনের দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, গুম, হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন নির্বাচনের আগে-পরের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের নানা ঘটনার বর্ণনাও। বলতে চেয়েছেন দুই বছর ধরে এ দেশের বৌদ্ধ ও হিন্দু সংখ্যালঘুরা যে আক্রান্ত ও নির্যাতিত হয়েছেন, এটা কারো অজানা নয়।

সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নে নির্বাচনে কেন যাননি, নির্বাচনে গেলে কী হতো, আসনের ভাগবাটোয়ারাসহ দেশী-বিদেশী বন্ধুদের ভূমিকা এবং তাদের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু কিছু ইঙ্গিতও তিনি রেখেছেন সেই সংবাদ সম্মেলনে। এসব বিষয়ে অনেকে তাকে ভুল বুঝছেন। তাই তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। 

বেগম খালেদা জিয়া এসব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য সরকারকেই সরাসরি দায়ী করেছেন। এসব ঘৃণ্যকর্মকে তিনি দুর্বলের ভয়ঙ্কর প্রতিশোধআখ্যা দিয়েছেন এবং এ পরাজয়ের গ্লানি ভয়াবহ, অমতার জিঘাংসা মারাত্মকবলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। দুটি বাক্যই যেন শব্দ ও ভাবব্যঞ্জনায় অসাধারণ মনে হয়েছে। দায়ী করার যৌক্তিকতাও আছে। নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যু নিয়ে যা ঘটেছে তা দৃশ্যমান ছিল সবার কাছে। তিনি ওই ফর্মুলায় যাননি বলেই বেশ শক্তভাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলতে পেরেছেন।

দুই

সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যে বলেন, সরকার তাদের আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে হীন উদ্দেশ্যে অপব্যবহার করে যাচ্ছে, যেখানে দেশজুড়ে এক চরম অস্বাভাবিক ও ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আজকের সঙ্ঘাত-সহিংসতার একমাত্র কারণকে চিহ্নিহ্নত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেয়া। সব দলের অংশগ্রহণ এবং সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন হলে আজ দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি হতো না। এটা সবাই জানেন এবং বোঝেন। এ জন্যই দেশের মানুষ আজ এত আন্দোলনের মধ্যেও শান্ত আছেন।

তার বক্তব্যে তিনি দল নির্মূলসহ বিনা বিচারে, বিনা দোষে দলীয় কর্মীদের ওপর নির্যাতন, আঘাত, হত্যা, গুম এবং সংখ্যালঘু ও দলীয় কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাশাপাশি ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের কথাও তুলে ধরেছেন।

সামনে আন্দোলনের জন্য দল গোছানোর কথা বলেছেন। সময় থাকতে সরকারকে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার তাগিদও দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের মনে যেন হতাশা না আসে সে জন্য তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাবও দেখিয়েছেন। আগামীতে বিভাগীয় ও জেলা সফরে গিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে টানার পরামর্শও দিয়েছেন। যারা জেলে আছেন সেসব নেতাকর্মীকে ছাড়িয়ে আনার দৃঢ় মনোভাবও ব্যক্ত করেছেন।

পাশাপাশি সরকারের মিথ্যাচার, বিরোধী দলের প্রতি হয়রানি বন্ধ, সভা-সমাবেশ চালানোর জন্য নানা বিধিনিষেধ তুলে নেয়াসহ উৎপীড়ন ও সন্ত্রাস বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন বেশ দৃঢ়তার সাথে। দলের সাথে কাউকে সংযুক্ত রাখা-না রাখার ব্যাপারেও জবাব দিয়েছেন তিনি সৎ সাহসের সাথে।

আমার মতে, এসব বক্তব্যে তিনি তার সাহসী মনোভাবের প্রমাণ রেখেছেন এবং সত্যিকার অর্থে একজন দলীয় প্রধান হিসেবে তার কঠিন ও কঠোর দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিন

এ ছাড়া ২৯ ডিসেম্বর তার গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে পল্টনের দলীয় কর্মীদের পাশে আসার যে দৃঢ় প্রত্যয় ও সৎ সাহস তিনি দেখিয়েছেন তা বিএনপির ইতিহাসে তো বটেই, এমনকি দেশের আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় এক বীরোচিত অধ্যায়হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এক সপ্তাহের বেশি তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। সামনে ছিল বালুর ট্রাক আর কয়েক শপুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য। কেউ যেতে পারিনি সেদিন তাকে সহায়তাদানের জন্য। কী দুর্ভাগা দেশ! এ জন্য বেগম জিয়াকে জানাই আবারো অভিনন্দন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন তার পাশে কেউ ছিলেন না বলেই তিনি এ জন্য নিজেই ােভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আসলে সেদিন এবং এর আগে পরে দলীয় নেতাদের ভূমিকাও ছিল কেমন জানি প্রশ্নবিদ্ধ। ঢাকার বাইরের তৃণমূল নেতারাও এ দাবি তুলছেন বারবার। 

বলা প্রাসঙ্গিক যে, যেহেতু নেতারা রাজনীতি করেন, রাজনীতিই তাদের পেশা; সেহেতু দলের সঙ্কট-দুঃসময়ে তাদেরকে অবশ্যই রাজপথে থাকতে হবে। নেত্রীর পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। এতে নেতাকর্মীরা প্রাণ পায়, শক্তি ও সাহস পায়।

আজ নির্দ্বিধায় বলতেই হয়, এসব যুগপৎ আন্দোলনে একমাত্র পেশাজীবীদের ভূমিকাই ছিল প্রশংসনীয়, যা অভিনন্দনযোগ্য। আগামীতে এদেরকে মূল্যায়নের দাবি রাখে। সে সময় অনেক বড় বড় নেতাকর্মী জেলে গেছেন। তাদেরকে ছাড়িয়ে আনার জন্য একমাত্র মিটিং, মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিকসহ নানা পেশাজীবীরা। 

পেশাজীবীরা তো পেশায় নিয়োজিত থাকার কথা। পেশায় থেকে দলীয় রাজনীতিতে অথবা দলীয় কাজকর্মে সাপোর্ট দেয়ার কথা। কিন্তু তারা রাজপথে নেমেছেন একমাত্র জাতীয়তাবাদ আদর্শকে ভালোবাসেন বলেই। এ জন্য অনেকে লাঞ্ছিত হয়েছেন, আক্রমণ ও আঘাতের শিকারও হয়েছেন। ২৯ তারিখে আমি নিজেই তো এর শিকার হয়েছি। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান ফটকের সামনে আমার সাথে আমার আরো চারজন সহকর্মী শিক ছিলেন। আক্রান্ত হওয়ায় আমার কোনো রকম দুঃখ নেই। কারণ দলের প্রতি আছে আমার প্রগাঢ় ভালোবাসা। আছে অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতাবোধ। দল আমাকে কী দিয়েছে, কী দেয়নি সেটা আজ বড় কথা নয়। দলকে আমি কী দিচ্ছি, কী দিয়েছি এবং আগামীতে কী দিতে পারব, সেটাই আজ বড় কথা। দলকে যদি সত্যিকার অর্থে আমরা ভালোবাসি তাহলে দলের প্রতি থাকবে আমাদের গভীর আনুগত্য, স্বার্থহীন দায়বদ্ধতা, মমত্ববোধ আর ভালোবাসা।

চার

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দলের নানা অনৈক্য ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত পরিহার করা। এ জন্য সবার ঐক্য প্রয়োজন। একতা ও সমঝোতা প্রয়োজন। দল ও নেতাদের কিছু কিছু অনৈতিক অনাদর্শ ও সামনে অগ্রসর হওয়ার বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং আস্থা-বিশ্বাসের অভাবের জায়গাও কেমন জানি প্রকট হয়েছে। দলীয় কর্মীদের প্রাণ সৃষ্টির জন্য শিগগিরই দলকে ঢেলে সাজানো দরকার; কাউন্সিল আহ্বান প্রয়োজন। তবে এ ব্যাপারে চেয়ারপারসন এবং দল সজাগ আছে বলে মনে হচ্ছে। এটা করা না গেলে দল প্রাণ ফিরে পাবে না।

নিবেদিত ও নতুন দলীয় কর্মীদের কাছে টানতে হবে। কথাগুলো আকার-ইঙ্গিতে বেগম জিয়ার ভাষণে এসেছে। দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কাজ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের জন্য এ গ্রেড, বি গ্রেড ও সি গ্রেডের স্তর সৃষ্টি করা প্রয়োজন। সৎ নেতৃত্বে আসার জন্য অবশ্যই লেখাপড়ার প্রয়োজন আছে। যোগ্য নেতৃত্ব দলকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। দলের স্থায়িত্ব ও শক্তি বাড়িয়ে দেয় যোগ্য নেতৃত্ব। এ জন্যই প্রয়োজন সৎ, আদর্শবান ও আলোকিত মানুষদের।

দলকে সুসংগঠিত করার জন্য অচিরেই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা দরকার। সুচিন্তিত রোডম্যাপও তৈরি করা উচিত। এগুলো করার জন্য প্রয়োজন রাজনীতিবিদ, নানা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদেরকে নিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা। এর অধীনে ইউনিট ও সেল গঠন করাও প্রয়োজন। 

অনেকে আমাদের প্রশ্ন করেন- বিএনপিতে নাকি কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা খুবই কম। এ জন্য লেখক, গবেষকদের একটি সম্মান ও মর্যাদার আসনে রাখা উচিত। এদের আধিক্য বাড়ানো খুবই জরুরি। এতে দল লাভবান হবে। দেশ-বিদেশে দলের মর্যাদা বাড়বে।

নানা জাতের ফুল থাকলে যেমন বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, বাগানের দাম বাড়ে; তেমনি নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ ও জ্ঞানী-গুণী আলোকিত মানুষের অধিক পদচারণায় বিএনপির বাগান আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এটা আমাদের বোঝা উচিত। এতে অতীতের গ্লানি, অপবাদ ও জরাজীর্ণতা দূর হয়ে যাবে। এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়েই আগামীতে আমাদের দলকে গোছাতে হবে সৎ ও আদর্শবান নেতৃত্বে।

পাঁচ

আমাদের সঙ্ঘাত, সহিংসতার রাজনীতি পরিহার করা উচিত। এতে দলের ক্ষতি হয়, ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য অনেক অহিংস ও শান্তি কৌশল বের করা উচিত। দেখাতে হবে এই দল শান্তিপ্রিয়। দল কখনো সঙ্ঘাত-সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয় না। যুক্তি, শান্তি ও কৌশলে অনেক কিছু লাভ করা যায়, যা হিংস্রতা ও উগ্রতায় কখনো সম্ভব নয়। আমাদের এও মনে রাখতে হবে, বিত্ত-প্রাচুর্যের দিকে অধিক ধাবিত হওয়া ঠিক হবে না। ধাবিত হতে হবে নীতি-আদর্শের দিকে। 

দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে এবং নানা ভাষাভাষী উপজাতি, আদিবাসী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীকে আরো কাছে টানার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের জন্য পৃথক মর্যাদা রাখা উচিত। কাছে রাখার জন্য যোগ্যদের দলীয় পদও দেয়া উচিত। তারা সততা ও দতার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। এ জন্য একটি অনুসন্ধান সেল গঠন করাও জরুরি।

দলের ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য এবং দলকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে আদর্শভিত্তিক ও সেবামূলক কাজের পরিকল্পনা ও কর্মশালা করা উচিত। নানা শ্রেণীর পেশাজীবীসহ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা, সাবেক ভিসি, প্রবীণ শিক, পররাষ্ট্র বিষয়ক বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নানা পর্যায়ের গবেষণা সেল, ইউনিট প্রভৃতি করা একান্ত জরুরি। তথ্যপ্রবাহের যুগে দলের ইনফরমেশন টেকনোলজিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। যোগাযোগের ক্ষেত্রে দলের এই জায়গাটি খুবই দুর্বল মনে হয়। তরুণ বিজ্ঞানীদের কাছে টানা আবশ্যক।

পরিশেষে বলি, গ্রামগঞ্জের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করা আশু জরুরি। এ জন্য দলের পক্ষ থেকে পল্টন অফিস ও চেয়ারপারসন কার্যালয়ে দেখাসাক্ষাতের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রয়োজনবোধে তাদের জন্য মাসিক কিংবা পকালীন একটি সৌজন্য সাক্ষাতেরও ব্যবস্থা করা উচিত।

এসব নেতাকর্মী কিছুই চায় না। তারা চায় মাঝে মধ্যে ম্যাডামের সামনে এসে স্যালুট দিতে। তারা এটুকু করতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করে। অনেক বড় মনে করে। এতে তারা অনেক খুশি হয়, অনেক প্রাণ পায়।

অতএব সবটুকু কাটিয়ে দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্ত ও মজবুত হোক এবং দলে ভালো মানুষের আধিক্য থাকুক, সেটাই আজ আমরা প্রত্যাশা করি।

প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া


 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads