সংসদ আইন তৈরি, সংশোধন আর সরকারের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রতিষ্ঠান। সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে সংসদ। একমাত্র এর প্রতিনিধিরা হন জনগণ কর্তৃক সরাসরিভাবে নির্বাচিত। সংসদীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে মৌলিক এই বৈশিষ্ট্যই দশম জাতীয় সংসদে অনেকাংশে অনুপস্থিত।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে বিনা ভোটেই জিতে গেছেন মহাজোটের প্রার্থীরা। ফলে ভোটারদের প্রায় ৫৩ ভাগই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। রাজনৈতিক দল, নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক ও বিশ্ব গণমাধ্যম একে প্রহসনের নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছে।
প্রহসনের এ নির্বাচন রুখতে এককাতারে শামিল হয়েছিলেন বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা সমস্বরে এই নির্বাচনকে প্রতিহত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বিকল্পধারা, গণফোরাম, সিপিবিসহ দেশের উল্লেখযোগ্য প্রায় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বাচনকে করেছে প্রত্যাখ্যান। নিরাপদে ভোট দেয়ার জন্য ছিল না একটিও ঝুঁঁকিমুক্ত কেন্দ্র। নির্বাচন নিয়ে অধিকাংশ ভোটারের মধ্যে কোনো আগ্রহও পরিলক্ষিত হয়নি, আসেননি বিদেশী পর্যবেক্ষকও।ছিলনা নির্বাচনী প্রচারণা। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা মাত্র ৪ দিন গোটাপাঁচেক জেলায় বক্তৃতা দিয়েই প্রচারণা শেষ করেছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থক ঢাকা ট্রিবিউনের জরিপ বলছে দেশের ৭৭ ভাগ ভোটার এ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতন্ত্রের ইতিহাসে এ নির্বাচন কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। একতরফা নির্বাচনের ইতিহাসে এটি হবে নিকৃষ্টতম উদাহরণ।
দেশের প্রায় অন্তত অর্ধশত জেলার দুই শতাধিক ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল-বোমা হামলা চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ জনতা। অন্যদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম নেয়ার সময় পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে আগুন দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ সময় জনতার হামলায় ৩ পুলিশ আহত হয়েছে।
জাতীয় সংসদের বিগত ৯টি নির্বাচনের তুলনায় সবদিক থেকেই কলঙ্কের রেকর্ড গড়ে দশম সংসদ নির্বাচন। প্রার্থীর দিক থেকে সবচেয়ে কম এবং কমসংখ্যক দলের অংশগ্রহণ। অকল্পনীয় গণপ্রতিরোধের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পৌনে চার লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত ছিল। ছিল মোবাইল কোর্ট। নির্বাচনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য মাঠে ছিল। এছাড়া ১৬ হাজার ১৮১ বিজিবি, র্যাব ৮ হাজার, পুলিশ ৮০ হাজার, আনসার ২ লাখ ২০ হাজার ও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের দুই শতাধিক সদস্য মোতায়েন ছিল।
সংবাদপত্র মারফত জানা গেল, এক কিশোর চতুর্থ দফায় ভোট দেয়ার সময় প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই তিনি এ ভোট দিয়েছেন। প্রিজাইডিং অফিসারের ব্যালটে সিলমারার ছবিও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সারা দিন সাংবাদিকরা খবর দিচ্ছিলেন, কোনো কেন্দ্রেই ভোটারের লাইন নেই। পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছিলেন, ১০ থেকে ১৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন চমক দেয়া তথ্য হাজির করে ৪০ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলেছে। তবে শুধু দেশের মানুষ নন, আন্তর্জাতিক সম্প্র্রদায়ের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট এ কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।
চলমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির কি পরিণতি হতে পারতো এতেই তা স্পষ্ট। সংবাদ মাধ্যম থাকায় নির্বাচনে কারচুপি সম্ভব নয়Ñ কোনো কোনো মহলের এমন বক্তব্যও এবারের নির্বাচনে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কারণ, মিডিয়ার নজরদারির মধ্যেই লাখ লাখ গায়েবি ভোট পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনে পরাজিত না হওয়ার রেকর্ড অক্ষুণœ রেখেছে আওয়ামী লীগ। ভোটের আগে ভোট বর্জনের স্পষ্ট ডাক দিয়েছিলেন বিরোধী নেতা খালেদা জিয়া এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমান। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এ ডাকে সাড়া দিয়েছেন বলেই ভোটের হার প্রমাণ করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিজেদের দাবির যথার্থতা বুঝাতে সক্ষম হয়েছে বিএনপি।
নিজের দল এবং জোটে ভাঙন ঠেকাতে পারা খালেদা জিয়ার অন্যতম সফলতা। কেউ কেউ বলতে শুরু করছিলেন, হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেলেও বিএনপি জিতে যাবে। নির্বাচন স্বচক্ষে দেখে সেসব পর্যবেক্ষক এখন বলছেন, খালেদার সিদ্ধান্তই সঠিক। সরকারের পক্ষে একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিএনপির একটি অংশকে নির্বাচনে নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১৮ দলীয় জোটের কয়েকটি দলকে নির্বাচনে টানার সরকারি চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
বিএনপির বেশ কিছু ব্যর্থতাও সবার সামনে স্পষ্ট হয়েছে। বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী নেতা খালেদা জিয়াকে যখন সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তখন বিরোধী নেতার উচিত ছিল ওই সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়া। বিভিন্ন জনমত জরিপে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরোধী জোটের দাবির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে বিরোধী জোট তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। এ আন্দোলন সহিংসরূপ লাভ করা বিএনপির আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যর্থতা। আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিএনপি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জামায়াতের ওপর নির্ভর করেছে।
আন্দোলন সফল করার ক্ষেত্রে বিএনপি দেশের জনগণ অপেক্ষা বিদেশীদের ওপর বেশি নির্ভর করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি না ভাঙলেও দলটির নেতাদের একটি বড় অংশ খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। একটি বিদেশী সংস্থার প্রভাবের কারণে ভেতরে থেকেই তারা আন্দোলন ব্যর্থ করার জন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় এলেও এ নেতারা সক্রিয় না হওয়ার কারণে বিএনপির ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র কর্মসূচি সফল হয়নি।
তবে আন্দোলন দমনে সফল হলেও নির্বাচনের প্রতি দেশের জনগণকে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগেই ১৫৩ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সারা দুনিয়াতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রের দৃশ্য দেখে এটা স্পষ্ট, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ভোট দিতে যাননি। দেশের অনেক জেলাতেই কার্যকর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সরকার। পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হলেও হামলাকারীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মাঠে থাকা অবস্থায়ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এ হামলা প্রতিরোধে নিদারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার।
সিরাজগঞ্জ-৫(বেলকুচি-চৌহালী) সংসদীয় আসনের ১২১টি ভোটকেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করা হলেও অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছু ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়লেও তুলনামূলকভাবে তা ছিল খুবই কম। এদিকে এই সংসদীয় আসনের ৫টি ভোট কেন্দ্রে কোন ভোট পড়েনি। এই আসনের একটি ভোট কেন্দ্রে আগুন ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই হওয়ায় ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
ভোট গ্রহণ চলাকালে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নির্বাচন বিরোধীরা। সকাল ১০টার দিকে আলহাজ লতিফা শাহজাহান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস তার ভোট প্রদান করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান গাড়ামাসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার ভোট প্রদান করেন। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের ৪ জন নির্বাচনে অংশ নিলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত আব্দুল মজিদ ম-ল নৌকা প্রতিক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী আতাউর রহমান রতন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান রতন দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন।
প্রশাসনের সহায়তায় সরকারদলীয় প্রার্থী আব্দুল মজিদের পক্ষে নৌকা মার্কা প্রতিকে ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ প্রকৃত ভোটারদের ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় তার সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ভোট গ্রহণ চলাকালে দুপুরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা চর নবীপুর ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ২টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে। এরপর তারা ভোট কেন্দ্রের ৫টি বুথ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের হটিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিকেল তিনটায় চর নবীপুর কান্দাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আকস্মিকভাবে দেড় শতাধিক নির্বাচন বিরোধীরা হামলা চালায়। এ সময় তারা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ৫টি ভোট বুথ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয় এবং শ্রেণী কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা নির্বাচন কাজে ব্যবহৃত ১টি নসিমন আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এ সময় তারা ৮টি সিল দেয়া ব্যালট পেপারসহ ২টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তবে নির্বাচনে অন্যান্য সামগ্রী অন্য কক্ষে দ্রুত সরিয়ে নেয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার, র্যাব, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
১টি কেন্দ্রে একটি বাতিল ভোট এই আসনের কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কল্যাণপুর রওশনারা দাখিল মাদ্রাসা, কলাগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিএসসি গয়নাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরনবীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন ভোটার আসেননি। যে কারণে এই ভোটকেন্দ্রগুলোতে কোন ভোট পড়েনি। এ ছাড়াও কেসি সালদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি মাত্র ভোট পড়লেও তা বাতিল ভোট বলে গণ্য করা হয়।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের নির্বাচনে করিমগঞ্জ ও তাড়াইলের বিভিন্ন কেন্দ্র বেলা ১টা পর্যন্ত শতকরা আট থেকে ১০ ভাগ ভোট পড়েছে। করিমগঞ্জের জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, কিরাটন উচ্চবিদ্যালয়, সাকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ন্যামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, তাড়াইলের ঘোষপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্তত ২৫টি কেন্দ্র বেলা ১টা পর্যন্ত ওই সব কেন্দ্রে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর নিজ বাড়ির কেন্দ্রে বেলা ১টার মধ্যে ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বেলা ১টায় তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামে মুজিবুল হক চুন্নুর বাড়িতে ঢোকার বাঁ পাশে রয়েছে কাজলা আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র আর ডানপাশে রয়েছে কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। বাড়ির ১০০ গজের মধ্যে এ দুটি ভোটকেন্দ্র। কাজলা আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ভোট রয়েছে দুই হাজার ১১৯। বেলা ১টার মধ্যে ভোট পড়েছে এক হাজার ৮০০টি। অপরদিকে কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোট আছে তিন হাজার ৫৫৯। বেলা ১টা ১০ মিনিটে দুই হাজার ৩০০ ভোটার তাদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনা সারা এলাকায় চাঞ্চল্য ও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভোট শুরু হয়েছে সকাল আটটায়। মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে বিপুলসংখ্যক ভোট পড়ার ঘটনাটি মানতে পারছেন না এলাকার সচেতন ভোটাররা। কারণ, কাজলা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দেখা গেছে প্রতি ছয় সেকেন্ডে একটি করে ভোট পড়েছে। কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি আট সেকেন্ডে একটি করে ভোট পড়েছে। (চলবে)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন