আমরা দেখছি শাহবাগে তরুণদের একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তরুণদের বুদ্ধি পরামর্শ দেয়ার জন্য সেখানে নিয়োজিত আছেন কিছু পরিচিত চেহারা। তরুণদের সরকার চালানোর জন্য চেনামুখগুলো সামনে আসছে না। শুরুতে শুনেছিলাম, তরুণেরা শুধু যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায়। এখন সব রাজাকারের ফাঁসি চায়। এখন জামায়াত আর শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চায়। সাথে ইসলামি অর্থনীতি বন্ধ করতে চায়। আবার শাহবাগ বলছে কিছু কাগজ, টিভি ও অনলাইন মিডিয়া বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববাসী শাহবাগে একটি গণজাগরণ দেখল, যা সরকারের প।ে সরকার চায় বাংলাদেশ থেকে ইসলাম উৎখাত করতে। শাহবাগও তা-ই চায়।
কেউ যদি দাবি তোলে ইহুদি, খ্রিষ্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ অর্থনীতি বন্ধ করতে হবে। তখন কী হবে। ইহুদিদের সব মিডিয়া বন্ধ করে দিতে হবে। পাকিস্তান আমলে বলেছি, অবাঙালিদের ব্যবসায়-বাণিজ্য দখল করে নিতে হবে। তাই পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বহু অবাঙালি প্রতিষ্ঠান লুট হয়েছে। যারা লুট করেছে তারা এখন বাংলাদেশের ধনী। সমাজতান্ত্রিক কারণে অনেকেই অবাঙালিদের প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক নিযুক্ত হয়ে দুটো পয়সা কামিয়েছেন। সবাই এখন স্বাধীন বাংলাদেশের সম্মানিত সামাজিক ব্যক্তিত্ব।
এখন পাকিস্তান নেই, তাই তরুণদের সারল্যকে কাজে লাগিয়ে বলা হচ্ছে ইসলামিক ব্যবসায়-বাণিজ্য বন্ধ করে দাও এবং সরকার যেন ইসলামিক ব্যবসায়গুলো দখল করে নেয়। তরুণদের ক’জন নেতা আবার নাস্তিক। তারা আল্লাহ, রাসূল সা:, কুরআনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। সেই যুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছে সরকার। আমরা ভাবতে পারি না বঙ্গবন্ধুর কন্যা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন অবস্থান নিতে পারেন। আওয়ামী লীগ আসলে এ রকমই। দলই ধর্ম, দলই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
তরুণদের সরকারের সুবিধা হলো তারা শুধু স্লোগান দেবে, আর সাথে সাথে সংসদে আইন পাস হয়ে যাবে। ’৭২ সালের দিকে চার খলিফার নাম শুনেছি। তারা যা নির্দেশ দিতেন তাই হতো। ১১ দফার সময়েও নেতারা অবাঙালি ফার্মের কাছ থেকে বন্ধুত্ব গ্রহণ করতেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বিভিন্ন হলে ডানপন্থী নেতাদের ধরে নিয়ে সম্মান করা হতো। সীমা অতিরিক্ত সেবা ও মেহমানদারির ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছেন। অনেকেই সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে করেছেন। আমার শহরেও ’৭২-এ এমন ঘটনা ঘটেছে। একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এলাকায় ফিরে প্রথমেই তার মনের কন্যাটাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
শাহবাগে নাকি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই যুদ্ধের নাকি প্রথম শহীদ নাস্তিক থাবা বাবা। মানে তিনি থাবা মারলে কেউ বাঁচবে না। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের জেনারেল এই থাবা বাবাকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সালাম ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে। জাতীয় পতাকায় ঢেকে থাবা বাবাকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দেয়া হয়েছে। ২১ বার তোপধ্বনি হয়েছে কি না জানি না।
এ পর্যন্ত যা শুনে এসেছি বা জেনে এসেছি তাতে মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ যারা করেনি বা দেখেনি তাদের জন্যই নাকি শাহবাগের এই বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। চেতনা শব্দটি চালু করেছে আওয়ামী লীগ ও সেই ঘরানার বুদ্ধিজীবী ও গবেষকেরা। এর মানে হলো আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অথবা শুরু থেকেই আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধা তেমন ছিল না। চেতনা জিনিসটা কী তা আপনি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করতে পারেন। কেউ বলেন, আওয়ামী লীগকে সমর্থন করলেই আপনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ হতে পারেন। চেতনার এটা একটা ধাপ। অপর ধাপটি হলো আপনাকে ধর্মহীন হতে হবে। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় সেকুলারিস্ট। মানে ধর্মে যার কোনো আগ্রহ নেই। ধর্ম বাদ দিয়ে জীবন চালাতে চান। তৃতীয় ধাপ হলো রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে অথবা রাষ্ট্রকে ধর্মহীন হতে সাহায্য করবেন।
বিষয়টা খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে বাংলাদেশে ধর্মহীন রাজনৈতিক চেতনার ধারক ও বাহক কারা? খোলা চোখে দেখছি ধর্মহীন চেতনার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, যে দলটির একসময় নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। সভাপতি ছিলেন মওলানা ভাসানী। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন আওয়ামী লীগে কি তাহলে ধর্মপ্রাণ মানুষ নেই? আমি বলব নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু তারা মনে করেন ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। রাজনীতির সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। যেমনÑ একসময় চীন, রাশিয়া ও তাদের ভক্ত দেশগুলো ধর্ম নিষিদ্ধ করেছিল। যুক্তি ছিল ধর্ম মানুষকে অন্ধ করে দেয়। যুক্তিহীন করে দেয়। ধর্ম প্রগতির বিরুদ্ধে। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ওই সব দেশে মসজিদ ও গির্জায় তালা লেগে গিয়েছিল। রাষ্ট্রের ভয়ে বড়রা ধর্মচর্চা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নবীনেরা ধর্মচর্চা একেবারেই ভুলে গিয়েছিল। চীন, রাশিয়া আবার ধর্মের স্বাধীনতায় ফিরে গেছে। এখন সেখানে ধর্মচর্চা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্র ধর্মচর্চায় সহযোগিতা না করলেও বাধা দিচ্ছে না। ইউরোপ, আমেরিকায় ধর্মচর্চা বন্ধ হয়নি।
আওয়ামী লীগ জন্মের পর থেকে বলে আসছে কুরআন ও সুন্নাহর বিরুদ্ধে কোনো আইন করবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে বর্তমান আওয়ামী লীগের ঝোঁক ধর্মহীনতার দিকে। আওয়ামী লীগ এক বিস্ময়কর রাজনৈতিক দল। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানে, আবার সেকুলারিজম বা ধর্মহীনতাও চায়। ধনবাদী গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা চায়, আবার সমাজতন্ত্রও চায়। আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলা ৯৮ শতাংশ স্বায়ত্তশাসন পেয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী ওই বক্তব্য সমর্থন করেছিলেন। স্বাধীন নিরপে পররাষ্ট্রনীতির প্রবক্তা ছিলেন মওলানা ভাসানী। দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক মানিক মিয়া মওলানা ভাসানীকে লাল মওলানা বলে গালি দিতেন। এক সময় সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু মিলে মওলানাকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দিয়েছিলেন। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন মওলানা ভাসানী। শেখ মুজিব ছিলেন জেলে। তিনি জেল থেকেই রাষ্ট্রভাষার আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে আপনারা অলি আহাদ ও বদরুদ্দিন উমরের বই পড়তে পারেন। এক কথায় বলা যেতে পারে, পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যত আন্দোলন হয়েছে শুরুতে আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করে দলীয় চরিত্রের কারণে। পরে গোয়েবলসীয় কায়দায় ঢোল বাজাতে থাকে তারাই আন্দোলনটা করেছে।
পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবি সব মহলে গৃহীত হলে শেখ মুজিব ছয় দফা দিয়ে বাজার গরম করলেন। শেখ মুজিবের চরিত্র ছিল তিনি সব অবস্থায় জনপ্রিয় থাকতে চাইতেন। যেমনÑ জয়বাংলা স্লোগানটা জয় হিন্দের পরিবর্তে। প্রথমে তিনি এই স্লোগান দিতে চাননি। সিরাজুল আলম খানেরা ওই স্লোগান তার মুখে তুলে দিয়েছে। মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের পতাকা তিনি হাতে নিতে চাননি, আ স ম আবদুর রব তার হাতে তুলে দিয়েছেন। এর পরেও তিনি ৭ মার্চের ভাষণে শেষে বলেছিলেন, জয় বাংলা ও পাকিস্তান জিন্দাবাদ। আমি মাঠে ছিলাম, নিজ কানে শুনেছি। এমন কী সর্বশেষ মুহূর্তে, মানে ২৫ মার্চ রাত ১১টায় তাজউদ্দীন লিখে টেপ রেকর্ডারসহ বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে। তিনি রাজি হননি। বরং বলেছেন, তোরা আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বানাতে চাস। পাকিস্তানের আদালতেও তিনি বলেছেন, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ড. ওয়াজেদ তার বইতে বলেছেন, রাত ১২টা পর্যন্তও বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। এখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার চ্যাম্পিয়ন। শুধু আওয়ামী লীগই স্বাধীনতার আন্দোলন করেছে। আর কেউ কিছু করেনি। সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবে না। অন্য কেউ যদি এ দেশে থাকতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগ হয়ে থাকতে হবে। কল্পনা করুন, জামায়াতে ইসলাম যদি আগামীকাল নাম পরিবর্তন করে বলে আমরা হলাম আওয়ামী জামায়াতে ইসলাম। তাহলে কী হবে? তখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বলবেন, জামায়াতের ভেতর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এসে গেছে।
মিসরের ফোরাউন তার দেশবাসীর উদ্দেশে বলত, হে আমার দেশবাসী, মুসা নবুয়তের দাবি করে। সে একজন গরিব অযোগ্য মানুষ। সে দাবি করে আল্লাহর নবী। আমিই তো খোদা। তোমাদের কি আর খোদা আছে? জনগণ ভয়ে বলত, না আমাদের খোদা তুমিই। আমি প্রাণ দিতে পারি, নিতেও পারি। মুসার আল্লাহ কি পারে? প্রাণ ভয়ে জনসাধারণ বলত , না পরে না। আমি খাওয়া বন্ধ করে দিলে তোমরা কি খেতে পারবে? না পারব না। তাহলে স্বীকার করো, আমিই তোমাদের খোদা। চলমান সরকারের সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সিট আছে। তাই যখন তখন আইন বানাচ্ছে। শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। সাথে যোগ হয়েছে সংসদের চেতনা। ব্যস আর যায় কৈ? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে যেমন ইচ্ছা তেমন আইন তৈরি হচ্ছে। কিছু লোককে ফাঁসি দিতে হবে, কিছু রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে হবে। রাস্তায় বলবে অমুকের ফাঁসি চাই, সাথে সাথে সংসদে আইন পাস হয়ে যাবে।
’৭১ সালে অশিতি পাকিস্তানি মিলিশিয়ারা রাস্তায় লোকজনকে ধরে জিজ্ঞাসা করত, তুম মুসলমান হ্যায়? লোকজন দলবেঁধে বলত, হ্যাঁ মুসলমান হ্যায়। সবুদ ক্যায়া হ্যায়? কালেমা বললে অনেককে ছেড়ে দিত। আবার সময় কাপড় খুলে দেখত। সে সময় আবার এসে গেছে মনে হয়। আওয়ামী লীগ ও তার সরকারি বাহিনী রাস্তাঘাটে জানতে চাইবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে কি না। জয় বাংলা বা জয় বঙ্গবন্ধু বলে চেতনার প্রমাণ দিতে হবে। কাপড় তুলে দেখাতে হবে আপনি সেকুলার কি না? আওয়ামী রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো গোত্র বা কওমপ্রীতি। নিজেরা যা ভাবে তাই অকাট্য সত্য। ভিড় দেখলেই আওয়ামী লীগ সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে, মবোক্রেসিতে বিশ্বাস করে। এই দেখুন না, থাবা বাবা ছদ্ম নামের এক তরুণ নাস্তিক খুন হয়েছে। কোনো কিছুর খোঁজখবর না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে চলে গেলেন তার বাড়িতে সমবেদনা জানাবার জন্য। সংসদে সবাই হৈ হৈ করে বলে উঠলেন নাস্তিক থাবা বাবা শহীদ হয়েছে। শহীদ শব্দটা কি তা আওয়ামী লীগ জানে না। এখন হিন্দুরাও এই শব্দ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। থাবা বাবা কুরআন, রাসূল সা: ও আল্লাহপাকের বিরুদ্ধে যা লিখেছে তা এ পর্যন্ত দেশে-বিদেশে অন্য ধর্মের লোকেরাও লেখেনি। থাবা বাবা স্বঘোষিত একজন ধর্মহীন ব্লগার। তার পরও আওয়ামী লীগ তাকে বীর শহীদ খেতাব বা তগমা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সংসদে আইনমন্ত্রী বলেছেন, থাবা বাবা খুব ভালো একটা ছেলে। সে ধর্মহীন কোনো কাজ করতে পারে না।
আমি এর আগে আমার লেখায় শাহবাগের অবুঝ মহা উদ্দীপ্ত তারুণ্যের প্রতি সম্মান জানিয়েছি। তরুণেরা কারো মাধ্যম ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে তাও বলেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ মা-বাবা, মুরব্বি, অভিভাবক ও শিকের দায়িত্ব পালন না করে তাদের উসকে দিয়েছে নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মা-বাবার উৎকণ্ঠা অনুভব করতে পারেননি। কারণ, তার সন্তানেরা কেউই বাংলাদেশে থাকে না, দেশে লেখাপড়াও করেনি। আমি বেশ ক’জন মা-বাবা ও মুরব্বির সাথে আলাপ করেছি। তারা অতীব দুঃখের সাথে বলেছেন, ছেলেমেয়েরা আগের জামানার মতো মা-বাবার কথা শোনে না। তারা পড়ালেখা না করেই জাতীয় বীর হতে চায়। তারা নাকি আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক হবে। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের নায়ক ও শহীদ হবে। শহীদ হলে জাতীয় পতাকা ও সেলুট দিয়ে দাফন করা হবে। তারা নামাজে জানাজা চায়, দাফন হতে চায়, আবার নাস্তিকও হতে চায়।
আদালতের একজন বিচারক একটি দৈনিক পত্রিকার খবর ফটোকপি করে বিচারকদের ভেতর বিলি করেছেন, সে জন্য তার শাস্তি দাবি করেছেন আওয়ামী নেতারা। বিচারপতিদের সব সময়ই আওয়ামী লীগ নানাভাবে হেনস্তা করে। আদালতে আক্রমণ করে। আদালত এলাকায় মেথরদের নিয়ে হাজির করে। কি অপরাধ বিচারপতি মিজানের তা দেশবাসী জানতে চায়। বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক কাগজ দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করেন। তখন তিনি কোনো অপরাধ করেন না। কারণ তিনি নাকি আওয়ামী লীগ করেন। তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। তাকে নিয়ে মাঝে মধ্যে সংসদও গরম হয়ে ওঠে। কিন্তু তার কোনো অপরাধ হয় না। বিচারপতি একটি কাগজের ফটোকপি করে কয়েকজন বিচারপতি দিয়েছেন তাই তার অপরাধের শেষ নেই। সমস্যা হচ্ছে ভদ্রলোক বিএনপি আমলে বিচারপতি হয়েছেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন