শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

গুম অপহরণে মানুষ আতঙ্কিত



উপর্যুপরি গুম ও গুপ্তহত্যার ঘটনা রাজনীতিকসহ সারাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে। গুমের ঘটনা বেড়েই চলছে। ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত যেখানে ১৩ ব্যক্তি গুমের শিকার হন, সেখানে ২০১০ সালে ৩০ জন, ২০১১ সালে ৭০ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত গুম হয়েছে ২২ জন। অর্থাত্ মহাজোট সরকারের গত সোয়া দু’বছরে গুম হয়েছে ১২২ ব্যক্তি। এ হিসাব মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের। শুধু চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিংবা অপরাধীরাই নন—এখন এর শিকার হচ্ছেন রাজনীতিকসহ সাধারণ মানুষ। এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। এসব ঘটনার এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই দায়ী করেছেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আর এটা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও এর শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছেন তারা। গতকাল দৈনিক আমার দেশ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তারা ইলিয়াস আলীসহ সব নিখোঁজ ও গুপ্তহত্যার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন ও এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, একটি রাষ্ট্র যখন গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে ফেলে এবং যখন দেশে একটি সংঘাতপূর্ব অবস্থা বিরাজ করে তখন গুমের ঘটনা ঘটে। ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে সরকার যদি বের করতে না পারে তবে সবাই সন্দেহ করতে পারে যে সরকার এর সঙ্গে জড়িত। তাই সরকারের উচিত হবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ গুমের ঘটনা উদ্ঘাটন করা। এটা যদি সরকার করতে না পারে তাহলে বুঝতে হবে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণকে নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অথবা সরকার নিজেই এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ দুটো বিষয়ের কোনোটিই কারও জন্য মঙ্গলজনক নয়—বরং গোটা জাতির জন্য একটি অশনি সঙ্কেত।
একের পর গুম এবং খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, খুন এবং গুমের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর প্রবণতা প্রকাশ পাচ্ছে। কারও সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু তাকে এভাবে শাস্তি দেয়া যাবে না। গুমের দায়ভার রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। এ প্রবণতা চলতে থাকলে বর্তমান ক্ষমতাসীন যারা এর সমর্থন দিচ্ছেন ভবিষ্যতে তারাও এর শিকার হতে পারেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অথচ একের পর এক এ ধরনের রহস্যজনক নিখোঁজ ও গুপ্তহত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন হচ্ছে না, যা সমাজে মানবাধিকার সংস্কৃতি বিকাশের জন্য একটি হুমকি। তিনি সব নিখোঁজ ও গুপ্তহত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপির জাতীয়
নির্বাহী কমিটির সদস্য এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। নাগরিকদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য এটা নাগরিকের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায় পড়ে। যে কোনো নাগরিকের নিরাপত্তার বিধানের দায়িত্ব সরকারের। সরকার এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই ইলিয়াস আলীকে শুধু জীবিত নয় মৃত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গুম একটি জঘন্য এবং ভয়াবহ অপরাধ। ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে সরকার যদি বের করতে না পারে তবে সবাই সন্দেহ করতে পারে যে সরকার এর সঙ্গে জড়িত। তাই সরকারের উচিত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে গুমের ঘটনা উদ্ঘাটন করা। এটা যদি সরকার করতে না পারে তাহলে বুঝতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণকে নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অথবা সরকার নিজেই এর সঙ্গে জড়িত। এ দুটোর কোনোটিই কারও জন্য মঙ্গলজনক নয়।
মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্র যখন গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে ফেলে এবং যখন দেশে একটি সংঘাতপূর্ব অবস্থা বিরাজ করে তখন গুমের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, এ বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৯ জন গুম হয়েছে। ফলে আমাদের মনে হচ্ছে দেশের একটি দুর্যোগময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, একের পর এক গুম হওয়ার বিষয়টি দেশ এবং জাতির জন্য একটি অশনি সঙ্কেত। এভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আইন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়বে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে চলে যাবে। ফলে দেশ অর্থনৈতিকসহ নানামুখী ক্ষতির শিকার হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে। এসব প্রযুক্তি এবং ডক স্কোয়াডের মাধ্যমে গুম হওয়া মানুষকে খুঁজে বের করা সম্ভব। কিন্তু এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমাদের থাকা সত্ত্বেও সরকারি উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীকেই গুম হাওয়া মানুষদের খুঁজে বের করতে হবে। এটা তাদেরই দায়িত্ব।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নূর খান জানান, গুমের ঘটনা দিন দিনই বাড়ছে। গুম হওয়া অনেকেরই মৃতদেহ বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাচ্ছে। গুমের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে র্যাব কখনও পরিচয় দিয়ে, কখনও পরিচয় গোপন করে লোকজনকে তুলে নিয়ে গেছে। মানবাধিকার সংগঠনসহ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করার পরও গুমের ঘটনা থামছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুমের ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও গুমের কারণ তারা উদ্ঘাটন করতে পারছে না।
এদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অপহরণ ও গুমের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নামে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ অপহরণের শিকার হচ্ছেন। কারও কারও লাশ উদ্ধার হলেও অনেকেরই কোনো হদিসই মিলছে না। বছরের পর বছর ধরে অপহৃত ব্যক্তিরা থেকে যাচ্ছে নিখোঁজের তালিকায়। অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা শোক, আতঙ্ক ও চরম হতাশার মধ্যে জীবনযাপন করছেন। অভিযোগ রয়েছে, একটি বিশেষ মহলের নির্দেশে রাজনৈতিক নেতাদের গুম করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিরোধী দলের কয়েকজন নেতা গুম হওয়ার পর তাদের হদিস না মেলায় আতঙ্কে রয়েছেন নেতাকর্মীরা। যে কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ ও র্যাব দায়সারাভাবে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেই দায়িত্ব শেষ করে ফেলছে। তারপর অপহৃত ব্যক্তিরা চিরদিনের জন্য থেকে যান নিখোঁজের তালিকায়।
বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম নিখোঁজ রয়েছেন দীর্ঘ দু’বছর ধরে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলামকে এক বছর আগে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস মেলেনি। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাতে মোহাম্মদপুর থেকে অপহৃত হন যশোরের ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম। পরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায় গাজীপুরের সালনায়। ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী আতাউর রহমান লিটু দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। র্যাব পরিচয়ে তাকে অপহরণ করা হয়। মিরপুরের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী মাসুম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র, সূর্যসেন হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম হাসান ওরফে সোহেল ও ঢাকা মহানগর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেনকে ২৮ নভেম্বর হাতিরপুল থেকে অপহরণ করা হয়। ওই অপহরণের সঙ্গে র্যাবের সোর্স ও যুবলীগ নেতা টুণ্ডা রহিম জড়িত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৮ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে দুটি লাশ পাওয়া যায়। এর একটি ইসমাইল হোসেনের বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। সোহেল ও মাসুম এখনও নিখোঁজ। সাভারের কলমা এলাকার ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম স্বপন প্রায় ৮ মাস ধরে নিখোঁজ। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একসঙ্গে ৬ ব্যক্তিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করা হয়। এদের মধ্যে আসাদ সিকদার নামের একজনকে পথিমধ্যে নামিয়ে দেয়া হলেও এখনও ৫ জন নিখোঁজ আছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর শুধু ঢাকা শহর থেকেই ৩০ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনের লাশ পাওয়া যায় গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, আশুলিয়া, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও সাভার থানা এলাকায়। দু’জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি ১৬ জন এখনও নিখোঁজ। পরিবারের শঙ্কা, এরা সবাই গুপ্তহত্যার শিকার।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মিরপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন চার ভাসমান ব্যবসায়ী কালাম শেখ (৪০), তার মামাতো ভাই আবুল বাশার শেখ (৩২), আবদুর রহিম (৪০) ও যাত্রাবাড়ীর আতাউর রহমান ওরফে ইস্রাফিল। এ ৪ জনেরও খোঁজ মেলেনি। গত ১৭ নভেম্বর মালিবাগ থেকে অপহৃত হন একসঙ্গে সাতজন। এদের পাঁচজন ওইদিন সকালে ভোলার বোরহানউদ্দীন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। তারা পরস্পরের আত্মীয়। ধরে নেয়ার কিছুক্ষণ পর মো. মিরাজ ও শেখ সাদী নামের দু’জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। আর ১০ দিন পর আশুলিয়া এলাকা থেকে উদ্ধর হয় এদের একজন জসীমউদ্দীনের লাশ। বাকিরা এখনও নিখোঁজ। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন লাইনে বাসার নিচ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা কেএম শামীম আকতারকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তার পরিবারের শঙ্কা, শামীম গুপ্তহত্যার শিকার।
ঢাকা সুপার মার্কেটের মালিক ও মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ওয়াজিউল্লাহ ৯ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তার পরিবার বলছে, র্যাব পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণের পর হত্যা করেছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের ইউনুস মুন্সী, তার ভাই মঞ্জু মুন্সী ও তাদের মামাতো ভাই শেখেন মাতবর এবং তাদের এক ব্যবসায়িক পার্টনার ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে নিখোঁজ হন। ১২ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর একটি মঞ্জু মুন্সীর বলে শনাক্ত করেন তার স্ত্রী। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গেণ্ডারিয়া থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় জুয়েল সরদার এবং তার চাচাতো ভাই রাজীব সরদারকে। একইসঙ্গে যাত্রাবাড়ী থেকে তাদের পরিচিত মিজানুর রহমান নামে অপর এক যুবককে অপহরণ করা হয়। জুয়েল ও মিজানের লাশ পাওয়া যায় গাজীপুরের পূবাইলে। আর রাজীবের লাশ পাওয়া যায় সিরাজদিখানের নিমতলীতে।
মালিবাগ থেকে একসঙ্গে ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। এদের মধ্যে ২ জনকে পথিমধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়। একজনের লাশ পাওয়া যায়, বাকি ৪ জন এখনও নিখোঁজ। কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইউনুস মুন্সী, শেখেন মাতবর, সাভারের কলমা এলাকার ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম স্বপন, সাভার সিটি সেন্টারের কসমেটিক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ধলুর হদিস মিলছে না।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads