শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১২

চার বছরে ৩৪ লাখ কর্মসংস্থান কমেছে



জাহিদুল ইসলাম,আমারদেশ,০৮ এপ্রিল ২০১২ 
জনসংখ্যা বাড়ছে। বেকার বাড়ছে। বাড়ছে উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলেও সত্য, কমছে কর্মসংস্থান। নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা থাকলেও ঘটছে ঠিক উল্টোটি। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে দেশে গত চার বছরে কমে গেছে ৩৪ লাখ কর্মসংস্থান। ঘরে ঘরে চাকরি—সে তো আরও সোনার হরিণ। বরং চাকরির বাজারই দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। শিল্প খাতে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে আর বাড়ছে দক্ষ-আধাদক্ষ বেকারের সংখ্যা। এসব তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপের ফলাফলেও। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘শ্রমশক্তি জরিপ ২০১০’-এর (এলএফএস) ফলাফলে বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক খাতে বর্তমানে ৬৮ লাখ লোক কর্মরত রয়েছেন অথচ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এ খাতে কর্মসংস্থান ছিল ১ কোটি ২ লাখ লোকের। এই হিসাবে চার বছরে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৩৪ লাখ লোকের। শতকরা হিসাবে চার বছরে কর্মসংস্থান কমেছে ৩৩ দশমিক ৩৩ ভাগ।
একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা। গ্যাস-বিদ্যুত্সহ অবকাঠামো সমস্যার কারণে শিল্প-কারখানার উত্পাদনশীলতা কমছে আশঙ্কাজনক হারে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কারখানা স্থাপন করেও উদ্যোক্তারা গ্যাস ও বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়ায় তা চালু করতে পারছেন না। আবার অতিমাত্রায় ব্যাংক সুদের কারণে লাভের মুখ দেখতে না পেরে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে অবধারিতভাবেই চাকরি হারাচ্ছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী। আর তাতেই ভয়াবহভাবে কমছে শিল্প খাতে কর্মসংস্থান।
প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্ম হারানো এসব শ্রমিক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকেই শুধু পেটেভাতে কাজ করছেন। অনেকেই আবার কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। অনেকেই করছেন দিনমজুরের কাজ। সম্প্রতি বিদ্যুত্ ও গ্যাস সঙ্কট বেড়ে যাওয়ায় শিল্প খাতে অস্থিতিশীলতা আরও বেড়ে গেছে। ফলে বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শ্রম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা।
বিবিএসের হিসাবে সম্প্রতি কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর ও পেটেভাতে কাজ করা শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে অবৈতনিক পারিবারিক সহযোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ থেকে ১৫ লাখ বেড়ে বর্তমানে ১ কোটি ১৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২ কোটি ২৮ লাখ থেকে বেড়ে কৃষি, বনজ ও ফিশারি খাতে যুক্ত লোকজনের সংখ্যা ২৯ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখে। আর দিনমজুরের সংখ্যা ৮৬ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬ লাখে। এ সময় দিনমজুর বেড়েছে ২০ লাখ। সব মিলিয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭৩ লাখে। অথচ চার বছর আগে এ খাতে নিয়োজিতের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭২ লাখ। এ সময় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিক বেড়েছে ১ কোটি ১ লাখ।
এ ব্যাপারে বিবিএস মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা আমার দেশ-কে জানান, শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাতিষ্ঠানিক খাতের অন্তর্ভুক্ত। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বেতন দেয়া হয়। আর যেসব শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতায় না থেকে কাজ করেন, তারাই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক। তিনি জানান, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে সাধারণত বেতন দেয়া হয় না। সাইকেল মেরামত করার মিস্ত্রি, দিনমজুর এ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান কমে গেলে সার্বিক অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে—জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
বিবিএসের হিসাবে দিনমজুর ও বিনা বেতনে কাজ করা শ্রমিক হিসাবে ধরে বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে। সংস্থার সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৬ লাখ আর বেকারত্বের হার মাত্র সাড়ে চার শতাংশ। অন্যদিকে চার বছর আগে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২১ লাখ এবং বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এ হিসাবে চার বছরে বেকার লোকের সংখ্যা মাত্র ৫ লাখ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বিবিএস।
তবে বেকারের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সম্প্রতি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিভিন্ন সমস্যা বিরাজ করায় বিপুল সংখ্যক লোক বেকার হয়ে গেছে। দেশে বর্তমানে ৩ কোটির বেশি লোক বেকার রয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বিবিএসের জরিপ পদ্ধতি ও বেকারত্বের সংজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অর্থনৈতিকভাবে কর্মক্ষম কোনো ব্যক্তি সপ্তাহে মাত্র একঘণ্টা কাজ করলেই তাকে কর্মজীবী হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে বিবিএস। ‘গত সপ্তাহে আপনি কোনো কাজ করেছেন?’—জরিপ পরিচালনায় জড়িত কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে কেউ ইতিবাচক জবাব দিলেই তাকে কর্মজীবীর তালিকায় তুলে আনা হয়েছে। এ সময় কী কাজ করেছে, এ কাজের পারিশ্রমিক কত, তা জানতে চাওয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে। তবে বিশ্ব শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, সপ্তাহে একঘণ্টা কাজ করলে তাকে বেকার বলা যায় না বলে দাবি বিবিএস কর্মকর্তাদের।
দেশে অন্তত ৩ কোটি লোক বেকার রয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডরেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) এ কে আজাদ বলেন, প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ লোক নতুন করে কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ লোক কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে পাড়ি জমায় আর ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয় বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কিছু লোকের কর্মসংস্থান হলেও প্রতি বছর অন্তত ১০ লাখ লোক বেকার থেকে যায়। দেশে বর্তমানে কমপক্ষে ৩ কোটি লোক বেকার রয়েছে বলে জানান এ কে আজাদ।
ধেয়ে আসছে বেকারত্ব ও শ্রম অসন্তোষ : সম্প্রতি দেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিদ্যুত্ ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে শিল্প উত্পাদনে ধস নেমেছে। ব্যাংক সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ দেখতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে বাধ্য হয়ে তারা এসব কলকারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে শ্রমিকরা বেকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ফলে শ্রম অসন্তোষ দেখা দিতে পারে বলে উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা।
জানা যায়, প্রতিদিনই দেশে চালু কলকারখানার সংখ্যা কমছে। ২০০৮ সালে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬০৮। সর্বশেষ তালিকায় বিজিএমইএ’র প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নেমে এসেছে ৩ হাজার ২৬০টিতে। এ সময় গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে ২ হাজার ৩৪২টি।
একই সময়ে নিটওয়্যার কারখানাও বন্ধ হয়ে গেছে হাজার খানেক। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার ৭৬৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে ৭৭০টি চালু রয়েছে। অব্যাহত লোকসানের মুখে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
মোহাম্মদ হাতেম আমার দেশ-কে বলেন, অনেকেই বিপুল ঝুঁকি নিয়ে কারখানা চালু রাখছেন। কারণ বিদ্যুত্ সঙ্কটের কারণে নিট কারখানা দৈনিক ৬ ঘণ্টাও চালু রাখা যায় না। আর ডাইংসহ অন্যান্য মিলের উত্পাদনশীলতাও অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় মিল চালিয়ে লাভের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তার ওপর ব্যাংক ঋণে বেশি সুদ হারের কারণে লাভের পরিবর্তে লোকসান হচ্ছে। শ্রম অসন্তোষের ভয়ে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে ব্যবসা বন্ধ করতে পারছেন না বলে তিনি জানান।
এদিকে টেক্সটাইল খাতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ না হলেও প্রায় সবক’টি প্রতিষ্ঠানের উত্পাদনশীলতা অর্ধেকে নেমে এসেছে। টেক্সটাইল খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও বিশাল লোকসানের দায় নিয়ে ধুঁকছে বলে জানায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন বলেছেন, বিদ্যুত্, গ্যাস সঙ্কট, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের বিপুল সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, অবকাঠামো সমস্যার কারণে টেক্সটাইল খাতে উত্পাদন অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। তাছাড়া বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সুতা ও কাপড় আমদানি এবং ভারতের তুলা আগ্রাসনের কারণেও টেক্সটাইল খাত হুমকিতে রয়েছে বলে তিনি জানান।
শিল্প খাতে অস্থিরতার কারণে শ্রম অসন্তোষ বাড়তে পারে বলে উদ্যোক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান এস কে মাসাদুল আলম মাসুদ বলেন, গ্যাস সঙ্কটের কারণে এমনিতেই দিনের বেলায় কারখানা বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় সরকারি সিদ্ধান্তে রাতেও কারখানা বন্ধ রাখলে উত্পাদন অনেক কমে যাবে। তিনি বলেন, অনেক কারখানায় তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা কাজ করা হয়। এর মধ্যে গ্যাস ও লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণত মিল চলে ১৮ ঘণ্টা। এর মধ্যে সরকারি সিদ্ধান্তে ১২ ঘণ্টা মিল বন্ধ রাখলে উত্পাদন চলবে মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই উদ্যোক্তারা শ্রমিক ছাঁটাই করতে বাধ্য হন। আর যারা দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে কাজ করেন, তারাও কাজ হারাবেন। ফলে শ্রমিক অসন্তোষসহ অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, বিশ্বমন্দার কারণে আমাদের রফতানি বাণিজ্য এমনিতেই মন্দা অবস্থার মধ্যে চলছে। আমাদের পণ্যের প্রধান বাজার ইউরোপে মন্দা চলছে, আমেরিকায় চলছে মন্দা-উত্তরণ পর্ব। ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কমছে। এ অবস্থায় অবকাঠামো সঙ্কটের কারণে উত্পাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় শিল্প উদ্যোক্তারা বেকায়দায় পড়েছেন।
তিনি বলেন, রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক লোক জড়িত। অথচ সরকার এ খাতের প্রতিষ্ঠানকে ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধসের পাশাপাশি বেকার সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাছাড়া শিল্প-কারখানায় ১২ ঘণ্টা উত্পাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ থেকে রফতানিমুখী শিল্পকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করেন সালাম মুর্শেদী।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল—দেশে ২ কোটি ৮০ লাখ বেকার লোক রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে তা ২ কোটির নিচে নামিয়ে আনা হবে। এর অংশ হিসেবে ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল মহাজোটের পক্ষ থেকে। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই এর সবকিছু ভুলে যায় আওয়ামী লীগ। চলতি অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দেশে বেকারের সংখ্যা মাত্র ২৫ লাখ। মাত্র তিন বছরের মাথায় দেশে ২ কোটির বেশি বেকার কমে যাওয়ার পরিসংখ্যানকে সংখ্যাতাত্ত্বিক প্রতারণা বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads