আইএসআই’র সাবেক প্রধান দুররানির এফিডেভিটের অনুলিপি নিয়ে নিশ্চুপ সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির মুখে নতুন কোনো সাড়া-শব্দ নেই। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য নিউজ-এর রিপোর্ট বলছে, সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র দফতরে দুররানির বক্তব্যের অনুলিপি পৌঁছেছে। কিন্তু পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার দাবি করেছেন, অনুলিপি বাংলাদেশকে দেবে না পাকিস্তান। দুররানির সাক্ষ্য ‘ক্লাসিফায়েড’ ঘোষণা হওয়ায় এটি দেয়া হবে না।
বার্তা২৪ ডেস্ক জানায়, পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আইএসআই’র সাবেক প্রধান দুররানির দেয়া এফিডেভিটের একটি অনুলিপি পেয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের দ্য নিউজ। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের হাতে এ দলিলটির একটি অনুলিপি পৌঁছানোর পর এখানকার একজন বিশ্লেষক দ্য নিউজ-কে দেয়া মন্তব্যে বলেছেন, দুররানির বক্তব্যে বাংলাদেশ বা বিএনপির কোনো প্রসঙ্গ না থাকায় সরকার এ প্রসঙ্গে নীরব হয়ে গেছে।
পাকিস্তানে ‘মেহরানগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত একটি মামলায় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই’র প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আসাদ দুররানি সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিমকোর্টে হাজির হয়ে এফিডেভিট আকারে বক্তব্য দেন।
পরে একজন ভারতীয় সাংবাদিক এ এফিডেভিটের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দৈনিক খালিজ টাইমসে প্রতিবেদন করেন, আইএসআই’র সাবেক প্রধান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) ’৯১-এর নির্বাচনে তহবিল জোগান দিয়েছে। এ খবরটি বাংলাদেশে একটি প্রধানতম জাতীয় দৈনিক প্রকাশ করলে বিএনপির বিরুদ্ধে ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির কাছ থেকে টাকা খাওয়া’র অভিযোগে বক্তব্য দিতে শুরু করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ।
দূতাবাস হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুররানির বক্তব্য : গতকাল দ্য নিউজ-এর খবরে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ দুররানির বক্তব্যের একটি অনুলিপি ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠায় পাকিস্তান সরকার। সেখান থেকে পরে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দলিলটি।
দ্য নিউজ-কে দেয়া এক মন্তব্যে বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাদেক খান বলেন, ‘সত্যিকারের এফিডেভিটটি দেখার পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ ব্যক্তিরা ইস্যুটিকে ধামাচাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।’
এর আগে বাংলাদেশে এমন খবর ও রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া শুরু হলে পাকিস্তান সরকার আইএসআই’র সাবেক প্রধানের এফিডেভিটে ‘অন্য কোনো দেশ’-এর প্রসঙ্গ থাকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নাকচ করে দেয়। আসাদ দুররানিও বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেন, তার বক্তব্যে বিএনপি অথবা অন্য কোনো বিদেশি সংস্থা বা ব্যক্তির প্রসঙ্গ নেই। এটা পুরোপুরি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের মামলা।
সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকারের আবেদনে ওই বক্তব্যের অনুলিপি পাঠায় পাকিস্তান।
আসাদ দুররানির বক্তব্যে যা আছে : পাকিস্তানের ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে আইএসআই’র তহবিলের অপব্যবহার করে দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও নেতাকে তহবিল জোগানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে দুররানিকে ডেকে পাঠায় সুপ্রিমকোর্ট। দুররানি ’৯১তে সংস্থাটির প্রধান ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে দুররানি দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও নেতাকে সংস্থা থেকে তহবিল জোগানোর কথা স্বীকার করেন।
খবরে বলা হয়, দুররানি পাকিস্তানের জাতিগত বালুচ জনগোষ্ঠীভিত্তিক দল বালুচ ন্যাশনাল পার্টিকে (Baluch National Party) তহবিল দেয়ার কথা স্বীকার করেন। তহবিলপ্রাপ্ত অন্যরা হচ্ছেন দেশটির প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন অংশের এবং কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের শীর্ষ নেতারা।
বাংলাদেশের রাজনীতি যেভাবে উত্তপ্ত হলো : দ্য নিউজ-এর খবরে বলা হয়, ভারতীয় সাংবাদিক ও বাংলাদেশের একটি প্রধান বাংলা দৈনিকের প্রতিনিধি দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীকে ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থা গত ২ মার্চ সংস্থাটির নয়াদিল্লি কার্যালয়ে ডেকে পাঠায়। পরে রায় চৌধুরীর লেখা একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক পত্রিকা খালিজ টাইমসে। পত্রিকাটির মালিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি। একইসঙ্গে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল-এর ভারতীয় সংস্করণেও প্রতিবেদনটি করেন দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী।
বাংলাদেশে দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী যে বাংলা দৈনিকটির প্রতিনিধি, সেই দৈনিক প্রথম আলোতেও প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ ব্যক্তিরা বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে এ প্রতিবেদনটি ব্যবহার করে আসছিলেন।
‘দুররানির সাক্ষ্যের অনুলিপি পাওয়া সম্ভব নয়’ : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, অবৈধ অর্থ লেনদেন নিয়ে আইএসআই’র সাবেক প্রধান আসাদ দুররানির পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টে দেয়া সাক্ষ্যের অনুলিপি পাবে না বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত গত ৩০ মার্চ দুররানির ওই সাক্ষ্যকে ‘ক্লাসিফায়েড’ বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে বলে গতকাল সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে জানান পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
ওই সাক্ষ্য ‘ক্লাসিফায়েড’ ঘোষিত হওয়ায় বাংলাদেশকে তা দেয়া হবে না।
গত ৮ মার্চ আদালত বলেছিল, ‘জাতীয় স্বার্থে এসব নথি কনফিডেন্সিয়াল হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।’
ডেপুটি হাইকমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের ওই আদেশের পর সাক্ষ্যের অনুলিপি পাওয়া সম্ভব নয়। এটা সাধারণের জন্য প্রকাশ না করার আগে আমরা এটা পাব না।’
বার্তা২৪ ডেস্ক জানায়, পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আইএসআই’র সাবেক প্রধান দুররানির দেয়া এফিডেভিটের একটি অনুলিপি পেয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের দ্য নিউজ। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের হাতে এ দলিলটির একটি অনুলিপি পৌঁছানোর পর এখানকার একজন বিশ্লেষক দ্য নিউজ-কে দেয়া মন্তব্যে বলেছেন, দুররানির বক্তব্যে বাংলাদেশ বা বিএনপির কোনো প্রসঙ্গ না থাকায় সরকার এ প্রসঙ্গে নীরব হয়ে গেছে।
পাকিস্তানে ‘মেহরানগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত একটি মামলায় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই’র প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আসাদ দুররানি সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিমকোর্টে হাজির হয়ে এফিডেভিট আকারে বক্তব্য দেন।
পরে একজন ভারতীয় সাংবাদিক এ এফিডেভিটের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দৈনিক খালিজ টাইমসে প্রতিবেদন করেন, আইএসআই’র সাবেক প্রধান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) ’৯১-এর নির্বাচনে তহবিল জোগান দিয়েছে। এ খবরটি বাংলাদেশে একটি প্রধানতম জাতীয় দৈনিক প্রকাশ করলে বিএনপির বিরুদ্ধে ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির কাছ থেকে টাকা খাওয়া’র অভিযোগে বক্তব্য দিতে শুরু করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ।
দূতাবাস হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুররানির বক্তব্য : গতকাল দ্য নিউজ-এর খবরে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ মার্চ দুররানির বক্তব্যের একটি অনুলিপি ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠায় পাকিস্তান সরকার। সেখান থেকে পরে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দলিলটি।
দ্য নিউজ-কে দেয়া এক মন্তব্যে বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাদেক খান বলেন, ‘সত্যিকারের এফিডেভিটটি দেখার পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ ব্যক্তিরা ইস্যুটিকে ধামাচাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।’
এর আগে বাংলাদেশে এমন খবর ও রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া শুরু হলে পাকিস্তান সরকার আইএসআই’র সাবেক প্রধানের এফিডেভিটে ‘অন্য কোনো দেশ’-এর প্রসঙ্গ থাকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নাকচ করে দেয়। আসাদ দুররানিও বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেন, তার বক্তব্যে বিএনপি অথবা অন্য কোনো বিদেশি সংস্থা বা ব্যক্তির প্রসঙ্গ নেই। এটা পুরোপুরি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের মামলা।
সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকারের আবেদনে ওই বক্তব্যের অনুলিপি পাঠায় পাকিস্তান।
আসাদ দুররানির বক্তব্যে যা আছে : পাকিস্তানের ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে আইএসআই’র তহবিলের অপব্যবহার করে দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও নেতাকে তহবিল জোগানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে দুররানিকে ডেকে পাঠায় সুপ্রিমকোর্ট। দুররানি ’৯১তে সংস্থাটির প্রধান ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে দুররানি দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও নেতাকে সংস্থা থেকে তহবিল জোগানোর কথা স্বীকার করেন।
খবরে বলা হয়, দুররানি পাকিস্তানের জাতিগত বালুচ জনগোষ্ঠীভিত্তিক দল বালুচ ন্যাশনাল পার্টিকে (Baluch National Party) তহবিল দেয়ার কথা স্বীকার করেন। তহবিলপ্রাপ্ত অন্যরা হচ্ছেন দেশটির প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন অংশের এবং কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের শীর্ষ নেতারা।
বাংলাদেশের রাজনীতি যেভাবে উত্তপ্ত হলো : দ্য নিউজ-এর খবরে বলা হয়, ভারতীয় সাংবাদিক ও বাংলাদেশের একটি প্রধান বাংলা দৈনিকের প্রতিনিধি দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীকে ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থা গত ২ মার্চ সংস্থাটির নয়াদিল্লি কার্যালয়ে ডেকে পাঠায়। পরে রায় চৌধুরীর লেখা একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক পত্রিকা খালিজ টাইমসে। পত্রিকাটির মালিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি। একইসঙ্গে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল-এর ভারতীয় সংস্করণেও প্রতিবেদনটি করেন দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী।
বাংলাদেশে দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী যে বাংলা দৈনিকটির প্রতিনিধি, সেই দৈনিক প্রথম আলোতেও প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ ব্যক্তিরা বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে এ প্রতিবেদনটি ব্যবহার করে আসছিলেন।
‘দুররানির সাক্ষ্যের অনুলিপি পাওয়া সম্ভব নয়’ : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, অবৈধ অর্থ লেনদেন নিয়ে আইএসআই’র সাবেক প্রধান আসাদ দুররানির পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টে দেয়া সাক্ষ্যের অনুলিপি পাবে না বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত গত ৩০ মার্চ দুররানির ওই সাক্ষ্যকে ‘ক্লাসিফায়েড’ বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে বলে গতকাল সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে জানান পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
ওই সাক্ষ্য ‘ক্লাসিফায়েড’ ঘোষিত হওয়ায় বাংলাদেশকে তা দেয়া হবে না।
গত ৮ মার্চ আদালত বলেছিল, ‘জাতীয় স্বার্থে এসব নথি কনফিডেন্সিয়াল হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।’
ডেপুটি হাইকমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের ওই আদেশের পর সাক্ষ্যের অনুলিপি পাওয়া সম্ভব নয়। এটা সাধারণের জন্য প্রকাশ না করার আগে আমরা এটা পাব না।’
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন