বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৪

গণতন্ত্রের চিরায়ত ও শাশ্বত পথ


বাংলাদেশে এখন  রাজনীতির  দৃশ্য মঞ্চায়িত হচ্ছে। এ রকম মনে করার কারণ রয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণে অভিনবত্বে ভরপুর দশম জাতীয় সংসদ প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয় গত বুধবার। একটি বা দুটি নয়, বহু অভিনব বিষয় দেখা যাচ্ছে অন্য রকমের সংসদে। গণতন্ত্রের ইতিহাস, ঐতিহ্য, তত্ত্ব ও প্রয়োগের দিক থেকে কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী অভিনব উদাহরণ সৃষ্টি করল আমাদের দশম জাতীয় সংসদ। 
দশম জাতীয় সংসদ অভিনব এজন্য যে, এতে অংশগ্রহণকারী সদস্যগণের অর্ধেকেরও বেশি প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন নি। দশম সংসদ গঠনের জন্য যে নির্বাচন হয়েছে, সেটি দেশ-বিদেশের মিডিয়া ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা চরমভাবে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত’। দেশের অর্ধেকেরও বেশি ভোটার এতে ভোট দিতে পারেন নি। অন্যত্র ভোট বর্জন করা হয়। পরিশেষে ভোটারদের যে উপস্থিতি হয়েছিল, সেটাও হাস্যকর রকমের কম। আবার সে ‘কম ভোট’ বেশি বানিয়েছে, দলের পা-ারা। ফলে এ সংসদের পেছনে জনসমর্থনের স্তম্ভটি আইনগতভাবে দেখতে সুন্দর হলেও ভেতরে ফাঁপা, জনঅংশগ্রহণ ও জনসমর্থনহীন।
দশম জাতীয় সংসদের অভিনবত্ব আরও প্রকট হয় সুস্পষ্ট-বিরোধী দল না থাকা এবং বিরোধী দলের দ্বৈত আনুগত্যের কারণে। যে দলের প্রধান ব্যক্তি সরকারের অধীনে বেতন, ভাতা নিয়ে কাজ করেন, তার দলকে বিরোধী দল বলা যায় না। পার্টি প্রধান সাবেক প্রেসিডেন্টকে বসে থাকতে দেখা গেলো তার স্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রীর পাশের আসনে। রেওয়াজ অনুযায়ী দলনেতাকেই সংসদীয় দলের নেতা করা হয়। তাকে করা হয়েছে মন্ত্রীর মর্যাদায় বিশেষ দূত। একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য [স্বৈরাচারী বা গণতান্ত্রিক, যা-ই হোক না কেন] পদটি নিঃসন্দেহে অধঃস্তন এবং তিনি সেটা সানন্দে গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। উপরন্তু তিনি মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ অনেক মামলার অভিযুক্ত আসামী। সরকারে তার অংশ নেয়ায় বিচার প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন যা-ই উঠুক বা নাটক যতই হোক,  ব্যক্তিগতভাবে তিনি গণতন্ত্র নয়, নিজের স্বার্থ দেখছেন, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। এমন কি, এরশাদের পাশে সরকারের আরেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপবিষ্ট। অতএব দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলের আসনে বসে আছেন সরকারের নানা পদ ও পদবীধারীরাই। পরিস্থিতির প্রকৃত চেহারাটি এমনই হ-য-ব-র-ল।
সংসদীয় রীতি মেনে বিরোধী দলীয় সদস্যরা তাদের জন্য একজন সংসদ নেতা নির্বাচন করেছেন বটে এবং তাকে বিরোধী দলের নেতা বলা হচ্ছে। নীতিগতভাবে তার দলের সংসদ সদস্যরা সংসদীয় কার্যক্রমে তাকেই মানতে বাধ্য। তারা বসেছেনও তাদের দলীয় ও সংসদীয় নেত্রীর পাশেই। কিন্তু তাদের অনেকেই আবার সরকারের মন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করছেন। এসব সদস্য কাকে মান্য করবেন? প্রধানমন্ত্রীকে? নাকি তাদের দলনেত্রী তথা বিরোধী দলীয় প্রধানকে? সংসদের বিধিতে ফ্লোর ক্রস করাই (এক দলের পক্ষে নির্বাচিত হয়ে অন্য দলে চলে যাওয়া) যেখানে সম্ভব নয়, সেখানে একই সঙ্গে নিজের দলের জন্য এবং ক্ষমতাসীন দলের জন্য কাজ করতে গেলে আনুগত্যের সীমানা তো লঙ্ঘিত হতে বাধ্য। কোন ইস্যুতে ভোটাভুটি হলে কে কখন কোন দিকে থাকবেন, সেটা বলা মুস্কিল হয়ে গেছে। এক হাত সরকারের পক্ষে আর আরেক হাত বিরোধী দলের পক্ষে রেখে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা দুটি ভোট দিতে পারবেন না। তাদেরকে একটি ভোটই দিতে হবে। সে ভোটের চরিত্র কি সরকারি ভোট, নাকি বিরোধী ভোট হবে, সেটাই দেখার বিষয়। তখন আইনগত বৈধতার নানা সমস্যা ও জটিলতা যে তৈরি হবে, সেটা চোখ বন্ধ করেও বলা যায়। অন্যদিকে,  বিরোধী দলের সদস্য হিসাবে মূল দায়িত্ব সরকারকে জবাবদিহি করা। খোদ সরকারে বসে থেকে তারা আর কাকে জবাবদিহি করবেন! বিভিন্ন সময়, যেমন নবম সংসদে কিছু দল সরকারে অংশ নেয়। তাদের কেউ কেউ মন্ত্রীও হন। তারা স্বভাবতই বিরোধী আসনে বসেন নি। সরকারের সঙ্গে বসেছেন। বর্তমান দশম সংসদেও জাতীয় পার্টির একটি অংশের নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সরকারে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি তার সাবেক দলপতি এরশাদের চেয়ে বরং প্রধানমন্ত্রীর অধিক নিকটবর্তী। তিনি নিজেকে বিরোধী দল দাবি করছেন না। কিন্তু  দশম সংসদের প্রধান বিরোধী দলটি সরকারেও থাকছে, বিরোধী দলের আসনগুলোও দখল করেছে। কার্যত যারা সরকারের অংশে পরিণত হয়েছে, তারা বিরোধী দলের চরিত্র বজায় রাখবে কিভাবে? বিরোধী দলের দায়িত্বও তাদের পক্ষে কিভাবে পালন করা সম্ভব? এসব অকল্পনীয় বিষয় যদি দশম জাতীয় সংসদে সম্ভব হয়, তাহলে ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ পাওয়া যাবে বলতে হয়। আসলে বাস্তবে, কার্যক্ষেত্রে ও পুরো অবয়বে একটি সরকারি জাতীয় সংসদই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের নানামুখী কণ্ঠস্বরও উচ্চকিত হওয়ার বাস্তব অবস্থা নেই। প্রত্যক্ষে-পরোক্ষে সবাই যখন সরকারের অংশে পরিণত হয়, তখন বহুদলীয় আর একদলীয়ের ফারাকটি বেশ বড় হয়ে সকলের চোখের সামনে চলে আসে। কোনভাবেই এটিকে আড়াল করা সম্ভব হয় না।  
অথচ সংসদীয় ব্যবস্থার প্রাণই সরকারি ও বিরোধী দলের সাংবিধানিক প্রতিযোগিতার মধ্যে নিহিত। বিরোধী দলের উপস্থিতির কারণেই সংসদীয় গণতন্ত্র একদলীয় হতে পারে না। সরকার জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতার মধ্যে থেকে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বাধ্য হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে সংসদীয় গণতন্ত্রের উদ্ভব থেকে সর্বাধুনিক বিকাশ পর্যন্ত সরকারি ও বিরোধী দলের পার্থক্যপূর্ণ অবস্থান একটি সুস্পষ্ট এবং সুনির্ধারিত বিষয়। বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবস্থায় সরকারে অংশ নেয়া বিরোধী দলের কারণে তাবৎ সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যে সংসদ ‘বিতর্কিত’ নির্বাচন, প্রার্থীদের প্রতিযোগিতাহীনতা ও জনগণের অংশগ্রহণ বিহীনতার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিরোধী দলীয় রীতি-নীতির অবক্ষয় সাধন করে সরকারে বিলীয়মান হয়ে যায়, সেখানে সংসদীয় গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা ছোটভাবে দেখার উপায় নেই। বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইমেজ তালাশ করাও বাতুলতায় পরিণত হয়। স্বৈরাচারের আমলে মুখে গণতন্ত্রের মুখোশ লাগানোর জন্য ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ সৃষ্টি করে প্রকাশ্যে সরকারের সঙ্গে দূরত্ব রক্ষার মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল যে, আমরা গণতন্ত্রে আছি, কারণ এখানে বিরোধী দল আছে। এখন সরকারে অংশ নেয়া বিরোধী দলকে সামনে রেখে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠিত নীতিমালার ভিত্তিতে বিদ্যমান বাস্তব-পরিস্থিতিকে কি বলা হবে? সমালোচকদের কেউ কেউ অবশ্য এখনই একদলীয় সংসদ উপমাটি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন।
সন্দেহ নেই, এবার উদ্ভবগত দিক থেকেই সংসদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা। কার্যক্রমের সূচনাতেই প্রকট হচ্ছে আরও নানা কার্য প্রণালীগত সমস্যা ও সঙ্কট। সামনের দিনগুলোতে কাজ চালাতে গেলে এ সংসদকে গণতন্ত্রের বিধিবদ্ধ মানদ-ের বাইরে গিয়ে এমন অনেক অভিনব, আপত্তিকর, অগ্রাহ্য কাজ হয়ত করতে হবে, যা পুরো পরিস্থিতিকেই সঙ্কট-সমস্যার অক্টোপাশে আবদ্ধ করতে পারে; বৈধতা ও আইনগত সিদ্ধতার নানা আপত্তি সামনে নিয়ে আসতে পারে। এমন একটি সংসদীয় কার্যক্রমকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার চিরায়ত পথের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করাও আদৌ সম্ভব হবে না। বরং, এমন নাজুক ব্যবস্থাকে নিয়ে পাঁচ বছর কার্যক্রম চালাতে গেলে গণতান্ত্রিকতার অধঃপতনের সমূহ ঝুঁকি ও বিপদই ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। ফলে যারা ক্ষমতার রথকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে একচক্ষু হরিণের মতো আশেপাশের বিপদ ও সমস্যাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন বা দেখছেন না, তারা অচীরেই ভুল ব্যবস্থার নানা ধরনের অভিনব ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়ে বিপদে পড়তে পারেন। অতএব, দেশ ও বিদেশ থেকে যে গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের কথা বলা হচ্ছে, সেটা মানা হলে বৈধতা ও শক্তিমত্তা দুটিই নৈতিক বল পাবে। বিদ্যমান অভিনব পরিস্থিতিকে সাময়িক ও আপৎকালীন বিশেষ পরিস্থিতিরূপে গণ্য করে গণতন্ত্রের চিরায়ত ও শাশ্বত পথে অতি দ্রুত প্রত্যাবর্তন করাই হবে বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক এবং এতেই নিশ্চিত হবে সুদূরপ্রসারী ঐতিহাসিক সফলতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণভাবে সেরা রাজনীতিবিদ আমরা সাধারণত কাকে বলি বা কাদের বলি এবং সেটা কেন বলি? যাঁর উদ্ভাবিত কৌশলের সামনে এসে বিপক্ষ দলের কৌশল নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। যাঁর কৌশল যত বেশি, যিনি যত বেশি নির্বাচনী বা রাজনৈতিক বাজি জিততে পারেন, তিনি তত বড় রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেন। এটাই এখনকার দস্তুররেস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানত, কৌশলের বিপক্ষে আর একটি তুখোড় কৌশলÑÑএইভাবেই রাজনীতিবিদদের ক্রিয়াকলাপকে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি আমরা। মূলত কৌশল-প্রতিকৌশলের প্যাঁচ-মারামারি দেখতেই আমাদের কৌতূহল আজ রাজনীতির মল্লভূমির দিকে এগিয়ে যায়। রাজনীতির মানবকল্যাণমুখী স্রোতটি, গণতন্ত্রের চিরায়ত ও শাশ্বত পথ  চাপা পড়ে যাচ্ছে।
ছোট আয়তন হলেও কিন্তু বিরাট জনসংখ্যার বিশাল এই দেশ বাংলাদেশ। ন্যায় ও মুক্তির সংগ্রাম-সঞ্জাত সুমহান ও সুউচ্চ এদেশের চিরায়ত ঐতিহ্য। সকল মত-পথ-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়-অঞ্চলের মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে চায় যে-দেশ, সে-দেশের উত্তরাধিকারের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ত্যাগ, মহানুভবতা, শিষ্টতা, পরহিত ও আত্মনিবেদনের আদর্শিক পরাকাষ্ঠা। শতাব্দীর পর শতাব্দী সে কথাগুলোই বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন এদেশের বরেণ্য পুরুষেরা স্বাধীনতার সৈনিকেরা জনমুখী রাজনীতিবিদেরা। এমন একটি কথাই আমরা শুনতে পাই উইলিয়াম এফ. বাকলে-এর কণ্ঠে: “সংখ্যাগরিষ্ঠের তোষামোদ করতে আমরা এতই ব্যস্ত থাকি যে, আমাদের আর খেয়ালই থাকে না, একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা দূরে থাকুক, সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যও মাঝেমাঝেই সংখ্যাগরিষ্ঠকে নমিত করা প্রয়োজন।” সেইসব আদর্শ আজকের রাজনীতিবিদদের অনেকের কাছেই প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে এসেছে। মোহ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ক্ষমতার মোহ। কূট, কৌশল, ইস্যু, চতুরতার মোহ। মূল্যবোধ, আত্মসম্মান আর মানবিকতাকে বিতাড়িত করেছে রাজনীতির ক্ষেত্র থেকে। রাজনীতি এখন কেবলই ক্ষমতা, অর্থ, বিত্ত, বৈভব, দাপট ও দখলদারিত্বের এক হিংসা ও রক্ত-প্লাবিত রণাঙ্গন ছাড়া আর কিছু নয়।
তত্ত্বকথায় আছে হিংসা, হিংসার জন্ম দেয়। সন্ত্রাস, সন্ত্রাসের জন্ম দেয়। বলপ্রয়োগ, আরো বলপ্রয়োগকে ডেকে আনে। অনাচার-অনিয়ম, বিপদ তৈরি করে। কথাগুলো তত্ত্বগত হলেও বাস্তব-বিবর্জিত নয়। বাস্তবের মাঠ থেকেই এগুলো উঠে এসেছে তত্ত্বের পাতায়। রাজনীতি করার সময় তত্ত্ব আর বাস্তবের বিষয়গুলো নতুন করে তুলনা করা দরকার। খানিকটা মূল্যায়নও হওয়া দরকার রাজনীতির। কেবল কূট, কৌশল আর চতুরতাই যে রাজনীতির শেষ কথা নয় মূল্যবোধ, আত্মসম্মান, ত্যাগ, পরহিত, পরমতসহিষ্ণুতা আর সহনশীলতারও যে গুরুত্ব আছে বৃহত্তর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এ কথাগুলোও পুনরুচ্চারিত হওয়া দরকার। কেননা, শাশ্বত-অর্থে রাজনীতি হলো রাষ্ট্র ও তার নাগরিকদের পারস্পরিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কিত বিজ্ঞান। হিংসা, কূটচাল, কৌশল, চতুরতা দিয়ে আপাত বিজয় লভ্য হলেও রাষ্ট্র ও নাগরিকগণের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও অধিকারের বিষয়গুলো সুস্থ ও কাম্য স্তরে নেয়া যাবে না। উন্নয়ন প্রচেষ্টাতেও জনঐক্য নিশ্চিত হবে না। ক্ষমতার প্রতিযোগিতাই প্রলম্বিত হবে মাত্র।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads