ঢাকা, ৫ এপ্রিল: বিদেশে অর্থপাচার মামলায় জেরার সময় সঠিক কোনো তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে পারেনি সাক্ষী আলিমুজ্জামান। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ মামুন ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী খোন্দকার মাহবুব হোসেনের জেরার জবাবে সাক্ষী বলেন, তিনি ডকুমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য উপাত্ত নেই।
সাক্ষী জেরার জবাবে আরো বলেন, কোন টেলিফোনে এবং কখন কিভাবে মামুন খাদিজার প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করেন করেন তার বিষয়ে কোনো তথ্য বা প্রমাণ নেই। তিনি বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট প্রদান করেন। বিদেশে যে অর্থপাচার হয়েছে তার সম্পর্কেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি উল্লেখ করেন অন্য একটি মামলায় মামুনের দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তিনি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করেন। মামুন যে তারেকের বন্ধু এ বিষয়টি তিনি শোনা কথার উপর ভিত্তি করে উল্লেখ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর গুলশান থানায় এ মামলা দায়েরের সময় আলিমুজ্জামান ডিবিতে কর্মরত ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমশিনরে (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন।
উল্লেখ্য, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালদো জিয়ার ছেলে তারের রহমানের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তার বন্ধু মামুন অবৈধভাবে অর্থ নেন। মামুনের মাধ্যমে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদশে থেকে বিভিন্ন পথে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেন তারেক রহমান। ওই অর্থের মধ্যে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক এর একটি শাখায় ওই মামুনরে ব্যাংক হিসাবে সাত লাখ ৫০ হাজার ডলার জমা করা হয়।
মামুনের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আংশিক জেরার এক পর্যায়ে বাকি জেরার জন্য সময় চাইলে আদলতের বিচারক মো. মোজাম্মেল হোসেন তা মঞ্জুর করে বাকি জেরার জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন