সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৪

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি


ঢাকায় আমার বাসার পাশে একটি ভোটকেন্দ্র। রোববার এখানেও সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়ার আয়োজন ছিল। সকালে দেখি- নেতাকর্মী, ভোটার, হইচই কিছু নেই। এ দিকে ট্রাকভর্তি নাশতার প্যাকেট এসেছে। কারণ পুলিশ ও অন্যান্য লোকজন আছেন ভেতরে। ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা। এক ঘণ্টা, দুঘণ্টা, তিন ঘণ্টা চলে গেল। ভিড় দূরে থাক, তেমন লোকজন ও কোনো ব্যস্ততা নেই। দেখে মনেই হলো না যে, এটা ভোটকেন্দ্র। কয়েকজন কৌতূহলী মানুষ কেন্দ্রের অদূরে হাল অবস্থা দেখছিলেন। বেলা বেড়ে শীত কমলে দুএকজন করে আসতে থাকেন। তবে ঘণ্টা দুয়েক এভাবে চলার পর আবার ভাটা। এ দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। দুপুরেই ভোটকেন্দ্রটিতে নেমে এলো নির্জন নীরবতা।

টিভিতে সেই সাত সকাল থেকে রাত গভীর নাগাদ অনবরত নির্বাচনী ছবি ও সংবাদ, বক্তব্য ও মন্তব্য প্রচারিত হয়েছে। দিনটা ছুটির, তা ছাড়া জবর শীত। সর্বোপরি ভোট দেয়ার আরজ থাকলেও গরজ নেই। এ অবস্থায় এবার নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি মানুষ ঘরে বসে টিভি দেখেছেন। তবে কোন দল কটি আসন পেল সে দিকে টিভি দর্শকদের নজর রাখতে হয়নি। কারণ প্রার্থীরা তো এ টিম আর বি টিম; মানে আমরা আমরাই তো। সবার আগ্রহ ছিল ভোট কজন দিয়েছে আর আওয়ামী লীগ কত ব্যবধানে জয়ী হওয়ার খবর দেয়া হচ্ছে।

এ নির্বাচনের নানা নাম দেয়া সম্ভব। পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীর অভাব থাকলেও এ জন্য তহবিলের অভাব হয় না। সরকারকা মাল...। কোটি কোটি টাকার নির্বাচনী ব্যয়। তাই বলতে পারেন, এটি অপচয়ের নির্বাচন। আর রকমারি অনিয়মের মাধ্যমে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন তো বটেই। সরকার এবং আওয়ামী নেতারা বলেছেন, এটা সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। তবে এভাবে গণতন্ত্র কতটা রক্ষা পাবে, তা নিয়ে দেশের মানুষ বিষম উদ্বিগ্ন। বিরোধী দল বলছে, প্রহসনের নির্বাচন। কেউবা ক্ষোভে বলতে পারেন, আরো ২৬ জনের জান কেড়ে নেয়ার নির্বাচন। কেউ বলবেন, এটা জেদ ও খেদের নির্বাচন। জেদটা যে সরকার, সরকারি দল ও সরকারপ্রধানের, তা তো সবাই জানেন; কিন্তু খেদ বা আক্ষেপ কাদের? যারা নৌকা নিয়েও এ নির্বাচনী সায়রে ডুবেছেন অথবা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে হেরেছেন। সেই সাথে জাপার যারা শেখ হাসিনার দানরূপী আসন পেয়েও হারালেন। তাদের সবার আফসোস তো থাকবেই।

এ নির্বাচন নিয়ে যত রাগ বা রসিকতাই করি না কেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো- যেখানে অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনাভোটে অটোম্যাটিক (অথবা ডিজিটাল) নির্বাচন, বাকিগুলোতেও ভোটারের তেমন দরকার পড়ে না, সে নির্বাচন মানে নৈতিকতার নির্বাসন। গণতন্ত্র কেবলি রাজনৈতিক বিষয় নয়; নৈতিক ভিত্তি ছাড়া এটা পর্যবসিত হয় মুখোশ বা কঙ্কালে।

বাস্তবতা হলো, এ নির্বাচন সম্পন্ন করে সরকার টেকনিক্যালি বৈধতা পেতে পারে; কিন্তু এথিক্যালি (ন্যায়নীতির দিক দিয়ে) তা সম্ভব নয়। ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত, চরমপর্যায়ে বিতর্কিত এমন নির্বাচনের বিজয় পলিটিক্যালি সরকারের জন্য কতটা সাফল্য আনবে, তা বোঝা যাবে কিছু দিন পর।

নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ঝুলিয়েছে। একটায় লেখা, ‘ভোট বিক্রি মানে বিবেক বিক্রি। ভোট বিক্রি করবেন না।ভালো কথা। তবে ভোটারের মনে প্রশ্ন : যারা সুকৌশলে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে জনগণকে, নিছক ক্ষমতা হারানোর ভয়ে যারা জনমতকে পদদলিত করে খেয়ালখুশির নির্বাচন করে, যারা মাছের ভাগের মতো আসন ভাগাভাগি করে নেয় ভোটের আগেই, তাদের জন্য নির্বাচন কমিশনের কোনো নসিহত নেই? ওরা তো বিবেক আগেই বেচে দিয়েছে।

কমিশনের আরেক পোস্টারের বক্তব্য : দেখে শুনে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিন।যে নির্বাচনে প্রার্থীর দুর্ভিক্ষ অথবা দুই প্রার্থীর ফারাক বাহান্ন আর তেপ্পান্ন কিংবা যে লাউ সে কদু, সে ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই নয়, বর্জনই তো বিবেকের তাগিদ।

নির্বাচন কমিশনের আরেক পোস্টারে উৎকীর্ণ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার কথা। রোববার দুপুরে সরকার সমর্থক একটি টিভি চ্যানেলের খবর, সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। তখন একটি স্কুলের ভোটকেন্দ্র দেখাচ্ছিল যেখানে ভোটার চোখে পড়ছিল না। চ্যানেলটিও জানাল, সেখানে উপস্থিতি খুব কম। মনে হয়, নির্বাচন এখন থেকে শান্তিপূর্ণহওয়ার জন্য এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভোটারের দরকার হবে না। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ফল নির্ধারিত হয়ে যাবে।

নির্বাচন তো হয়ে গেল; কিন্তু এটা কোন মানের, কতটা গ্রহণীয় নির্বাচন? কয়েক দিন আগে একটি প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকায় একজন কট্টর সেকুলার ব্যক্তি লিখেছেন যেনতেনভাবে নির্বাচন যদি হয়েই যায়শিরোনামে। অর্থাৎ আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে এই সরকারের ঘোর সমর্থকেরাও জানতেন যে, এবার নির্বাচনটার কোয়ানটিটি ও কোয়ালিটি- কোনোটার গ্যারান্টি নেই। সরকার ভোজবাজি করে কোয়ানটিটি বাড়িয়ে দেখাতে পারলেও কোয়ালিটি তো আর নির্বাহী আদেশে কিংবা দলীয় চাপে বাড়ে না।

বলছিলাম ওই বুদ্ধিজীবীর কথা। তিনি যেনতেননির্বাচন হয়ে গেলেই এ সুযোগে কিছু অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার খায়েশ ব্যক্ত করেছেন। বাস্তবেও আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিছক আইনি ফাঁকের বৈধতাকে পুঁজি করে ওইসব কাজ সাঙ্গ করার পূর্বাভাস পত্রপত্রিকায় এসেছে। যেমন, সংবিধানকে পুরো ধর্মনিরপেক্ষকরা, জামায়াত নেতাদের একে একে চরমদণ্ড কার্যকর করা, মাদরাসাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ দ্বারা আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িকবানানো, প্রশাসনের শতভাগ আওয়ামীকরণ প্রভৃতি। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, এ নির্বাচন যেনতেন হলেও এর তাৎপর্য যেনতেন নয়, বরং সুদূরপ্রসারী। সরকারের শীর্ষপর্যায়ে সামনের করণীয় সম্পর্কে যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলো শেষ না করে এবং যেভাবেই হোক আবার ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত না হয়ে আওয়ামী লীগ দশম সংসদ ভেঙে দেবে- এত বোকা তাদের এবং পরামর্শদাতাদের ভাবা ঠিক নয়।

ঢাকা-১৫ আসনে ৭০টিরও বেশি কেন্দ্র দখলের অভিযোগ হাতি মার্কা প্রার্থীর। অভিযোগটা নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে, যিনি বর্তমান এমপি। অভিযোগকারী প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করলেন দুপুর না হতেই।

টিভিতে জানানো হয়েছে, ‘ঢাকায় নির্জীব ভোটকেন্দ্র। রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রেই যদি এ অবস্থা, গ্রামগঞ্জে যে প্রাণহীন দশা, তা বলার অপেক্ষা রাখে নাখোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন, ‘ভোট পড়েছে খুব কম।’ 

আওয়ামী ঘরানার একটি টিভি চ্যানেলে বলা হচ্ছিল, চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল ভোটারদের। তা-ও শহরাঞ্চলে ২৪ শতাংশ (টেনেটুনে)। শহরবাসীই তো বেশি সচেতন। প্রচারিত খবরে দেখা যায়, এবার তারাই বেশি অনীহা দেখিয়েছেন ভোট দিতে। অন্যান্য নির্বাচনের মতো উৎসব উৎসব পরিবেশ তো ছিলই না, ভোটারের সারিও ম্যানেজ করা গেছে খুব কম। বিভিন্ন নির্বাচনে দেখা গেছে, মহিলারা দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়ার অপেক্ষায়। এবার তা-ও দেখা যায়নি। রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে বেলা ৩টা পর্যন্ত মাত্র ২০০ ভোট পড়েছে। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এটা জানান টিভি সাংবাদিককে।

ফেনী-৩ আসনের একটি কেন্দ্রের ফলজানাতে গিয়ে টিভিতে বলা হয়েছে, সোনাগাজী উপজেলার কেন্দ্রটিতে এক হাজার ৬৩২ ভোটারের কেউ ভোট দেননি। দেশের অপরপ্রান্তে পঞ্চগড়ের একটি কেন্দ্রে তিন হাজার ২০০ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৭১১ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানানো হয়। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার একটি কেন্দ্রে দুই হাজার ১৭০ জন এবং রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার একটি কেন্দ্রে দুই হাজার ৭৯৭ জন ভোটায়। তবে কেউ যাননি ভোট দিতে। লালমনিরহাট জেলার দু-একটি নয়, ২১টি কেন্দ্রে কোনো মার্কায় কোনো ভোট পড়েনি। এমন কেন্দ্র মোট ৬৪টি। সরকার সান্ত্বনা পেতে পারে, ‘ব্যালটগুলো বেঁচে গেছে!

ঢাকায় উত্তরার একটি হাইস্কুলে একাধিক জাল ভোটার ধরা পড়লেও পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে টিভিতে জানা গেছে। পুলিশের ওপর তেমন নির্দেশ না থাকলে তারা এমন কাজ করতে পারে না। সেখানে একুশে টিভির দুসাংবাদিক খবর সংগ্রহে বাধাই শুধু পাননি; তাদের আটকে রাখার হুমকিও আসে। তখন পুলিশ কিন্তু সহায়তা করেনি। টিভিতে দেখানো হয়েছে, কোথাও কোথাও কিশোরেরা ভোটকেন্দ্রে এসেছে জালভোট দিতে। ঢাকার একটি কেন্দ্রে জাল ভোটের ছবি তুলতে গেলে পূর্বোক্ত টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বের করে দেয়। অথচ জাল ভোট দেয়াই আইন ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জাল ভোট দেয়ার সময়ে ধরা পড়েছে তিনজন প্রিজাইডিং অফিসার। এমন অপকর্মের কথা আগে শোনা যায়নি। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ঘটেছে অন্যরকমঅঘটন। নির্বাচন প্রতিরোধকারীরা ব্যালট ছিনিয়ে নিলে তা হতো স্বাভাবিক। অথচ ওখানে আড়াই হাজার ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। কেসটা কী?

সবাই স্বীকার করছেন, সারা দেশে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি ছিল কম। এর অর্থ, জনগণ এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখায়নি। অপর দিকে আওয়ামী লীগ নেতা এইচ টি ইমাম বললেন, এ নির্বাচন জনগণের বিজয়। তোফায়েল আহমেদ আরো একধাপ এগিয়ে জোর গলায় ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মানুষ ভোট বর্জনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিয়েছে। নির্বাচন হয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে, এসব বক্তব্য রাজনৈতিক নাটকের রেডিমেড সংলাপ।

গতকাল টিভিতে একতরফা নির্বাচনের নানা ঘটনা ও অঘটনের পাশাপাশি প্রচার করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এক হয়ে এবার আমাদের জাতীয় পতাকা বানিয়েছে। এটা গিনেস বুক অব রেকর্ডসে ওঠার মর্যাদা অর্জন করেছে। ইতিবাচক এই রেকর্ডের সাথে নেতিবাচক একটি রেকর্ড গিনেস বুকে স্থান পেয়ে যায় কি না, তা নিয়ে দুর্ভাবনা অনেকের। কারণ বাংলাদেশের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এবার অর্ধেকের বেশি আসনে কোনো ভোট ছাড়াই প্রার্থী নির্বাচিতহয়ে গেছেন। কেননা, প্রার্থীসংখ্যা ছিল এ দেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম। ৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। একই দিন বাংলাদেশে রেকর্ড হলো পার্লামেন্ট নির্বাচনে সর্বনিম্নসংখ্যক প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দেশের বেশির ভাগ ভোটার নির্বাচনের আগেই ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ হারালেন এবার। বাকিদেরও একটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র ভোট দিতে গেছেন। আরো খবর আছে। বিনাভোটে নির্বাচিতপ্রার্থীদের একটা বড় অংশই ভোটারদের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত। এসব কিছু রেকর্ড বৈ কি!

চরম বিতর্কিত ও সমালোচিত এ নির্বাচনের প্রচারণা শেষে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল গত শুক্রবার। একই দিন শুরু হয় পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস। আর বাংলাদেশকে মডারেটকিংবা সেকুলার’- যা-ই বলা হোক, এটা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। বলা যায়, সেই জনপদকে পবিত্র মাসে অপবিত্র করেছে অন্যায় ক্ষমতালিপ্সার নির্বাচনী ট্র্যাজেডি এবং সংশ্লিষ্ট সহিংসতা ও দুষ্কৃতি। 

গত পাঁচ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ক্রমান্বয়ে চরমে উঠেছে। সেই সাথে দেশবাসী প্রত্যাশায় ছিল, কবে সরকার বিদায় নেবে আর সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটবে পালাবদল; কিন্তু ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একগুঁয়েমি মানুষের সে আশাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। এ নির্বাচন যেখানে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় হতে পারত আরেক মাইলফলক, সেখানে ভোটের নামে রাজনৈতিক প্রহসনে গণতন্ত্র খেয়েছে বিষম হোঁচট। এমন এক নির্বাচন জনগণকে স্বস্তি এনে দেয়ার বদলে বাড়িয়ে দিলো উৎকণ্ঠা। ঝরে পড়েছে আরো অনেক প্রাণ। পৌষের শীতের মধ্যেও সঙ্ঘাতের অবাঞ্ছিত উত্তাপই শুধু বাড়ছে না, দেশের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ছে আরো অনিশ্চিত। 

পুনশ্চ : দেশের এই চরম দুর্দশা ও দুর্ভোগের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কৌতুক কিঞ্চিৎ আনন্দ জুগিয়েছে। যেমন- ১৫৩ আসনে ভোট না হওয়ায় গরিব দেশের অনেক টাকা বেঁচে গেছে; খুব কম ভোটার ভোট দিতে যাওয়ায় অল্প সময়ে ফলাফল দিতে সুবিধা হয়েছে প্রভৃতি। তবে চমৎকার একটি চুটকি হলো- ছেলের বার্ষিক পরীক্ষার আগের দিনও সে না পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাবা রেগে বললেন, কাল তোমার অঙ্ক পরীক্ষা। না পড়লে তো ফেল মারবে।ছেলের জলদি জবাব : বাবা, ভোট ছাড়া ইলেকশনে পাস করা গেলে পড়া ছাড়া পরীক্ষায় পাস করা যাবে না কেন


 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads