গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারত থেকে হিন্দু-মুসলমান মিলিয়ে দু’জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এতে বহুজন মুক্তি পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রেসিডেন্ট সুকৃতি বিশ্বাস এবং পশ্চিম বাংলা মিল্লি ইন্তেহাদ পরিষদ এবং সর্বভারতীয় মুসলিম মুস্তাহিদার সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল আজিজ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ঢাকার শনির আখড়ায় মিলন রায় নামক এক ভদ্রলোক তাদের গাইড হিসেবে কাজ করেছেন। কয়েক দিন তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সফর করে ২০ মার্চ ঢাকা আসেন এবং আমার সাথে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়। আমি তাদের সফরের উদ্দেশ্য এবং কিভাবে তাদের সহযোগিতা করতে পারি তা জানতে চাইলে তারা জানালেন যে, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি জানতেই তারা মূলত: বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্মম নির্যাতন চলছে, তাদের বাড়ীঘর, সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয় প্রভৃতি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং লুটপাট চলছে। এসব কারা করছে এ প্রশ্নের জবাবে তারা বললেন যে তাদেরকে পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী জামায়াত, বিএনপি ও অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলো এই দাঙ্গার সাথে সম্পৃক্ত। এই অবস্থায় ভারতীয় হিন্দুরা, বিশেষ করে পশ্চিবঙ্গের বাসিন্দারা খুবই উদ্বিগ্ন এবং তারা হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মের অনুসারীদের পক্ষ থেকে সরজমিনে অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য এখানে এসেছেন। তাদের সাথে আরো একজন মুসলমান ছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে তাকে ভিসা না দেয়ায় তিনি আসতে পারেননি।
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সরকারীভাবে গত কয়েক বছর ধরেই ব্যাপক অপপ্রচার চলছে। কোথাও হিন্দুপাড়া বা বাড়ীতে ঝগড়াঝাঁটি, বাকবিত-া কিংবা জমির আইল ঠেলাঠেলি অথবা শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠে মারামারি হলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বলার আগেই আমাদের সরকার, সরকারী দল ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তার উপর সাম্প্রদায়িক রঙ চড়িয়ে দেশ-বিদেশে হৈচৈ শুরু করেন এবং এর দায়-দায়িত্ব প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল এবং নিরীহ আলেম সমাজের উপর চাপিয়ে দেন। তারা ধর্মÑ বিশেষ করে ইসলামের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ খুঁজে বেড়ান। তারা মনে করেন যে, ইসলাম ও ইসলামের অনুসারীদের জঙ্গী প্রমাণ করতে পারলে পাশ্চাত্যের ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতা সহজেই তাদের অনুকূলে আসবে এবং এই আনুকূল্য ও পৃষ্ঠপোষকতাকে মূলধন করে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট ও আলেম-ওলামাদের নির্মূল করে অনন্তকাল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন। গত কয়েক বছর ধরে তারা এই অপচেষ্টা করেই যাচ্ছেন এবং দেশকে জঙ্গী অধ্যুষিত একটি রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করার জন্য এমন কিছু নেই যা করছেন না। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার যে অপপ্রচার চলছে তা তাদের এই পরিকল্পনারই একটা অংশ। আমার সাথে সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস ও মিলন রায়ের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমি তাদের সফর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। তাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তারা সংখ্যালঘুদের উপর কিছু কিছু এলাকায় অত্যাচার-নির্যাতনের প্রমাণ প্রত্যক্ষ করেছেন। তবে তারা তাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে মনে করেন না। তাদের ধারণা, স্থানীয় কোন্দল, রাজনৈতিক দলাদলি ও প্রতিহিংসা এর জন্য প্রধানত দায়ী। রামুর ঘটনার ব্যাপারে বহুজন মুক্তি পার্টির নেতা মি. বিশ্বাস এবং মিল্লি ইন্তেহাদ পরিষদ নেতা জনাব আবদুল আজিজ উভয়েরই অভিজ্ঞতা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দই এর উস্কানিদাতা। বৌদ্ধ এক যুবকের অবিমৃষ্য কারিতাকে তারা এখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেছেন এবং পরে ধ্বংসযজ্ঞের সম্পূর্ণ দায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর চাপিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে পরিস্থিতিকে অবনতির নিকৃষ্ট পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। সালিশের মাধ্যমে ঐ যুবকের শাস্তির ব্যবস্থা করলে অনেক বিপর্যয় ঠেকানো যেতো।
প্রতিনিধিদল যশোরের নোয়াপাড়া ও মালুপাড়া এবং সাতক্ষীরার অবস্থা সরজমিনে প্রত্যক্ষ করার অভিলাস ব্যক্ত করেছেন এবং মালুপাড়া গিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। তারা সত্য গোপনের জন্য আমাকে অভিযুক্ত করলেন এবং বললেন যে, মালুপাড়া গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তারা যে ধারণা পেয়েছেন তা তাদের আগের সকল ধারণা বিশ্বাস বদলে দিয়েছে। তারা শুনেছিলেন মালুপাড়ার মুসলমান বিশেষ করে জামায়াত- শিবিরের লোকেরা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানুষিক অত্যাচার করেছে এবং তাদের মেয়েদের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা দেখেছেন হিন্দুদের বাড়ীঘরের পাশাপাশি ১৫/২০টা মুসলমান বাড়ীও সেখানে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ কথাটি আমি তাদের বলিনি। এজন্য তারা আমাকে সত্য গোপন করার জন্য দায়ী করেছেন। আসলে আমি তাদের ইরধং করতে চাইনি। আমি চেয়েছি ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তারা সত্যকে জানুন। সুকৃতি বাবু বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথাবার্তা বলে আমাকে যা বললেন, তা হচ্ছে: মালুপাড়ার দাঙ্গায় জামায়াত-বিএনপি বা আলেম সমাজের কোনও ভূমিকা ছিল না।
এটা ছিল সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের অভিব্যক্তি। সেখানে আওয়ামী লীগের দুজন নির্বাচন প্রার্থী ছিলেন। জামায়াত-বিএনপির কোনও প্রার্থী ছিল না। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা তাদের ভোটব্যাংককে বিশ্বাস করতে না পারায় এক দল হিন্দু পাড়ায় হামলা করে, পরে তার দায় অন্যদের ওপর চাপানোর জন্য মুসলমানদের বাড়িঘরেও আগুন লাগায়। তারা সেখান থেকে সাতক্ষীরা রওয়ানা হয়েছিলেন, কিন্তু পথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতারা টের পেয়ে যান। এবং থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ার ভয়ে রাস্তা থেকেই তাদের ফিরিয়ে দেন। তবে পথের পাশে চা দোকানে বসে লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে তারা যা শুনেছেন সেটা কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গুরুদুয়ারার মেহমান কক্ষে ফিরে এসে তারা তাদের সফর অভিজ্ঞতা আমাকে জানিয়ে যা বললেন তার মর্মার্থ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং স্বৈরতান্ত্রিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে এখানকার সংখ্যালঘুরা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের তুলনায় অনেক অনেক ভালো আছেন। আমি তাদের বললাম, ঈমানদার কোনও মুসলমান সাম্প্রদায়িক হন না। যদি হতেন তাহলে সাতশ’ বছরের মুসলিম শাসনামলে ভারতবর্ষে কোনও অমুসলমান টিকে থাকতে পারতো না। ইসলাম মূর্তিপূজায় বিশ্বাস করে না, র্শিক এখানে সবচেয়ে বড় পাপ। কিন্তু তা সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনে মূর্তিকে গালি দিতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে মূর্তিপূজকরা মানসিকভাবে কষ্ট পাবেন। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের মুসলমান নামধারী শাসকরা এখন ইসলামের প্রতিপক্ষ হয়ে দুনিয়ার চোখে আমাদের অপরাধী প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। এতে আমরা বিশ্বের দরবারে অপমানিত হচ্ছি।
দুই
বাংলাদেশের স্বাধীনতা চার দশক পেরিয়ে পাঁচ দশক ছুঁই ছুঁই করছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করার সময় ভারতে বিজেপির গুজরাল বাজ ক্ষমতাসীন ছিলেন। তার একটা আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং প্রায় কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিদানে বাংলাদেশ কিছুই করেনি, তাদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ তো দূরের কথা কোথাও একটা ইটও পাওয়া যায় না। তার আক্ষেপে হয়তো যুক্তি ছিল, যারা করেননি তারা হয়তো ভেবেছিলেন, ভারত তো পাকিস্তানীদের ফেলে রাখা হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র, গোলাবারুদ, শিল্পপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল এবং কলকারখানার মেশিনপত্র ট্রেনের শত শত বগি বোঝাই করে ভারতে নিয়ে গেছেন। প্রতিদান তো তারা পেয়েছেনই। নতুন প্রতিদানের প্রয়োজন কি? আওয়ামী লীগ সরকার ঐ মেয়াদে হয়তো ব্যথিত হয়েছিলেন কিন্তু কিছু করেননি। এই মেয়াদে এসে তাতে হাত দিয়েছেন। বিদেশীদের সম্মানিত করেছেন, দেশবাসীর এতে আপত্তি নেই। যদিও তাদের বৃহত্তর অংশ মনে করেন যে, আওয়ামী লীগ তাদের স্বাধীনতার কোনো স্বাদ দিতে পারেনি। তাদের মৌলিক অধিকার নেই, গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই। রাজনৈতিক অধিকার তারা হারিয়ে ফেলেছেন। সভা শোভাযাত্রা তাদের জন্য নিষিদ্ধ, মত প্রকাশের অধিকার তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবাদের ভাষা স্তব্ধ করে দেয়া হয়। হত্যা, গুম, লুটপাট, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল ও গ্রেফতারবাণিজ্য, শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাস, সন্ত্রাসীদের মুক্তিপণ দাবি, দলবাজি প্রভৃতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ এখন ক্রীতদাসের মর্যাদার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আগের দিনে উত্তরাধিকার ও যুদ্ধে জয়পরাজয়ের ভিত্তিতে রাজারা রাজত্ব করতেন। উভয়পক্ষে সৈন্য সামন্ত অস্ত্রশস্ত্র থাকতো। এখন নিরস্ত্র মানুষকে সশস্ত্র শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে পরাজিত করে বিনাভোটে নির্বাচিত হয়ে ঝবষভ ঝঃুষব-এ রাজারানীরা দেশ শাসন করছেন। আর সম্মাননা পাচ্ছেন বিদেশীরা, এতেও তারা ক্ষুব্ধ নন। তাদের আক্ষেপ এটা দেখে যে, ধাপে ধাপে একটি শান্তিপূর্ণ জনপদ, নীতিভ্রষ্ট জালেমদের হাতে পড়ে যেভাবে দুর্নীতিবাজ ও ডাকাতদের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তা দেখে। কে বলেছিল সম্মাননার নামে আমাদের বিদেশী বন্ধুদের সাথে শুধু প্রতারণা নয়, আমরা যে একটা দুর্নীতিপরায়ণ জাতি তা প্রমাণ করতে?
গত ৬ এপ্রিল প্রথম আলো পত্রিকায় একটি লিড আইটেম প্রকাশ করা হয়েছে। আইটেমটির শিরোনাম হচ্ছে “বিদেশী বন্ধু ও সংগঠনকে মুুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা : ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে।” রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিদেশীদের সম্মাননা প্রদানসংক্রান্ত নীতিমালায় বলা আছে প্রতিটি ক্রেস্টে এক ভরি (১৬ আনা) স্বর্ণ ও ৩০ ভরি রুপা থাকবে। কিন্তু বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এক ভরির জায়গায় (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ আছে মাত্র ২.৩৬৩ গ্রাম (সোয়া তিন আনা) অর্থাৎ ১২ আনাই নেই। আবার ৩০ ভরি রুপার বদলে পাওয়া গেছে ৩৫১ গ্রাম পিতল, তামা ও দস্তা মিশ্রিত সংকর ধাতু। বলাবাহুল্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে আমাদের সরকার ৩৩৮টি সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেছিলেন। এর জন্য কোনও উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। ফলে যা হবার তা হয়েছে। সোনারুপার ক্রেস্টের নামে বিদেশীরা পেয়েছেন প্রতারণার ক্রেস্ট। এই প্রতারণা এখন সর্বত্র চলছে। শাসক দল, তাদের সহযোগী ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সরকারের সকল পর্যায়ে এখন শুধু খাই খাই ভাব। তারা নিজেদেরও এখন খাওয়া শুরু করেছেন। এমন দিন নেই, যে দিন কারুর না কারুর লাশ পড়ছে। আ’লীগ-আ’লীগে মারামারি করে লাশ ফেলে দোষ পড়ে বেচারা জামায়াত-শিবিরের ওপর। তাদের মৃত ব্যক্তিরাও আসামী হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই অবস্থা কতদিন চলবে? অন্যায় অবিচার দুর্নীতি জুলুম নির্যাতন ও মিথ্যাচারের প্রাকৃতিক প্রতিশোধ কি আসবে। আল্লাহয় যারা বিশ্বাস করেন তাদের দৃঢ় বিশ্বাস অবশ্যই আসবে, তবে তার জন্য জনগণকে জাগতে হবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন