বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

কালো বিড়ালের হোতা ধরা খেয়েছে সুটকি খেতে গিয়ে কি মজা ! কি মজা !



by Abdul Aziz on Thursday, 12 April 2012 at 07:40 ·
একই জাতির দুটি পাত ঘি দিয়ে মাখে পানতা ভাত!!হায়া থাকলে পদত্যাগ করুন
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়িতে ৪ কুটি ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনা কেলেঙ্কারি থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।এক পেয়াদা এক রাতেই ধরা খেল ৪ কুটি ৭০ লক্ষ টাকা!!! তাও আবার 'ভাড়' মন্ত্রীর পেয়াদা বলে কথা....। সেন বাবু অনেক চেষ্টা তদবির করে,গাল ভরা বুলি আউড়িয়ে, বিরোধী দলকে যত্র-তত্র গালাগাল করে অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কৃপা লাভে সক্ষম হলেন এবং কচিকাঁচার মন্ত্রীসভায় (তার ভাষায়) স্থান করে নিলেন।মন্ত্রীত্ব পেয়েই প্রতি রাতের কামাই এখন ১ কোটি টাকা (সবই মা লক্ষীর চরম কৃপা)। এভাবে ৪০০ কোটি টাকা কামিয়ে ব্যাংকের মালিক হতে তাকে ঠেকাবে কে ?
তিনি প্রয়শই সংসদে দাঁড়িয়ে ভুড়ি চুলকিয়ে, দাঁত কেলিয়ে অত্যান্ত কুতসিত ভঙ্গিতে বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে খিস্তি-খেউড় করেন। তখন তাকে মা দুর্গার চরণ তলে ঠাই পাওয়া অসুরের মতই মনে হয়।
এ অসুরকে বদ করার এখনই সময়।নাইলে রেলের স্লিপার, পাটাতন, তেল-মবিল, ডাব্বা, ইন্জিন, নুড়ি পাথর কিছু্ই রক্ষা পাবেনা এর হাত থেকে।
এই দাদাকেই সংবিধান সংশোধনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।অবশেষে বের হল আমাদের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের কাল বিড়াল.....দাদা, এই বুঝি আপনার কালো বিড়াল? মন্ত্রী হতে একটু দেরি  হয়ে গেছে তাই মনে হয় একটু বেশী তাড়াহুড়া করে ফেলেছেন আপনার সেই মুলার মত দাত চিবিয়ে চিবিয়ে বলা নীতিকথা আজ খুব বেশী চোখের সামনে ভেসে উঠছে। যুক্তি তর্কে আপনাকে হারাতে পারে এমন মানুষ কি দেশে আছে?লুটের মহোৎসবে অভিযুক্তদের তালিকায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নামও যোগ হলো ! জীবনের প্রথম সুযোগ কে হাত ছাড়া করবে?তবে দাদা বাবু ঘুষের টাকা সহজে হজম হয় না। কালো বিড়ালের হোতা ধরা খেয়েছে সুটকি খেতে গিয়ে কি মজা ! কি মজা !
বিড়ালের লেজ কাটা গেছে ....................
বিড়ালের যদি লজ্জা শরম থাকে তবে সে আর শুটকি খাবে না।
এতদিন আমরা শুধু দরবেশের কথা জানতাম এখন আমরা একজন ঠাকুর পেলাম। হা.... হা..... কি মজা , কি মজা গাড়িতে ৪ কুটি ৭০ লাখ টাকা ..................।কিন্তু ৭০লাখ পাওয়া গেল বাকী টাকা গেলো কথায়???কাথায় আছে হিসাবের কই মাছ  যাবে  কই। যেহেতু ধরা পড়া ৪ কুটি  ৭০ লাখ টাকার ঘটনা তার (সুরঞ্জিত) মন্ত্রণালয়ের বিষয়, তাই দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। তার ইচ্ছা ছিল মন্ত্রী হওয়ার। ইচ্ছা পূরণ তো হয়েই গেছে। এখন এই কেলেঙ্কারি থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে তার পদত্যাগ করা উচিত।
রেলওয়েতে লোক নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে। এ টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই একটা সমস্যা হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কারণ, তা না হলে এতো রাতে গাড়িতে করে কেন বস্তা ভরে টাকা নিয়ে যাবে। সে টাকার ভাগ কেন ড্রাইভার চাইবে। আবার কেনইবা সে টাকার বস্তা নিয়ে বিজিবি হেডকোয়ার্টারে ঢুকে পড়বে?
বিজিবির হাতে আটক ৭০ লাখ টাকা কেন পুলিশের হাতে গেল না তা নিয়ে অবশ্যই একটা রহস্য পুঞ্জিভূত হচ্ছে।
এক এপিএসের রাজকীয় বিবাহের পর বহিস্কার এবং অপর এপিএসের ৭০লাখ টাকা ক্যলেঙ্কারী প্রমাণ করে খোদ মন্ত্রীরা কতোটা সমৃদ্ধ হয়ে চলেছেন! পার্থক্য হলো, বেটা এপিএস তো রাজনীতি বুঝোনা, তাই ওরা অসাবধানতা অবলম্বন করে, মন্ত্রীরা তো রাজনীতিক, ওনারা এবিষয়ে অনেক সাবধান!! বাবু সুরন্জিতের আসল চেহারা দেখতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না। প্রধানমন্ত্রী এর জন্য অবশ্য ধন্যবাদ পেতেই পারেন। কারণ, সুরন্জিত গুপ্তের গুপ্ত রঙ্গ আর গুপ্ত রইলোনা। চুরির সুযোগ না পেলে বাবুর মহৎ (?) চরিত্রের কথা তারই লম্বা লম্বা লেকচারের তলে ঢাকা পড়ে থাকতো যেতো যুগযুগ ধরে। বামপন্থীরা নাকি দুধে ধোয়া তুশী পাতা,সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক, সৎ আরো কতকি! অনেকে ভবিষ্যত তৃতীয় শক্তি ভাবতো এদেরকে। দেশ পরিচালনা তো পরের কথা, সামান্য সাংসদ হতে পরে উনাদের ভর্তিবানিজ্যসহ নানা অপকীর্তির কথা কিন্তু মানুষ শেখ হাসিনার কল্যানেই জানতে পেরেছে ! বিএনপি চোর। আওয়ামীলীগ এসে দেশকে ডিজিটাল (যদিও অনেক উন্নত দেশও এখনো ডিজিটাল হতে পারেনি) বানাবে, সব রাজনৈতিক অপকালচার পরিবর্তন করে দিন বদলিয়ে ফেলা হবে- এমনটি ধারণা ছিল জনগনের। হাসিনা সরকার গঠন না করলে জাতির সেই ভুল ভাঙ্গতো না। এই মনে করুন, শেয়ার বাজার, পদ্মা সেতু, তিনবছরে (উপরের টা কতো জানি না, তবে নূন্যতম৪০০কোটি টাকার মালিক হয়ে) ব্যংক মালিক হয়ে যাওয়া, রেন্টাল বিদ্যুতের জন্য শেখ পরিবারের দুটি কোম্পানির কাছে বিনা টেন্ডারে কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ দিয়ে কেউ যেন মামলা করতে না পারে সেজন্য আইন করা, সর্ব শেষ এপিএসদের রাজকীয় বিবাহ কোটি টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে মন্ত্রীর বাড়িতে গমনসহ আরো হাজারো চুরি নয়; ডাকাতির ঘটনা জাতি জানতে পারতো না।

রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কি পদত্যাগ করবেন-এখন গোটা দেশে এই প্রশ্ন ওঠেছে। এ প্রশ্ন ওঠার কারণও রয়েছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেকে সবসময় একজন ‘নীতিবান’ ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে জনগণ তাকে আওয়ামী লীগের ‘বিবেক’ বলে মনে করে নিয়েছিল। তিনি তখন মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, শুটকির বাজারে যদি বিড়ালকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে তার অবস্থা যা হওয়ার তাই সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়ে হচ্ছে। কিন্তু এখন তো ‘কালো বিড়াল’ তার ঘরেই। এখন তিনি কী বলবেন-এই প্রশ্ন বড় হয়ে আসবে সেটাই স্বাভাবিক।
সুরঞ্জিত বলেছেন, “এপিসিএস কোথায় কী করছে তা জানান দায়িত্ব আমার নয়।” প্রশ্ন হলো-তিনি যদি এপিএস-এর দায়িত্বই নিতে না পারেন তাহরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেন নিলেন। তাকে কি আসলেই কোনো ‘দায়িত্বশীল’ ব্যক্তি বলা যায়-তাকে দোষ দেয়া যাবে?
এক ব্যক্তি অবৈধ টাকা নিয়ে ধরা পড়লো-তাকে পুলিশে দেয়া হলো না কেন? তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য রেলের লোকজন ওঠেপড়ে নামলো। মন্ত্রী নিজেও নাকি এ ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছেন। এর অর্থ একটাই, এই টাকার উৎস যাতে কেউ না জানতে পারে। প্রশ্ন ওঠেছে-মন্ত্রী কি এই টাকার কথা জানতেন না? তিনি জানতেন না-এটি এখন আর কেউ বিশ্বাস করবে না। সুরঞ্জিত তার স্বভাবসুলভ এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যতই ‘আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ’ নিয়ে তাত্ত্বিক বক্তব্য রাখুন না কেন-কেউ তা যে মানবে না তা বলাই বাহুল্য।

বুধবার এই খবরটি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। সুনামির আতঙ্কও এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পারেনি। বরং এপিএস ওমর ফারুকের এই খবরই রাজনীতিতে এক ধরনের সুনামি তৈরি করেছে। কর্নেল অলি সুরঞ্জিতকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পদত্যাগের দাবি করেছেন। গয়েশ্বর রায়ও একই কথা বলেছেন।এবং তার দলের এমপি গোলাম মাওলা রনি বলেছেন সুরঞ্জিত সেন পদত্যাগ না করলে আত্মহত্যা করা উচিত  রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে চারদিকে উত্তপ্ত পরিবেশ। তবে এ বিষয় সুরঞ্জিতের দল আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে কেউ কোনো কথা বলেনি।

বলা হচ্ছে, রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা এপিএস ফারুক তালুকদার। এটি কি সুরঞ্জিত জানতেন না? তিনি দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দেখা যায়, এপিএস’র তদন্ত করবেন পিএস। বিষয়টি যে হাস্যকর তা বলাই বাহুল্য। তাই বিএনপির এমপি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।

শোনা যাচ্ছে, যে দেশপ্রেমিক ড্রাইভার এই অবৈধ টাকা বিজিবির হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদি তাই হয় তাহলে তা কেবল সুরঞ্জিতের জন্য নয়, মহাজোট সরকারের জন্যও একটি অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেবে। সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বিষয়টি নিশ্চিত জানেন। সামনেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগমুহূর্তে এমন একটি ঘটনা সরকারের জন্য যে বুমেরাং হবে তা তো আর অস্বীকার করা যাবে না। সরকার বিষয়টি কিভাবে সামলান-সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ব্যর্থতার দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে মন্ত্রীদের পদত্যাগের নজির নেই বললেই চলে। একমাত্র ব্যতিক্রম চট্টগ্রামের জহিরউদ্দিন খান। তিনি ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। সার নিয়ে তখন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনি পদত্যাগ করেন। এটি বাংলাদেশে একটি নজির হয়ে আছে। ভারতে রেলমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। সুরঞ্জিত কি তেমনটি করবেন?


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads