ড. মু হা ম্ম দ রে জা উ ল ক রি ম
মানুষ যখন তার মনুষত্ব হারিয়ে ফেলে তখন তাকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ আজ তার মনুষত্ব হারিয়ে সে পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে। যারা মনুষত্ব হারিয়ে ফেলেছে অবশ্য আল্লাহতায়ালা তাদেরকে পশুর সঙ্গেও তুলনা করতে রাজি হননি, কুরআনে-‘বালহুম আদল’ বলা হয়েছে। বরং পশু তথা চতুষ্পদ জন্তু থেকে আরও নিম্নপর্যায়ের বলে উল্লেখ করেছেন। ছাত্র-যুবসমাজ একটি জাতির অহংকার। সমাজ-সভ্যতার কাণ্ডারী। দেশকে এগিয়ে নেবার দিকপাল। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি। কিন্তু সেই শক্তিকে নষ্ট করে দিচ্ছে নোংরা ছাত্ররাজনীতি। নষ্ট ও ভ্রষ্ট ছাত্ররাজনীতির নামে ছাত্রসমাজকে সবচেয়ে কলঙ্কিত, কলুুষিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করছে ছাত্রলীগ। ছাত্রদের হাতে খাতা-কলমের পরিবর্তে অস্ত্র, মেধার চর্চার পরিবর্তে মদ-গাঁজা, হিরোইন ফেনসিডিল, ইয়াবা, ক্লাস-পরীক্ষার বদলে নারী, অবৈধ টাকা দিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির এই খনিগুলোকে। জাতিবিনাশী এর থেকে ভয়ঙ্কর কাজ আর কি হতে পারে?
ছাত্রলীগের নখরে আজ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ ২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপর যে নারকীয়, পৈশাচিক ও ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না।
এই ঘটনায় জাতীয় পত্রিকার ও মিডিয়ার শিরোনাম ছিল প্রায় অভিন্ন—‘ছাত্রলীগ-পুলিশের বেপরোয়া অস্ত্রবাজি, আক্রান্ত নিরীহ শিক্ষার্থীরা আহত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ’ (কালের কণ্ঠ) ‘রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ পুলিশের গুলি : অর্ধশত গুলিবিদ্ধ : সাংবাদিকসহ আহত দু’শতাধিক : বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, ক্যাম্পাসে র্যাব-বিজিবি মোতায়েন’ (দৈনিক আমার দেশ) ‘রাবিতে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলা, আহত শতাধিক, ভার্সিটি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা’ (প্রথম আলো) ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ককটেল, আহত শতাধিক, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, ছাত্রলীগ-পুলিশের যৌথ হামলা’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন) ‘আহত দুই শতাধিক, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের বেপরোয়া গুলি’ (দৈনিক নয়া দিগন্ত) ‘রাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা গুলি’ (দৈনিক যুগান্তর) ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, রাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা’ (ইত্তেফাক) এই স্পষ্ট ও অভিন্ন শিরোনামের পর বলার অপেক্ষা রাখে না, ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি কত জঘন্য ও অমানবিক!! শুধু তাই নয় অস্ত্র উঁচিয়ে ফিল্মি স্টাইলে অ্যাকশনে গুলি করার ছবি, তাদের দলীয় পদ উল্লেখ করে মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যৌথভাবে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। গতকাল রোবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় হামলায় ক্যাম্পাসজুড়ে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা পিস্তল উঁচিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ধাওয়া করে, গুলি ছোড়ে, ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি পুলিশও মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। দ্বিমুখী এ হামলার মুখে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়ে। ছাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেও তারা রেহাই পায়নি হামলাকারীদের হাত থেকে। গুলি, ককটেল, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেলে আহত হয় অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৬ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
রিপোর্টে আরো বলা হয়—২০১২ সালের ২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে মহড়া দিয়েছিল রাবি ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এ নিয়ে ওই সময় পত্রপত্রিকায় অস্ত্রধারীদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু সেই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে রাবি প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাদের সঙ্গে নিয়েই রাবি প্রশাসন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে বলে অভিযোগ আছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও সাংগঠনিকভাবে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপরন্তু কাউকে কাউকে বসানো হয়েছে ক্ষমতায়। এর ফলে ঘুরেফিরে ক্যাম্পাসে অস্ত্রবাজির তালিকায় আসছে সেই অস্ত্রধারীদের নামই। গতকাল শনিবার রাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে তাণ্ডব চালানো হয়, এই হামলারও নেতৃত্বে ছিল সেই অস্ত্রধারীদের মধ্যে অনেকেই। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতকালের হামলার মূল নেতৃত্বে ছিলেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদ আল তুহিন। তুহিন এর আগে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। (সূত্র : ৩-০২-১৪ কালের কণ্ঠ)
ছাত্রলীগের নখরে আজ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ ২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপর যে নারকীয়, পৈশাচিক ও ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না।
এই ঘটনায় জাতীয় পত্রিকার ও মিডিয়ার শিরোনাম ছিল প্রায় অভিন্ন—‘ছাত্রলীগ-পুলিশের বেপরোয়া অস্ত্রবাজি, আক্রান্ত নিরীহ শিক্ষার্থীরা আহত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ’ (কালের কণ্ঠ) ‘রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ পুলিশের গুলি : অর্ধশত গুলিবিদ্ধ : সাংবাদিকসহ আহত দু’শতাধিক : বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, ক্যাম্পাসে র্যাব-বিজিবি মোতায়েন’ (দৈনিক আমার দেশ) ‘রাবিতে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলা, আহত শতাধিক, ভার্সিটি অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা’ (প্রথম আলো) ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ককটেল, আহত শতাধিক, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, ছাত্রলীগ-পুলিশের যৌথ হামলা’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন) ‘আহত দুই শতাধিক, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের বেপরোয়া গুলি’ (দৈনিক নয়া দিগন্ত) ‘রাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা গুলি’ (দৈনিক যুগান্তর) ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, রাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা’ (ইত্তেফাক) এই স্পষ্ট ও অভিন্ন শিরোনামের পর বলার অপেক্ষা রাখে না, ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি কত জঘন্য ও অমানবিক!! শুধু তাই নয় অস্ত্র উঁচিয়ে ফিল্মি স্টাইলে অ্যাকশনে গুলি করার ছবি, তাদের দলীয় পদ উল্লেখ করে মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে—‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যৌথভাবে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। গতকাল রোবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় হামলায় ক্যাম্পাসজুড়ে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা পিস্তল উঁচিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ধাওয়া করে, গুলি ছোড়ে, ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি পুলিশও মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। দ্বিমুখী এ হামলার মুখে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়ে। ছাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেও তারা রেহাই পায়নি হামলাকারীদের হাত থেকে। গুলি, ককটেল, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেলে আহত হয় অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৬ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
রিপোর্টে আরো বলা হয়—২০১২ সালের ২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে মহড়া দিয়েছিল রাবি ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এ নিয়ে ওই সময় পত্রপত্রিকায় অস্ত্রধারীদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু সেই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে রাবি প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাদের সঙ্গে নিয়েই রাবি প্রশাসন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে বলে অভিযোগ আছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও সাংগঠনিকভাবে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপরন্তু কাউকে কাউকে বসানো হয়েছে ক্ষমতায়। এর ফলে ঘুরেফিরে ক্যাম্পাসে অস্ত্রবাজির তালিকায় আসছে সেই অস্ত্রধারীদের নামই। গতকাল শনিবার রাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে তাণ্ডব চালানো হয়, এই হামলারও নেতৃত্বে ছিল সেই অস্ত্রধারীদের মধ্যে অনেকেই। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতকালের হামলার মূল নেতৃত্বে ছিলেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদ আল তুহিন। তুহিন এর আগে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। (সূত্র : ৩-০২-১৪ কালের কণ্ঠ)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন