বাংলানিউজ, চট্টগ্রাম
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের যান্ত্রিক বিভাগে তৃতীয় শ্রেণীর চারশ’ পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। সেই টাকার ভাগ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ে পৌঁছাতে রোববার রাতে মহাব্যবস্থাপক ঢাকায় যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকায় ৭০ লাখ টাকাসহ রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) জিএম ইউসুফ আলী মৃধার আটক হওয়ার খবর প্রচারের পর চট্টগ্রামে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। দিনভর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে ছিল : ‘নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে আদায় করা ঘুষের টাকা নিয়ে ঢাকায় ধরা পড়েছে।’
রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজ-কে বলেন, ‘শুনেছি, ওয়ার্কশপে মেকানিক্যাল বিভাগের ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস পদে চারশ’ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে নেয়া হয়েছে। সেই টাকা নিয়েই রোববার রাতে জিএম সাহেব তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনে করে ঢাকায় গিয়েছেন।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা এবং কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে জমা পড়েছে।
মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রেলওয়ের জায়গা একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে মার্কেট করার জন্য বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগেরও তদন্ত করছে দুদক।
দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মেজর ফয়সাল পাশা বাংলানিউজ-কে বলেন, রেলওয়ের জায়গায় মার্কেট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টির তদন্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বাকি অভিযোগগুলোর তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। এজন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ প্রসঙ্গে বলা সম্ভব নয়। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর গত বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ সময় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৭ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এসব পদের মধ্যে রয়েছে, সহকারী লোকো মাস্টার, ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস, সিগন্যালম্যান, অ্যাটেনডেন্ট, খালাসি, চৌকিদার, আয়া, ট্রলিম্যান, মালি, সুইপারসহ আরও বেশ কয়েকটি পদ।
প্রায় সাড়ে চার হাজার পদে এরই মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। এসব পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগে থেকেই মহাব্যবস্থাপকসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।
একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছে, ৭ হাজার পদের মধ্যে প্রায় প্রতিটি পদের জন্যই ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, দাবি অনুযায়ী ঘুষ দেয়ার পরও নিয়োগ পাননি তারা। তবে যারা ঘুষ দিয়েছেন, নিয়োগ কিংবা পরবর্তী সময়ে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কেউই এসব বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি বা নাম প্রকাশে রাজি হননি।
সূত্র আরও অভিযোগ করেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় শেষের দিকে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিসদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হচ্ছিল। এজন্য বেশ কয়েকদিন ধরে জিএম এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতরা ঘুষ লেনদেন করছিলেন। এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রোববার রাতে জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ঘুষের টাকা নিয়ে ঢাকায় যান।
রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজ-কে বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের একজনও ঘুষ ছাড়া নিয়োগ পাননি। সুইপারের চাকরির জন্যও লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি।’
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার মেকানিক্যাল বিভাগের নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঢাকায় ৭০ লাখ টাকাসহ রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) জিএম ইউসুফ আলী মৃধার আটক হওয়ার খবর প্রচারের পর চট্টগ্রামে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। দিনভর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে ছিল : ‘নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে আদায় করা ঘুষের টাকা নিয়ে ঢাকায় ধরা পড়েছে।’
রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজ-কে বলেন, ‘শুনেছি, ওয়ার্কশপে মেকানিক্যাল বিভাগের ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস পদে চারশ’ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে নেয়া হয়েছে। সেই টাকা নিয়েই রোববার রাতে জিএম সাহেব তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনে করে ঢাকায় গিয়েছেন।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা এবং কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে জমা পড়েছে।
মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রেলওয়ের জায়গা একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে মার্কেট করার জন্য বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগেরও তদন্ত করছে দুদক।
দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মেজর ফয়সাল পাশা বাংলানিউজ-কে বলেন, রেলওয়ের জায়গায় মার্কেট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টির তদন্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বাকি অভিযোগগুলোর তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। এজন্য সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ প্রসঙ্গে বলা সম্ভব নয়। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর গত বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ সময় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৭ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এসব পদের মধ্যে রয়েছে, সহকারী লোকো মাস্টার, ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস, সিগন্যালম্যান, অ্যাটেনডেন্ট, খালাসি, চৌকিদার, আয়া, ট্রলিম্যান, মালি, সুইপারসহ আরও বেশ কয়েকটি পদ।
প্রায় সাড়ে চার হাজার পদে এরই মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। এসব পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগে থেকেই মহাব্যবস্থাপকসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি ও গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।
একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছে, ৭ হাজার পদের মধ্যে প্রায় প্রতিটি পদের জন্যই ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, দাবি অনুযায়ী ঘুষ দেয়ার পরও নিয়োগ পাননি তারা। তবে যারা ঘুষ দিয়েছেন, নিয়োগ কিংবা পরবর্তী সময়ে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কেউই এসব বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি বা নাম প্রকাশে রাজি হননি।
সূত্র আরও অভিযোগ করেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় শেষের দিকে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিসদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হচ্ছিল। এজন্য বেশ কয়েকদিন ধরে জিএম এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতরা ঘুষ লেনদেন করছিলেন। এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রোববার রাতে জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ঘুষের টাকা নিয়ে ঢাকায় যান।
রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজ-কে বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের একজনও ঘুষ ছাড়া নিয়োগ পাননি। সুইপারের চাকরির জন্যও লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি।’
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার মেকানিক্যাল বিভাগের নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন