নাজমুল ইসলাম মকবুল বিশ্বনাথ (সিলেট)
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর জন্য কাঁদছে বৃহত্তর সিলেটসহ নিজ জন্মস্থান বিশ্বনাথের মানুষ। এ কান্না বাড়িয়ে দিয়েছে নিহত মনোয়ার, সেলিম ও জাকিরের বিয়োগ। ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে আনার পণ করে তারা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, কিন্তু ফিরলেন লাশ হয়ে। তাদের শোকে স্বজনের আহাজারিতে বিশ্বনাথের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শিসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া হলো না মনোয়ারের: দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন মনোয়ার হোসেন (২৬)। এবার কাতার যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। এ জন্য দুই লাখ টাকাও দিয়েছিলেন ট্রাভেল এজেন্সিকে। কিন্তু ভিসা হাতে পাওয়ার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। সোমবার হরতাল চলাকালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও হরতাল সমর্থক সংগ্রাম পরিষদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার রাজনগর গ্রামে। তার বাবা মৃত আবাছ আলী। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার বিয়োগে শোকস্তব্ধ রাজনগর গ্রামসহ পুরো বিশ্বনাথবাসী। তার বড় ভাই দেলোয়ার দাবি করেন, সংঘর্ষের পরপরই জনতার ধাওয়া খেয়ে উপজেলা কম্পাউন্ড এলাকা থেকে সরে যায় পুলিশ। ঠিক তখনই বাসিয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ের রামসুন্দর হাই স্কুলের পাশ থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ইউএনও অফিসের সামনের গেটের পূর্ব পাশে রাস্তার মাঝেই তার লাশ পড়েছিল। মনোয়ারের চাচাতো ভাই আলী হোসেন ওরফে ইংরেজ, নুর আহমদ ওরফে চেরাগ আলীও একই দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই তাদের ভাইকে হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোয়ার পুলিশের গুলিতে নয়, বাসিয়া নদীর অপর পাড় থেকে ছোড়া গুলিতেই তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাজনগর গ্রামের খুশমত আলী নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে বলেন, নদীর ওপাড় থেকে থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাইকে লক্ষ করে করা গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়েই মনোয়ারের গায়ে লাগে। আর এতেই সে মারা যায়। মনোয়ারের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকালে এক কাপ চা খেয়েই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনোয়ার। মা তাকে নাস্তা খেয়ে যেতে অনেকবার বলেছিলেন। বিকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে বৃদ্ধা মা রেণু বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ১৭ দিন আগে তার আরেক ছেলে হৃদরোগে মারা যান। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই ছেলের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাদের মা। তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
সেলিমের পরিবারে চলছে শোকের মাতম : বিশ্বনাথের টেংরা (বাঘমারা) গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সেলিম আহমদ (২০)। তিনি অলঙ্কারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা যায়। সংঘর্ষের সময় উপজেলা পরিষদের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদিয়া মাদরাসার গেটের সামনে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরে র্যাব-পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর তার পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি প্রকাশ হলে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারে চলে শোকের মাতম। সেলিমের মা হাসিনা বেগম ছেলের মৃত্যু সংবাদ মেনে নিতে পারেননি। তার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী জানান, সেলিম সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে মিছিলের সঙ্গে উপজেলা সদরে যান। চাচাতো ভাই ইউসুফ আলী বলেন, আমরা পত্রিকায় সেলিমের ছবি দেখে হাসপাতালে গিয়ে লাশ দেখে তাকে শনাক্ত করি।
দিনমজুর বাবা উপার্জনক্ষম ছেলে জাকিরকে হারিয়ে নির্বাক : পুলিশের গুলিতে নিহত জাকির হোসেনের (২৪) পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে স্তব্ধ হয়ে পড়েন জাকিরের মা আর দিনমজুর বাবা। উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে তারা নির্বাক। গত সোমবার পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বাসিয়া ব্রিজের উপরে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন জাকির। এরপর পুলিশের হেফাজতে থাকাকালেই জাকিরকে বেদম মারধর করে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান। তিনি পেশায় ছিলেন একজন রিকশাচালক। সুনামগঞ্জের দোয়ারা উপজেলার বালিউরার দোয়ারী গ্রামের ভুট্টো মিয়ার ছেলে তিনি। জাকিরের সহকর্মী বকুল মিয়া জানান, তিনি যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি করলে একটি গুলি তার পেটে লাগে। এ সময় জাকির মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। এ সময় শাসক দলের অস্ত্রধারী কয়েক যুবক জাকিরের পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে তার পায়ের মাংস কেটে ক্ষতবিক্ষত হয়। পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি প্রকাশিত হয়। পরিবারে ৩ ভাইয়ের মধ্যে জাকির ছিলেন সবার বড়। তার মৃত্যুতে পরিবারে কান্নার রোল যেন থামছেই না।
বিশ্বনাথে ৪ বিএনপি নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদ : বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৪ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন উপজেলা সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, জেলা সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা সভাপতি মজাহিদ আলী, উপজেলা সহসভাপতি আবুল কালাম কচির এবং চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া। গতকাল বিকেলে সিলেট নগরীর গুলশান হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। সিলেটের পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, তাকে ওসমানী নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বনাথের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবারের হরতাল চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্বনাথের ৮ হাজার জনতাকে আসামি করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
এদিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ওই চার নেতাকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহানগর শাখার সভাপতি এমএ হক ও জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল গফফার, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী, জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা শিগগিরই নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেছেন, অন্যথায় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে আনা হবে বলে জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া হলো না মনোয়ারের: দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন মনোয়ার হোসেন (২৬)। এবার কাতার যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। এ জন্য দুই লাখ টাকাও দিয়েছিলেন ট্রাভেল এজেন্সিকে। কিন্তু ভিসা হাতে পাওয়ার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। সোমবার হরতাল চলাকালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও হরতাল সমর্থক সংগ্রাম পরিষদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলার রাজনগর গ্রামে। তার বাবা মৃত আবাছ আলী। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার বিয়োগে শোকস্তব্ধ রাজনগর গ্রামসহ পুরো বিশ্বনাথবাসী। তার বড় ভাই দেলোয়ার দাবি করেন, সংঘর্ষের পরপরই জনতার ধাওয়া খেয়ে উপজেলা কম্পাউন্ড এলাকা থেকে সরে যায় পুলিশ। ঠিক তখনই বাসিয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ের রামসুন্দর হাই স্কুলের পাশ থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ইউএনও অফিসের সামনের গেটের পূর্ব পাশে রাস্তার মাঝেই তার লাশ পড়েছিল। মনোয়ারের চাচাতো ভাই আলী হোসেন ওরফে ইংরেজ, নুর আহমদ ওরফে চেরাগ আলীও একই দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই তাদের ভাইকে হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোয়ার পুলিশের গুলিতে নয়, বাসিয়া নদীর অপর পাড় থেকে ছোড়া গুলিতেই তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাজনগর গ্রামের খুশমত আলী নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে বলেন, নদীর ওপাড় থেকে থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাইকে লক্ষ করে করা গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়েই মনোয়ারের গায়ে লাগে। আর এতেই সে মারা যায়। মনোয়ারের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকালে এক কাপ চা খেয়েই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনোয়ার। মা তাকে নাস্তা খেয়ে যেতে অনেকবার বলেছিলেন। বিকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে বৃদ্ধা মা রেণু বেগম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ১৭ দিন আগে তার আরেক ছেলে হৃদরোগে মারা যান। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই ছেলের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাদের মা। তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
সেলিমের পরিবারে চলছে শোকের মাতম : বিশ্বনাথের টেংরা (বাঘমারা) গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সেলিম আহমদ (২০)। তিনি অলঙ্কারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা যায়। সংঘর্ষের সময় উপজেলা পরিষদের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদিয়া মাদরাসার গেটের সামনে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। পরে র্যাব-পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর তার পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি প্রকাশ হলে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারে চলে শোকের মাতম। সেলিমের মা হাসিনা বেগম ছেলের মৃত্যু সংবাদ মেনে নিতে পারেননি। তার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী জানান, সেলিম সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে মিছিলের সঙ্গে উপজেলা সদরে যান। চাচাতো ভাই ইউসুফ আলী বলেন, আমরা পত্রিকায় সেলিমের ছবি দেখে হাসপাতালে গিয়ে লাশ দেখে তাকে শনাক্ত করি।
দিনমজুর বাবা উপার্জনক্ষম ছেলে জাকিরকে হারিয়ে নির্বাক : পুলিশের গুলিতে নিহত জাকির হোসেনের (২৪) পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে স্তব্ধ হয়ে পড়েন জাকিরের মা আর দিনমজুর বাবা। উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে তারা নির্বাক। গত সোমবার পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বাসিয়া ব্রিজের উপরে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন জাকির। এরপর পুলিশের হেফাজতে থাকাকালেই জাকিরকে বেদম মারধর করে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান। তিনি পেশায় ছিলেন একজন রিকশাচালক। সুনামগঞ্জের দোয়ারা উপজেলার বালিউরার দোয়ারী গ্রামের ভুট্টো মিয়ার ছেলে তিনি। জাকিরের সহকর্মী বকুল মিয়া জানান, তিনি যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি করলে একটি গুলি তার পেটে লাগে। এ সময় জাকির মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। এ সময় শাসক দলের অস্ত্রধারী কয়েক যুবক জাকিরের পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে তার পায়ের মাংস কেটে ক্ষতবিক্ষত হয়। পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি প্রকাশিত হয়। পরিবারে ৩ ভাইয়ের মধ্যে জাকির ছিলেন সবার বড়। তার মৃত্যুতে পরিবারে কান্নার রোল যেন থামছেই না।
বিশ্বনাথে ৪ বিএনপি নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদ : বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৪ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন উপজেলা সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, জেলা সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা সভাপতি মজাহিদ আলী, উপজেলা সহসভাপতি আবুল কালাম কচির এবং চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া। গতকাল বিকেলে সিলেট নগরীর গুলশান হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। সিলেটের পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, তাকে ওসমানী নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বনাথের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবারের হরতাল চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্বনাথের ৮ হাজার জনতাকে আসামি করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
এদিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ওই চার নেতাকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহানগর শাখার সভাপতি এমএ হক ও জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল গফফার, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী, জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা শিগগিরই নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেছেন, অন্যথায় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করে আনা হবে বলে জানিয়েছেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন