বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ইতিহাস
পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ যাবৎকাল পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত
প্রতিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল জয়ী হয়েছে; অপর দিকে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল পরাভূত হয়েছে। আমাদের বর্তমান
বড় দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একের ওপর অপরের অনাস্থা ও
অবিশ্বাস এত বেশি যে, মূলত এ কারণেই এক দল অপর দলকে নির্বাচনকালীন সরকার
হিসেবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়।
এ বিষয়ে
কোনো বিতর্ক নেই যে, নির্দলীয়, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক
সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের চিন্তাচেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং সে নিরিখে এ সরকারব্যবস্থা
সংবিধানের সাথে যে সাংঘর্ষিক হবে সে বিষয়ে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেন না। আমাদের দেশে
১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন
অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়, তখন পৃথিবীর অপর কোনো দেশে এ ধরনের ব্যবস্থার অস্তিত্ব
ছিল না। এরপর দেখা গেছে, আমাদের এ উপমহাদেশের রাষ্ট্র নেপাল ও পাকিস্তান
এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত উন্নত রাষ্ট্র গ্রিস ও ইতালিতে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমাদের
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের সপক্ষে যে দলটি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিল দুঃখজনক
হলেও সত্য সে দলটি জনমতের উপেক্ষায় একতরফাভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাটি বাতিল
করেছে। অন্য দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন পূর্ববর্তী যে দলটির অবস্থান
এর বিপক্ষে ছিল বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল পরবর্তী এর পুনঃপ্রবর্তনে
এ দলটি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার।
সংবিধানের
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দু’টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং উভয় নির্বাচনে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান
বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন। ত্রয়োদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের প্রধান কে হবেন, সে বিষয়ে পর্যায়ক্রমে একটির পরিবর্তে অপরটি এ ধরনের
ছয়টি বিকল্প ছিল। প্রথম বিকল্পটিতে বলা ছিল অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিদের
মধ্যে যিনি সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন, দ্বিতীয় বিকল্পটিতে বলা ছিল তিনি অসম্মত হলে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত
প্রধান বিচারপতির অব্যবহিত আগে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে
নিযুক্ত হবেন, তৃতীয় বিকল্পটিতে বলা ছিলওই রূপ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
না পাওয়া গেলে আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে যিনি সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি
প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ লাভ করবেন, চতুর্থ বিকল্পটিতে বলা ছিল ওই রূপ অবসরপ্রাপ্ত বিচারক না পাওয়া গেলে আপিল বিভাগের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত
অনুরূপ বিচারকের অব্যবহিত আগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ লাভ করবেন, পঞ্চম বিকল্পটিতে বলা ছিল আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কোনো
বিচারককে না পাওয়া গেলে রাষ্ট্রপতি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনাক্রমে সবার
কাছে গ্রহণযোগ্য এমন এক ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রদান করবেন ও ষষ্ঠ বিকল্পটিতে
বলা ছিল উপরিউক্তভাবে প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ না দেয়া গেলে রাষ্ট্রপতি
তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার
দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অষ্টম
সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী দেখা গেল, সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তৎকালীন বিরোধী
দল আওয়ামী লীগের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় এবং এর পরবর্তী বিকল্পগুলোর ব্যক্তিরা আওয়ামী
লীগ ও বিএনপি উভয় দলের কাছে সমভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ষষ্ঠ বিকল্পের
পূর্ববর্তী সব বিকল্প নিঃশেষিত না করে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের প্রধানরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার দায়িত্ব শেষ করার
আগেই অসাংবিধানিক সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সংবিধানে চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের
অবসরের বয়স নিজ মতাদর্শের ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করার প্রয়াসে ৬৫ থেকে ৬৭-তে উন্নীত
করা হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে যোগ্য বিবেচিত সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত
প্রধান বিচারপতি দলীয় ব্যক্তির আবরণে আবৃত হন। মূলত সে কারণেই অষ্টম সংসদের মেয়াদ অবসান
পরবর্তী নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাংবিধানিক পন্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন
করা যায়নি।
কর্মরত
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচন
এবং সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনের
ফলাফল বিজিত অব্যবহিত পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি এবং এ তিন নির্বাচনেই
বিজিত দল নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। সেনাসমর্থিত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনটিও বিজিত দলের কাছে গ্রহণযোগ্য
হয়নি।
অন্তর্বর্তী
বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বিজিত দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না
এবং এসব নির্বাচন সাংবিধানিক শাসনের অন্তরায় এ অজুহাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ
স্বীয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার
বিলোপ সাধন করে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে। যদিও
বাতিল বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তকে উপলক্ষ হিসেবে দেখানো হয়েছে, কিন্তু সে সিদ্ধান্ত সংসদের ওপর বাধ্যকর কি না, সে প্রশ্নটির সুরাহা যেমন জরুরি ঠিক তেমন এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষেত্রে
সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ৭৮(১), ১০২(৫) এবং একজন বিচারকের স্বপঠিত শপথের কোনো ধরনের
ব্যত্যয় হয়েছে কি না এসব প্রশ্নের নিরসনও জরুরি ছিল।
দলীয় সরকারের
অধীনে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনটি প্রধান বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে একতরফাভাবে
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের জন্য উন্মুক্ত সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায়
এবং অবশিষ্ট আসনে প্রকৃত ভোটার উপস্থিতি নগণ্য হওয়ায় দেশের সচেতন মানুষ এবং আন্তর্জাতিক
মহলের কাছে নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হয়নি। বাস্তবক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, প্রহসনমূলক ও একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী
দল বিএনপির দাবি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না এ সত্য প্রমাণ করল।
দশম সংসদ
নির্বাচন-পরবর্তী নবগঠিত এ সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, এ নির্বাচন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ জাতিসঙ্ঘের
কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য
সরকারের ওপর যে চাপ অব্যাহত আছে, তা উতরিয়ে ওঠা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই
দেশের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিষয় বিবেচনায় নিলে যত দ্রুত সম্ভব
একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের আয়োজন সরকারের জন্য উত্তম বিবেচিত। এখন প্রশ্ন এ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন কোন ধরনের সরকার দায়িত্বরত থাকবে?
ত্রয়োদশ
সংশোধনীর মাধ্যমে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং দলীয় সরকার এ ধরনের সরকার নির্বাচনকালীন
সরকার হিসেবে দেশের বড় দু’টি দলের কাছে সমভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ অবস্থায় এমন
একটি নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার উদ্ভাবন করতে হবে, যা দু’টি দলের কাছে সমভাবে এবং সর্বতোভাবে দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য
হয়।
দশম সংসদ
নির্বাচন-পূর্ববর্তী অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিপর্যায়ে বিভিন্ন
ধরনের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছিল। সুপারিশকৃত ব্যবস্থাগুলোতে প্রধান সমস্যা হিসেবে
যে প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে, তা হলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানরূপে কে দায়িত্ব
পালন করবেন? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানরূপে
দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ছাড়া অপর কাউকে মেনে নিতে অপরাগ। ঠিক এমনই অপরাগ ছিল বিএনপি
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্ববর্তী এবং এ একটি কারণেই অন্তর্বর্তী
সরকারব্যবস্থা কার্যকর হতে পারেনি।
পৃথিবীর
অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্্ের ক্ষমতাসীন সরকার স্বল্প পরিসরে অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে
কাজ করে এবং সেই সময় এ অন্তর্বর্তী সরকার কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না।
এ সময় এসব রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে দেখা যায় নির্বাচন কমিশন প্রকৃত পক্ষেই আস্থাভাজনদের
দিয়ে পরিচালিত হয়ে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। আগামী সংসদ নির্বাচনটি
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য এবং প্রকৃতপক্ষে অর্থবহ করতে
হলে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ছাড়া যে অন্তর্বর্তী সরকারটি গঠিত হবে, তার গঠনকাঠামো বিষয়ে অতীত অভিজ্ঞতা ধারণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকারটির প্রধান
কে হবেন। এটির সুরাহা হলে অবশিষ্ট বিষয়ে কোনো মতপার্থক্য থাকে না। অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধানরূপে উভয় দলের যেকোনো একজন উভয় দলের কাছে যে গ্রহণযোগ্য হবেন না, অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের এমনই ধারণা দেয়। সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী এ ব্যবস্থা
আগত দিনে সব জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় প্রযোজ্য হবে এ কথা ভেবে উভয়দলের প্রস্তাবিত
দু’জনের মধ্য থেকে একজনকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করে অথবা রাষ্ট্রপতি
বা স্পিকার পর্যায়ক্রমে এ তিন বিকল্পের যেকোনো একটির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান
নিয়োগ পেতে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যরূপে উভয়দলের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে এবং
তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পাবেন, যদি এক দল অপর দলের সংসদ সদস্যদের
মধ্য থেকে পাঁচজন করে মোট ১০ জনের নাম প্রস্তাব করে। কোন দলকে কোন দফতর দেয়া হবে সেটিকে
চিরস্থায়ী রূপও দেয়া যেতে পারে অথবা পরিস্থিতির আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত
হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন
অনুষ্ঠানের প্রত্যয়ে বর্ণিত কাঠামোতে গঠিত হলে সার্বিক বিবেচনায় সফল হবে। বাস্তবতার
আলোকে উভয় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য এরচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা না থাকায় এটিকে গ্রহণ করে সামনে
এগিয়ে গেলে আশা করা যায় ভুল বোঝাবুঝির অবসানে সুখী ও সমৃদ্ধিশীল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন
সফল হবে এবং দলীয় সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে কেন গ্রহণযোগ্য নয় এ প্রশ্নেরও সুরাহা হবে।
ইকতেদার আহমেদ
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন