শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বর্তমান বাংলাদেশ : বিবিধ প্রসঙ্গ



বর্তমান বাংলাদেশকে একটি স্বচ্ছল ও পরিণত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বললে অত্যুক্তি হয়ে যাবে। কেননা সেটি বলার মতো অনুকূল বাস্তবতা আমাদের সামনে নেই। নববইয়ের সূচনালগ্নে স্বৈরতন্ত্র-উত্তরকাল থেকে অদ্যাবধি গণতন্ত্রের লেবাসধারী শাসকবর্গ এদেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত মজবুত করতে সক্ষম হয়নি। অধিকন্তু তাদের বিভীষণ রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ তথা পক্ষ-প্রতিপক্ষের মধ্যে সংঘটিত হানাহানি ও দলাদলি এবং জিঘাংসার রাজনীতির ফলে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনার আলোটুকুও নৈরাশ্যের কালো বাতাবরণে ছেয়ে ফেলেছে। এদেশের সাধারণ জনগণের দু'মুঠো ভাত খেয়ে শান্তিতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ও আশাকে তারা ক্ষত-বিক্ষত করে যাচ্ছে। তাদের ভয়ঙ্কর ক্ষমতামুখী রাজনীতির চর্চায় এদেশের মানুষের জীবনমান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রসরমানতা স্থবির হয়ে পড়েছে। একান্ত বা দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থের কবলে গৌণ হয়ে পড়েছে জনগণের দাবি-দাওয়া ও আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি। সুযোগ্য নতুন জনমুখী জাতীয় দল বা নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ার সুযোগে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল সময়ের পালাবদলে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। এ কথা বললে ভুল হবে না যে, দল দুটি তাদের ইচ্ছেমতো এদেশটাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মুমূর্ষু বানিয়ে ছেড়েছে। প্রত্যেকটি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরপরই ভুলে যায় তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা এবং জনগণের প্রতি তাদের অপরিহার্য দায়বদ্ধতার ব্যাপারটিও তারা মনে রাখার চেষ্টা করে না। আমাদের চরম দুর্ভাগ্য হলো, একাত্তরে পরাধীন ও শোষণকবলিত এই পুরো দেশ-জাতির মুক্তি ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং স্বায়ত্তশাসন কায়েমের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করলেও আমাদের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক মুক্তি আদৌ মেলেনি। অথচ বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীনতা অর্জনকৃত দেশসমূহ তাদের জাতীয় উন্নয়নের ধারা ক্রমান্বয়ে বেগবান করে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করছে। এটা সম্ভব হয়েছে তাদের প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যের কারণেই; কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশপ্রেমে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাটা ও নির্জীবতা লক্ষণীয়। নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা বিশেষ করে চরম রাজনৈতিক বিভক্তি ও অস্থিরতার কারণে জাতীয় সংহতি ও ঐক্য গড়ে তুলতে আমরা বারংবার ব্যর্থ হচ্ছি।    
যাই হোক, দেশের বর্তমান আইনশৃক্মখলার পরিস্থিতি ভয়ানক অবস্থায় রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাত্রা যেমন সীমা ছাড়িয়ে গেছে, তেমনি সামাজিক অবকাঠামো ও মূল্যবোধের অধোগতিও সমান্তরাল। প্রকৃত অবস্থা এমনই যে, রাজনীতির ময়দান আর শিক্ষাঙ্গন একাকার হয়ে গেছে। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিকীকরণের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ ছাত্রসমাজকে রাজনৈতিক দ্বেষাদ্বেষি ও কাটাকাটির মধ্যে ফেলে দিয়ে তাদের আদর্শ ও মন-মানসিকতাকে বিভক্ত বা কলুষিত করে তাদের চির সর্বনাশ ডেকে আনা হচ্ছে। যার পরিণামে আজ একজন ছাত্রকে তার দলের স্বার্থে পিস্তল, রামদা ইত্যাদি হাতে তুলে নিতে হয় এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসী ও খুনি হিসেবে সে চিহ্নিত হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে ক্ষমতাসীন সরকারের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্য দিবালোকে অত্যন্ত নৃশংসভাবে নিরীহ দর্জি বিশ্বজিতকে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। তারচেয়েও ভয়ঙ্কর হচ্ছে সরকার তার দলীয় সেই খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আমরা এই শাসনামলে আরো দেখেছি, রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে অনৈতিকভাবে অনেক ফাঁসি ও কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে রাজনৈতিক পরিচয়ে ক্ষমা প্রদর্শন করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনো অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে সাজার মেয়াদকাল শেষ হবার আগেই আওয়ামী লীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের জেল থেকে মুক্তি দেয়ার খবর পত্রপত্রিকায় আসছে। এভাবেই আইনের শাসন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এই দেশে। সরকারি দলের লোকদের হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে, অথচ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার তো দূরের কথা, বরং তাদেরকে সাজানো মামলায় একের পর জেলে ঢোকানো হচ্ছে। তাছাড়া বিরোধী দল ও বিরোধী মতের প্রতি সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ তো আছেই। সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করে এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক, প্রতিবাদী ও সত্যবাদী কলামিস্ট মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে জেল খাটিয়ে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনী যুদ্ধ ঘোষণা করে এই সরকার জানান দিয়েছে তারা সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এভাবেই বাকস্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করে সরকার কার্যত ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় পূর্ণভাবে উপনীত হয়েছে।
আমাদের এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাও অনিশ্চিত। এই ব্যর্থ সরকার তার জনগণকে নিরাপত্তা দিতে অক্ষম, বরং দেশে খুন, ধর্ষণ, গুম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মহামারী আকার ধারণ করেছে। সন্ত্রাস নির্মূলের অস্ত্র বা প্রতিষেধক হলো সুশাসন। যখন সন্ত্রাসের ঘটনা অব্যাহতভাবে ঘটতে থাকে তখন উপলব্ধি করা যায় রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসনের অভাব প্রকট। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না থাকলে মানবাধিকারও হয়ে পড়ে অরক্ষিত। আমাদের সংবিধানে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে দেশে-এ অভিযোগ দেশের ১৯টি মানবাধিকার সংগঠনের জোট ‘হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ'-এর। উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগের ‘নির্বাচনী ইশতেহার-২০০৮'-এ বেশ গুরুত্বের সাথেই সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল সুস্পষ্টভাবে। বলা হয়েছিল, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা হবে কঠোরভাবে। কিন্তু গত ৪ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বিরামহীনভাবে চলছে। একের পর এক মানুষ গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছে। বিএসএফ কর্তৃক প্রায়ই মানুষ হত্যার ঘটনা সীমান্তপারেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ৪ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে ৪৬২ জন নাগরিক। এসব ঘটনার সঙ্গে আইন-শৃক্মখলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের জড়িত থাকার খবর রয়েছে। এ সময়ে গুম হয়েছে ১৫৬ জন নাগরিক। এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গুমের ঘটনায় আইন-শৃক্মখলা বাহিনীর জড়িত থাকাকে মানবাধিকারকর্মীরা সুস্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছেন। একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য এমন চিত্র খুবই দুঃখজনক। এ কারণেই বলতে হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হলেই কোনো সরকার গণতান্ত্রিক হয়ে যায় না। গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজন পরমত সহিষ্ণুতা, আদর্শনিষ্ঠা ও নৈতিক শক্তি। বর্তমান সময়ে আমরা এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর বদলে ক্ষমতামুখী রাজনীতির চর্চা লক্ষ্য করছি। তাই তো স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও জনমনে আক্ষেপের সুর-আমাদের গণতন্ত্র আর কতদূর!
জনগণের পরমারাধ্য গণতন্ত্রের পূর্ণ বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায় দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিকের ওপর। আর সরকারকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে এবং বিরোধী দলের প্রতি রূঢ় মনোভাব পরিহার করে তাদেরকে দেশ পরিচালনায় সহযোগী শক্তি মনে করতে হবে। সরকারই পারে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সমুজ্জ্বল করে এক যুগপৎ ইতিবাচক রাজনৈতিক পরির্তন ঘটাতে। অন্যথায় সরকারের আচার-আচরণে যদি পরমত-সহিষ্ণুতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিপরীত চরিত্র লক্ষ্য করা যায়, তখন বিরোধী দলের সাথে তাদের দূরত্বের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং সংঘাত ও বিরোধের সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় বিরোধীদলের বিরোধিতা ও অসহযোগিতার কারণে সরকার অনেক সময় নির্বাচনী ইশতেহার ও সাংবিধানিক দায়-দায়িত্বের কথা ভুলে গিয়ে দমন-পীড়নের কাজেই মনোযোগী হয়ে পড়ে। এমন প্রবণতায় তারা যে কখন ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে তা হয়তো উপলব্ধিও করতে পারে না। এমন অবস্থায় সরকারের প্রতি জনসমর্থন হ্রাস পেতে থাকে। গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সূত্রে সরকার হয়তো সে বার্তা পেয়েও যায়। তখন দলীয় ঘরানার লোকজন ও ক্যাডারদের উপর সরকারের নির্ভরশীলতা বাড়তে থাকে। দলীয় ঘরানার লোকদের সমর্থন অটুট রাখতে তাদের জন্য শুধু যে সুযোগ-সুবিধার মাত্রা বাড়তে থাকে তা-ই নয়, বরং তাদের অন্যায়-অবিচার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিও থাকে সরকারের প্রশ্রয়ের দৃষ্টিভঙ্গি। এ অবস্থায় বিরোধী দলের লোকজন ও সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষেত্রেই সুবিচার থেকে হয় বঞ্চিত। অথচ গণতন্ত্রের সরকার কোনো নির্দিষ্ট দলের নয়, দল-মত নির্বিশেষে সবারই।
আমাদের দেশ এখন এক গভীর রাজনৈতিক সংকটকাল পার করছে। বিশেষত নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চরম বিরোধ চলমান। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐক্য খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। বিরোধী দলকে আমলে না নিয়ে সরকারের ‘একলা চলো' নীতি অবশ্যই আত্মঘাতী বলতে হবে। রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি না হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যও গঠন অসম্ভব। আজকে দেশ ও জনগণের সার্বিক স্বার্থে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার আবহ সৃষ্টি হওয়া এবং একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে উভয় দলের আন্তরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া অতি প্রয়োজন। তানাহলে আমাদের দেশ আবারো অজানা ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হতে পারে, কারণ বলা তো যায় না ওয়ান ইলেভেনের প্রেতাত্মা কখন যে হানা দিয়ে বসে। এ দেশ যদি আবার কোনো অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক শক্তির কবলে পড়ে তখন আমাদের আর উপায় থাকবে না। জানি এ কথাটি উভয় দলই অনুধাবন করতে পারছে, কিন্তু রাজনৈতিক ঐক্যের প্রশ্নে তারা এখনো দ্বিধাদ্বনেদ্ব ভুগছেন বলেই আমার মনে হয়। আসলে মূল কথা হলো, বিরোধী দলের সাথে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা ইস্যুতে সরকারেরই উচিত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আলোচনা ও সংলাপের আয়োজন করা। অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলের সঙ্গে সরকার আলাপ-আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক-এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিরোধী দলেরও উচিত হবে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনায় বসা। তবে আমি মনে করি আলোচনা ও সংলাপের পরিবেশ সরকারকেই আগে তৈরি করতে হবে। এজন্য সরকারকে চাপে রাখতে বিরোধী দলের দূরদর্শী ও কার্যকর ভূমিকাও কাম্য। সরকারের মেয়াদ অন্তিমে এসে দাঁড়িয়েছে, যেটুকু সময় আছে সেটা কাজে না লাগালে আখেরে সরকারই নিজে বিপদে পড়বে। সময় থাকতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার প্রস্তুতিমূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে সরকারকে, কেননা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সে নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ফলস্বরূপ বিরোধী দলবিহীন সেই একতরফা নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য তো হবেই না, বরং গণ-আন্দোলনের মুখে সরকারের পদত্যাগ ভিন্ন আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। তাছাড়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষেই জনমতের পাল্লা ভারী। সুতরাং দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন হওয়ার পথ সুগম করে দিলে সেটা বর্তমান সরকারের একটি প্রশংসনীয় কর্ম হিসেবে সর্বমহলে বিবেচিত হবে।  
লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক ও সহসম্পাদক, মাসিক দেশজগত।
Email : tareqislampt@gmail.com      

1 টি মন্তব্য:

  1. এই কলামের লেখকের নাম উল্লেখ অবশ্যই এই ব্লগের অ্যাডমিনের নৈতিক কর্তব্য ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অ্যাডমিন তা করেননি। এই কলামটির লেখকের নাম তারেকুল ইসলাম। আশা করি, অ্যাডমিন ঠিক করে দেবেন।

    উত্তরমুছুন

Ads