সৌদি সরকার বলেছে, ঢাকায় তাদের কূটনীতিক খালাফ আল আলি খুন হওয়ার পর প্রায় এক মাস কেটে গেলেও খুনের মামলাটির অগ্রগতিতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, খুনের মামলাটির কিনারা না হলে সৌদি অভিবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের নিয়ে সঙ্কট শুরু হতে পারে।
খুন তদন্তে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাউদ্দিন আল আসকারি গতকাল আরব নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এখনও কাউকে গ্রেফতার বা মামলাটিতে সন্দেহভাজন কারও নাম বলতে পারেনি।’
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার এডিসি মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলি হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে আট সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে।
আরব নিউজকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, ‘খুনিদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশের পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির পুলিশের যেন দেয়ার কিছুই নেই। কারা খুনি, খুনের পেছনে কী অভিসন্ধি ছিল—এসব ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো জবাবই নেই।’
অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গত ৬ মার্চ রাতে ঢাকার গুলশানে সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলিকে গুলি করে। আল আলি দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসের কনুসলার বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে মুমূর্ষু অবস্থায় শহরের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনীতিক হত্যার এ তদন্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য সৌদি কর্মকর্তাদের চার সদস্যের একটি দলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
প্রতিনিধি দলে কারা রয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের নিয়ে দলটি গঠন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে অপরাধীদের শনাক্ত করা ও তাদের আইনের আওতায় আনা।’
আরব নিউজ জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত ২১ মার্চ রিয়াদ সফর করে সৌদি সরকারকে জানান খুনের তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, তদন্তে কোনো কিছুই বাদ যাবে না এবং কোনো সম্ভাবনাই অবহেলা করা হবে না। ‘কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতিই অর্জন হয়নি’— গতকাল একথা বললেন সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আল আসকারি বলেন, এ জঘন্য অপরাধের পেছনে থাকা ব্যক্তিদের ধরার জন্য বাংলাদেশের পুলিশের প্রচেষ্টার মাত্রা বাড়ানো উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুনের মামলাটির কিনার করার জন্য তিনি বাংলাদেশকে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশী অভিবাসীদের নিয়ে সঙ্কট : আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশী নাগরিক সৌদি আরবে কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ সৌদি আরব। বাংলাদেশ সরকার যদি সংক্ষিপ্ত সময়ে আল আলির খুনিদের শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় তবে ২০ লাখ বাংলাদেশী অভিবাসীকে কেন্দ্র করে সত্যিকারের সঙ্কট শুরু হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ খুবই অপরাধপ্রবণ ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে।
পত্রিকাটি মন্তব্য করে, সম্প্রতি বাংলাদেশ খুব অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়েছে। মাস দুয়েক আগে দু’জন সুপরিচিত টিভি সাংবাদিক রাজধানী ঢাকায় তাদের নিজ বাসায় খুন হয়েছেন। কিন্তু এখনও সেই খুনের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে এখন নানা ধরনের অপরাধ হচ্ছে। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ অপরাধে রয়েছে মাদক পাচার, খুন, মুদ্রা পাচার, চাঁদাবাজি ও প্রতারণা। অন্যান্য অপরাধের মধ্যে রয়েছে মানব পাচার, দুর্নীতি, কালোবাজারি, রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও অপহরণ।
একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোতে উত্পাদিত মাদক পাচারের প্রধানতম রুট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা আইএনসিবি’র সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপে মাদক পাচারের সবচেয়ে প্রধান রুট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
সৌদি তদন্ত দল ঢাকায় : সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলি হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে আট সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার এডিসি মাসুদুর রহমান একথা জানান। তিনি জানান, খালাফের হত্যা তদন্ত করতে সকালে সৌদি এয়ারলাইনসে সৌদি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। আট সদস্যের এ দলে সৌদি পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
তদন্ত দলটি ঢাকায় তিন থেকে চার দিন থাকবে এবং খালাফ হত্যাকাণ্ড তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবে। এ তদন্ত দল ডিএমপির সহযোগিতা নেবে বলেও জানান এডিসি মাসুদুর রহমান।
খুন তদন্তে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাউদ্দিন আল আসকারি গতকাল আরব নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এখনও কাউকে গ্রেফতার বা মামলাটিতে সন্দেহভাজন কারও নাম বলতে পারেনি।’
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার এডিসি মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলি হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে আট সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে।
আরব নিউজকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, ‘খুনিদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশের পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির পুলিশের যেন দেয়ার কিছুই নেই। কারা খুনি, খুনের পেছনে কী অভিসন্ধি ছিল—এসব ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো জবাবই নেই।’
অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গত ৬ মার্চ রাতে ঢাকার গুলশানে সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলিকে গুলি করে। আল আলি দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসের কনুসলার বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে মুমূর্ষু অবস্থায় শহরের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনীতিক হত্যার এ তদন্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য সৌদি কর্মকর্তাদের চার সদস্যের একটি দলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
প্রতিনিধি দলে কারা রয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের নিয়ে দলটি গঠন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে অপরাধীদের শনাক্ত করা ও তাদের আইনের আওতায় আনা।’
আরব নিউজ জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত ২১ মার্চ রিয়াদ সফর করে সৌদি সরকারকে জানান খুনের তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, তদন্তে কোনো কিছুই বাদ যাবে না এবং কোনো সম্ভাবনাই অবহেলা করা হবে না। ‘কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতিই অর্জন হয়নি’— গতকাল একথা বললেন সৌদি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আল আসকারি বলেন, এ জঘন্য অপরাধের পেছনে থাকা ব্যক্তিদের ধরার জন্য বাংলাদেশের পুলিশের প্রচেষ্টার মাত্রা বাড়ানো উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুনের মামলাটির কিনার করার জন্য তিনি বাংলাদেশকে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশী অভিবাসীদের নিয়ে সঙ্কট : আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশী নাগরিক সৌদি আরবে কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ সৌদি আরব। বাংলাদেশ সরকার যদি সংক্ষিপ্ত সময়ে আল আলির খুনিদের শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় তবে ২০ লাখ বাংলাদেশী অভিবাসীকে কেন্দ্র করে সত্যিকারের সঙ্কট শুরু হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ খুবই অপরাধপ্রবণ ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে।
পত্রিকাটি মন্তব্য করে, সম্প্রতি বাংলাদেশ খুব অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়েছে। মাস দুয়েক আগে দু’জন সুপরিচিত টিভি সাংবাদিক রাজধানী ঢাকায় তাদের নিজ বাসায় খুন হয়েছেন। কিন্তু এখনও সেই খুনের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে এখন নানা ধরনের অপরাধ হচ্ছে। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ অপরাধে রয়েছে মাদক পাচার, খুন, মুদ্রা পাচার, চাঁদাবাজি ও প্রতারণা। অন্যান্য অপরাধের মধ্যে রয়েছে মানব পাচার, দুর্নীতি, কালোবাজারি, রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও অপহরণ।
একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোতে উত্পাদিত মাদক পাচারের প্রধানতম রুট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা আইএনসিবি’র সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপে মাদক পাচারের সবচেয়ে প্রধান রুট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
সৌদি তদন্ত দল ঢাকায় : সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলি হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে আট সদস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার এডিসি মাসুদুর রহমান একথা জানান। তিনি জানান, খালাফের হত্যা তদন্ত করতে সকালে সৌদি এয়ারলাইনসে সৌদি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। আট সদস্যের এ দলে সৌদি পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
তদন্ত দলটি ঢাকায় তিন থেকে চার দিন থাকবে এবং খালাফ হত্যাকাণ্ড তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবে। এ তদন্ত দল ডিএমপির সহযোগিতা নেবে বলেও জানান এডিসি মাসুদুর রহমান।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন