অলিউল্লাহ নোমান
একটি ব্রেকিং নিউজের অপেক্ষায় পুরো জাতি। পুরো জাতি উদগ্রীব হয়ে আছে সেই ব্রেকিং নিউজটি কখন প্রচারিত হবে বা আদৌ সেটি প্রচার হবে কি না—এ নিয়ে সংশয়, উদ্বেগ, উত্কণ্ঠা, আতঙ্কও বিরাজ করছে মানুষের মধ্যে।
গত বুধবার ভোর থেকে দেশ-বিদেশের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের ফোন আসছে। প্রশ্ন একটাই—বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর ভাগ্যে কী ঘটেছে? কেউ কেউ ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ বলছেন, একটা ব্রেকিং নিউজ কি আমরা টেলিভিশন স্ক্রলে দেখতে পাব না! আর সেই ব্রেকিং নিউজটা হচ্ছে ইলিয়াস আলীকে পাওয়া গেছে। তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছেন। এমন একটা নিউজ কখন প্রচারিত হবে, সেটা জানতে চান অনেকে।
সিলেটের মানুষের প্রিয় নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে বনানীর দুই নম্বর সড়ক থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর গুম। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। গুমের খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে সিলেট বিভাগজুড়ে। দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সিলেট বিভাগে গত বৃহস্পতিবার স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালনের মধ্যে দিয়ে।
যে যার মতো করে নেমে আসে রাস্তায়। আজ থেকে আবার শুরু হচ্ছে সিলেট বিভাগে দুই দিনব্যাপী হরতাল। বৃহস্পতিবারের হরতালে রাজপথে নেমে এসেছিল সিলেটের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিশেষ করে গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাস্তায় এসেছিল লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে। তাদের প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীকে অপহরণের পর গুম করা হয়েছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ। সবারই দাবি একটা, ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দাও। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেতে চাই।
সিলেটের মানুষের প্রশ্ন, দেশপ্রেম কী একজন নাগরিকের অপরাধ! রাজনীতিবিদের কাজই হচ্ছে দেশের স্বার্থে কথা বলা। দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই রাজনীতিবিদের প্রধান দায়িত্ব। ইলিয়াস আলী সেই কাজটিই করছেন সিলেটে বিভাগজুড়ে। সবাই বিশ্বাস করেন ইলিয়াছ আলীর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল দেশপ্রেমের অগ্নী পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন রাজনীতিবিদ তিনি। বিশেষ করে সিলেটের প্রাণ সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর উজানে ভারতের টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে সিলেটবাসীকে তিনি জাগিয়ে তুলেছিলেন। টিপাইমুখবিরোধী আন্দোলনে সিলেটের মানুষ দলমত নির্বিশেষে সবাই ছিল ঐক্যবদ্ধ। এ আন্দোলনেরই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এম ইলিয়াছ আলী। এছাড়া সিলেটের জৈন্তা সীমান্তে ভারত বাংলাদেশের জমি দখল করতে চেয়েছিল। ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের জমি দখলের প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল সীমান্তের মানুষ। সেই আন্দোলনেও প্রাণ পুরুষ এম ইলিয়াস আলী। ভারতীয় আগ্রাসী তত্পরতার বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত করে তিনি জাগিয়ে তুলছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী রাজনীতি করছেন। এ বিশ্বাসে তিনি অটল রয়েছেন নানা ঘাত-প্রতিঘাতকে উপেক্ষা করে। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে দৃঢ় অবস্থানের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে থেকেছেন আপসহীন। বারবার এরশাদ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এরপরও তিনি আপস করেননি নিজের বিশ্বাস ও আদর্শের বিরুদ্ধে। বিশ্বাস ও আদর্শে অটুট থেকেছেন জীবনের অনেক কঠিন সময়ে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দীনের শাসনামলে অনেক রাজনীতিবিদ আপস করেছেন। এম ইলিয়াস আলী আপস করেননি। বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও তিনি স্বোচ্ছার। যে কারণে মানুষ তাকে গ্রহণ করে প্রিয় নেতা হিসেবে। বর্তমানে সিলেট বিভাগে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার নেতৃত্ব অপ্রতিরোধ্য। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
সিলেট বিভাগজুড়ে সাধারণ মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছেন, কখন পাওয়া যাবে তাদের প্রিয় নেতাকে। কখন শুনবেন সেই ব্রেকিং নিউজ, ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা দিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে কীভাবে ইলিয়াস আলী অপহরণ হয়েছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ইলিয়াস আলীর গাড়িটিকে পেছন থেকে সজোরে আরেকটি গাড়ি ধাক্কা দিলে বিকট শব্দ হয়। রাতের এই বিকট শব্দে অনেকেই রাস্তায় কী ঘটেছে তাকিয়ে দেখেছেন। পাশের একটি ভবনের প্রহরী টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ইলিয়াস আলীর গাড়িটিকে ধাক্কার বিকট শব্দের পর তাকিয়ে দেখেছেন দুই পাশে দুটি পিকআপ ছিল। পেছনে একটি মাইক্রোও দাঁড়ানো দেখতে পেয়েছেন। এতেই স্পষ্ট কারা এম ইলিয়াস আলীর মতো একজন দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক নেতাকে অপহরণের পর গুম করেছে।
গত বুধবার ভোর থেকে দেশ-বিদেশের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের ফোন আসছে। প্রশ্ন একটাই—বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর ভাগ্যে কী ঘটেছে? কেউ কেউ ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। কেউ কেউ বলছেন, একটা ব্রেকিং নিউজ কি আমরা টেলিভিশন স্ক্রলে দেখতে পাব না! আর সেই ব্রেকিং নিউজটা হচ্ছে ইলিয়াস আলীকে পাওয়া গেছে। তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছেন। এমন একটা নিউজ কখন প্রচারিত হবে, সেটা জানতে চান অনেকে।
সিলেটের মানুষের প্রিয় নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে বনানীর দুই নম্বর সড়ক থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর গুম। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। গুমের খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠে সিলেট বিভাগজুড়ে। দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সিলেট বিভাগে গত বৃহস্পতিবার স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালনের মধ্যে দিয়ে।
যে যার মতো করে নেমে আসে রাস্তায়। আজ থেকে আবার শুরু হচ্ছে সিলেট বিভাগে দুই দিনব্যাপী হরতাল। বৃহস্পতিবারের হরতালে রাজপথে নেমে এসেছিল সিলেটের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিশেষ করে গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাস্তায় এসেছিল লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে। তাদের প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীকে অপহরণের পর গুম করা হয়েছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ। সবারই দাবি একটা, ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দাও। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেতে চাই।
সিলেটের মানুষের প্রশ্ন, দেশপ্রেম কী একজন নাগরিকের অপরাধ! রাজনীতিবিদের কাজই হচ্ছে দেশের স্বার্থে কথা বলা। দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করাই রাজনীতিবিদের প্রধান দায়িত্ব। ইলিয়াস আলী সেই কাজটিই করছেন সিলেটে বিভাগজুড়ে। সবাই বিশ্বাস করেন ইলিয়াছ আলীর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল দেশপ্রেমের অগ্নী পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন রাজনীতিবিদ তিনি। বিশেষ করে সিলেটের প্রাণ সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর উজানে ভারতের টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে সিলেটবাসীকে তিনি জাগিয়ে তুলেছিলেন। টিপাইমুখবিরোধী আন্দোলনে সিলেটের মানুষ দলমত নির্বিশেষে সবাই ছিল ঐক্যবদ্ধ। এ আন্দোলনেরই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এম ইলিয়াছ আলী। এছাড়া সিলেটের জৈন্তা সীমান্তে ভারত বাংলাদেশের জমি দখল করতে চেয়েছিল। ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের জমি দখলের প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল সীমান্তের মানুষ। সেই আন্দোলনেও প্রাণ পুরুষ এম ইলিয়াস আলী। ভারতীয় আগ্রাসী তত্পরতার বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত করে তিনি জাগিয়ে তুলছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী রাজনীতি করছেন। এ বিশ্বাসে তিনি অটল রয়েছেন নানা ঘাত-প্রতিঘাতকে উপেক্ষা করে। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে দৃঢ় অবস্থানের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে থেকেছেন আপসহীন। বারবার এরশাদ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এরপরও তিনি আপস করেননি নিজের বিশ্বাস ও আদর্শের বিরুদ্ধে। বিশ্বাস ও আদর্শে অটুট থেকেছেন জীবনের অনেক কঠিন সময়ে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দীনের শাসনামলে অনেক রাজনীতিবিদ আপস করেছেন। এম ইলিয়াস আলী আপস করেননি। বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও তিনি স্বোচ্ছার। যে কারণে মানুষ তাকে গ্রহণ করে প্রিয় নেতা হিসেবে। বর্তমানে সিলেট বিভাগে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার নেতৃত্ব অপ্রতিরোধ্য। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
সিলেট বিভাগজুড়ে সাধারণ মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছেন, কখন পাওয়া যাবে তাদের প্রিয় নেতাকে। কখন শুনবেন সেই ব্রেকিং নিউজ, ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা দিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে কীভাবে ইলিয়াস আলী অপহরণ হয়েছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ইলিয়াস আলীর গাড়িটিকে পেছন থেকে সজোরে আরেকটি গাড়ি ধাক্কা দিলে বিকট শব্দ হয়। রাতের এই বিকট শব্দে অনেকেই রাস্তায় কী ঘটেছে তাকিয়ে দেখেছেন। পাশের একটি ভবনের প্রহরী টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ইলিয়াস আলীর গাড়িটিকে ধাক্কার বিকট শব্দের পর তাকিয়ে দেখেছেন দুই পাশে দুটি পিকআপ ছিল। পেছনে একটি মাইক্রোও দাঁড়ানো দেখতে পেয়েছেন। এতেই স্পষ্ট কারা এম ইলিয়াস আলীর মতো একজন দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক নেতাকে অপহরণের পর গুম করেছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন