সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪

সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ

অবশেষে আওয়ামী লীগ তাদের দীর্ঘ ষাট বছরের রাজনৈতিক পরিক্রমায় আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায় যোগ করল। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিয়াত্তর সালের ব্যাপক কারচুপির নির্বাচন এবং পঁচাত্তরের বাকশাল কায়েমের নিন্দিত ঘটনাদ্বয়ের সাথে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সমস্থান অধিকার করে রাখবে। বিরোধী দলগুলোর বর্জন, সুশীলসমাজের অনুরোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরামর্শ উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন হাস্যস্পদ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ভোটারের উপস্থিতি বাড়িয়ে দেখানোর জন্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সহায়তায় দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক জাল ভোট দেয়ার ঘটনাগুলো জনগণের মুখে মুখে। হাতেগোনা যে কজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, তারাও নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। দলীয় সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন যে সুষ্ঠু হতে পারে না তার জাজ্বল্য প্রমাণ এই নির্বাচন। প্রহসনের এই নির্বাচন এবং এর মাধ্যমে গঠিত সরকার গ্রহণযোগ্যতার সঙ্কটে পড়বে, তা বলা বাহুল্য। বিএনপি এরই মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

শুধু সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার যুক্তি দেখিয়ে আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনের যথার্থতা ব্যাখ্যা করতে চেয়েছে। তাদের এ দাবির সাথে সুর মিলিয়েছে ভারতের কংগ্রেস সরকার। এ যুক্তি প্রকারান্তরে বাংলাদেশের জনগণকে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের পরীক্ষিত ও সফল পদ্ধতির ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে আরো নির্ভরযোগ্য রূপ দেয়ার বদলে সবার পরামর্শ, এমনকি বিচারকের রায়ের পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করে তা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়ায় আওয়ামী লীগই এ সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলগুলো এটি মেনে নেবে না তা তারা আগে থেকেই জানত এবং বিরোধী দলগুলোর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আরো প্রতিষ্ঠিত হয়। যেহেতু নির্বাচন পর্যন্ত নবম সংসদ বহাল ছিল, আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব ছিল। সংবিধান সংশোধন না করেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব ছিল। কারণ শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলগুলো শুধু শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে নির্বাচনে অংশগ্রহণে সম্মত ছিল। সংবিধানে উল্লেখ আছে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কোথাও বলা নেই যে শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী রেখে নির্বাচন করতে হবে। এখন এটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে আওয়ামী লীগ চায়নি প্রধান বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এক সুদূরপ্রসারী দুরভিসন্ধি নিয়ে এরা এ আয়োজন সম্পন্ন করেছে।
আপাতত বিভিন্ন মাধ্যমে এরা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছে দশম সংসদ স্বল্প স্থায়ী হবে এবং সবার সাথে আলোচনাসাপেক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হবে। এর প্রচার শুরু হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থক আনন্দবাজার পত্রিকার একটি নিবন্ধের মাধ্যমে। পয়লা জানুয়ারির পত্রিকায় অগ্নি রায় লিখেছেন, “নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় গোটা লড়াইটাই একপেশে হয়ে গেছে। ১৫৩টি আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে বসে রয়েছেন একজন করে প্রার্থী। এর মধ্যে ১৩২ জনই শাসক আওয়ামী লীগের। বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া কার্যত গৃহবন্দীবলে দাবি করেছে তাঁর দল। বিএনপির অনেক নেতাই জেলে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমা দুনিয়া। তাই এ দফায় সরকার গড়লেও খুব দ্রুত দেশে রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে আরো একটি সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ ঢাকাকে দিচ্ছে নয়াদিল্লি।এ নিবন্ধ প্রকাশের দুই দিন পর প্রথম আলোতে সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান তার উপসম্পাদকীয়তে বলেছেন, ‘সম্প্রতি কারাবরণকারী বিএনপির একজন নেতা আমাকে বলেছিলেন, তার সাথে ভারতীয়দের কথা হয়েছে। তিনি ১৯৯৬-এর মডেলে সমাধানের আভাস দিয়েছেন। এরপর খালেদা জিয়াকেও সেই আভাস দিতে শুনলাম। তিনি নিয়মরক্ষার নির্বাচন হিসেবে মেনে নেয়ার স্পষ্ট আভাস দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে আহ্বান করেছেন; যদিও এর সাথে তার এবং দিল্লির মনঃপূত কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।
মূলত আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের আদৌ কোনো সদিচ্ছা নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনার প্রস্তাবনা পেশ করার উদ্দেশ্য হলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনগণের চলমান আন্দোলন স্তিমিত করা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সহানুভূতি লাভ করা এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ইতোমধ্যে বিস্তার লাভ করা ভারতবিদ্বেষ প্রশমিত করা। বর্তমানের আন্দোলন আরো কয়েক মাস প্রলম্বিত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এ ভার সামলাতে পারবে না এবং সরকার বেকাদায় পড়বে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার ১ জানুয়ারিতে প্রকাশিত নিবন্ধটি যাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে আমি বাংলাদেশের কয়েকজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ীর একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে হংকং সফর করি। প্রধান পোশাক ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সফরকালে একটি কঠোর বার্তা দেয়, সেই বৈঠকে প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিটি ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসা তুলে নেয়ার একটি কৌশল ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছে।আওয়ামী লীগ নিজে এবং তাদের সমর্থনদাতা দিল্লি ভালো করেই জানে ৫ জানুয়ারির ভোটার ও প্রার্থিশূন্য কারচুপির নির্বাচন বিশ্বে প্রশ্নের সম্মুখীন হবে এবং এটি বৈধতা পাবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, জাতিসঙ্ঘ ও যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষক না পাঠানোর মাধ্যমে এ নির্বাচন থেকে তাদের সমর্থন সরিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও দিল্লি আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বাচিত সরকারকে বৈধতা দানে বিরত থাকবে এবং সরকারকে সাথে অসহযোগিতা করবে। অগ্নি রায়ের নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ ব্লকের কাছে একটি রিপোর্ট এসেছে যাতে বলা হয়েছে, ‘এ নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে তার সাথে চূড়ান্ত অসহযোগিতার পথে হাঁটবে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপরে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকারের সাথে অসহযোগিতা করার লক্ষণগুলোও প্রকট। সর্বোপরি দিল্লি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিস্তার লাভ করা ভারতবিদ্বেষের ব্যাপারে সচেতন হতে শুরু করেছে। ১ জানুয়ারিতে প্রকাশিত ভারতের প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য হিন্দু সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করেছে, ‘ÔThe crisis poses a serious challenge for India’s policy on Bangladesh. India could have helped at least by counselling Prime Minister Hasina to takeless reckless positions against her opponents, but it is too late for that now. Post-election, Bangladesh appears headed for more volatility, and New Delhi’s relations with a government that comes to power through a problematic process will only get more complicated.Õ
আওয়ামী লীগের মধ্যে যে উগ্র অংশটি বর্তমানে দলের নীতি ও কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করছে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দ্রুত নিরসনের কোনো সদিচ্ছা নেই। এরা প্রস্তুত করেছে প্রধান বিরোধী দলকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে দিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার গভীর চক্রান্ত। মূলত যুদ্ধাপরাধী বিচারের মতো সংবেদনশীল ইস্যুকে নিজেদের স্বার্থে প্রয়োগ করে তারা দেশে ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করবে, যাতে পরবর্তী নির্বাচনে বিরোধী দল বিশৃঙ্খল ও দুর্বল অবস্থায় থাকে। রাষ্ট্রক্ষমতা ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে দেশকে বিরোধী দলশূন্য করার এ পরিকল্পনাটি তারা ইতোমধ্যে দিল্লিকে অবহিত করে তাদের অনুমোদন নিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাদের নেতাদের বক্তব্যে এ পরিকল্পনার আভাস পাওয়া গেছে। জামায়াতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে ৫ জানুয়ারির পর বিএনপিকে বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে।’ Ñ২৪ ডিসেম্বরের বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। নির্বাচনের দুই সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকারীদের মূলোৎপাটন করা হবে।’  ৩ জানুয়ারির বক্তৃতায় নির্বাচনকালীন সরকারের বন এবং পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ২০১৯ সালের আগে সমঝোতা হবে না।৪ জানুয়ারির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। নতুন সরকারের প্রথম কাজ হবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন। রাজনীতির কথা পরে ভাবা যাবে।’  ৫ জানুয়ারি নির্বাচনোত্তর বক্তব্যে নির্বাচনকালীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বর্তমানে তাদের প্রয়োজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যথেষ্ট সময়। সে উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং দিল্লি কাজ শুরু করে দিয়েছে। দেশে সংলাপের নামে নানা টালবাহানা করে তারা সময় ক্ষেপণ করবে আর প্রহসনের নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাতে অবৈধ সরকার হিসেবে বিবেচিত না হয় সে জন্য দিল্লি দূতিয়ালি শুরু করবে। দিল্লি থেকে বিবিসি সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত সংবাদে উপসংহার টেনেছেন, ‘ভারতের কূটনৈতিক মহল ও বিশ্লেষকেরা মনে করছেনÑ বিতর্কিত হলেও এই নির্বাচন যেকোনো মতেই অসাংবিধানিক নয়, ভারত সেটা স্বীকার করে এবং তাই নির্বাচনের প্রশ্নে তারা ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের পাশেই আছে।কিছু দিন আগে পর্যন্ত দিল্লি শেখ হাসিনাকে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে অনিশ্চিত ছিল কারণ এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি; কিন্তু নির্বাচনের পর দিল্লি সব দ্বিধা ঝেড়ে সশরীরে আবির্ভূত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও দিল্লির এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব করে তুলতে পারে জনসচেতনতা, গণ-আন্দোলন, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের সঠিক, দৃঢ় ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনগণের মতামত এবং দাবি সফলভাবে তুলে ধারার মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই নির্বাচন সমালোচিত হওয়ার প্রাথমিক পূর্বাভাস আমরা এর মধ্যে দেখতে শুরু করেছি। আরো কিছু দিন পর বোঝা যাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবৈধ সরকারের সাথে কাজ করতে কতটুকু স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। নির্বাচনের পরদিন শেখ হাসিনা সংলাপের আহ্বানের সাথে বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন যার উত্তরে বেগম খালেদা জিয়া বিবিসি বাংলায় তার বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরেছেন। তার ভাষ্যে সংলাপ ও আন্দোলন একসাথে চলবে এবং সংলাপের জন্য সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন সব বিষয়ে তার দল স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। এর সাথে আমরা এ প্রথমবারের মতো তারেক জিয়াকে মৌনতা ভেঙে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরব হতে দেখেছি, যার ফল ছিল অভাবনীয়। হয়তো নির্বাচন সম্পূর্ণ প্রতিহত করা যায়নি; কিন্তু নির্বাচনে নগণ্যসংখ্যক ভোটার উপস্থির মাধ্যমে এর গ্রহণযোগত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পেছনে জনগণের উদ্দেশে তার বক্তৃতার ভূমিকা সবাই অনুধাবন করেছে। রাজপথে তার উপস্থিতি চলমান আন্দোলনকে যে আরো বেগবান করবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
সব বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন এক গভীর সঙ্কটের আবর্তে। এ সঙ্কট প্রলম্বিত হলে দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হবে, যা কাটিয়ে ওঠা আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হবে। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সাথে প্রচুর প্রাণহানি এবং জাতীয় ঐক্যে স্থায়ী ফাটল দেখা দিতে পারে। অপর দিকে এ সঙ্কট দুভাবে সমাপ্ত হতে পারে যার একটি হলো গণতন্ত্রের মৃত্যু এবং স্থায়ীভাবে  আওয়ামী সরকারের মাধ্যমে দিল্লির আধিপত্য স্বীকার। অপরটি হলো গণতন্ত্রের স্ফূরণের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সৃষ্টি। আমি সর্বদা জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে আশা রাখি এবং আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি বরাবরের মতো জনগণ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবে না। 


 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads