বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৪

নিখিলের চির সুন্দর সৃষ্টি মুহাম্মদ রাসূল (সা.)

মোঃ আমান উল্লাহ 
 “নিখিলের চির সুন্দর সৃষ্টি মুহাম্মদ রাসূল (সা.)” - বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে এটা কেবল কবির কবিতার আবেগ মিশ্রিত অভিব্যক্তিই নয়, বরং বাস্তবিকই তিনি ছিলেন গোটা বিশ্বের সুন্দরতম সৃষ্টি। তার অবয়ব যেমন সুন্দর, অন্তরও তেমনি। তার কথা যেমন সুন্দর কাজও সুন্দর। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে যেমন সুন্দর সামাজিক জীবনেও সুন্দর। তার ব্যবহারিক জীবন থেকেই আমরা এসব কথার সর্বোচ্চ প্রমাণ পাই। সে আলোকেই তাঁর সমুদ্রসম বিশাল জীবন থেকে বিন্দুসম কয়েকটি দৃষ্টান্ত পাঠক সমাজের স্মরণার্থে তুলে ধরছি
০১. অধীনস্থদের প্রতি তার ব্যবহার : আচার-ব্যবহারই মানুষকে পৃথিবীতে মহান করে তোলে। রাসূল সা. এর ব্যবহার ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। এ প্রেক্ষিতে অধীনস্থদের প্রতি তাঁর ব্যবহারের দৃষ্টান্তই কেবল তুলে ধরছি। মুসলিম মাত্রই জানা থাকার কথা যে, রাসূলের পালক পুত্র হযরত যায়েদ (রা.) ছিলেন একজন ক্রীতদাস। তার সন্ধান পেয়ে যখন তার পিতা ও চাচা তাকে নিতে আসলেন রাসূল (সা.) যায়েদকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি এখন যেতে পার। যায়েদ তখন বলেছিলেন আপনাকে ছাড়া কারো কাছে যেতে চাই না। তার পিতা ও চাচা সেদিন রাগতস্বরে বলেছিলেন, যায়েদ তুমি কি স্বাধীনতার চেয়ে গোলামীকে অগ্রাধিকার দিচ্ছ? যায়েদ বলেছিলেন এই মহান ব্যক্তির গুণাবলী দেখার পর দুনিয়ার কোন ব্যক্তিকেই আর অগ্রাধিকার দিতে পারি না। রাসূল (সা.) ও খুশী হয়ে আযাদ করে দিয়ে তাঁকে পুত্র হিসেবে ঘোষণা দিলেন।
০২. শিশুদের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ : “যে ব্যক্তি ছোটদের ¯েœহ করে না এবং বড়দের শ্রদ্ধা করে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় (তিরমিযী)। এ কেবল রাসূলের (সা.) মুখের কথাই নয়। সেই প্রসিদ্ধ ঘটনা থেকে আমরা তা বুঝতে পারি। কোন এক ঈদের নামাযে যাওয়ার পথে রাসূল সা. দেখলেন একটি ছোট্ট ছেলে পথের ধারে বসে কাঁদছে। তিনি তার কাছে গেলেন। জানতে চাইলেন কি তার দুঃখ। ছেলেটি বললো, যুদ্ধে তার পিতা শহীদ হয়েছে। মায়ের অন্যত্র বিবাহ হয়েছে। সেখান থেকে তাড়া খেয়ে তাকে চলে আসতে হয়েছে। এখন সে ঘরছাড়া ও অন্ন-বস্ত্র হারা। রাসূল সব শুনে তাকে বললেন, মুহাম্মদ যদি তোমার পিতা হয়ে যায়, আয়েশা যদি তোমার মা হয়ে যায় আর ফাতিমা যদি তোমার বোন হয় বলতো তুমি খুশী হবে কিনা? ছেলেটি বললো, অবশ্যই। রাসূল সা. তাকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন আর তাঁর প্রতিটি কথার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছিলেন। এমন দৃষ্টান্ত মানব ইতিহাসে সত্যিই বিরল।
০৩. লজ্জাশীলতা তাঁর অনন্য বৈশিষ্ট্য : বর্তমান পৃথিবীতে আমরা লজ্জাশীলতা একেবারেই হারাতে বসেছি। এ ব্যাপারে রাসূল (সা.)-এর জীবন থেকে আমরা কি শিক্ষা পাই তারই একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি। এটি নবুওয়্যতের আগের ঘটনা। কাবাঘর পুনঃনির্মাণে কুরাইশরা তাদের কাপড় দিয়ে পাথর বহন করে আনছিল। তখন উলঙ্গ হবার ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোন লজ্জাশীলতা ছিল না। হযরত ইবনে আব্বাস তখন রাসূলকে বলেছিলেন, তুমিও এমনটি কর। কিন্তু তিনি এরূপ করার চিন্তা করার সাথে সাথেই বেহুশ হয়ে পড়েন। আব্দুল্লাহ বিন জাবেরের বরাত দিয়ে  বুখারী ও মুসলিমে এই বর্ণনা রয়েছে। আমাদের উচিত সমাজে শৃঙ্খলা বিধানের স্বার্থে লজ্জাশীলতাকে নিজেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বানিয়ে নেয়া।
০৪. তিনি সত্যাশ্রিত কৌতুকও করতেন : একবার হযরত আলী রা. রাসূল (সা.)-এর সাথে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। রাসূল সা. খেজুর খেয়ে তার আঁটিগুলো হযরত আলী (রা.)-এর সামনে রেখে দেন। খাবার শেষে হযরত আলীকে লক্ষ্য করে বললেন, ও হে আলী, তুমি তো দেখছি দারুণ পেটুক। কতগুলো খেজুরের আঁটি তোমার সামনে। আলীও কম বলেননি। তিনি বললেন, আমি আর এমন কি পেটুক। আপনার সামনে তো দেখছি একটি আঁটিও নেই। স্ত্রীদের সাথেও তিনি কৌতুক করতেন। অন্যদের সাথেও করতেন। কিন্তু তার কোন কৌতুকই সীমাতিরিক্ত ও মিথ্যা ছিল না। বরং ছিল সত্য ও নির্মল কৌতুক।
০৫. বিয়ে-শাদীতে নিয়ন্ত্রিত আনন্দের অনুমোদন দিতেন : বিয়ে-শাদীর ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে ক্ষেত্র বিশেষে অনেক বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। প্রায় সময়ই নৈতিকতার গ-িকে অতিক্রম করে ফেলে। আবার কেউ আছেন এতটাই রক্ষণশীল যে, ছোট ছেলে-মেয়েরা একটু আনন্দ করতে চাইলে সেটাতেও বাধ সাধেন। এ ব্যাপারে একটি হাদীস উদ্ধৃত করছি। হযরত আয়েশা বর্ণনা করেন, এক আনসার তরুণী আমার কাছে থাকত। একদা আমি তার বিয়ের ব্যবস্থা করি। রাসূল সা. সে বিষয়ে অবগত হয়ে বললেন, হে আয়েশা, তুমি এর বিয়ের ব্যবস্থা করেছ কিন্তু কোন আনন্দ উৎসবের ব্যবস্থা করনি। অথচ আনসার পরিবারের লোকেরা তা করতে পছন্দ করে।
এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েরা আনন্দদায়ক সঙ্গীত পরিবেশন করছিল। হযরত সাদ রা. সেখানে  এসে ধমকের সুরে বললেন, হে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ! তোমাদের উপস্থিতিতে এ কেমন দৃশ্য অবলোকন করছি। একজন সাহাবী উত্তর দিলেন। আপনার ইচ্ছা হলে শুনতে পারেন আবার অপছন্দ হলে চলেও যেতে পারেন। আমরা রাসূল সা. থেকে অনুমতি নিয়েই বসেছি। এতদ্ব্যতীত রাসূল সা. বিয়ে-শাদীতে খাবারের এন্তেজাম করা ও বিয়ের সংবাদ সকলের মাঝে প্রচার করার ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। আমাদের তেমনটি অনুসরণ করা উচিত।
০৬. তিনিও কাঁদতেন : রাসূল সা. কোন অতি মানব ছিলেন না। দুঃখে তিনি যেমন কাঁদতেন আবার আনন্দে তিনি হেসে উঠতেন। তাঁর জীবনের ঘটনা। রাসূলের প্রিয় পুত্র ইবরাহীম যখন মারা গেলেন তখন তাঁর চোখ থেকে পানি ঝরছিল। একজন সাহাবী তাকে বললেন, আপনিও কাঁদছেন হে রাসূল! তিনি বললেন, এটাইতো মানুষের প্রকৃতি। রাসূলের আরেক পুত্র মারা যাবার পরও তাঁর চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছিল। উম্মে আয়মান তখন বিলাপ করে কাঁদছিলেন, রাসূল তাকে বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করেন। তিনি রাসূলকে বললেন, আপনিও তো কাঁদছিলেন। রাসূল বললেন, আমি তো আর চিৎকার করে কাঁদছি না। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের জন্য শিক্ষণীয় রয়ে গিয়েছে।
০৭. মুক্তোর মতো তাঁর হাসি : মুখ গোমরা করে খুব ভাব নিয়ে থাকলে ব্যক্তিত্ববান হওয়া যায় বলে আমরা মনে করি। কিন্তু সেটি আদৌ সঠিক নয়।  এমন বহু ঘটনাই রয়েছে যার প্রেক্ষিতে রাসূল (সা.)-এর সহাস্য বদন আমরা দেখতে পাই। অথচ তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তেমনি একটি ঘটনা তুলে ধরছি : কোন এক মাহে রমযানে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এক সাহাবী স্ত্রী সহবাস করে ফেলেন। অতঃপর তিনি রাসূলের নিকট এসে কান্নাকাটি করতে লাগলেন। রাসূল সা. সব শুনে বললেন, তুমি একটা গোলাম আযাদ করে দাও। সাহাবী বললেন, আমি গরীব মানুষ, আমার পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাহলে একাধারে ষাটটি রোজা রাখ। সে বলল, আমার ঘরে সেহরী খাওয়ার মতো কোন কিছু থাকে না। আমি কি করে রোজা থাকব? রাসূল বললেন, তাহলে ষাটজনকে একবার আহারের ব্যবস্থা কর। সেই ব্যক্তি বলল, আমার পক্ষে সেই ব্যবস্থা করাও সম্ভব নয়। অবশেষে রাসূল সা. বায়তুল মালে জমাকৃত একটি খেজুরের বস্তা তার কাছে দিয়ে বললেন এটি মিসকিনদের মধ্যে সদকা করে দাও। সে বলল, আমার মতো এমন মিসকিন আর কেউ নেই। অতএব, আমিই এর হকদার। তার কথা শুনে রাসূল এমনভাবে হেসে উঠলেন যে তাঁর মুক্তো সদৃশ দাঁতগুলো ভালভাবেই শোভা পাচ্ছিল। কাজেই কেবল ভাব-গাম্ভীর্য নয়, রাসূল সা. প্রদর্শিত হাসি-কান্নার ভারসাম্যপূর্ণ জীবন অবলম্বন করাই আমাদের কর্তব্য।
০৮. তাঁর ভাষণ ছিল মর্মস্পশী : রাসূল সা. ছিলেন একজন সুবক্তা। অল্প কথায় বেশি ভাব ব্যক্ত করার ক্ষমতা ছিল তাঁর। তাঁর কথার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতো মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবাই। বিশেষ করে তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষণের কথা কে না জানে। হজ্জ সমাপনান্তে আরাফাত পাহাড়ের চূঁড়ায় দাাঁড়িয়ে সমবেত সাহাবীদিগকে লক্ষ্য করে এক ওজস্বিনী ভাষায় অথচ মর্মস্পর্শীরূপে তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাকে বলা হয় মানব ইতিহাসের ম্যাগনাকার্টা। তিনি সেই ভাষণে নারী বৈষম্য, দাসদের প্রতি অবিচার, ধনীক শ্রেণীর শোষণ, অন্ধকার যুগের রীতিনীতি এবং অসত্য ও অসামাজিক কার্যকলাপের গায়ে কুঠারাঘাত হানেন। অতএব, রাসূলের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই যে, একদিকে আমাদের হক কথা বলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে অপরদিকে আমাদের ভাষাও মধুর ও প্রভাব সৃষ্টিকারী হতে হবে।
০৯. কবিতার প্রতি তাঁর অনুরাগ : বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে, মসজিদ নির্মাণকালে সাহাবীগণ ইবনে রাওয়াহার একটি কবিতা সমবেত কণ্ঠে আবৃত্তি করেন। তখন রাসূল সা. তাদের সাথে আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন। কবিতাটির প্রথম কয়েকটি লাইন এরূপ :
“পূণ্য পথের পান্থরা গড়ে এ মসজিদ
কুরআন পড়ে দাঁড়িয়ে-বসে পায় না যে নিদ
কঠিন আঘাতে দেখো পাথর ছুটেছে দিগি¦দিক।”
এসব দৃষ্টান্ত রাসূলের মহান ব্যক্তিত্বের সাক্ষ্য আমাদের নিকট তুলে ধরে।
১০. নির্বাক প্রাণীর প্রতি তাঁর দরদ: তাঁর সীমাহীন দরদ কেবল মানুষের প্রতিই উৎসারিত হয়নি। বরং নির্বাক প্রাণীর ক্ষেত্রে তাঁর দরদের ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত রয়েছে। তেমনি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা। একদা একটি উট রাসূলের কাছে এই বলে নালিশ করল যে, মালিক তাকে অনেক খাটায় কিন্তু পেট ভরে খেতে দেয় না। রাসূল সা. উটের মালিককে ডেকে বলেছিলেন, তোমার উটটি ন্যায্য দামে আমার নিকট বিক্রয় করে দাও অথবা তাকে পেট ভরে খেতে দিও, বিশ্রামও করতে দিও।
১১. তাঁর অসামান্য মুজিযা : রাসূলের জীবনে রয়েছে হাজারো মুজিযা বা অলৌকিকত্ব। সীমাবদ্ধ পরিসরে তার কিয়দংশও উল্লেখ করা সম্ভব নয়। মসজিদে নববী নির্মাণের সময়কার একটি ঘটনাই কেবল তুলে ধরছি। একদিন রাসূল সা. আবু বকর (রা.) কে উদ্দেশ করে বললেন, মদীনার মসজিদ নির্মাণ করতে বহু কাঠের প্রয়োজন হবে। কিন্তু কাঠ কোথা হতে সংগ্রহ করব? আবু বকর রা. বললেন, হে রাসূল! আমার মক্কার বাড়িতে বহু কাঠ রয়েছে। কিন্তু এতদূর থেকে কিভাবে আনা সম্ভব? রাসূল আল্লাহর নিকট কি যেন চাইলেন। পরদিন দেখা গেল আবু বকরের মক্কার বাড়ির সেই কাঠগুলো মসজিদে নববীর সম্মুখে স্তূপীকৃত হয়ে আছে। ঐ কাঠ দিয়েই মসজিদে নববীর কাজ শুরু হয়। এছাড়া চন্দ্র দ্বিখ-িত হয়ে যাওয়াসহ অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে দেদীপ্যমান হয়ে আছে।
১২. তিনি চাঁদের চেয়েও সুন্দর : রাসূল (সা.)-এর ব্যবহারিক জীবনের সৌন্দর্যের কথা আমরা কিছুটা আঁচে করতে পারলাম। তাঁর দৈহিক সৌন্দর্যও ছিল অপরূপ। কিশোর সাহাবী জাবির ইবনে সামূরাহ বর্ণিত একটি বিখ্যাত হাদীস। তিনি বলেন, একদিন পূর্র্ণিমার রাত্রিতে আমি একবার রাসূল (সা.)-এর চেহারার দিকে তাকাচ্ছি অন্যবার চাঁদের দিকে তাকাচ্ছি। অবশেষে আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, রাসূল চাঁদের চেয়েও সুন্দর। তাঁর সৌন্দর্য নির্মল আনন্দ ছড়িয়ে দিত সাহাবীদের প্রাণে প্রাণে।
বিশ্ববরেণ্য কবি শেখ সাদী রহ. রাসূলের এই অভাবিত সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন তার এক কবিতায়। বিশ্বের তাবৎ মুসলিমগণ সেই কবিতা পাঠ করে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে। তা উল্লেখ করেই বক্ষমান লেখাটি শেষ করছি :
“বালাগাল উলা বিকামালিহী, কাশাফাদ্দুজা বিজামালিহী
হাসুনাত জামিউ খিসালিহী, সাল্লু আলাইহী ওয়া আলিহী”
অর্থাৎ
“যিনি সাধনায় পূর্ণতার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন
যার সৌন্দর্যের আলোকে দূর হয়ে গিয়েছে অন্ধকার
যার আচার-ব্যবহার ছিল সৌন্দর্যের আকর
তাঁর এবং তাঁর বংশধরদের প্রতি সালাম।”

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads