আলফাজ আনাম
আগুন দেয়ার এ ঘটনার আগে পুলিশ ও ছাত্রলীগকর্মীরা একসাথে বিরোধী দলের কর্মীদের নয়া দিগন্ত অফিসের আশপাশের অলিগলিতে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে কিছু তরুণ অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগে অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। মতিঝিলের অফিসে আগুন দেয়ার দুই ঘণ্টা পর জুরাইনে নয়া দিগন্তের প্রেসে অস্ত্রধারী তরুণেরা এসে আগুন দেয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় সুপরিকল্পিতভাবে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ আগুন দেয়া হয়। মতিঝিলে নয়া দিগন্ত অফিসে যখন আগুন দেয়া হয়, তখন পুলিশ সামান্য দূরে অবস্থান করছিল। তারা ইচ্ছে করলে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করতে পারত। আগুন দেয়ার খবর শোনার পর যখন সাংবাদিক-কর্মচারীরা নিচে নেমে আসেন, তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পত্রিকা অফিসে আগুন দেয়ার ঘটনাটি প্রশাসনের চোখের সামনে ঘটেছে। ঘটনার পর উল্টো পুলিশ নয়া দিগন্ত অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে। একজন প্রেসকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে। তাকে আবার রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে।
আজকে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে যেভাবে সংবাদপত্রের ওপর হামলা করা হচ্ছে, তার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ভিন্ন মতকে দমন করা। দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে, সরকারের বন্দনা ও সাফল্যের কীর্তন প্রচার ছাড়া আর কোনো খবর প্রচার করা যাবে না। শাহবাগে যুদ্ধাপরাধের ফাঁসি দাবির আন্দোলনে হারিয়ে গেছে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, কুইক রেন্টালের দুর্নীতির খবর। খুন, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন, গুলি কোনো কিছুই এখন আর খবর নয়। একধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আর এ প্রচারণার আড়ালে ভিন্ন মত দলনের প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত হানার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে নয়া দিগন্ত ও আমার দেশ বিক্রি করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কেবল অপারেটরদের চাপ দিয়ে দিগন্ত টেলিভিশনের প্রচার বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। আজকে যারা সংবাদপত্র বন্ধ ও বর্জনের ডাক দিচ্ছে, তারাই আবার নিজেদের প্রগতিশীল ও মুক্তমনা বলে নিজেদের তুলে ধরছেন। যারা ভিন্ন মতকে সহ্য করতে পারেন না, তারা কিভাবে উদার মনের মানুষ হতে পারেন? এদের অনেকে আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষেও সোচ্চার বলে দাবি করেন। এরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে শুধুই নিজের মত প্রকাশের অধিকারকে বুঝে থাকেন, যাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিজের মতামত অন্যর ওপর চাপিয়ে দেয়া। যারা এসব দাবি করছেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের ভেতরে লুকিয়ে আছে হিংস্রতা। কেন এই আক্রমণ? উত্তর খুবই সহজÑ এই সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল সত্য তুলে ধরছে। একচোখা সংবাদ প্রচার না করে প্রকৃত তথ্য পাঠককে জানানোর চেষ্টা করছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে কায়েমি স্বার্থবাদী মহলটি। এই ক্ষোভ থেকে শুধু সংবাদপত্র অফিসে হামলা ও আগুন দেয়া হচ্ছে না; এর আগে একাধিক পত্রিকার সম্পাদককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমার দেশ সম্পাদক এখনো পত্রিকার অফিসে অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। প্রকৃতপক্ষে সত্য এখন তাদের প্রধান শত্রু। সত্য প্রকাশের অপরাধে এসব হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বড় একটি অংশ সরকারের ফ্যাসিবাদ কায়েমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব সংবাদপত্র ও অনলাইন মিডিয়া থেকে অব্যাহতভাবে নয়া দিগন্ত, আমার দেশ ও দিগন্ত টেলিভিশনের বিরুদ্ধে অসত্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। সরকারের তল্পিবাহক এসব গণমাধ্যম সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালা মেনে চলছে না। খবর প্রচারের আগে সংশ্লিষ্টদের কোনো বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেনি। তাদের এ ধরনের প্রবণতা দেখে ইতালি ও জার্মানির ফ্যাসিস্ট শাসনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার সাথে কেবল তুলনা করা যায়। হিটলারের উগ্র জাতীয়তাবাদী কর্মকাণ্ডে তৎকালীন জার্মানির বুদ্ধিজীবীদের প্রবল সমর্থন ছিল। কার্ল শ্মিট নামে একজন আইনবিশারদ ও মার্টিন হিডেগার নামে আরেকজন খ্যাতনামা দার্শনিক দারুণভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন নাজি পার্টির তৎপরতায়। তারা হিটলারকে একজন অতিমানব হিসেবে তুলে ধরেন। শুধু বুদ্ধিজীবীদের সমর্থনের ওপর ভিত্তি করে যে ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডে পুরো জার্মান জাতির সমর্থন আদায় করা সম্ভব হবে না, তা হিটলারের প্রচারবিশারদ গোয়েবলস ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন। এ কারণে তিনি সংবাদপত্র ও রেডিওকে যথেচ্ছ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো কোনো সংবাদপত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়, কোনোটাতে তাদের পছন্দের লোকদের বসানো হয়, আবার তাদের উপযোগী সংবাদ যাতে প্রচার করা হয় সে জন্য আর্থিক সহায়তাও দেয়া হয়। ঘরে ঘরে রেডিও ব্যবহারের জন্য সস্তায় রেডিও সরবরাহ করা হয়। এভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট শাসনের প্রতি গণসমর্থন সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ এখন এ কাজটিই করে যাচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে ফ্যাসিবাদের দন্তনখর এতই হিংস্র যে একসময় তাদের ওপর এ আঘাত আসতে পারে। আজকে ভিন্ন মতের সংবাদমাধ্যমে আঘাত হানা হচ্ছে, ধীরে ধীরে সামান্যতম পেশাদারিত্ব দেখানোর কারণে তাদের ওপরও আঘাত আসবে। কণ্ঠ রোধের যাঁতাকলে আরো অনেককে পড়তে হবে।
কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভয় দেখিয়ে আগুন লাগিয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার বন্ধ করা যাবে না। ইতালি ও জার্মানির ফ্যাসিস্টদের এখন মানুষ ঘৃণার সাথে স্মরণ করে। এখন যারা ক্ষমতার মদমত্ততায় সংবাদমাধ্যমের ওপর আঘাত হানছেন তাদেরও ইতিহাস সেভাবেই স্মরণ করবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার সম্ভাবনা ধ্বংস হয়েছিল একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার এই মনোবৃত্তির কারণে। তখনো এভাবে সব সংবাদপত্রকে ক্ষমতাসীনদের প্রচারযন্ত্রে পরিণত করা হয়েছিল। চারটি সংবাদপত্র ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
১৯৭২-৭৪ সালের ইতিহাস এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র হত্যা ও সংবাদপত্র দলনের ইতিহাস হিসেবে স্মরণ করে। এখনো একই ঘটনা ঘটছে শুধু ভিন্ন উপায়ে। তখনো এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার জনগণের আকাক্সার দোহাই দিয়ে। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের একধরনের পপুলার ভিত্তি থাকে। তাকে জনদাবি হিসেবে হাজির করে ভিন্ন মতের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালানো হয়। এখনো সে ঘটনাই ঘটছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিন্ন মত দমনের এসব প্রক্রিয়া সফল হয় না। কারণ একসময় জনগণ এসব দুরভিসন্ধি সহজেই উপলব্ধি করতে পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে মানুষ দাঁড়ায়।
নয়া দিগন্তের বড় সম্পদ সাধারণ পাঠকেরা। তাদের ভালোবাসা নিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে পত্রিকাটি। নয়া দিগন্তে আগুন দেয়ার পর দেশ-বিদেশের বহু পাঠক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ পাঠক ছাড়াও রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা নয়া দিগন্ত অফিসে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের প্রতি নয়া দিগন্ত পরিবার কৃতজ্ঞ। পাঠকদের ভালোবাসা ও সহমর্র্মিতাকে পুঁজি করে নয়া দিগন্ত তার দায়িত্ব পালন করে যাবে। কণ্ঠ রোধের এ প্রচেষ্টা সফল হবে না।
গত চার বছরে কী কী দাবি নিয়ে বিরোধী জোট আন্দোলন করছে, দফাওয়ারি জনগণ কি এখনো জানতে পেরেছে? সময় নির্ধারণ করে কোনো আলটিমেটাম কি সরকারকে কখনো দেয়া হয়েছে? এসব ভাঙা হাটের আন্দোলন দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আওয়ামী লীগের মতো একটি ‘আন্দোলন চ্যাম্পিয়ন’ দলের কাছ থেকে আদায় করা যাবে বলে যেসব নেতানেত্রী অলীক কল্পনার জাল বুনছেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
‘রোড ম্যাপ’ চূড়ান্ত করে সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে আলটিমেটাম ছাড়া এ ধরনের জোয়ার-ভাটার আন্দোলন তৃণমূল কর্মীদের শুধু ফ্যাসিবাদের বন্দুকের খোরাকেই পরিণত করবে, দাবি আদায়ে কোনো কার্যকরী ভূমিকা রাখবে না। নির্দলীয় নিরপে সরকারের অধীন ছাড়া জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামি মূল্যবোধ লালনকারী কোনো দল নির্বাচনে অংশ নিলে তা হবে তাদের জন্য এক ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সরকারের নির্বাচনের চূড়ান্ত নীলনকশা প্রস্তুতের আগেই জনগণের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি নিয়ে লাগাতার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া বিরোধী দলের আর কোনো বিকল্প ভাববার অবকাশ নেই। জনমতকে উপো করে কোনো সরকার বিরোধী দল নির্মূলের সর্বাত্মক কার্যকরী ব্যবস্থায় উৎসাহী হয়ে উঠলে, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আন্দোলন, সংগ্রাম আর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সে ফ্যাসিবাদী সরকারকে মতা থেকে বিদায় করা বিরোধী দলের পবিত্র কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। এটাই গণতন্ত্রের নির্যাস। প্লেটো যথার্থই বলেছিলেন, The punishment of wise man who refuse to take part in the affairs of government, is to live under the government of unwise man. Õ অর্থাৎ ‘সরকারের কার্যক্রমে অংশ নিতে যেসব জ্ঞানী ব্যক্তি অপারগতা দেখান তাদের শাস্তি হলো মূর্খদের দ্বারা গঠিত সরকারের অধীনে বাস করা।’ গণতন্ত্রপ্রিয় বিবেকবান বুদ্ধিজীবীদের জন্য ইশারাই কাফি।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী শক্তির আগ্রাসন ও আস্ফালন থেমে যাক। জাতিকে বিভক্তকারী সব রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির উপসর্গের পতন ঘটুক। দ্রোহের আগুন দুর্নীতিকে ভাসিয়ে নিক। মানবতা, মানবাধিকার ও স্বাধীন বিচারকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখুক। জালেমের মোকাবেলায় মজলুমের বিজয়কে নিশ্চিত করুক। তবেই না নতুনের কেতন উড়বে। সেই জনতা জাগবে। তার ওপর সত্য সমাগত হবে। অসত্য বিতাড়িত হবে। সত্যের জয়গানে কোটি জনতার প্রাণ বন্যা সব কিছুকে ছুঁয়ে যাবে।
কারো ভুলে যাওয়া উচিত নয়, বাতাসে দাহ্য পদার্থ না থাকলে দিয়াশলাই জ্বালালেও আগুন জ্বলে না। সাগর-রুনির আত্মা কাঁদছে। বিশ্বজিতের মায়ের হাহাকার থামেনি। রেলের কালো বিড়াল এখনো সুযোগ বুঝে মিউ মিউ করে। পদ্মা সেতু নিয়ে নোংরা খেলা বন্ধ হয়নি, ইলিয়াস আলীর কন্যার মাতম ও দীর্ঘশ্বাস এখনো বাতাসকে ভারী করে রাখছে। ব্যাংক লুণ্ঠন, দুর্নীতির বিষাক্ত ছোবলের দগদগে ক্ষত, শেয়ারবাজারের দীর্ঘশ্বাস চোখ বন্ধ করলেও মনে ভেসে ওঠে। অথচ সরকার ভাবছেÑ তারা এভাবেই কিস্তিমাত করবে। সরকার ফ্যাসিবাদ দিয়ে ক্ষমতার স্বপ্ন কোন দিন অর্জন করতে পারবে না। তাছাড়া রাজপথে কোনো আন্দোলনের সুফল সরকার পায় না, বাঁক ঘুরে সেটা বিরোধী দলের ঘরেই উঠে যায়। ব্যাপারটা শুধু অপেক্ষার।
আগামি নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা মাঠ সাজিয়ে তুষ্ঠি পাচ্ছেন তাদের জন্য কোনো সুসংবাদ অপেক্ষা করবে না। যারা হঠকারি হয়ে সময় জ্ঞান হারিয়ে রাষ্ট্র শক্তির অপব্যবহার করছেন কিংবা তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে পথ চলতে চাচ্ছেন তাদেরকেও অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ ভাবতে হবে। জনগণের অর্জন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়া যায় না। যদিও সেই অর্জন ও উচ্ছ্বাস ছিনতাই করার জন্য রাজনৈতিক তস্কররা ওৎ পেতে বসে আছে। সরকার বগল বাজিয়ে বলছে ও ভাবছে তাদের অ্যাজেন্ডা তরুণ সমাজ বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে। আর প্রতিপক্ষ ভাবছে সব ঝুটা হ্যায়। কোনো মূল্যায়ন ও ভাবনাই সঠিক নয়। মিডিয়ায় হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। একটা শেষের পর আরো শেষ আছে। সেই ‘শেষ’ রাজনীতিবিদদের খোড়া গর্তে রাজনীতিবিদরাই পড়তে যাচ্ছেন। ঘাড়ে তোলা সত্য ঘাড় মটকায়। যেমন ওঝা মরে সাপ খেলায় বিষধর সাপের দংশনে। রাজনীতিকে যেভাবে বিষাক্ত ও অসহিষ্ণু করে তোলা হচ্ছে তার বিপরীতে রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের জন্য শুধু দুঃসংবাদই অপেক্ষা করছে।
digantaeditorial@gmail.com
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন